শিবের গীত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: রবি, ৩১/০১/২০১০ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'বাবার মেয়ে' শুনতে আমি বরাবরই ভালু পাই। তবে কিছু কিছু ব্যাপার মায়ের দিক থেকেও পেয়েছি। তার মধ্যে দুইটা হলো, খুব অল্পতেই মুগ্ধ হয়ে যাবার ক্ষমতা, আর ভীষণ বোকা। বোকা বলেই বোধহয় স্বপ্ন দেখতে পারি লাগাম ছাড়া। আমার সম্পদ, বাবার কাছ থেকে পাওয়া ঘুম, আর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া স্বপ্ন দেখার ভীষণ উর্বর একটা জমি। এতোটাই উর্বর, যেটাতে স্বপ্নের কোন একটা বীজ পড়তে যা দেরী, ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে বিশাল একটা বৃক্ষ হয়ে যেতে দেরী হয় না মোটেই। তারপর যখন ধপাস হয়, মাটিসহ কেঁপে ওঠে। আম্মা কী করে জানি না, তবে আমি শেকড়শুদ্ধ উপড়ে আসা মরা গাছটার ওপর বসে থাকি অনেকটা সময়। তারপর ধীরে ধীরে কাটা-ছেঁড়া-থ্যাতলা-গুড়ো করে সেটাকে মিশিয়ে দিই স্বপ্নভূমিতে। বোকা মাটি আরো উর্বর হতে হতে নিজেকে তৈরি করে ফেলে বোধহয় আবারো কোনো স্বপ্নবীজের জন্য।
হুঁ না ম্যায় পজিটিভ? চোখ টিপি

ছোট মামার সাথে স্কাইপেতে যখন প্রথম কথা হয়, আম্মার চোখেমুখে সে কি বিস্ময়, সে কি মুগ্ধতা! শিশুর মতো সারল্য আর উচ্ছাস ষাটোর্ধ এক মহিলার মুখে। অবাক চোখে সে দেখে সাত বছর আগে দেখা ভাইটাকে, ভাগ্নিটাকে আর চোখের আড়ালে বেড়ে ওঠা তার ছয় বছর আর চার বছরের বাচ্চা দুটোকে। আর আমি ঘুরে ঘুরে দেখি জননীর এইসব সরল প্রকাশ।

আমিও বিস্মিত হই, অনেকের কাছেই যা স্বাভাবিক, সেইসব কিছু দেখে। ফোনের কার্যকলাপ এখনো আমাকে মুগ্ধ করে। সময়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যোজন যোজন দূরে থাকা মানুষ কি করে অতো কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কথা বলে, আমার বিস্ময় এখনো কাটে না। জানালার ওপাশে তাকাই যখন, মাঝেমাঝে ওপারে যাবার আগেই দৃষ্টি আটকে যায় কাঁচে। কি অদ্ভুত। ওপাশে ধুলি-ধোঁয়া, ঝড়-তুফান, বৃষ্টি-বাতাস। কারো সাধ্য নেই আমাকে ছুঁয়ে দেয়। অথচ সবই দেখতে পাচ্ছি। কী পাতলা স্বচ্ছ একটা দেয়াল। অথচ আলাদা করে রাখার কি ভীষণ ক্ষমতা।

স্কুল থেকে এবারের পিকনিক রংপুরে, ভিন্নজগৎ। দিনদিন বোধহয় ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চাদের ডিসিপ্লিন নিয়ে অতো খ্যাচখ্যাচ করতে ইচ্ছে করে না আমার কোনোকালেই। আর পিকনিকের দিন তো কথাই নেই। পড়লোই নাহয় শেকলের মতো মালা, হাতে বিশাল সব ব্রেসলেট, আঁকলোই নাহয় ট্যাটু, গেট-আপে কাউকে হিরো, আর কাউকে মাস্তানের মতো লাগলেই বা ক্ষতি কী? একটা দিনই তো। থাকুক না, চরে বেড়াক না ওরা নিজেদের ইচ্ছেমতো। চোখে পড়ার মতো কিছু করলে তখন নাহয় অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। আমরা চারজন মিলে ঘুরে বেড়াতে থাকি স্টুডেন্টদের মতোই। একটু পরে একজন ফিরে যায় ডিউটিতে। আরেকজন যেতে চায়, কিন্তু আমার আর নীলার সাথে পেরে ওঠে না। এই জায়গা সেই জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখছি। শুধু কি দেখছি? কোথায় কোন স্টুডেন্ট কি করছে, সেগুলোও তো চোখে পড়ছে। কাজেই আমাদের ডিউটি তো চলছেই। ওকে বোঝাই আমরা দুই ফাঁকিবাজ।

