পথের গল্প

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: শনি, ১৮/০৭/২০১৫ - ২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ক্যালিফোর্নিয়ায় গাড়ী চালানো শিখে ভার্জিনিয়ায় গাড়ী চালানো হচ্ছে ফাইটার বিমান চালানোর শিক্ষা দিয়ে রিকশা চালানোর মত ব্যাপার। ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় ৭০ মাইল স্পিড লিমিটের রাস্তায় লোকে অহরহই ৯০/৯৫ এ উঠে যাচ্ছে, রাস্তার দ্রুততম গাড়ী না হলে এই জন্য পুলিশ খুব একটা ধরেও না। কিন্তু ভার্জিনিয়ার গল্প অন্য, এমনিতে বেশিরভাগই মাত্র দুই লেনের রাস্তা, স্পিড লিমিটও ৬৫ এর বেশি খুব একটা উঠে না, আর পুলিশ স্পিড লিমিটের দশ উপরে উঠলেই প্রায় নিশ্চিত ভাবে টিকেট ধরিয়ে দেয়। আর ক্যাম্পাস টাউনে থাকি বলে শহরের ভেতরে বেশিরভাগ সময় ২৫ মাইলের আশে পাশে চালাতে হয়।

নর্থ ক্যারোলাইনা ঘুরতে যাব, এবং অনেক দিন পর ৮০ এর উপরের স্পিডে গাড়ী চালাতে পারব এই খুশিতে ভার্জিনিয়ার ভেতরের হাইওয়েতে ৬৫ এর রাস্তায় ৭৪ তুলে চালাচ্ছি। হঠাৎ করে দেখি সামনের গাড়ীটা একেবারে গায়ের উপর উঠে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মাঝে স্পিড প্রায় ৩০ এর মত কমিয়ে নিয়ে এসে ভাবলাম সামনের ড্রাইভারের স্পিড মাপা যাক। মিনিট খানেক তার পিছনে পিছনে সমান দূরত্ব বজায় রেখে চালিয়ে বুঝলাম সে ৪০ এ চালাচ্ছে। ডান দিক দিয়ে ওভারটেক করার সময় তাকিয়ে বুঝলাম ড্রাইভার ভদ্রমহিলার বয়স কম করে হলেও ৭০ হবে। ভদ্রমহিলা বামের লেনে চিরকালের জন্য আটকা পড়ে গেলো কিনা ভাবতে ভাবতে এগিয়ে গেলাম।


ওয়াশিংটন ডিসিতে যাচ্ছি। সব চেয়ে বামের লেনটা বেশি প্যাসেঞ্জারওয়ালা গাড়ির জন্য রিজার্ভড, তাই মাঝের লেন ধরে চালাচ্ছি। দুই পাশেই অনেক গাড়ী, সবাই বেশ স্পিডে চালাচ্ছে, তাই নিজের লেনে মোটামুটি সরলরেখায় গাড়ী চালাচ্ছি। হঠাৎ করে সামনের গাড়ীটা একটু ডানে কেটে বিপদজনক ভাবে বেরিয়ে গেলো। ঘটনা কী বুঝতে সামনে তাকাতেই হৃদপিন্ড গলায় উঠে আসার জোগার। বামের লেন আর আমার লেনের মাঝের দাগের উপর বসে আছে একটা মাঝারি সাইজের কুকুর, বুঝা যাচ্ছে দুই পাশ থেকে একটু করে বাড়িও খেয়েছে। মূহুর্তের মধ্যে ডানের গাড়ীর সাথে ধাক্কা লাগার রিস্ক নিয়ে একটু ডানে কেটে কোন মতে এড়িয়ে গেলাম। তার পর ঘাড় ঘুরিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কুকুরটা ভাগ্যে কী ঘটলো। দেখলাম বামের লেন থেকে একটা গাড়ী রাস্তার পাশের শোলডারে থেমে তার ড্রাইভার কুকুরটার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সম্ভবত তার গাড়ী থেকেই কুকুরটা রাস্তায় পড়ে গেছে।

হার্টবিট স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগলো। শুধু ভাবছিলাম কুকুরটা যদি দুই লেনের মাঝে না থেকে আমার লেনের ঠিক সামনে এসে পড়ত তাহলে কী করতাম। নিজে বাঁচতে হলে আমার ধুম করে অন্য লেনে চলে যাওয়ার অপশন ছিলো না, আবার অন্য লেনে না গেলে কুকুরটাকে চাপা দিয়ে দিতাম। এমন মূহুর্তে কী করতাম আসলে?


