বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি - ৭

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ০৭/০১/২০০৯ - ৯:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিভিন্নভাবে সাহায্য আসছে

কাইজার চট্টগ্রামে কমর্রত জাতিসংঘের বন্দর কর্মকর্তা। তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে সপ্তাহে ৭ দিনই একটানা কাজ করে চলেছেন। যে বিপুল পরিমাণ খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী আসছে তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য এই একটানা খাটুনি ছাড়া কোন উপায় নেই। তিনিই আমাকে বললেন, "আমি এর আগেও বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরনের কাজ করেছি- যেমন ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র বা দক্ষিণ ভিয়েতনামে। কিন্তু কোথাও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি।"

ত্রাণ হিসেবে সব ধরণের জিনিসপত্রই আসছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মাছ ধরার জাল তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় ২,৮০৭ কার্টন নাইলনের সুতা। কিন্তু অনেক সময়ই বাঙালিদের জন্য অনুপযুক্ত জিনিসপত্র চলে আসছে। যেমন, স্কি করার পোশাক বা বৈদ্যুতিক কম্বল। অনেক সময় বন্দরে আসার আগেই ত্রাণসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দান হিসেবে আসা কিছু গুঁড়ো দুধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো মানুষের হজমের জন্য উপযুক্ত নয়।

বেঁচে থাকার তাগিদে বাংলাদেশীরা এসব পাঁচমিশালী উপহারকেই আঁকড়ে ধরেছে। বৈদ্যুতিক কম্বল বা এ ধরণের কিছুই বাদ যায়নি।

পোতাশ্রয়ে ঝূকিপূর্ণ অবস্থার কারণে চট্টগ্রামের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এজন্য ত্রাণ সামগ্রী আনা কমিয়ে দিতে হয়েছে। যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম ও চালনায় অন্তত ৩০টি জাহাজ সমুদ্রের একেবারে তলায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেই জহাজগুলোই রাস্তা সংকুচিত করে দিয়েছে। অনেক জাহাজ মালিক এজন্য বন্দরের এক মাইল দূরেই থাকতে চান, বেশী কাছে আসতে চান না। জাহাজগুলোর ধ্বংসাবশেষই তাদের ভীতির কারণ।

বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে উদ্ধারকার্য শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু এর জন্য যে ৬০ লক্ষ ডলার দরকার তা জাতিসংঘের নেই। তাই উপায়ান্তর না দেখে এদেশের সরকার বন্দর পরিষ্কারের জন্য রাশিয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। বন্দরে তাই হরহামেশাই সোভিয়েত নৌবাহিনীর জাহাজ চোখে পড়ে।

বাংলাদেশের সব জায়গায়ই রুশদের দেখা যায়। ঢাকায় তাদের দূতাবাসে কর্মরত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। তাই মাঝেমধ্যেই গ্রামেগঞ্জে এমন অনেক সোভিয়েত সাংস্কৃতিক কর্মীর দেখা মিলে, যারা গ্রামের মানুষের সাথে শুদ্ধ বাংলায় অনর্গল কথা বলতে পারে। ঢাকার টেলিভিশনে রাশিয়ায় নির্মীত প্রচুর চলচ্চিত্র দেখা যায়, আর এখানকার পত্রিকাগুলোও সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সোভিয়েত সংবাদ সংস্থা "তুস" কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের সাহায্য নেয়।

তারপরও আমেরিকানদের প্রতি সাধারণ বাংলাদেশীদের এক অকপট মমত্ববোধ আছে। আমাকে অনেকেই বলেছে, "তোমাদের সরকার যদিও যুদ্ধে আমাদের পক্ষে অবস্থান নেয়নি, তারপরও আমরা জানি, তোমাদের দেশের সাধারণ মানুষ আমাদের পক্ষেই ছিল।" আর যুদ্ধের পর মার্কিন সরকারের অবস্থানও এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয়। যুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে মোট ২৫০,০০০,০০০ ডলার মূল্যের ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেছে, যেখানে রাশিয়া দিয়েছে ৯৪,০০০,০০০ ডলার মূল্যের ত্রাণ সামগ্রী। ভারতের দেয়া ত্রাণ সামগ্রীর মোট আর্থিক মূল্য অবশ্য ২৮০,০০০,০০০ ডলার যা সবচেয়ে বেশী।