প্ল্যানেটেরিয়াম দেখলাম। ঢাকার নভোথিয়েটারের তুলনায় এটা অবশ্য অনেকটাই পানসে। তবে, রাতের তারাভরা আকাশ যে সবাইকেই সমান মুগ্ধতায় টানে, এটা বোঝা গেলো। যতোবার আকাশ ভরা তারা দেখায় ততোবার অন্ধকার থেকে ভেসে আসে মুগ্ধতার শব্দ। সূর্যোদয়। ঠিক যেন মেহেদী রাঙা ডিমের কুসুম। মন ভালো করে দেবার মতো। একটু পর সূর্য আর তার পাশাপাশি অন্য গ্রহের বর্ণণা। সূর্যের পাশাপাশি যখন বুধ দেখাচ্ছে, মনে হলো ঠিক যেন দুটো রুটি। একটা পুরো ভেজে ফেলা, একটু ফুলে ওঠা। আরেকটা এইমাত্র ভাজতে দেয়া হলো। আমি কি তখন ক্ষুধার রাজ্যে ছিলাম? চিন্তিত

আরো কিছু ঘোরাঘুরির দেখলাম, থ্রিডি অ্যাডভেঞ্চার। শুনেছিই শুধু। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া। ঢোকার সময় সবাইকে একটা করে চশমা দিচ্ছে। ঢুকলাম। চশমা পড়লাম। ফানি চশমা। শুরু হলো মুভি। জঙ্গল। ভোর রাতের মতো একটু একটু করে আলো ফুটছে। বানর আর হনুমানের ক্যাঁচম্যাচ শব্দ। ওরা গাছের গায়ে দোল খেয়ে খেয়ে এপাশ ওপাশে এসে পড়ছে। মনে হলো যেন আমাদের খুব কাছে ডানে বামে টুপ টুপ করে লাফ দিয়েই অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। একটা গাছ। কোটরে সাপ। কুন্ডুলী পাকিয়ে থাকা। নড়তে শুরু করলো। যেন বিরক্ত হয়েছে কোনো কারণে। তারপর এগিয়ে আসতে শুরু করলো। বিশাল সাপ। আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে নীলা। সাপটাতো স্ক্রীন থেকে বেরিয়ে আসছে! আসতে আসতে উফ... নাক থেকে খুব বেশি হলে ছয় ইঞ্চি দূরে... সাহস তো মোর ছিলেই ভালো, খাইলে মোরে ডরে... মাই গড! মাই গড! সাপ ভালোই লাগে, তাই বলে এতো কাছে কেন? চোখ বন্ধ করে ফেলার তীব্র খায়েশ। আবার ভাবি দেখি না একটু... সাপটা একবার এদিকে তাকায়। একবার ওদিকে। কনফিউজড। ভাবখানা এমন ”শব্দটা তো মনে হয় এইখান থেকেই হইলো, আন্ধারে দেখতেও পাইতেছি না, হালায় গেলো কই?” একটু পর ঠিক চোখ বরাবর তাকায়। খাইছে... এইবার? ভয়ংকর মুহূর্ত। একটু পিছিয়ে গিয়ে হা করে এগিয়ে আসতে থাকে প্রচন্ড গতিতে। অজান্তেই মাথা পিছিয়ে নিই। নাকটা কামড়ে ধরার ঠিক আগের মুহুর্তে কে যেন লেজটা ধরে ওটাকে পেছনের দিকে টেনে নেয়। আমিও চামে গিলে ফেলি ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়া প্রায় চিৎকারটাকে। বাপ রে! কি ভয়ংকর!!