প্রথম বারের মত লম্বা রূটে সাইকেল চালিয়ে মেইন রোড ধরে ফিরছিলাম। আমার সাথের সবাই আমাকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গেছে, আমি হাঁপাতে হাঁপাতে কোন মতে সাইকেল চালিয়ে উঠে আসছি ঢাল বেয়ে, ডানের বাঁক দিয়ে শহরের রাস্তায় উঠবো বলে। হঠাৎ দেখি ওই রাস্তার সিগন্যালে থেমে থাকা এক গাড়ীর জানালা দিয়ে অর্ধেক শরীর বের করে কেউ এক জন তীব্র বেগে হাত নাড়ছে। কাছে যেতে দেখি এক বাচ্চা মেয়ে খুব সম্ভবত দ্রুতগতির রাস্তায় এক বাইসাইক্লিস্ট দেখে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। তখনো এক হাতে সাইকেল চালানো রপ্ত হয়নি, তাও এমন উচ্ছ্বাসের জবাব না দিয়েতো আর থাকা যায় না। এক হাত তুলে আমিও নাড়লাম। সে খুশিতে হাত নাড়ার গতি আরো বাড়িয়ে দিলো।কত কঠিন কাজইতো কত বার করেছি, কিন্তু এমন রাজকীয় অভ্যর্থনা আর কখনো কপালে জুটেছে বলে মনে হয় না।


সামার সম্ভবত পসাম, ইঁদুর, খরগোশ, কাঠবিড়ালি আর স্কাংকের প্রিয় ঋতু। বের হলেই দেখা যায় দৌঁড় দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। আবার হাইওয়েতে এদের চাপাপড়া শরীর দেখাও একটা কমন ব্যাপার। সভ্যতার অবশ্যম্ভাবী অবদান হিসাবে মনকে সান্তনা দিয়ে এগুলো পাশ কাটিয়ে যাই।

বাসা থেকে বের হয়ে ২৫ এর রাস্তায় ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছি। হঠাৎ করে দেখি একটা বাচ্চা কাঠবিড়ালি দৌড়ে বাম দিক থেকে রাস্তা পার হচ্ছে। তাড়াতাড়ি গাড়ি থামিয়ে দিলাম। কাঠবিড়ালি আমার গাড়ির ঠিক বামে এসে হঠাৎ করে থেমে গেলো। বাচ্চা কাঠবিড়ালির মানুষের মত বুদ্ধি দেখে বেশ অবাক হয়ে গেলাম। তার পর এটা যে কাঠবিড়ালি, এবং বাচ্চা এই দুইটা ফ্যাক্ট মূহুর্তের নির্বুদ্ধিতায় ভুলে গিয়ে গাড়ি সামনে বাড়ালাম। আর ঠিক সেই মূহুর্তে কাঠবিড়ালিও দিলো দৌঁড় বাকিটা পথ পেরোনোর জন্য। আমি বুঝতে পারলাম বাজে কিছু একটা ঘটেছে। তাড়াতাড়ি সামনের চার্চের পাশে গাড়ি থামিয়ে দেখতে এলাম কী হলো। দূর থেকে দেখতে পেলাম একটা ছোট কালচে ধূসর অবয়ব নিশ্চল হয়ে পড়ে আছে। আমি জানি ন্যাচারাল সিলেকশন কাজ করে প্রাণীদের বাহুল্যপরিমাণ বাচ্চা থাকার উপরে, সেই বাচ্চাদের সিংহভাগই অ্যাডাল্টহুডে পৌঁছায় না। কিন্তু নানা তত্ত্ব, জ্ঞান আর অজুহাত ব্যর্থ হয় তীব্র অপরাধবোধ আর মন খারাপকে সামাল দিতে। আমার নির্বুদ্ধিতা একটা ছোট প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, এই সত্যটা কোন ভাবেই আর মনের ভিতরে চাপা থাকে না।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কাঠবিড়ালি দেখেছি সেই ক্লাস ফোর-ফাইভে, আমাদের স্কুলে ছিল মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের ভার্সিটিতে বেড়াতে যান সময় করে, অনেক কাঠবিড়ালি দেখতে পাবেন, এত্ত সুন্দর ওগুলো...

