আপকো দেখকর তো যমীন ডর জায়েগী, আপ যমীন সে কিউ ডরতি হ্যায়!!

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: রবি, ২২/০৬/২০০৮ - ৯:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাস দুই আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিল শিলিগুড়ির। শুভজিতের বোনের বৌভাতে কনেযাত্রী হিসেবে নিমন্ত্রিতের তালিকায় নাম ছিল আমাদের জোড়ে। সেইমত শুভ টিকিট কেটে রেখেছিল আর টাইম টু টাইম রিমাইন্ডারও দিচ্ছিল। যাব বলে কথা দিয়েছিলাম দুজনেই। না যাওয়ার কোন কারন নেই। দুজনেই বেড়াতে ভালবাসি, ফাঁক পেলেই এদিক ওদিক বেড়িয়ে পড়ি আর এ তো বন্ধুদের সাথে দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়া। উত্তরবঙ্গে আমার আগে যাওয়া হয়নি কাজেই ওটা একটা বাড়তি আকর্ষণ। দু'দিনের প্রোগ্রাম। কিন্তু আমি সুমেরুকে বলেই রেখেছিলাম, দু'দিন পরে আমি সকলের সাথে ফিরছি না! পাহাড়ে চলে যাবো, গ্যাংটক, ভুটান বা সিকিম। যে কয়টা জায়গা দেখা যায়, বেড়ানো যায়, বেড়িয়ে ফিরবো! দিন সাত/আটের আগে ফেরার প্রশ্ন নেই!

বিধি বাম। পিচ্চিদের নাচের প্রোগ্রাম নিয়ে সে এত ব্যস্ত হয়ে পড়লো যে একদিনের ছুটিও ম্যানেজ করা সম্ভব হল না। বিয়েতে সে রাত দশটায় গিয়ে শুধু মুখ দেখিয়ে চলে এসেছে আর বৌভাতে যেতেই পারছে না! আমিও যাব না ধরেই নিয়েছি। আঠেরো তারিখ সকালবেলায় শুভর ফোন, ব্যাগ গুছিয়ে রেডি থাকো, সন্ধে ছ'টায় ট্রেন! সে কী! আমি একলা যাবো কী করে? আমার একলা যাওয়ার কথা শুনে পরমাশ্চর্য শুভ। আরে, একলা কেন যাবে? আমরা যাচ্ছি তো আর সাথে এক ট্রেন ভর্তি লোকও যাবে! দোনোমনা করে ফোন রেখে ওকে বলি, কী করবো বলো তো? আবার ফোন। এবার শুক্লা। আরেক বন্ধু নীলায়নের স্ত্রী শুক্লা। নীলায়ন- শুক্লাও নিমন্ত্রিত। আমাকে কোন কথা বলতে না দিয়ে হড়বড় করে সে জানান দিল ব্যাগ-ফ্যাগ গুছিয়ে রেডি থাকো, না যাওয়ার কোন সীন নেই। আর শোনো, তুমি যাবে না বললে আমি শুভকে বলে দিচ্ছি যে সামরান না গেলে আমিও যাচ্ছি না, এরপর শুভ সামলাবে! আমার কর্তামশাই এবার বললেন, চলেই যাও, অসুবিধেটা কোথায়?

অসুবিধে কিছু নেই শুধু রাতের বেলা ভয়ে ঘুম হবে না এছাড়া আর কোন সমস্যা নেই! সুমেরু সেটা ভাল করেই জানে বলেই জোর দিয়ে কিছু বলছিল না। যাই হোক, আমি জামা কাপড় গুছিয়ে রেডি হলাম তুন্নু'র বৌভাত খেতে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্যে। পরপর কয়েকবার ফোন করে শুভ নিশ্চিত হল আমি যাচ্ছি কিনা, আর জানিয়ে দিল ট্রেনের সময়। ক'টায় কোথায় পৌঁছুতে হবে তাও বিস্তারিত বুঝিয়ে দিল। বিকেল বিকেল রেডি হয়ে ষ্টেশনে পৌঁছে দেখা গেল শুভ তখনো পৌঁছোয়নি, রাস্তায় আছে, খাবার তুলে নিয়ে পৌঁছুচ্ছে। ষ্টেশনের মেন গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই এল তথাগত। তথাও কমন ফ্রেন্ড। জোড়ে নেমন্তন্ন ছিল তারও কিন্তু তথার পুঁচকেকে নিয়ে কিছু একটা ঝামেলা বাধায় তথা একলাই যাত্রী। এখানে তথার একটু পরিচয় দিয়ে নেয়া ভাল। তথাগত পেশায় সাংবাদিক। হারবার্ট-কাঙাল মালসাট- ফ্যাতাড়ু'র স্রষ্টা নবারুণ ভট্টাচার্য-র সুপুত্র ও খ্যতনামা লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর পৌত্র। তুমুল আড্ডাবাজ তথা থাকা মানেই যেকোন আড্ডায় এক আলাদা মাত্রা যোগ হওয়া। ছোট হাফপ্যান্ট ও ও লাল টিশার্ট পরা তথা পিঠে স্যাক, হাতে জলের বোতল ঝুলিয়ে পৌঁছে গেল শুভজিতের আগেই। ছোটখাটো রোগাসোগা চেহারার দেখতে তথার মুখভর্তি দাড়ি আর ঘাড়ের নিচ অব্দি চুল সযতনে বেখেয়ালে বাড়ানো। আর তথা সারাক্ষণ দাড়িতে হাত বুলায়।