এরপর এক ম্যাজিশিয়ানের হাবিজাবি দেখাতে থাকে। একটা কংকালের মাথা ঠিক একইভাবে ভয় দেখায়। হাহ! ওর চেয়ে বেশি ভয় আমি দেখাতে পারি। কিছু ইঁদুর ছেড়ে দেয়। সেগুলো এসে পড়তে থাকে গায়ের ওপর। ভয় লাগে না। আমি ভয়মিশ্রিত অনুভূতি নিয়ে আবারো সাপের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। আর দেখাবে না? ওই তো, আবার। এবার অন্য দিক থেকে। অন্য একটা। দূর থেকে ছুটে এসে ঠিক মুখের ওপর কয়েকবার হালুম হালুম করে হারিয়ে গেলো। প্রতিবারই কেঁপে কেঁপে ওঠা। শেষ।
তারপর, হেথায় হোথায় আরো কিছু দেখলাম। কিন্তু, ফোন আর কাঁচ দেখে অবাক হওয়া পাবলিকের থ্রিডি মুভি দেখার মুগ্ধতা আর কাটে না। এখনো না।

খাবার পরে ডিউটি করেছি অনেস্টলি। এইসময় ওদেরকে কোথাও যেতে দিলে মুশকিল। রাখতে হয় ঝাঁকের মধ্যে। এক পিস-ও যেন না হারায়। ফেরার পথে অপেক্ষা করে ছিলো অন্য কেউ। উজাড় করে সবকিছু দেবে বলে... জানালার ওপাশে বিশাল চাঁদ। আজ পূর্নিমা। ভালোলাগা আরো একবার পেয়ে বসে আমাকে। কাকতালীয় মেসেজ, 'জোছনাও কি মানুষের মতো ভালোবাসতে পারে, শিমুল? উম্মাদের মতো?’ একটু ভাবি আমি। জানিনা। আমাকে মাঝখানে রেখে প্রশ্নটা ঘুরতে থাকে অনেকক্ষণ। কেমন ঘোর লাগে...

কাঁচকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমাকে ছুঁয়ে দেয় জোছনা। কি যে আহলাদ! বাচ্চাদের অনেকেই ক্লান্ত। এর গায়ে ও হেলান দিয়ে আছে। কেউ গুনগুন গান চালিয়েই যাচ্ছে। জোছনায় ভিজে ভিজে ফিরতে থাকি আমি ও আমরা...


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনে বেঁচে আছেন??
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ক্যামনে কই?
ডাক্তার আমি, না আপনে? চোখ টিপি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমি ভেবেছিলাম, শীত-নিদ্রায় থাকতে থাকতে উপরতালায় চলে গেলেন কিনা? তারপর গায়েবি আওয়াজের মত উপরতালা থেকে লেখা পাচার করছেন চোখ টিপি লেখা অতি স্বর্গীত হয়েছে কিনা?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাদেক হোসেন এর ছবি

লেখেন বেশ ভালই। তবে এত বেশী প্যাচপেচে রোমান্টিকতা!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সাদেক ভাই, এইটা কিতা কইলেন গো? আমি মনে করেছিলাম প্যাতপেতে রোমান্টিকতা বলবেন? তবে সেটাও কি জীবনের বাইরে? আমার কাছে কিন্তু দারুন লাগলো, তবে সবার ভালো নাও লাগতে পারে।

টশটশে রগরগে একখানা রোমান্টিক লেখা ছেড়ে দিন, আমরা পড়ে বেঞ্চমার্ক করি। নাহলে বুঝবো কিভাবে এই লেখাটা প্যাতপেতে টাইপ?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাদেক হোসেন এর ছবি

পাঠক হিসেবে অপছন্দের কথা বলা যাবে না? নিজে লিখে প্রমাণ দেখাতে হবে? একটা কথা বলি ভাই, মাইন্ড নিয়েন না। আপনার একটু বাকসংযমের চর্চা করা দরকার।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার একটু বাকসংযমের চর্চা করা দরকার

বাক সংযম কেন? আপনার মন্তব্য ভালো লাগে নাই, সেটা বলাও যাবে না? সেটা বলতে গেলে তখন বাক সংযমের কথা মনে আসে? আর যখনই "(যাচাই করা হয়নি)" কারো কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাই, তখনই কেমন এলার্জির মত হয়ে যায় আমার, সেজন্যে কিছুটা দুঃখিত তবে লজ্জিত না।