মুজিব প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তার সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করবে এবং সংবিধানে চারটি মূলনীতির প্রতিফলন ঘটাবে- যেগুলো হচ্ছে, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র। সংবিধানের খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরী করা হয়ে গেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সংসদীয় রূপ ভারতের মত করে তৈরী করার ব্যাপারেও মুজিব প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে এরই মধ্যে কমনওয়েল্‌থের সদস্য করে নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই ধর্মনিরপেক্ষতার উপর জোড় দেন। এভাবে জোড় দেয়ার মাধ্যমে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চান। উল্লেখ্য, এদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১৮ ভাগ হিন্দু এবং তারা যাতে সব ধরণের সরকারী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। বর্তমানে মন্ত্রীপরিষদের একজন সদস্য হিন্দু। বাকি তিনটি নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্রের প্রতিফলন তিনি কিভাবে ঘটান, তার উপরই দেশের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে।

মুজিব যদিও দেশের অধিকাংশ বড় বড় শিল্প কারখানার জাতীয়করণ করতে চান, তথাপি আওয়ামী লীগ মূলত মধ্যবিত্ত। প্রগতিশীল বামপন্থীরা সমাজতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের ভাবভঙ্গিকে বেশ সন্দেহের চোখে দেখছে। এর মধ্যে ছাত্র সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আছে।

"আওয়ামী লীগ প্রকৃতপক্ষে সমাজতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় না।" ঢাকা থেকে প্রকাশিত সমালোচনামুখর ইংরেজি পত্রিকা "হলিডে"-র সম্পাদক ও মালিক এনায়েতুল্লাহ খান এভাবেই বললেন। তিনি আরও বললেন, "তারা অনেকগুলো কারখানার জাতীয়করণ করেছে এটা ঠিক, কিন্তু সেগুলো কিভাবে পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে তাদের কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই।"

autoইট ভাঙার কাজ: এদেশে কোন পাথর নেই, প্রাকৃতিক জ্বালানিও কম। তাই ইট তৈরী করার জন্য তেল আমদানী করতে হয়। এই ইট হাতে ভেঙেই রাস্তা ও দালানের কাজে লাগানো হয়। মির্জাপুরের কাছে এক শ্রমিক দৈনিক ৪০ সেন্টে কাজ করছে, এক যুদ্ধবিধ্বস্ত সেতুর পাশে।

সবাই সরকারের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে

খানের পত্রিকা সবসময়ই সরকারকে আঘাত করে। কিন্তু ঢাকার প্রেস ক্লাবে আমরা যখন আলোচনা করছিলাম তখন তিনি স্বীকার করলেন যে, দেশের এই ক্রান্তিকালে একমাত্র শেখ মুজিবই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেন, আর কেউ না। এছাড়া তিনি বলেছেন, সামাজিক সংস্কার বিষয়ে সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলো রাখতে না পারলে বাংলাদেশে এক দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হবে।

এ সম্পর্কে তার কথা হল, "ভূমিহীন কৃষকেরা এখন তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন। শেখ মুজিব যেহেতু যুদ্ধের সময় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, সেহেতু তিনি আর কখনই অস্ত্রের মুখে নতি স্বীকার করবেন না। উপরন্তু এখন তো বলা যায়, তার নিজেরই একটি অস্ত্র আছে।"

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র দেয়া হয়েছিল। যুদ্ধ শেষে মুজিব সবাইকে অস্ত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু অনেকেই সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তাই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকায় খুব বেশী না হলেও গ্রামাঞ্চলে এটি এক বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

"আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আগে এখানে আর কিছুই করা সম্ভব না।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২৬ বছর বয়সী ছাত্র মাহবুবউল্লাহ এমনটি বলল। তার মুখে আরও শুনলাম, "আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি।"

এই ছাত্র তার নাম হিসেবে শুধু "মাহবুবউল্লাহ" শব্দটিই ব্যবহার করে। সে ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের এক মিছিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে সে বলল, "এর এক মাস পরই আমাকে বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সামরিক আদালতে বিচারের পর ১৫ বার চাবুক মারা হয় এবং পরবর্তীতে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।"

সেও বলল, বর্তমানে দেশ পরিচালনার জন্য শেখ মুজিবের চেয়ে উপযুক্ত আর কোন নেতা নেই। এখন ছাত্র না হলেও মাহবুবউল্লাহ অধিকাংশ সময়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটায়। বন্ধুদের সাথে রাজনীতি বিষয়ক আলাপ করেই তার দিন কেটে যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০,০০০ যার মধ্যে ৩,০০০ ছাত্রী রয়েছে। বর্তমানে এই সব শিক্ষার্থীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে রাজনীতি।

চিকিৎসাবিজ্ঞান ও আইন ছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও অনেকগুলো বিষয়ে পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে বানিজ্য অনুষদ উল্লেখযোগ্য। কিছু সংশয়বাদী অবশ্য এ ধরণের পড়াশোনা অন্য চোখে দেখছেন:

এই সরকারের একজন মার্কিন উপদেষ্টা আমাকে বললেন, "এদেশের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। আপনি যদি ঢাকার রাস্তায় পড়ে থাকা কোন কলার খোসায় পা দিয়ে পিছলে যান, তাহলে আপনাকে যারা সাহায্য করতে আসবে তাদের প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজনই দেখবেন বেকার অর্থনীতিবিদ। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে এদেশে বানিজ্য অনুষদের স্নাতকের তুলনায় রাস্তা পরিষ্কার করার লোক বেশী প্রয়োজন।"

তার উপর, যুদ্ধের পর ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল পদের জন্য প্রশিক্ষিত বাঙালির সংখ্যা ছিল খুব কম। কারণ, আগে এই অধিকাংশ কাজই পশ্চিম পাকিস্তানীরা করত, তারা না হলেও অনেক ক্ষেত্রে বিহারীরা করত।

autoঅচেনারাই এদের রক্ষা করছে: খুলনার এক শিশু ইউনিসেফ থেকে পাঠানো সয়া দুধ খাচ্ছে। এই আমিষ সমৃদ্ধ খাবারটি অধিকাংশ সময়ই পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়, মাঝেমাঝে রুটির সাথে রান্না করেও খাওয়া হয়।

[আগামী পর্বে শেষ হবে...]

আগের পর্বগুলো: ১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব | ৫ম পর্ব | ৬ষ্ঠ পর্ব


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

পোতাশ্রয়ে ঝূকিপূর্ণ অবস্থার কারণে চট্টগ্রামের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এজন্য ত্রাণ সামগ্রী আনা কমিয়ে দিতে হয়েছে। যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম ও চালনায় অনেকগুলো জাহাজকে সমুদ্রের একেবারে তলায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেই জহাজগুলোই রাস্তা সংকুচিত করে দিয়েছে। অনেক জাহাজ মালিক এজন্য বন্দরের এক মাইল দূরেই থাকতে চান, বেশী কাছে আসতে চান না। জাহাজগুলোর ধ্বংসাবশেষই তাদের ভীতির কারণ।

আর্টিকেলের লেখক সম্ভবত একটি জিনিস উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণের আগে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাইন ছড়িয়ে রেখে যায়। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত (সম্ভবত, স্মৃতি থেকে লিখছি, এই মূহুর্তে রেফারেন্স দিতে পারছি না) সেগুলো সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় পরিষ্কার করা হয়েছিলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শিক্ষানবিস এর ছবি

এই বিষয়টা আমিও পরিষ্কার জানতাম না। উইলিয়াম এস এলিস বোধহয় ভুলেই গিয়েছিলেন।
স্নায়ু যুদ্ধ বজায় রেখে কথা বলতে গিয়ে হয়ত সেটা খেয়ালই ছিল না। এখানে আমেরিকা আর রাশিয়ার কথা পড়ে খুব স্পষ্টভাবেই স্নায়ু যুদ্ধের সমসাময়িকতাটা চোখে পড়েছে।

আমার এই অনুবাদে একটি ইংরেজি শব্দ আছে। দেখেছেন তো: nonalignment. এর কোন বাংলা প্রতিশব্দ আমার মাথায় আসছে না। এর সাথে আবার পরিভাষাগত বিষয় জড়িয়ে আছে। সাহায্য করেন।

নিবিড় এর ছবি

nonalignment এর বাংলা প্রতিশব্দ কি জোট নিরেপেক্ষ হতে পারে ???

*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

শিক্ষানবিস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, এটাই সঠিক পরিভাষা বলে মনে হচ্ছে। অনেক স্থানেই এর ব্যবহার দেখেছি। মূল অনুবাদে nonalignment কেটে জোট নিরপেক্ষ করে দিলাম।

সাধু এর ছবি

হ হইতে পারে ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সোভিয়েত সংবাদ সংস্থা "তুস"

নাকি "তাস"?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ফারুক হাসান এর ছবি

আমার মনে হয়, শিক্ষানবিস ভাই, অনুবাদ করতে গিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে আরেক স্বন্তন্ত্র পোষ্টও দিতে পারেন। এতে অনেকেই উপকৃত হবে। উদাহরণস্বরূপ, কনফুসিয়াসের বারোজন তীর্থযাত্রির অনুবাদের কথা বলা যায়।

আপনাকে বিপ্লব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। আপনার মত অনুবাদ সৈনিকের প্রয়োজন খুব।
-----------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী,
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।