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

রাবি না? আহা শৈশব! মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

রাবি'র ছাত্র ছিলেন নাকি দাদা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ, তয় শৈশবে! দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

রাবি'র শহীদ শামসুজ্জোহা হলের থার্ড ব্লকে যারা থেকেছেন কেবলমাত্র তাঁরাই জানেন রাবি'তে কি পরিমান কাঠবিড়ালি দেখা যায়। এমন কোন দিন যায় নি যেদিন জানালা খুলেছি অথচ কাঠবিড়ালি চোখে পড়ে নি।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

অতিথি লেখক এর ছবি

পথের গল্পগুলো বেশ হাসি

দেবদ্যুতি

সজল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সজল এর ছবি

কাঠবিড়ালি নিয়মিত দেখি।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কেন জানি লেখাটা পড়ে পোষাইলো না। আরো খানিক হলে ভালো হতো। তবে ব্লগ হিসেবে ঠিক আছে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সজল এর ছবি

লেংথ না কনটেন্ট? দৈর্ঘ্যের ব্যাপার হলো, জোর করে ব্লগিং এর মাঝে ফেরার চেষ্টা করছি। কনটেন্টের ব্যাপারে সাজেশন/সমালোচনা থাকলে বলতে পারেন, কাজে লাগবে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা পড়তে ভালো লাগছিল। হুট করেই ফুরায়ে গেলো। এরপর নাহয় পথের আরও কিছু গল্প আসুক কোনো এক সময়। হাসি

সজল এর ছবি

আশা করি আরো আসবে হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

পথের গল্প পড়তে তো ভালই লাগছে। চলুক চলুক। আর সেই গানটাও বলে যাই - এই পথ যদি না শেষ হয়---

____________________________

সজল এর ছবি

চলবে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ফাঁকিবাজ হয়ে গেছ তুমি বেশি। এট্টুক এট্টুক লেখা দেও।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সজল এর ছবি

শেষ হয়ে যাওয়া টুথপেস্টের টিউব চেপে চেপে বের করার মত করে লিখতে হয়রে ভাইডি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নতুন টিউব কিনো মিয়া।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আহারে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সজল এর ছবি

মন খারাপ

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

পথের গল্পগুলো বেশ - আপনার মত আমারও একটা চাপা-দেয়ার গল্প আছে, তবে কাঠবেড়ালি নয়, চড়ুই ৷

তখন সবে মাত্র গাড়ি কিনেছি - হাতের নিচে ১৫০ ঘোড়ার একটা খেলনা পেয়ে দারুন জোশে গাড়ি চালাই ৷ শীতের সকালে এক পাহাড়ি রাস্তায় ফাঁকা পেয়ে ৯০ মাইল বেগে ছোটালাম - হঠাত সামনে দিয়ে উড়ে গেল এক ঝাঁক পাহাড়ি চড়ুই, লেগে গেল গোত্তা ৷ গাড়ি থামিয়ে দেখি সামনের গ্রিলে লটকে আছে দুটি পালকের স্তূপ ৷ ফুরফুরে ভাবটা নিমেষেই উবে গেল ৷

মরুচারী

সজল এর ছবি

খাইছে, আমরা দেখি সব কিলার।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই - গাড়ি দিয়ে উড়ন্ত পাখি চাপা দেয়ার দুর্ভাগ্য সবার হয় না - পুরা দিনটাই মাটি হয়ে গেসিলো

মরুচারী

বাঁধন এর ছবি

ভার্জিনিয়ায় থাকি বলে বাংলায় এই নামটা দেখে পড়া শুরু করলাম। ভালো লাগলো। আমার জীবনের প্রথম এবং একমাত্র টিকিট তাও আবার একটা না, একসাথে দুইটা টিকিট খাওয়ার অভিগ্যতা এই ভার্জিনিয়াতেই। ওত পেতে ৫৫ র রাস্তায় ৭৫, খুব কি খারাপ? হাসি যাই হোক খেয়েছি।
২ মাস আগে একরাশ মন খারাপ নিয়ে লেখাপড়ার কাজে কিছুদিনের জন্য অনেক দূরে যাবার উদ্দেশ্যে পথে নেমেছি। চোখে রাজ্যের ঘুম। তার উপর ঘুম পাড়ানি গান শুনছিলাম। দূর থেকে দেখলাম একজন খরগোশ রাস্তার পাশে ব্রেকফাস্ট করছেন।
দেখে ভাল লাগলো। দুজনের চোখাচোখি হলো। যেইনা তার পাশ দিয়ে যাব কি মনে করে সেও রাস্তা পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। এত কাছে গিয়ে ৬০ থেকে ০ তে নামতে পারলামনা। একটু আগের ভাল লাগা প্রাণীটাকে চাপা দিয়ে চলে গেলাম। মশার পর এই প্রথম একটা জীবকে মেরে ফেললাম। খুবি খারাপ লেগেছিলো।

