বুয়েটের পাঁচ বছর মোটামুটি ঘোলাটে একটা সময়। কখন কী করেছি তার প্রায় কিছুই মনে নাই। তবে ফোর্থ ইয়ারে এসে মনে হয় আমাদের কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্স নিতে হলো। সেইখানে গ্রুপ প্রজেক্ট দেয়া হলো আমাদের ক্লাসরুমকে ভেন্যু হিসাবে রেখে কলম খেলার একটা গেইম বানানো। সারভাইভাল টেকনিক হিসাবে আমি বরাবরই ভালো কাজ পারে এমন ছেলেপুলেদের গ্রুপে জুটে যেতাম। এবারো বাপ্পি আর অভির সাথে গ্রুপ করে ফেললাম।
আমি ততদিনে দুনিয়াবি সকল বিষয়ে নির্বাণ লাভ করে ফেলেছি। গ্রেড, প্রজেক্ট কমপ্লিশন, ভালো প্রজেক্ট করে প্রচুর "বস!" শোনার লোভ (লাইকপূর্ব যুগে এটা একটা বড় কারেন্সি ছিলো) ইত্যাদি কোন বিষয়েই বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখিয়ে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। আমাকে দিয়ে কিছু হবে না এই উপলব্ধি আর সাথে কম্পিউটার গ্রাফিক্স দিয়ে ম্যাজিক ঘটানোর উৎসাহে দুই গ্রুপমেটই আমাকে একদিন বললো, "তোর কিছু করা লাগবে না, আমরা দুই জন মিলে পুরা প্রজেক্ট নামায় দিবো।" ফেরেশতার মত দুই গ্রুপমেটের কথায় আমি একবারে আপ্লুত হয়ে রুমে ফিরে এসে ল্যান থেকে পাওয়া বাংলা নাটক দেখা শুরু করলাম।
ওরা দুইজন মিলে প্রথমেই ক্লাসরুমের মাপঝোঁক নিয়ে ভিতরের সব ডিটেইলস সহ একটা রুম বানিয়ে ফেললো। সামনের দেয়ালে একদিন একটা ব্ল্যাকবোর্ড বসলো নিকষ কালো রঙের। প্রাথমিক উৎসাহে একটু ভাঁটা পড়ায় ব্ল্যাকবোর্ডে চকের দাগ আর ক্ষয়ে যাওয়ার প্রমাণ হিসাবে টেক্সচার বসানোর কাজটা আর কেউ করলো না। ক্লাসরুম জুড়ে বেঞ্চ বসানো হলো, ফ্যান ঝুলানো হলো, টিচারের ডায়াসও বসানো হলো। আর কলম খেলার মাঠ অর্থাৎ টিচারদের টেবিলটাও বানানো হলো বেশ যত্ন করে।
আমি দুধভাত হিসাবে প্রজেক্টের তরতর করে এগিয়ে যাওয়া দেখছি, নতুন কিছু বানানোর পরে প্রথম দর্শক হিসাবে আমি দেখতে যাই ওদের কারো রুমে। একদিন এইরকম দেখতে গিয়ে পড়ে গেলাম বিপদে। অভি আমাকে বললো ঘরতো সব বানানো শেষ, তুই তাইলে এবার দরজাগুলা বসা। আমিও চক্ষুলজ্জায় পড়ে পিক্সেলে মাপঝোঁক করে এক দিকের দেয়াল কেটে দুইটা দরজার মত খোলা জায়গা বানালাম। নড়তে চড়তে সক্ষম দরজার পাট বানানো অনেক পরিশ্রমের কাজ, তাই দুইটা বিশাল কাঠের ব্লক মূর্তির মত দরজার এক পাশ থেকে খুলে অনড় অবস্থায় রেখে দিলাম। মাই জব হিয়ার ইজ ডান, আমি আবারো নিজের রুমে ফিরে নানা অজরুরী কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
পরবর্তী কাজ ছাদে কয়েকটা লাইটসোর্স বসিয়ে ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য নানা অ্যাঙ্গেলে কয়েকটা ক্যামেরা বসানো। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে বিপুল ধুমধামে বিয়ে বাড়ির মত উজ্জ্বল লাইট বসালো বাপ্পি, আর বিগ ব্রাদার আর পিপিং টম দুইয়েরই সুবিধা হয় এমন সব জায়গায় ক্যামেরা বসালো অভি। কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাকি শুধু কলম বানানো আর কলম দিয়ে গেইম খেলার লজিক তৈরি করা। এমন দিনে আমি আবারো দেখতে গেলাম গেইমের উন্নতি দেখতে। তত দিনে দুই জনেরই উৎসাহে ভাঁটা পড়ে গেছে। বাপ্পি একটা অকহতব্য গালি দিয়ে আর অভি একটু লজ্জিত ভাবে গাইগুই করে বললো, "দোস্ত তুই তাইলে গেইম লজিকটা বানিয়ে ফেল"। আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে না পেরে ভগ্ন মনোরথে নিজের রুমে ফিরে আসলাম।