আর নিজে প্রমাণের কিছু নেই, আপনে বরং গঠনমূলক সমালোচনা হিসাবে একটা গল্প লিখে ফেলুন, এই গল্পটাই লিখতে পারেন আরো সুন্দর করে, আমি কিন্তু পরিষ্কার ভাবেই আমার মনোভাব জানিয়েছি, তাতে আমার বাক সংযমের কি দরকার পড়ল, আমি ঠিক বুঝলাম না, একটা রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন, তারপর জোশের সাথে লেখা দিতে থাকুন, আমার মত নাদান পাঠকেরা আপনার সমালোচনা থেকে কিছু শিখি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এটাই ট্র্যাজেডি, সাদেক ভাই।
আমিও ব্যাপারটা থেকে বেরুতে চাই। কিন্তু প্যাচপেচে বলেই বোধহয় আটকে যাই বারবার। উঠে আসতে আর পারি না। মন খারাপ

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বড়ো হওয়ার হাজার ঝামেলার মধ্যে, আমার কাছে যেটা মনে হয়, অন্যতম প্রধান হলো- বিস্মিত বা অবাক হওয়ার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলা। আপনি এখনও যে এভাবে শিশুর মতো অবাক হতে পারেন, এ তো খুবই ঈর্ষণীয়। ধরে রাখুন এটা। একই কথা বলতে হয় স্বপ্ন দেখার ব্যাপারেও।

'ভিন্নজগৎ' গিয়েছিলাম প্রায় বছর তিনেক আগে। তখন কোনও কারণে মনে হয় থ্রিডি সিনেমা দেখার ব্যবস্থা ছিল না। আপনার বর্ণনা পড়ে কেন যেন 'অবতার/আভাতার'-এর কথা মনে হলো। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আগেই, কখনও দেখলে থ্রিডিতেই দেখব, নইলে না। সিদ্ধান্তে অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।

আজকের চাঁদটাও অন্যরকম সুন্দর। 'অদ্ভুত সব রঙ'!

আপনার প্রথম প্রশ্নটার জবাব দেই, সামনাসামনি আপনি কেমন জানি না, তবে ব্লগের পাতাতে যতটুকু বুঝেছি, আপনি খুবই পজিটিভ মানসিকতার একজন মানুষ। আপনার এই দিকটা আমার ভীষণ ভাল্লাগে।

অনেকদিন পর লিখলেন। যাই হোক, ভালো থাকবেন।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

জ্বি আচ্ছা। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরেকটা কথা বলা হয়নি, লেখাটা অনেক ভালো লাগল।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমিও ধন্যবাদ জানাতে ভুলে গেছিলাম। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্নিগ্ধা এর ছবি

শিমুল, বিশ্বাস করবেন কি না জানি না - আপনি বলছেন আপনি 'বোকা', আর আমি হচ্ছি হাবাস্য হাবা! আরো দুঃখের কথা কী জানেন? আমি জ্ঞানপাপী'র মতো 'জ্ঞানহাবা', এই সমস্যার কোন সমাধান থাকে, না থাকা সম্ভব? মন খারাপ

আপনার লেখার ধরন আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে, এবারও করলো হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার সব কথা আমি বিশ্বাস যাই না, স্নিগ্ধাজী। খাইছে

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দুর্দান্ত এর ছবি

যেন আপনার সাথেই ঘুরে এলাম।
ওয়াহ ক্যা সিন হায়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

টিকেট ছাড়াই?
তাহলে এখন পয়সা ছাড়েন চোখ টিপি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিবিড় এর ছবি

এই লেখাটা পড়ার সময় একটা মজার জিনিস খেয়াল করলাম। লেখাটা যখন প্রথম পড়া শুরু করি তখনো লেখকের নাম দেখি নি কিন্তু মাঝামাঝি আসার পর মনে হচ্ছিল এই লেখার স্টাইলটা আপনার সাথেই যায় কিন্তু তারপরেও ভাবছিলাম এইটা বুঝি আপনার স্টাইলে লেখা নতুন কোন অতিথি লেখক। তবে শেষে যখন মেসেজের কথাটা শিমুল নামটা লেখা পড়লাম তখন এক বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল- প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব স্টাইল থাকে হাসি