সজল এর ছবি

ভার্জিনিয়ায় ২০ ওভারস্পিড ভালোই অফেন্সিভ, সাবধানে চালান। আমাদের হাজার সতর্কতা সত্ত্বেও কিছু প্রাণী গাড়িচাপা পড়বেই, তাদের ন্যাচারাল হ্যাবিটেটের মাঝখান দিয়ে হাইওয়ে বানানো হয়েছে যেহেতু। এ নিয়ে আসলে বেশি দুঃখ পেয়ে লাভ নেই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মেঘলা মানুষ এর ছবি

দুর্ঘটনাটা যে কেবল বন্য প্রাণীর জন্যই খারাপ তা নয় কিন্তু!
অনেক সময় হরিণের সাথে সংঘর্ষ হয়ে মানুষ আহত হয়, এমনকি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা খেয়ে মানুষও মরে।
ইংরেজিতে একটা কথা আছে, "He was as still as a deer caught in beams of headlight" (বা এরকম কিছু)
হরিণ অনেক সময় আলোর সামনে পরলে আর নড়াচড়া করে না।

সবাই ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা হাসি

সজল এর ছবি

ভাগ্যিস এখনো হরিণের সামনে পড়া লাগে নাই

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সবজান্তা এর ছবি

গাড়ি চালানো শিখার সময় একবার বাসার পাশে নেবারহুডে এরকম পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। হঠাৎ করে রাস্তার মধ্যে একটা কাঠবিড়ালী চলে আসলো। আমি আগে পিছে চিন্তা করে গাড়ি সাইডে চাপিয়ে দিলাম। আমার পাশে বসে থাকা ইন্সট্রাকটর তো পুরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে। পরে আমাকে বলছে যে কোনো পরিস্থিতিতেই যেন এরকম কাজ ভবিষ্যতে আর না করি। অনেক রাতে নেবারহুডের রাস্তা হওয়ার কারণে বেঁচে গেছি, নাহলে আমি নিশ্চিত অ্যাকসিডেন্ট করতাম।

সেই শিক্ষা মাথায় রেখে দিছি।

সজল এর ছবি

সাইডে মানে কি শোল্ডারেরও ডানে?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আহা!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সজল এর ছবি

মন খারাপ

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মরুদ্যান এর ছবি

৪ নাম্বারের জন্য সমবেদনা! আমার সাথে এরকম এখনো কিছু হয়নাই। আশা করি হবে না।

অস্ট্রেলিয়ারে বিশাল সাইজের ক্যঙ্গারুর সাথে ধাক্কা খেয়ে গাড়ি রাইট অফ হয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে, যাত্রীরাও আহত হয়। অনেক সময় ঘটনা জাস্ট ঘটে যায়, কিছু করার থাকেনা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সাফি এর ছবি

সাউথ ওয়েস্টে হাইওয়ে এক্সিট আর মার্জের জন্য প্রচুর জায়গা থাকে। প্রথম যেদিন ভার্জিনিয়া যাই, মরতে বসেছিলাম হথাৎ করে এক্সিট লেইন শেষ হয়ে যাওয়ায়। শেষ মুহুর্তে এক্সিট বাতিল করে বেঁচে ছিলাম।

কাঠবিড়ালি প্রচুর দেখেছিলাম নিউঅর্কে থাকার সময়ে। ভাগ্য ভাল উপর দিয়ে যেতে হয়নি একবার ও।

তিথীডোর এর ছবি

ড্রাইভিং পারি না। মন খারাপ
ভার্জিনিয়াতে শর্ট ট্যুরে যাবো অবশ্য, নেক্সট ৫/৬ তারিখে। রাস্তাঘাটে খুব সাবধান থাকতে হবে দেখতেসি। ম্যাঁও

লেখায় ফাঁকিবাজি কমান, বখে যাইতেসেন পুরাই! রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।