ভিনদেশের পতাকা, ভিনদেশে প্রতিক্রিয়া, প্রথম আলোর সংবাদ নিরপেক্ষতা

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: বুধ, ২৬/০৩/২০১৪ - ১০:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্যালারির অগুণতি দর্শকের হাত, গাল, বুক, পিঠ আর জামায় ভর করে পাকিস্তানী পতাকা উড়ে। স্বাধীনতার মাসে, পাকিস্তানীদের চালানো গণহত্যা সূচনার মাসে এ দেখে জীবিত অনেকেরই তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না, তবে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো ত্রিশ লাখ শহীদ আর চার লাখ ধর্ষিতার দীর্ঘশ্বাস মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা থাকলেই টের পাওয়া যায়। একটা পুরো দেশতো আর অমানুষে ভরে যেতে পারে না, তাই স্বজাতির রক্তঋণ অস্বীকারকারী কুলাঙ্গারদের ভীড়েও বাংলাদেশের মাঠে পাকিস্তানী পতাকা উড়ানোয় প্রবল প্রতিবাদ জেগে উঠে দেশ জুড়ে। তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় বিসিবি, খেলার মাঠে বাংলাদেশীদের জন্য ভিনদেশের পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। আমাদের তীব্র কষ্ট আর অপমান বোধের কিছুটা উপশম হয়।

একটা স্বাধীন দেশে পতাকা উড়ানোর নিয়ম আছে, বাংলাদেশের পতাকা আইনে বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য ভিনদেশের পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ। নিজের সার্বভৌমত্ব আর আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য একটা দেশ কেমন ব্যবস্থা নেবে সেটা সে দেশের নিজস্ব এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাও নানা দেশ, নানা লোক, নানা কারণে প্রতিক্রিয়া জানাবেই। এবার দেখা যাক বিসিবি'র এই সিদ্ধান্তে ভারত ও পাকিস্তানে প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রথম আলো'র সংবাদ[১]। শিরোনামঃ "বিসিবির পতাকা নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভারত-পাকিস্তানে"। শিরোনাম দেখে আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ওদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কী আছে, আমরা তো ওদের পতাকার অবমাননা করিনি!

বিস্তারিত জানতে ভিতরে গেলাম। প্রথমেই পাকিস্তানী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াগুলো পড়ার চেষ্টা করলাম।

পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ এএফপিকে বলেছেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্তে খুবই বিস্মিত হয়েছি। ক্রিকেটের মূল দিকটি হচ্ছে খেলোয়াড়ি চেতনা। এ সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের চেতনা নষ্ট হবে।’ পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বিসিবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। কারণ এটি অযৌক্তিক। আইসিসি নিশ্চয়ই এর ব্যাখ্যা চাইবে।’ ৯০ টেস্টে খেলা ইউসুফ অবশ্য জানিয়েছেন, প্রতিবার বাংলাদেশে এসে উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছেন। আরেক সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খান পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন এ সিদ্ধান্ত, ‘এটি খেলার চেতনাবিরোধী। যে কেউ তার প্রিয় দলকে সমর্থন করতে পারে, সেটি আপনি বন্ধ করতে পারেন না।’

এবার ভারতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াঃ

ভারত-পাকিস্তানের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমই খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত সংবাদের নিচে পাঠকদের নানা মন্তব্য-প্রতিক্রিয়ায় ভরে উঠেছে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে বিস্ত নামের এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘এতে কাজ হবে না। ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ভারতের সমর্থক ঠেকাতে ইংল্যান্ড এ রকম কিছু একটা করতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এটি একটি খেলাই। বাংলাদেশ মাত্রই বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে শুরু করেছে।’

একই পত্রিকায় ছদ্মনামে এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘এটি মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত! সম্পূর্ণ খেলার চেতনাবিরোধী। জোর করে কোনো দলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে পারেন না। এটি হাস্যকর!’ ভারতের আইবিএনের খবরে বিনু নামে এক পাঠক লিখেছেন, ‘বাংলাদেশি মূর্খ!’ হারুনুর রশিদ নামের আরেক পাঠক বলেছেন, ‘একে বলে বাকস্বাধীনতা হরণ। জনতা ইচ্ছেমতো যেকোনো দেশের পতাকা ওড়াতে পারে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা উগ্রবাদী আদর্শের নমুনা। জনতা জেগে ওঠো। অন্যদের অধিকারকে সম্মান করো। সবাইকে দেখাও, বাংলাদেশ উদার মানুষের দেশ।’

