আন্তর্জালের অন্তরাত্মায়

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১০/২০০৭ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময় কম জেনেও তুমি করেছিলে যাত্রা
ধূসর কন্টক পথে হাতছানি ছিলো
বটবৃক্ষের ছায়ার প্রশান্তি যতো
অসীম নীলিমে ডাকছিলো তারাদের মেলা।
এক আজন্ম মাটির টান ছিলো অন্তরে তোমার
তুমি তাই খুঁজছিলে স্বদেশের মুখ
আন্তর্জালের অন্তরাত্মায় আপন লেখনীতে।

খুব অভিমানী ছিলে তুমি-
যে কবিতার শ্লোক তোমাকে করেছিলো বিদগ্ধ
ঘুমহীন চোখে জাগিয়ে দিতো বেঁচে থাকার অস্বস্তি
অথচ দ্যাখো সেই কবিতায়ই জানালে তুমি শেষ স্মৃতি!
সুরমা পাড়ের এক শান্ত কিশোর
শৈশবের ঘুড়ি হাতে অপেক্ষায় ছিলো উন্মুখ
তাকেও কাঁদালে তুমি অবেলায়
তোমার অসীম পথচলা থামাতে পারে কী কেউ?

এরকম আত্মসন্ধানী অভিমান তোমাকেই মানায়
অবিনশ্বর শব্দের ধ্বনি বাজায় হৃদয়তন্ত্রীর সুর।
অথচ দ্যাখো কী অবলীলায়
একজন কবিই শুনছে তোমার বুকের শব্দঢেউ
কেঁদেকেটে ভাসাচ্ছে দু’চোখ
তোমার প্রতিচ্ছবি বুকে কাটাচ্ছে কতো নির্ঘুম রাত!

১৪.০১.২০০৭


মন্তব্য

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

এতো কিছু বুঝেও কবি মাঝেমধ্যেই দুঃখে হারায়..

*আন্তর্জাল হবে, না অন্তর্জাল? আমি একটু কনফিউজ্‌ড। কিছু মনে করবেন না জলিল ভাই। হাসি

______________________
চিৎকার করি জ্বলেপুড়ে ছারখার
তবুও আমি নাকি অশুচি

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পড়লাম।
এটা কি মিথিলার জন্য লেখা হয়েছিল, জলিল ভাই?

শেখ জলিল এর ছবি

মৃন্ময় আহমেদ,
দুঃখবোধ কি আর বুঝেশুনে আসে?
অন্তর্জাল আগে লিখতাম। এখন আমার কাছে আন্তর্জাল সঠিক মনে হয়।

ইমরুল হাসান,
ধন্যবাদ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল,
ঠিক তাই!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।