অফটপিকঃ মাস্তানাপা আছেন কেমন দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আহা!
আপনার কথা শুনে নিজেকে অবশেষে 'কিছু একটা' মনে হচ্ছে, নিবিড় ভ্রাতঃ ! হাসি
মাস্তানাপা'র সূত্র ধরে বলি, কথাপ্রসঙ্গে একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, 'চোর দেখে তোমার আম্মু চেঁচামেচি করলো না?'
জবাবে সে বলে, 'আমার আম্মা তোমার মতো অতো বীরপুরুষ না।' খাইছে

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আশাহত [অতিথি] এর ছবি

একবারেই খাপছাড়া ভাবে হিন্দি বাক্য ব্যবহার করার দরকার ছিল কি? বাঙালীদের হিন্দি নিয়ে হ্যাংলামো খুবই দৃষ্টিকটু লাগে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার খারাপ লেগেছে বলে দুঃখিত।

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তিথীডোর এর ছবি


"সূর্যোদয়। ঠিক যেন মেহেদী রাঙা ডিমের কুসুম। মন ভালো করে দেবার মতো। একটু পর সূর্য আর তার পাশাপাশি অন্য গ্রহের বর্ণণা। সূর্যের পাশাপাশি যখন বুধ দেখাচ্ছে, মনে হলো ঠিক যেন দুটো রুটি। একটা পুরো ভেজে ফেলা, একটু ফুলে ওঠা। আরেকটা এইমাত্র ভাজতে দেয়া হলো। আমি কি তখন ক্ষুধার রাজ্যে ছিলাম? "
হিহি...সিরামই তো মনে হচ্ছে!!


"আমিও বিস্মিত হই, অনেকের কাছেই যা স্বাভাবিক, সেইসব কিছু দেখে। ফোনের কার্যকলাপ এখনো আমাকে মুগ্ধ করে। সময়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যোজন যোজন দূরে থাকা মানুষ কি করে অতো কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কথা বলে, আমার বিস্ময় এখনো কাটে না। জানালার ওপাশে তাকাই যখন, মাঝেমাঝে ওপারে যাবার আগেই দৃষ্টি আটকে যায় কাঁচে। কি অদ্ভুত। ওপাশে ধুলি-ধোঁয়া, ঝড়-তুফান, বৃষ্টি-বাতাস। কারো সাধ্য নেই আমাকে ছুঁয়ে দেয়। অথচ সবই দেখতে পাচ্ছি। কী পাতলা স্বচ্ছ একটা দেয়াল। অথচ আলাদা করে রাখার কি ভীষণ ক্ষমতা।"

আপুনি,আমিও বিস্মিত হই.......
চমত্---কার লেখা
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

থ্যাংকস, তিথীডোর। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

যাক ফিরেছেন তাহলে।
এসেই বাউন্ডারী হাঁকালেন?
আর বোকা? আমি শুধু বোকা নয় বোধহয় রামবোকার মতো স্বপ্ন দেখে যাই। ভেঙ্গে সব চুরমার হয়ে গেলেও ধ্বংসাবশেষ থেকেই সেই স্বপ্নেরা আবার নতুন ডালপালা ছড়াতে থাকে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

লোকজন স্বপ্ন দেখে পা মাটিতে রেখে।
আমি ইকারুস, অনিন্দিতা।

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিকেত এর ছবি

শিমুল,
তুমি কোথায় থাকো রে ভাই?
শেষ লেখা দেখলাম গত বছরের ডিসেম্বরে।
লেখা নিয়ে কী আর বলব, বল? খুবই উপাদেয় হয়েছে।
নিজের মাঝে শৈশবটা যারা লুকিয়ে রেখে চলতে পারেন---তারা আমার চোখে বড় ঈর্ষার পাত্র।

ভাল থাকো, সকল সময়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

থ্যাংকস, অনিকেত'দা। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রেনেট এর ছবি