পাকিস্তানের এক সময়ের শীর্ষ খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে ভারতের ইস্ত, বিনু আর নাম না জানা পাঠকের বিরূপ মন্তব্যকে সমান ট্রিটমেন্ট দিয়ে প্রথম আলো'র ভারতে এবং পাকিস্তানে একই রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে বুঝাতে চাওয়ার কারণ কী? প্রথম আলো'র ট্র্যাক রেকর্ড কিন্তু বিসিবি'র ভিনদেশী পতাকা উড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে প্রথম আলো'র প্রপাগান্ডারি ইঙ্গিত দেয়। প্রথম আলো কি একবার সাহস করে তাদের অবস্থানটা প্রকাশ করবে?

সূত্রঃ
১। প্রথম আলোর সংবাদ


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এখনতো দেখি মাঠে কারা পারজ /ভারজ চেনা মুশকিল হয়ে যাবে। চোখ টিপি চোখ টিপি ;)

আমিই আমি

পৃথ্বী এর ছবি

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতকে টেনে না আনলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হবে দেঁতো হাসি

এমনিতেও একটা ব্যাপার খেয়াল করছি পাকি পতাকা ওড়ানো নিয়ে সমালোচনা করতে গেলে অনেকে ভারতের পতাকা ওড়ানো নিয়ে একচোট কথা শুনিয়ে দেয়। বাংলাদেশে ভারতের কোন ম্যাচে তো দেখলাম না লোকজন জয়ধ্বনি করে পাড়া কাপাচ্ছে, মাথা থেকে পুটু পর্যন্ত্য পতাকা এঁকে স্টেডিয়ামে লাফাচ্ছে। খোদ পাকি মিডিয়া মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ তাদের হোমগ্রাউন্ড, বাংলাদেশে এত কথিত ভারত সমর্থক থাকা পরও তো ভারতীয় মিডিয়ায় এরকম দম্ভোক্তি দেখলাম না।

আলুর প্রতিবেদনটা আমার কাছে এই ব্যালেন্সিং মানসিকতারই ধারাবাহিকতা মনে হয়।


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এক লহমা এর ছবি

"নিজের সার্বভৌমত্ব আর আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য একটা দেশ কেমন ব্যবস্থা নেবে সেটা সে দেশের নিজস্ব এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।" - চলুক

"পাকিস্তানের এক সময়ের শীর্ষ খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে ভারতের ইস্ত, বিনু আর নাম না জানা পাঠকের বিরূপ মন্তব্যকে সমান ট্রিটমেন্ট দিয়ে প্রথম আলো'র ভারতে এবং পাকিস্তানে একই রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে বুঝাতে চাওয়ার কারণ কী? প্রথম আলো'র ট্র্যাক রেকর্ড কিন্তু বিসিবি'র ভিনদেশী পতাকা উড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে প্রথম আলো'র প্রপাগান্ডারি ইঙ্গিত দেয়। প্রথম আলো কি একবার সাহস করে তাদের অবস্থানটা প্রকাশ করবে?" - চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

প্রথমে ফেসবুকে প্রআলোর খবরের লিংকটা দেখে খবরটা পড়লাম। তারপর, পড়লাম আমাদের স্বদেশি ভাইবোনদের মন্তব্য। খবরের ওপর আপনিই লিখেছেন, আমি বরং ঐ খবরের নিচের প্রাসঙ্গিক মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি দিই।

১। বাংলাদেশিদের বড় একটা অংশ লেখা পড়ে না, যা পড়তে চায় সেটা লেখা আছে ধরে নেয়। যদিও স্পষ্টতই বলা হয়েছে, বাংলাদেশিরা অন্য দেশের পতাকা বহন করবে না কিন্তু অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য এটা প্রযোজ্য না। তারপরও, কয়েকজন তর্ক জুড়েছেন, "প্রবাসে থাকা বাংলাদেশীদের ওপর যদি সেদেশ নিষেধাগ্গা জারী করে যে তারা ভিনদেশের (bd) পতাকা মাঠে নিতে পারবে না তখন কেমন হবে; এতে করে বর্তমান আগামী প্রজন্মকে আরো সংঘাতের দিকেই নিয়ে যাবে। হৃদয়টাকে বড় করতে হবে। ভালবাসা দিয়ে জয় করতে হবে। জোরজুলুম করে নয়, কোনো কিছু চাপিয়ে দিয়ে কখনই ভালো কিছু আশা করা যায় না।"
যদিও, আরও কয়েকজন তাকে বোঝানোর প্রয়াস চলিয়েছেন -এটা আশার কথা।

