জীর্ণ হৃদয়ে

শামীম হক এর ছবি
লিখেছেন শামীম হক (তারিখ: শুক্র, ২১/০৩/২০০৮ - ৮:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিনি ধীর পায়ে হেঁটে তাঁর গাড়ীতে উঠে চলে গেলেন। সম্ভবতঃ আজকের এ দেখাই ভদ্রমহিলার সাথে আমার শেষ দেখা।

প্রথমবার তাঁর সাথে আমার দেখা হয়েছিলো যেদিন বাসা বদলে নতুন এ এ্যাপার্টমেন্টটিতে উঠেছিলাম সেদিন। আমার নতুন কাজ ডাউনটাউনে। সেখান থেকে কাছে হয় বলে পুরোনো বাসা বদলে এ বাসায় ওঠা। তখন সন্ধ্যা প্রায় হয় হয়। সব মালপত্র ওঠানো হয়ে গিয়েছে ততক্ষনে। মাল টানাটানির জন্য দু'জন লোক ভাড়া করেছিলাম। তাদের পাওনা আগেই মিটিয়ে দিয়েছিলাম চুক্তি অনুযায়ী। তারপরেও এদেশে কাজ শেষে বখশিস দেয়ার একটা ব্যাপার আছে। এ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এর সামনে দাঁড়িয়ে তাদের বখশিস মিটিয়ে দিচ্ছি এই সময় তাঁকে চোখে পড়লো। আমাদের পাশ কাটিয়ে গেট খুলে ভিতরে ঢুকে গেলেন। বয়স পঁয়তাল্লিশের মত হবে হয়তো। মাঝারি গড়ন। পিঠে নেমে এসেছে লালচে সোনালী রঙের চুল। যৌবনে আকর্ষণীয়া ছিলেন তা দেখেই বোঝা যায়।

নতুন প্রতিবেশী ভেবে কৌতুহল বশতঃ দরজার কাঁচের ভিতর দিয়ে তাঁকে আড়চোখে লক্ষ্য করলাম। বাইরের গেট দিয়ে ঢোকার পর সিকিউরিটি গেট। ভাড়াটেরা যার যার গোপন কোড ব্যবহার করে সিকিউরিটি গেট খুলে ঢুকে যেতে পারে। তিনি দেখলাম তা না করে সিকিউরিটি গেটের পাশে টাঙানো ভাড়াটেদের তালিকাটি দেখছেন। হয়তো কোনো ভাড়াটের অতিথি হবেন। আমি লোক দু'টিকে বিদায় করে ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছি, এই সময় তিনি বেরিয়ে এলেন। চোখাচোখি হতেই 'হাই' বলে পাশ কাটিয়ে গেলেন। তারপর দ্রুত হেঁটে রাস্তায় পার্ক করা নিজের গাড়ীতে উঠে চলে গেলেন। হয়তো কারো সন্ধানে ভুল বাসায় এসেছেন বুঝতে পেরে ফিরে গেলেন। ক্ষনিকের জন্য দেখা তাঁর বিষন্ন নীল চোখ দু'টি কেন যেনো গেঁথে গিয়েছিলো মনের মধ্যে। কিন্তু এ নিয়ে ভাবলাম না আর।

আমি ভিতরে ঢুকে যাবার আগে ভাড়াটেদের নামের তালিকাটি দেখে নিলাম একবার। শ'দুয়েক এ্যাপার্টমেন্টের তিনশ'র বেশী ভাড়াটের নাম সেই তালিকায় আদ্যাক্ষর অনুসারে ছাপানো। আমার নাম তখনো ওঠেনি। এ্যাপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে যে নতুন তালিকা লাগানো হবে সপ্তাখানেকের মধ্যে। তাতে আমার নাম যোগ করা হবে। আমার বাযার নম্বরটি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে তারা। নাম ওঠার আগে আমার সাথে কেউ দেখা করতে এলে তাদেরকে আগে থেকে নম্বরটি জানিয়ে দিতে হবে যাতে তারা সেটি ব্যবহার করে সিকিউরিটি গেটের বাইরে থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আমার কাছে সচরাচর কেউ আসে না। তাই নাম ওঠা নিয়ে আমার তেমন কোনো তাড়া নেই।

তাঁর সাথে আমার দ্বিতীয়বার দেখা হয় এর দিন সাতেক পর। সেদিন সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে আবার তালিকায় চোখ বোলালাম। এবার নিজের নাম এবং তার পাশে নির্দিষ্ট বাযার নম্বর খুঁজে পাওয়া গেলো। দেয়ালের বাযারে নম্বরটি টিপে দেখলাম ঠিকঠাক আমার বাসার ফোন বাজছে। কেউ আমার কাছে এলে আমি ফোন ধরে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা টিপে সিকিউরিটি গেট খুলে দিতে পারবো। সব ঠিক আছে দেখে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে যাবো এমন সময় তিনি বাইরের গেট খুলে ঢুকলেন। আগেরবারের মতো এবারও তালিকাটি দেখলেন এক নজর, তারপর যেমন এসেছিলেন তেমনি আবার চলে যেতে পা বাড়ালেন। লালচে সোনালী চুল, নীল চোখ আর সেই একই আচরণ দেখে তাঁকে চিনতে ভুল হলো না। এবার আর কৌতুহল সংবরণ করতে না পেরে জিঞ্জেস করে বসলাম, 'কিছু মনে করবেন না, আপনি কি কাউকে খুঁজছেন?' মনে মনে ভাবলাম যদি তিনি সত্যিই কারো খোঁজে এসে থাকেন, তবে তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

