কাভি কাভি মেরে দিল মে...

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: শুক্র, ২৮/০৯/২০০৭ - ১২:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে কষ্ট এসে ভিড় করে মনে। বিশাল ওজন পাথর চাপতে থাকে বুকের ভেতর। ব্যথাটা যখন বাড়তে থাকে আরও ঝিম মেরে বসে থাকি কিছুক্ষণ। বিজ্ঞজনের প্রলাপ- কষ্টকে নাকি বাড়তে দিতে নেই! জানি শক্তিতে দাবিয়ে রাখার জিনিস এটা নয়। এরূপ পরিস্থিতিতে বহুবার পড়েছি জীবনে। আজকাল আমার এমনটাই যাচ্ছে প্রতিক্ষণ। অনেক বছর পর শিমু ফোন করছে আমাকে গত এগারো তারিখ। তখন থেকেই বুকটা কেমন চিনচিন করছে বারংবার।

১৯৯৫ থেকে ২০০৭। এক যুগ সময় পেরিয়ে গেছে। আমাদের দুজনারই জীবনে পরিবর্তন এসেছে অনেক। বিয়ে থা হয়েছে সংসার হয়েছে। আমার মাথার প্রায় সিংহভাগ চুল গেছে উঠে। তার উপর পাক ধরেছে বেশিভাগ অংশেই। তবে মুখ দেখে নাকি যায় চেনা! পত্রিকার পাতায় যখন ছবি ছাপা হলো অফিসের নম্বরসহ, সঙ্গে সঙ্গেই পেলাম ওর অবাক করা ফোনকল। আমি হঠাৎ স্তম্ভিত, বিমোহিত হয়ে গেলাম তখন। তাহলে কী এক যুগ পরেও ও মনে রেখেছে আমাকে!

অতীতের ভাবনায় যাবার মতোন সময় নেই আমার। অফিসের ব্যস্ততা আমাকে আরও আঁকড়ে ধরছে দিনদিন। নানান কাজের ভিড়ে আমি সময় পাই না। তবে শিমু ফোন করে প্রতিদিন। কোনোদিন ধরি, কোনোদিন ধরিই না। তাতেও ওর আগ্রহের কমতি নেই। যখন ফোনটা ধরি আগের মতনই সুললিত কণ্ঠ শুনি বারবার। বেশ সুন্দর গানের গলা ছিলো ওর। ওর ফোন যেন এক একটা গানের সুর। আমি কান পেতে শুনি, নিজে বলি কম। যখন ফিরতি কল দেই ভীষণ এক বোনাস পাই সাথে। ওর মোবাইল ফোনের ওয়েলকাম মিউজিকটা দারুণ। ও আমাকে যেতে বলেছে বাসায়! ভাবনাটা কুড়ে খাচ্ছে আজকাল। আমি কী ওর সাথে দেখা করবো? নাকি ফোনকলে শুনে যাবো প্রতিদিন... কাভি কাভি মেরে দিল মে খায়াল আতা হে ...

২৬.০৯.২০০৭


মন্তব্য

দুর্বাশা তাপস এর ছবি

কাভি কাভি অ্যাসা হোতা হ্যায়। হাসি দেখা করেন, ভাল লাগবে।

==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।

অরূপ এর ছবি

গল্প নাকি সত্যি?
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নির্বোধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

নিঘাত তিথি এর ছবি

হুমম।

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।