হতাশা, ডিপ্রেশন বা মনমরা লাগার চিহ্ন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ১২/০৩/২০০৬ - ৭:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


[ডিপ্রেশন নিয়ে আগের লেখায় মন্তব্য করেছেন মাত্র একজন। অনুরোধও করেছেন আরেকটু বিস্তারিত লেখার। হোক না মাত্র একজনের তবু অনুরোধ ফেলতে পারি না। তবে ডিপ্রেশন নিয়ে কত কিছু বলার আছে সেসব এখানে বলার চেয়ে ডিপ্রেশনে আছেন কিনা তা বুঝার উপায় কি তাই তুলে ধরলাম।]

হতাশা, ডিপ্রেশন বা মনমরা ভাবের কিছু চিহ্ন আছে। যা দেখে আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার সেই দশা কিনা। অথবা বন্ধুটি বা ছোটভাইটি সেরকম সমস্যায় আছে কিনা। সেরকম কিছু চিহ্ন হলোঃ

ক) আপনি দেখবেন যে, সবসময় একটা মনখারাপ ভাব থাকে, যা পুরোপুরি চলে যায় না।

খ) আপনার মনে হবে জীবন সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, কোন কিছু থেকে আনন্দ পান না বা কোনো মজা উপভোগ করতে পারেন না, লোকজনকে এড়িয়ে চলেন, এমনকি বেল বাজলেও দরজা খুলতে ইচ্ছা করেনা। ডিপ্রেশনের একটা বড় লক্ষণ হচ্ছে নিজেকে একা লাগা। (আকাশের ছড়িতা পড়ুন)।

গ) নিজের খেয়াল রাখতে ইচ্ছা করেনা, ভাল জামাকাপড় পরতে ইচ্ছা করেনা।

ঘ) ছোটখাট সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধা হয়। কোনকিছুতেই মন বসেনা।

ঙ্) মনে হবে আপনার শরীরে কোনো শক্তি নাই। সবসময় ক্লান্ত লাগে।

চ) অস্থির আর অস্বস্তির ভাব থাকে মনে।

ছ) আপনার ক্ষুধা কমে গেছে এবং ওজন কমছে অথবা প্রচুর খাচ্ছেন এবং ওজন বাড়ছে।

জ) ঘুম আসতে অসুবিধা হয়, বা মনে হয় বেশী ঘুম হচ্ছে।

ঝ) যৌনইচ্ছা কমে যায় বা উবে যায়। (কখনও কখনও এটা ওষুধের সাইড এফেক্টের জন্যও হতে পারে, তাই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন।)

ঞ) নিজেকে অকাজের মনে হয়। নিজের উপর বিশ্বাস কমে যায়, নিজেকে নিজেরই ভাল লাগেনা।

ত) আত্মহত্যা (সুইসাইড) করার চিন্তা মাথায় আসে। এমন মনে হলে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বা ডাক্তার, বা সাইকলজিস্টের সাহায্য নিন। এগুলি সাময়িক ব্যাপার, অল্প দিনের মধ্যেই কেটে যায়, সুতরাং অন্যদের সাহায্য নেওয়া ভাল।

থ) যখন তখন খেয়ালের অভাবে দুর্ঘটনা ঘটান, যেমন জিনিসপত্র হাত থেকে পড়ে যায় বা কোন কিছুর সাথে ধাক্কা খান।

দ) মনমেজাজ বিগড়ে থাকে। আগে যেসব জিনিসকে গুরুত্ব দিতেন না সেসব ছোটখাট জিনিস নিয়ে প্রায়ই তর্কবিতর্ক হয়।

ধ) দিনের বিশেষ কোনো সময়ে মনখারাপ থাকে, বিশেষ করে সকালবেলা।

বি:দ্র: এরপরও যদি আপনি বুঝতে না পারেন আপনি হতাশা বা ডিপ্রেশনে ভুগছেন কিনা তাহলে জাকিরুল তালুকদারের পোস্টগুলো পড়ুন। যদি আপনার মনের সাথে মিলে যায়, তবেই নিশ্চিত হবেন ঘটনা সত্যি। [এই লেখাটি থেকে একটি উত্তম রঙ্গ বা রম্য লেখা তৈরি হতে পারে। রাসেল (.....)-ই তা ভাল পারবে।]


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পুরনো সেই দিনের কথা।।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রাসেলের ব্রাকেটে ডট তিনটা কম পড়ছিলো

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।