'না।' সংক্ষেপে জবাব দিয়ে তিনি আবার চলে যেতে উদ্যত হন। তারপর কী মনে করে, আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখেই হয়তো, থেমে গিয়ে বললেন, 'আমি আমার স্বামীসহ এই এ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এ দীর্ঘদিন থেকেছি। তিনি মারা যান মাসখানেক আগে। তারপর আমি বাসা বদলে চলে যাই।'

এমন কথা শুনবো আশা করিনি। অপ্রস্তুত হয়ে বললাম 'আমি খুব দুঃখিত।' মনে মনে তাঁর বারবার ফিরে আসার কারণ কী হতে পারে ভাবছিলাম।

আমি প্রশ্ন করার আগেই তিনি বললেন, 'আমি বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নতুন তালিকা থেকে আমার নামটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু আমার স্বামীর নামটি রয়ে গিয়েছে ভুলবশতঃ।' তিনি আঙুল দিয়ে তাঁর প্রয়াত স্বামীর নামটি দেখালেন।

আমি এগিয়ে এসে নামটি দেখলাম। নামের পাশে একটি বাযার নম্বরও রয়েছে। জিঞ্জেস করলাম, 'নম্বরটি কাজ করে?'

'না। শুধু বিজি টোন শোনা যায়।'

'আপনি এ্যাপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষকে ফোন করে তাদের ভুল ধরিয়ে দিলে তারা নিশ্চয় নামটি সরিয়ে ফেলবে।'

'তার দরকার নেই, আমার খারাপ লাগে না। মাঝে মাঝে কাজ থেকে ফেরার পথে এখানে থেমে দেখে যাই নামটি এখনো আছে কি না। ওই নামটি দেখলে মনে হয় চলে যাওয়া মানুষটি এখনো কোথাও আছে।'

আমার ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেলো । চারপাশের মানুষের ভীড়ে কত মানুষ কত দুঃখ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কত মানুষ কত একা। বেশীরভাগ সময় আমরা কিছুই জানতে পারি না। তাদের দুঃখ-কষ্টগুলো সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা থাকে না। আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। তিনি 'শুভরাত্রি' বলে চলে গেলেন।

এরপর আমিও কয়েকবার তালিকাটি লক্ষ্য করেছিলাম। বিশাল এ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংটিতে প্রতি মাসেই ভাড়াটে বদল হতো। নতুন ভাড়াটে উঠতো, পুরনো ভাড়াটে চলে যেতো। সেই সাথে পুরোনো তালিকা বদলে নতুন তালিকা লাগানো হতো মাসের প্রথম সপ্তাহের কোন একটি দিনে। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করতাম মৃত লোকটির নামটি থেকে যেতো। এই ধরণের ভুলতো হওয়ার কথা নয়! এ্যাপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের সিস্টেমে নিশ্চয় কোনো গোলমাল হয়েছিলো। লোকটি যেহেতু স্বাভাবিক নিয়মে কাগজে কলমে বাসা ছেড়ে যায়নি, বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উচ্ছেদ হয়নি, সে কারণে হয়তো কোনোভাবে তাঁর নামটি তাদের সিস্টেমে রয়ে গিয়েছিলো। আরো কয়েকবার সেই মহিলাকে দেখেছিলাম। আমাকে দেখলে হেসে বলতেন, 'নামটি এখনো আছে।' তারপর চলে যেতেন নিজের পথে।

এরপর কেটে গিয়েছে মাস তিনেক। বেশ ঠান্ডা পড়ছে ক'দিন ধরে। তবে আজই প্রথম তুষার পড়ছে। আমি অফিস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে। বেশ জোরেসোরেই পড়ছে। এর মধ্যেই চারদিক সাদা হয়ে গিয়েছে। অন্ধকার নেমে এসেছে আগেভাগে। বছরের প্রথম তুষারপাত অনেকের কাছে আনন্দের ঘটনা হলেও আমার বিরক্ত লাগছে। খুব ধীরে গাড়ী চালাতে হয়েছে। রাস্তায় জ্যাম লেগে গিয়েছে। আমার পনেরো মিনিটের পথ আসতে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মতো লেগে গেলো। আমি বাসার সামনের রাস্তায় একটি সুবিধাজনক জায়গায় গাড়ীটি পার্ক করে বাসার গেটের কাছাকাছি এসে তাঁকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম। এই আবহাওয়াতে তাঁকে দেখে বেশ অবাক হলাম। তিনি আমাকে লক্ষ্য না করে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করে বললাম, 'কেমন তুষার পড়ছে দেখেছেন?'