২। অনেকেই অন্য দেশের পতাকা নিয়ে নাচার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে বিধায় মনোকষ্ট পাচ্ছেন।
বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা উচিত। পতাকা নিলেই কী দেশের জন্য ভালবাসা কমে যাবে? ফালতু বিষয়।

আমেরিকা প্রবাসি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বলেছেন, "তারপরেও বলছি এই সিদ্ধান্ত ভুল, সরকার এভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। দেশপ্রেম, ভালোবাসা জোর করে আদায় করা যায় না।"

প্রবাস জীবনে তিনি কার কার বাসার সামনে অন্য দেশের পতাকা দেখেছেন যে তথ্যটি অজানা থেকে গেল। প্রবাসি হবার কারণে, তাঁর মধ্যে Civil Right বিষয়ক একটা উদ্দীপনাও চোখে পড়ার মত। মার্কিন জনগণের 'ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ' -এর তথাকথিত জুজু ওঁকেও পেয়ে বসেছে।

সন্তান যখন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ/বেয়াদবি করে, তখন বাবা-মা হস্তক্ষেপ করবেন। নাগরিক তার করণীয় ভুলে গেলে রাষ্ট্রের অধিকার আছে তাদের লাইনে আসতে বলা। তখন, সন্তানের বাবা-মায়ের অবাধ্য হবার অধিকারের ফিরিস্তি শোনা সম্ভব না।

৩। এর পাশাপাশি অনেকেই বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়ের কথা বলেছেন। তখব বড় বড় পতাকায় বাড়ির ছাদ ঢেকে যায়। অনেকেউ উষ্মা প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, তখন কোথায় থাকে পতাকা আইন? আমার মতে, তখনও পতাকা আইনের প্রয়োগ করা উচিত।

পরিশেষে, প্রআলোর রিপোর্টের সুর অনেকটা এরকম, "দেখ, দেখ, বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা তো বলছেই, এমনকি আমাদের পাশের দেশগুলোর আম-জনতাও এটা পছন্দ করছে না এবং এই আইন আমাদের চরমপন্থী হিসেবে কলংকিত করছে।"
-আলোর ইস্যুটা কি?

শুভেচ্ছা হাসি

মন মাঝি এর ছবি

পরিশেষে, প্রআলোর রিপোর্টের সুর অনেকটা এরকম, "দেখ, দেখ, বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা তো বলছেই, এমনকি আমাদের পাশের দেশগুলোর আম-জনতাও এটা পছন্দ করছে না এবং এই আইন আমাদের চরমপন্থী হিসেবে কলংকিত করছে।"
-আলোর ইস্যুটা কি?

ইস্যুটা হচ্ছে - এই প্রথম আলোর স্বভাবই হল পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা, নিজের দুর্গন্ধময় বক্তব্য অন্যের একইরকম বক্তব্যের মধ্যে আড়াল করা, যাতে করে তার আসল উদ্দেশ্য ধরা না পড়ে।

****************************************

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভালো বলেছেন। আলুর নিজের কথা লেখা কমই, বেশিরভাগই সমমনা বিদেশি 'মন্তব্য' দিয়ে কাজ হাসিল করা হয়েছে।

মন মাঝি এর ছবি

পচা আলুর পুরো রিপোর্টটাই রাজাকারি পাইক্কা দালালির একটা কূৎসিততম বিষ্ঠাবোমা। মইত্যা-লইত্যা-উৎপাইত্যাদের কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ টেনে দেয়ার সময় হয়ে গেছে এখন।

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

রেগে টং
আলুর ব্যাপারে কিছু কইতে গেলেই মুখে খালি গালি চইলা আসে। টুট টুউউট...

সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

পাক ইস্যুতে ভারতে কে নিয়ে আসলে কিছু পাবলিক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খায়। আলুর বংশবৃদ্ধির জন্য যা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

ইয়ে- আমিও আলু ইস্যুতে বিবিসি বাংলা একটু আনি-

বিবিসি বাংলায় এ নিয়ে খবর আসে ২৪ তারিখ। সেখানে বোর্ড কর্মকর্তা জালাল ইউনুসকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন ‘পতাকা আইনে’র পরিপ্রেক্ষিতেই। পতাকা আইন যাতে মাঠে মানা হয় এ জন্য সরকারের উপরের থেকে নির্দেশনার কথাও উনি বলছিলেন সাক্ষাৎকারে বারবার। কিন্তু প্রশ্নকর্তা যেন শুনেও শুনছিলেন না, প্রশ্নের ধরণ শুনে মনে হচ্ছিল তিনি নিজে ‘পতাকা আইন’ সম্পর্কেও যথেষ্ট অবগত নন (তবে এমনটা না হওয়াটাই স্বাভাবিক)। এমনকি তিনি এটাও একসময় বললেন যে, ‘এটা তো ঠিক দেশের ব্যাপার না, একটা দেশের দলের ব্যাপার! এবং সেই দলের পতাকা নিয়ে তারা যদি মাঠে যান এবং সেই পতাকা দেখান!'... মানে চান-তারা পতাকা কেবল পাকি ক্রিকেট দলের পতাকা- ফাকিস্তানের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

তার প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল এটাতো সবসময় হয়, আগে কখনো এ আইন প্রয়োগ করা হয় নি, সাপোর্টাররা তো পতাকা নিতেই পারে, তো এখন কেন এর প্রয়োগ করা হচ্ছে, পাকিস্তান ইস্যুতে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন উঠার পরই এর প্রয়োগ হচ্ছে কিনা, ইত্যাদি।

একটা আইন করা হয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ যথাযথ কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। গতকাল করা হয় নি বলে আজ করা যাবে না- এধরণের প্রশ্নবাচক ইঙ্গিত কি কোন সাংবাদিক দিতে পারেন কিনা?

কড়িকাঠুরে

হিমু এর ছবি

ছাগলটার নাম পুলক গুপ্ত না কী যেন। বারবার খালি একই ম্যা ম্যা করছিলো, আগে তো করা হয়নি, এখন করা হচ্ছে কেন? আরে বাচ্চা বলদ, আগে করা হয়নি বলেই তো এখন করা হচ্ছে আর তুই সেটা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছিস।

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

চরম উদাস এর ছবি

হে হে হে হে ... নিরপেক্ষ মানে যে নীরবে অপেক্ষমাণ - ধান্দার আশায় এই কথা যে কইছিল তারে নুবেল দেয়া হোক।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

কুযুক্তিঃ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, ইটালির পতাকা যদি কোন দোষ না করে তাহলে ইন্ডিয়া, (স্পেসালি)পাকিস্তানের পতাকা কি দোষ করলো?
যুক্তিঃ পাকিস্তান আমাদের ব্যাপারে কি দোষ করেছে, কোন সারমেয় সন্তান যদি তা না জানে তো সেটা তার দোষ। সে দোষের দায় জাতি বহন করবে না, প্রয়োজন মনে করলে পাকি পতাকা তাদের পুটুতে বপন করে দিবে। আর ভূ-রাজনৈতিক কারনেই ভারতের পতাকাও গ্রহণযোগ্য নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাইস্কুল বয়সে প্রথম আলোর ভয়াবহ ফ্যান ছিলাম। মোহ কেটেছিলো আরিফ-এর কার্টুন ছাপার পর প্রবল প্রতাপশালী সম্পাদককে কিছু অর্ধশিক্ষিত লোকের পশ্চাদলেহন করতে দেখে।

এরা এতোই ধূর্ত যে প্রথম দর্শনে (অন্তত আমার মতো টিউব লাইট মানুষের জন্য) এদের ভয়াবহ চেহারাটা বুঝে উঠা খুবই কষ্ট। আসলেই মনে হতে থাকে যে প্রথম আলো ভালোর সাথেই আছে। লাখ লাখ মানুষ এখনও এদের বিশ্বাস করে এবং এই বিশ্বাসই এদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার উপর আস্থা একেবারেই উঠে যাচ্ছে; আসলে উঠে গেছেই। এই ভ্যাকিউয়ামটা পূরণ করতে না পারলে আসলে হবে না। সাধারণ মানুষ, যাদের কাছে প্রিন্ট মিডিয়াই এখন পর্যন্ত "খবর", তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।

