জিজ্ঞাসার অন্তরালে

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: শুক্র, ২৮/০৩/২০০৮ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কতোটুকু রক্তক্ষরণ হলে আবার জেগে ওঠে প্রেম
বৈতরণীর ওপার থেকে নেমে আসে চাঁদ
ব্যাধের কোকিল পাখ নেড়ে বলে- ভালোবাসি এ মৃত্যুকে!

ধরার বুকের কাছে অগাধ জলসম্ভার রেখে লুৎফা তো সূর্যের দিকে গেলো
আমাদের দিনান্তের কাজ সেরে আমরা নদীঘাটে এলাম
স্তিমিত সূর্যের বুক থেকে শুষে নিলাম এক মুঠো আলোক
দু'হাতে স্ফটিক তুলে পশ্চিমের আকাশকে তুমি বললে, লুৎফা কে?

আমরা তো ভোরের আলোক চেয়েও রাতের আঁধারে দাঁড়াই এসে
লুৎফা অন্ধকারে জ্বলে ওঠা হঠাৎ আলোক
মারী ও বন্যার কাছে তার যুগান্তর অভিসার
এক ঝাঁক শুভ্র ডানা মেলে লুৎফা নক্ষত্রের দিকে চলে যায়।
আমরা তো মোহময় বাগানের কাছে প্রণয়ের কথা বলি
লুৎফা জ্যোৎস্নার প্লাবনে শেফালী বিলাস
এক বুক গন্ধ নিয়ে লুৎফা জানালার আরশিতে যায়।
আমরা তো নদীর জলের কাছে আমাদের সুখের মূর্চ্ছনা তুলি
লুৎফা স্রোতের কিনারে অব্যক্ত দুঃখের স্বরলিপি
অন্তহীন বিরহের দিকে লুৎফা চিরকাল হেঁটে যায়।

আরাধ্যের কাছাকাছি একদিন হৃদয়ের কথা হবে
পরিমেয় লালিত্যের কাছে একদিন আজন্মের গান হবে
নিকানো দীঘির জলে জেগে রবে চাঁদ
আমরা আবার ভালোবাসার শিথানে ধূপধূনো দেবো
ফাগুনের কোকিল ডেকে উঠবে লুৎফা, লুৎফা
তার আগেই চলো না আমরা বিরানপুরে যাই!

প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল, ১৯৮৭


মন্তব্য

রাশেদ এর ছবি

অসাধারণ!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

খুবই সুন্দর হয়েছে। মারকাটারী!

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বিরানপুরের ডাক আকুল করে দেয় ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।