তিনি থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন। খুব আনমনা আর অসহায় দেখাচ্ছে তাঁকে। আমার পশ্নের জবাব না দিয়ে বললেন, 'নামটি আর নেই। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই বুকের ভিতরে কেমন কেঁপে উঠেছিলো। তখনই মনে হয়েছিলো আজ নামটি সরিয়ে ফেলা হবে।'

আমার মুখে কথা সরলো না। সান্তনার কথা আমি গুছিয়ে বলতে পারি না। তিনিতো জানতেন যে নামটি একদিন সরিয়ে ফেলা হবে। এই দিনটিকে যে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না তাও জানতেন। তারপরও গভীর বিষাদের ছায়া তাঁর মুখমন্ডলে। দীর্ঘদিনের ভালোবাসার মানুষকে দ্বিতীয়বার হারানোর বেদনা তাঁর কন্ঠে। বাসার সামনের ল্যাম্প পোস্টের আলোয় দেখলাম অশ্রু টলমল করছে তাঁর নীল চোখ দু'টিতে। ধরা গলায় বললেন, 'এখন আর কোথাও নেই সে আমার এই জীর্ণ হৃদয়ে ছাড়া।'

আমি নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। তিনি চোখের পানি আড়াল করতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তারপর 'শুভরাত্রি' বলে এগিয়ে গেলেন তাঁর গাড়ীর দিকে।


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

আহারে বেচারি, কতই না ভালবাসা তার বুকে দিয়েছেন ঈশ্বর।।
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

শামীম হক এর ছবি

অনেকেই হয়তো এইভাবে ভালোবাসে, সবার কথা জানা হয় না আমাদের।

স্বপ্নাহত এর ছবি

স্রস্টা যাদের বুকে এত ভালোবাসা দেন ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়েই কেন তাদেরকে সেই ভালোবাসার প্রমাণ দিতে হয়?

ভালো লাগলো... কষ্ট লাগলো...

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

শামীম হক এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য দুঃখিত হাসি

ফারুক হাসান এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন। মহিলার কষ্ট একেবারে মন ছুঁয়ে গেছে। (বিপ্লব)
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

শামীম হক এর ছবি

আপনার মন ছুঁতে পেরে আমি ধন্য। আপনাকেও বিপ্লব।

শেখ জলিল এর ছবি

সত্যিকারের ভালোবাসা এমনই হয়।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

শামীম হক এর ছবি

ঠিক বলেছেন জলিল ভাই।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল ....
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

শামীম হক এর ছবি

মহিলার জন্য আমারও মন খারাপ হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন আর কোথাও নেই সে আমার এই জীর্ণ হৃদয়ে ছাড়া।

কষ্টের একটা দাগ ফেলে দিলেন বুকে।
মনটা খারাপ করে দিলেন ভাই।

---------------
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা

শামীম হক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শুধু মানুষই বোধহয় পারে ভালোবাসা এইভাবে বুকের ভেতর পুষে রেখে কষ্ট পেতে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শামীম হক এর ছবি

কেউ কেউ কষ্ট পুষে রাখে অনেকদিন। কেউ কেউ ভুলে যায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
শামীম হক এর ছবি

আহারে! ঠিক হইয়া যাইবো...

তারেক এর ছবি

বিনয়'র দুইটা লাইন মনে পড়ছে

প্রাচীন চিত্রের মত চিরস্থায়ী হাসি নিয়ে তুমি
চলে যাবে, ক্ষত নিয়ে যন্ত্রণায় স্তব্ধ হব আমি।

......... মন খারাপ হয়ে গেল
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

শামীম হক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ।

উদাস এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো। মনটা উদাস হয়ে গেল।

শামীম হক এর ছবি

ধন্যবাদ উদাস।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

'এখন আর কোথাও নেই সে আমার এই জীর্ণ হৃদয়ে ছাড়া।'

হৃদয়ই তো শেষ আশ্রয় - সে হৃদয় জীর্ণ হোক অথবা পরিপূর্ণ। ভালো লাগলো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

শামীম হক এর ছবি

জুবায়ের ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমার গল্পে আপনার ইতিবাচক মন্তব্য পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শামীম হক, চমৎকার লেখার জন্য অভিনন্দন ।

শামীম হক এর ছবি

অভিনন্দনের জন্য আপনাকেও অভিনন্দন। আনেক ধন্যবাদ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হা প্রেম! বিলীয়মান প্রেম সকল! ...

চমৎকার লেখার জন্য (বিপ্লব) । কিন্তু এতো কম লিখে কেনো আমাদের বঞ্চিত করছেন?

আরেকটি কথা, লেখাটি কী সত্যি ঘটনা অবলম্বনে?


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনার এই চমৎকার লেখাটি চোখ এড়িয়ে গেছিল - আপনার লেখার হাত ঈর্ষণীয় !!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।