খাতা কলম নিয়ে কলমের কোন জায়গায় কী কোণে কত জোরে মারলে সে কত রৈখিক এবং কৌণিক গতিতে সরবে এবং ঘুরবে তার ইক্যুয়েশন নামিয়ে ফেললাম। সেই ইক্যুয়েশনগুলা প্রোগ্রামে লিখে তার পরে দিলাম কলমে টোকা। কখনো বিপক্ষের কলম ছোঁয়া লাগা মাত্র উড়ে রুমের দেয়ালে চলে যায়, কখনো সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মারলেও জায়গা থেকে নড়ে না। কয়েক দিন ধরে নানা প্যারামিটার ঠিকঠাক করেও ঠিক বিশ্বাসযোগ্য গেইম লজিক বানাতে পারলাম না। শেষে চিন্তা করলাম এই ভাবে হবে না, আমাকে কাজের ফিজিক্স বানাতে হবে। নিজে খেললে কলম যেভাবে ঘুরে দেখতে যেন ঠিক সেই রকম হয় এমন ফিজিক্সের সূত্র আমাকে আবিস্কার করতে হবে। ডেডলাইনের দুই দিন আগে মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য গেইম লজিক বানিয়েও ফেললাম নিজের কম্পিউটারে। আর ইচ্ছামত বদলে দেয়া ফিজিক্সের সূত্রগুলা নাম দিলাম "লুক রিয়েল ফিজিক্স"।
তার পরে গেলাম কম্পিউটার আর প্রজেক্টর ওয়ালা এক ক্লাসরুমে আমাদের গেইমের ডেমো দিতে। বাপ্পি ততদিনে লাইটিংটা প্রফেশনাল পর্যায়ে নিয়ে গেছে, আর অভি ক্যামেরার অ্যাংগেল প্রোগ্রাম করে বেশ ড্রামাটিক একটা এন্ট্রির ব্যবস্থা করলো। এবার ফাইনাল পর্যায়ে আমরা কলম খেলার ডেমো দিতে গিয়ে টের পেলাম ল্যাবের কম্পিউটারের গ্রাফিক্স কার্ড আমার কম্পিউটারের চেয়ে কয়েকশ গুণ স্লো। কলমে জোরে টোকা মেরে তার পরে স্লো-মোশনে দেখতে লাগলাম সে কীভাবে ধীরে ধীরে ঘুরতে ঘুরতে টেবিলের কিনারার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। থেমে যাওয়া সময়কে গতিশীল করতে পরে কয়েকগুণ জোরে কলমে বাড়ি দিলাম। নিতান্ত অনিচ্ছায় বিপক্ষের কলম উড়ে চললো দেয়ালের দিকে।
বিশ্বকাপে নানা দেশের ফুটবলারদের ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে অবিনাশী গতিতে চাকার মত গড়াতে থাকা কিংবা মুখের লাগোয়া বাতাসের স্পন্দনে ছিটকে গিয়ে কয়েক হাত পিছনে উড়ে যাওয়া কিংবা ডি-বক্সের ভিতর ডিফেন্ডারদের সাথে চোখাচোখি হলেই গুরুতর আহত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখে আমার অনেক দিন পর সেই "লুক রিয়েল ফিজিক্সের" কথা মনে পড়লো। বাকি দুনিয়া যখন আনরিয়েলিস্টিক ডাইভ দেখে হাসাহাসি করে, আমি তখন ফুটবলারদের বেদনাটা বুঝি। তারা ডাইভ প্র্যাকটিস করে এসেছে এক মাঠে, সেখানে হয়ত বাতাসের গতি ছিলো অনেক বেশি, মাঠের ঘাসও ছিলো অনেকটা সতেজ। সেই প্র্যাকটিস দিয়ে দূর-দূরান্তের অচেনা মাঠে এসে, বিপক্ষের খেলোয়াড়দের অনিশ্চিত গতিবিধি আমলে নিয়ে একটা বিশ্বাসযোগ্য ডাইভ দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তাই বলি কি, শুধু শুধু সমালোচনা না করে আমার মত এমপ্যাথির প্র্যাকটিস করুন, তাদের প্রচেষ্টার কিছুটা মূল্য দিন।