- সুচিন্তিত ভুল

তাহসিন রেজা এর ছবি

আলুর পাছায় কইষা গদাম ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একটা জিনিস বুঝিনা যে এইসব পাকি বা ভারত প্রেমীরা এটা বোঝেনা কেন যে আর্জেন্টিনা বা জার্মান অথবা ব্রাজিল এর পতাকা বাসা বাড়িতে উড়ানোর সাথে খেলার মাঠে ভারত পাকিস্তানের পতাকা উড়ানোর মধ্যে বিশাল পার্থক্য বিরাজমান। অবশ্যই দুইটাই আমদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি, জাতির প্রতি অবমাননা। কিন্তু এটা বোঝতে হবে কোনটা বেশি অবমাননাকর, কোনটা বর্তমান এবং বড় সমস্যা।

জার্মান ও নেদারল্যান্ডের বা জার্মান ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ফুটবল খেলা বা ফিনল্যাণ্ড ও সুইডেন /রাশিয়ার মধ্যকার ফুটবল খেলা বা আইস হকি খেলার সময় কিন্তু রাজনীতি বা ইতিহাস বিশাল ভুমিকা রাখে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ খেলায় আর্জেন্টিনা বা নেদারল্যান্ডের খেলা হয়তো অনেক জার্মান লোক দেখতে গেছে কিন্তু আর্জেন্টিনা বা নেদারল্যান্ডের পতাকা নিয়ে মাঠে লাফালাফি করেনাই । একইভাবে সুইডেন /রাশিয়ার মধ্যকার ফুটবল খেলা বা আইস হকি খেলার সময় ফিনল্যান্ডের অনেক লোক হয়তো খেলা দেখতে যায় কিন্তু তারা সুইডেন /রাশিয়ার পতাকা নিয়ে মাঠে লাফালাফি করেনা। খেলা উপভোগ করতে খেলা দেখতে যাওয়া আর খেলা দেখতে গিয়ে পাকিস্তানী বা ভারতীয় পতাকা নিয়ে লাফালাফি করা এক জিনিস না। আমাদের ইতিহাস বা বর্তমান রাজনীতির সাথে পাকিস্তান বা ভারত নেতিবাচকভাবে জড়িত। তাছাড়া যদি ইতিহাস বা বর্তমান রাজনীতি ইতিবাচকভাবেও জড়িত থাকতো, তাহলেও খেলা দেখতে গিয়ে পাকিস্তানী বা ভারতীয় পতাকা নিয়ে লাফালাফি করাটা আমদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি, জাতির প্রতি অবমাননা।

তো বিসিবি বর্তমান এবং দুই সমস্যার মধ্যে, বড় সমস্যাটা সমাধানের একটা উপায় বের করেছে তারপরও এইসব পাকি বা ভারত প্রেমীদের মাথা ব্যথার শেষ নাই । তাছাড়া এটা তো নিয়ম করা হয়নি বা বলা হয়নি যে তারা মাঠে খেলা দেখতে যেতে পারবেনা বা তাদের অতি প্রিয় পাকিস্তানী বা ভারতীয় দল (!!!) চার ছক্কা মারলে বা জিতলে মাঠে উল্লাস করতে পারবেনা (যদিও বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা উচিত)। বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খবুই ভালো পদক্ষেপ এইজন্য যে পরবর্তীতে আর্জেন্টিনা বা জার্মান অথবা ব্রাজিল এর পতাকা উড়ানোর ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। তবে সেটা সরকারের বা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব।

Hudai Deshpremi

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পতাকা আইন সব দেশের জন্যই সমান... কিন্তু পাকিস্তানের পতাকা শুধু ভিনদেশের পতাকাই না, আরও বেশি কিছু... এই অশ্লীল জিনিসরে অন্য যে কোনও দেশের পতাকার সাথে এককাতারে আনার নিরপেক্ষ আলুয়িত অপচেষ্টা ভালো লাগে না...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

চলুক চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

(‌Y)

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম আলোর প্রতিবেদন মিথ্যা অথবা অর্ধসত্য- এটা ধরে নিয়ে পড়ি। জাভেদ মিয়াঁদাদ, মোহাম্মদ ইউসুফ বা ইউনুস খান- এরা আদৌ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেছেন কিনা, করলেও উর্দু বা ইংরেজিতে তারা যে কথাগুলো বলেছেন, অডিও বা ভিডিও না দেখে শুনে প্রথম আলোর প্রতিবেদন/ অনুবাদ বিশ্বাস করার উপায় নেই।

দিনে দিনে প্রথম আলোর বিশ্বাসযোগ্যতা আমার কাছে এখন এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।