আপনার লেখা মিস করি অনেক, মন্তব্যও...
থাকেন কৈ?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভিন্ন কোনো জগতে... চোখ টিপি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মৃত্তিকা এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো শিমুল আপা। ঢাকার নভোথিয়েটারটা চোখের সামনে হতে দেখলাম মাগার ভিতরে গিয়ে দেখে আসা হলো না। আফসুস মন খারাপ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মক্কার লোকে হাজ্জ্ব পায় না...
দেশে আসলে অবশ্যই দেখে নিয়েন। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার মজার কিছু ব্যাপার আছে। সেগুলো পরে বলছি, আগে অন্য কয়েকটা ঘটনা বলে নেই।

গেলো সামারের আগের সামারে, ফান্টাসিয়া ল্যাণ্ড বলে একটা এ্যামিউজমেন্ট পার্কে গিয়েছিলাম আমার এখানকার সাড়ে তেরো গোষ্ঠীসনে। ওখানে একটা রাউড আছে। আন্ধার ঘরে। মাথার উপরে গম্বুজাকৃতির ছাদে মাইলসের চাঁদতারাসূর্য নও তুমি গানের দৃশ্যায়ন হয়, ধুমকেতু উড়ে, উল্কা যায় ফুরুৎ ফারুৎ। মজার ব্যাপার হলো, যে চেয়ারে বসে ছিলাম, সেই চেয়ারই দেখি উল্কার সাথে বাড়ি খেয়ে কেঁপে ওঠে। আবার ধূমকেতুকে সাইড দিতে গিয়ে পাশের কী একটার সাথে ধরাম করে বাড়ি খেয়ে সারা শরীর কেঁপে ওঠে। ভীষণ মজা পেয়েছিলাম ঐ জিনিষে প্রথম এবং শেষবারের মতো (এখন পর্যন্ত) উঠে।

ঐ পার্কেই ফোর-ডি সিনেমা দেখেছিলাম একটা। পাইরেটস অব দ্য কী যেনো! কুড়ি মিনিটের সেই সিনেমায় শেষ সিনে এসে ভিলেন পানিতে পড়ে যায়, সেখান থেকে মাথা বের করে মুখ থেকে পানি কুলি করে বের করে দেয়। আর সেই কুলির পানি এসে পড়ে দর্শকের মুখে। আমি ঠিকই ছিলাম, আমার পাশে বসা ভাস্তি ইয়াক ইয়াক.... ক্যা ক্যা করে উঠলো ঐ সময়। আমি তার ক্যা ক্যা শুনে সিনেমা হল কাঁপায়ে দিলাম হাসি।

আজকে আগাদের এখানে তাপমাত্রা +দুই দেখাচ্ছিলো। আকাশ একদম পরিষ্কার। হালকা হালকা মেঘের ভেতর দিয়ে চাঁন মিয়ারে দেখা যাচ্ছিলো বেশ ভালোই। শীতের দিনে আকাশে চাঁন মিয়ার দেখা পাওয়া চাট্টিখানি কথা না!

কিন্তু মজার কথা এগুলো একটাও না। এখানে লিখতে গিয়ে দেখি ভুলে গেছি। পরে মনে হলে বলে যাবো নে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনে শুধু আমার ব্লগে আসলেই আসল কথা ভুলে যান ক্যান? মন খারাপ
ফোর-ডি সিনেমা দেখতে ইচ্ছা করতেছে। ইয়ে, মানে...

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মূলত পাঠক এর ছবি

দারুণ লিখেছেন!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

থ্যাংকস, রাজর্ষি।

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপামনি চলুক ... হাসি কী সুন্দর লেখা!

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সোন্দর্যের কিছু নাই, আফা।
তয় থাংকু। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

দারুণ লেখা। প্রথম আর শেষ অংশ ভিন্ন একটা আমেজ আনে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার ছবি দেখে যেমনটা মনে হয়, আপনি কি সেরকমই হাসিখুশি একজন মানুষ?