মন্তব্য
আমি জানি না খেলাধুলার পাঠশালায় শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান আর গণিতের ঊচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা দেয়া হয় কিনা। তবে আমার মনে হয়, যে কোন খেলা শিক্ষার জন্য এই দুটির বিষয়ের এই পর্যায়ের জ্ঞান আবশ্যক। এটুকু থাকলে বল ছোঁড়া বা মারা, ব্যাট বা র্যাকেট চালানো, দৌড় দেয়া, লাফ দেয়া ইত্যাদিতে দক্ষতার জন্য যে গুরুমুখী বিদ্যার প্রচলন আছে সেটির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমবে। তাছাড়া এতে অনেকেই নিজের চেষ্টায় কম আয়াসে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন, প্রতি ক্ষেত্রে চাকা আবিষ্কারের দরকার হবে না।
আমার আরও মনে হয়, বিদ্যালয়ের একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে সবাইকে অভিনয় শিক্ষা দেয়া উচিত। শুধু খেলার মাঠে কেন, ঘরেবাইরে -অফিসেআদালতে - রাস্তাঘাটে - প্রেমেঅপ্রেমে - ঘৃণায়ভালোবাসায় - ক্রোধেবিদ্রোহে - অনুরাগঅভিমানে কোথায় অভিনয় দক্ষতার দরকার নেই! অভিনয়ে দক্ষতা থাকলে কতো দক্ষযজ্ঞ ঠেকানো যেতো, কতো শুম্ভনিশুম্ভের লড়াইয়ের দরকার হতো না।
পুনশ্চঃ এখন তো সর্বত্র সিসি ক্যামেরা বসানো থাকে, অর্থাৎ আমাদের সব কার্যক্রমের ভিডিও রেকর্ডিং হচ্ছে। তাই বাস্তব জীবনে কি ভিএআর জাতীয় রিভিউ'র ব্যবস্থা করা যায় না? তাতে অন্তত ব্যক্তিগত জীবনে কিছু ন্যায়বিচার পাবার আশা থাকতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমিতো অংক পারি কিন্তু খেলা পারি না ফিজিক্স বুঝা আর প্র্যাকটিস করে করে সেটা আয়ত্ত্বে আনা আলাদা ব্যাপার মনে হয়।
হ্যাঁ, অভিনয় শিখা জরুরী। মানুষ হ্যান্ডল করতে কাজে লাগে বেশ।
বাস্তব জীবনে ভিএয়ার এর নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট কিন্তু কম হবে না। প্রাইভেসির আশা বাদ দিয়ে দিতে পারেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
"তারা ডাইভ প্র্যাকটিস করে এসেছে এক মাঠে, সেখানে হয়ত বাতাসের গতি ছিলো অনেক বেশি, মাঠের ঘাসও ছিলো অনেকটা সতেজ। সেই প্র্যাকটিস দিয়ে দূর-দূরান্তের অচেনা মাঠে এসে, বিপক্ষের খেলোয়াড়দের অনিশ্চিত গতিবিধি আমলে নিয়ে একটা বিশ্বাসযোগ্য ডাইভ দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।" - ঠিক। সেই সাথে আরো একটা ব্যাপার। সারা বছর এক রকমের বল-এ খেলে এসে বিশ্বকাপে অন্য বলএ খেলা!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আশা করি এত সব চ্যালেঞ্জের মধ্য থেকে উঠে আসবে এন্থনি হপকিনসের মাপের কোন অভিনেতা। যে শুধু পড়ে যাওয়াই নয়, মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমেও ফ্রিকিক আর পেনাল্টি আদায় করে নিতে পারবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
হে হে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
..................................................................
#Banshibir.
তাইলে যে কোন দিন মাইক্রোসফট থেকে ডাক চলে আসবে বলছেন!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হেহেহে, নেইমারের গত খেলার ভিড্যু নামায় রেখে দিছি। ক্লাসে পোলাপানেরে 'জড়তার ভ্রামক' বুঝাইতে কাজে দিবে!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অভিনয়ে অস্কার, শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই ধারায় অভিনয়ের শুরুটা কিন্তু ম্যারাদোনার হাত ধরে। নব্বই বিশ্বকাপের খানিকটা আগে থেকেই ভাতিজাকে তৈরি করছি ম্যারাদোনার বদৌলতে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার হিসেবে গড়ে তুলতে। নানা কিংবদন্তী কাহিনীর উপস্থাপন এবং আকর্ষনীয় উৎকোচ ও ভেটের জেরে ভাতিজা আমার নিমরাজি হয়েছে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করতে। নিমরাজি, কারন ওর উপর প্রভাব বিস্তারকারী প্রিয় বন্ধুরা সবাই ব্রাজিলের সাপোর্টার। টুর্নামেন্ট খানিক দূর যেতে না যেতেই ভাতিজা আমার এক ছেলেমানুষি কাজ করে বসলো, রীতিমত ঘোষনা দিয়ে আর্জেন্টিনা ত্যাগ করে ব্রাজিলে চলে গেল। কারন হিসাবে জানাল- যে প্লেয়ার কোন কারন ছাড়াই এমন ধাপুস ধুপুস আছার খায়, সেই প্লেয়ারের টিমকে সাপোর্ট করার প্রশ্নই আসে না। অবশ্য কালের বিবর্তনে ভাতিজা এখন অনেক পরিনত হয়েছে। ডাইভ দিয়ে পড়া, তারপর সাঁই সাঁই করে গোটা বিশেক ডিগবাজি খেয়ে মুখে বেদনা ও যন্ত্রনার দীর্ঘস্থায়ী অভিব্যাক্তি ফুটিয়ে তুললেও ভাতিজা আর সহজে দলত্যাগ করে না।
ম্যারাডোনাকে নিয়ে কুকথা বলবেন না জনাব! বাপ ম্যারাডোনার খেলা দেখে আর্জেন্টিনার ফ্যান, আর বাপের মুখে ম্যারাডোনার প্রতি ফিফার অবিচার (কোকেন কেলেংকারী) এর করুণ গল্প শুনে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার হয়ে জীবনভর দুঃখ পেয়ে যাচ্ছি। অথচ ম্যারাডোনাকে দেখলে বুঝা যায় লাইফ শুধু এনজয় করারই বিষয়!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি (নাকি আমরা?, ভুলে গেছি গ্রূপ প্রজেক্ট ছিল কিনা) বানিয়েছিলাম লাইব্রেরি। সেইরকম! একই বই হাজার হাজার কপি। এরমধ্যে একটা কাঠির মানুষ। সেইরকম। আমরা লাব্যের পিসির ঝামেলায় যায় নাই মনে হয়। সপ্তাহে দুইবার কম্পিউটার নিয়ে আনাগোনা করে বিরাট পালোয়ান হয়ে গেছিলাম। প্রায় ১১ বছর আগের কথা। ভালো মনে নাই।
পি.এস: অভি মানে কি শাহেদ নাকি?
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
১১ বছর আগে? আহা সেতো প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা! ডায়নোসরের বিলুপ্তির ঘটনার উপর বেইস করে প্রজেক্ট বানাতে পারতেন। বাট আই গেস, দ্যাট ওয়াজ টু সুন
পি এসঃ না, শাহেদ না, অভিষেক। শাহেদের সাথে এমনি ঘুরতাম, বিজনেস (প্রজেক্ট) পারপাসে না
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নতুন মন্তব্য করুন