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম! সেদিন বাসের জানালা দিয়ে জোসনা দেখতে দেখতে বাড়ি থেকে আমিও ঢাকা ফিরলাম যে! কী যে দারুণ লাগছিল!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বইয়ের জন্য আগাম শুভেচ্ছা, পান্থ।
দেখতে দেখতে ছেলেটা বড়ো হয়ে যাচ্ছে... হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

চড়ুই এর ছবি

শিমুল আপু, আপনার লেখা আমার খুব ভাল লাগে।
জীবনের ছোটো ছোটো টুকরো ঘটনা আপনি অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেন।
তবে
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
এই লাইনটার সাথে একটু দি-মত

যারা সরল, তারা সরলই থেকে যায়--- মাঝ পথে জটিল মানুষ তাদের নিয়ে কষট পায়, আর সরলরা কিছুদিন পর ভুলে যায় এবং নতুন করে সুখী হয়ে ওঠে।
এখানেই সরলতার জয়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ওটা একটা কবিতার লাইন, চড়ুই। মাহবুব লীলেনের।
তবে আপনার কথাটা ভাবালো আমাকে।
সত্যিই তাই। অভিজ্ঞতা মানুষকে শেখায় অনেককিছু, পোক্ত করে।
তবে মানুষের অরিজিন খুব কমই বদলায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অসংখ্য। হাসি
আর, সিগনেচার পালটে দিলাম...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অর্ঘ্য এর ছবি

কিছু মনে পড়ে ... কিছু পড়েনা ...
তবে জোছনা যে মাল্টিপল চ্যাট উইন্ডো খুলে বসে থাকে এটা কিন্তু একদম ঠিক না ! চোখ টিপি

লেখা খুব ভাল লাগল ৷
একটু নিয়মিত ভাল লাগার সুযোগ করে দিলে আমরা বাধিত হই ...হাসি

------------------------------------------
মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ একা ...

------------------------------------------------------
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক ... খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ ...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনাকেও আমি একই কথা বলি, স্যার।
এখন নিশ্চয়ই পরীক্ষা নেই।
একটু লিখলে তো হয়...

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আমাকে মাঝখানে রেখে প্রশ্নটা ঘুরতে থাকে অনেকক্ষণ। কেমন ঘোর লাগে...

কাঁচকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমাকে ছুঁয়ে দেয় জোছনা। কি যে আহলাদ!

আপনার লেখার উপমা দিতে চাই জোছনার সাথেই। একটু কালচে, কিন্তু এর চে বেশি আলো আর যেন খুব কমই সম্ভব এই পৃথিবীর বুকে। চলুক

থ্রি-ডি ছবি দেখেছিলাম ব্যাংকক-এ। ওইটা ছিল সমুদ্রের নিচের সব দৃশ্য! সত্যের চে'ও যেন বেশি জীবন্ত, বেশি কাছের! অদ্ভুত রোমাঞ্চ পেয়েছিলাম।

আর, আজ এখানে আরেকটা কথা প্রথম শুনে হেব্বি মজা পাইলাম-
সাহস তো মোর ছিলেই ভালো, খাইলে মোরে ডরে...

:গড়াগড়ি দিয়া হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

থ্রিডি খুব বেশি জীবন্ত লাগে আসলেই।
কি যে অদ্ভুত...
ঘোর এখনো কাটেনি। হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

এত সহজিয়া বিস্ময় এখনও পৃথিবীতে টিকে আছে জেনে শান্তি লাগল...

আপনি খুব সুন্দর করে লিখলেন, মুগ্ধ হয়ে গেলাম....

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, কল্যাণীয়াসু... হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

কোনও এক অজানা কারণে প্রথম প্যারাটা পড়বার সময় মনটা খারাপ হয়ে এসেছিল। তখন মনে হচ্ছিল তোমাকে দু'কথা শুনিয়ে দিয়ে যাই। কিন্তু এখন আর অতোটা খারাপ লাগছেনা। এতো কম কম লিখলে কিভাবে চলবে ? সাপ যে হালুম হালুম করে এটা কিন্তু আমার জানা ছিলনা। সত্যিই করে নাকি ? তোমার যে স্কাইপের সাথে পরিচিতি আছে সেটাতেই কিন্তু আমি বিস্মিত হলাম। শুভকামনা রইল বরাবরের মতোই।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"সাপ যে হালুম হালুম করে এটা কিন্তু আমার জানা ছিলনা।"
সেদিন তো ওরকমই লাগলো। চোখ টিপি

"তোমার যে স্কাইপের সাথে পরিচিতি আছে সেটাতেই কিন্তু আমি বিস্মিত হলাম।"
মানলাম আমি ননটেকি, তাই বলে এইরকম অপমান? ওঁয়া ওঁয়া

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।