কুলি সাথে নিয়ে হাজির শুভ। কুলির মাথায় শুভর ট্রলি ব্যাগ আর হাতের বিশাল কাপড়ের ঝোলা ভর্তি খাবারের প্যাকেট দেখে রিতিমত ভয় পেলাম, অত খাবার, আমরা মানুষ কতজন? শুনলাম, শুভর আত্মীয়-স্বজনেরাও যাচ্ছেন এই ট্রেনেই আর েখানে সকলেরই রাতের খাবার। অচেনা সব মানুষের সাথে যাচ্ছি ভাবতেই একটু অস্বস্তি হচ্ছিল। শুভ সেটা বুঝতে পারে, বলে, আরে, ওঁরা সব বয়স্ক মানুষ, পাশের কম্পার্টমেন্টে করে যাবেন, আমরা আমাদের মত করে যাব, কোন অসুবিধে হবে না। বয়স্ক আত্মীয়েরা সঙ্গে থাকলে অসুবিধেটা যে আমার থেকে বেশি ওরই হত সেটা বলাই বাহুল্য! শুভর কাঁধে ঝোলানো স্যাকে দেখলাম দু খানা জলের বোতল। আমি নিজে কোন জলের বোতল আনিনি ভেবে সংকোচ হচ্ছিল। কোচ নম্বর ধরে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছুতে দেখা হল শুভর আত্মীয়দের সাথে। কেউ কাকা, কেউ মামা তো কেউ শুভর বাবা'র বন্ধু। সকলেই ষাটের উপরে। ট্রেন আসার আগেই এল ঝড়। প্রচন্ড ঝড়। কালবৈশাখী। প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকা যাবতীয় খালি বোতল, কাগজপত্র তো উড়লই বাতাসের তোড়ে রোগা-পাতলা তথারও উড়ে যাওয়ার যোগাড়!

ইডেনে তখন আপ্রাণ লড়ে যাচ্ছে শাহরুখ খানের নাইট রাইডার্স। মরন-বাঁচন লড়াই। হয়তো জিতেও যেত নাইট রাইডার্স কিন্তু বাঁধ সাধল ও‌ই ঝড়। ওভার কমে গিয়ে রান রেটে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুহুর্মুহু ফোনে খেলার খোঁজ নিতে থাকা আমরা ক্রমশই মুষড়ে পড়ছিলাম। অবশেষে তুমুল খিস্তি শুরু হল নাইটদের উদ্দেশ্য করে। সেই খিস্তির কাছে আরেকটু হলেই কালবৈশাখী হার মেনে যাচ্ছিল আর কী !! ঝড়-বাতাস সামলে টলমল টলমল করতে করতে নীলায়ন আর শুক্লা এসে পৌঁছুলো সবার শেষে। শুভজিত আদর্শ মেজবানের মত সকলকে যার যার কম্পার্টমেন্টে-সীটে তুলে দিয়ে এল। ইতিমধ্যে শুভ দুই কার্টন মিনারেল ওয়াটার কিনছে দেখে জানতে চাইলাম, অত জল? তোমার ব্যাগেও তো দু বোতল দেখা যাচ্ছে! কোন জবাব না দিয়ে শুভ পয়সা মেটাল মিনারেল ওয়াটারের। আস্তে করে তথা জানান দিল ব্যাগে কি ওগুলো জল নাকি? ওগুলো তো রেডিমিক্স!

‍-চলবে‍-


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঠিক!
ব্যাগে কি আর জল রাখা যায়? ব্যাগ কি জল রাখার জায়গা?
পড়া শুরু কইরা দিলাম....



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

শ্যাজা এর ছবি

ঠিক!
ব্যাগে কি আর জল রাখা যায়? ব্যাগ কি জল রাখার জায়গা?

ঠিক!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে চিয়ার্স... আমি মাত্রই শুরু করলাম...
পড়াও শুরু করলাম। শিলিগুড়ি যাওয়া হয় নাই... ঘোলেই তো মিটাতে হবে তাইলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শ্যাজা এর ছবি

আমার তো ফিরতেই ইচ্ছে করছিল না, খুব মন খারাপ লাগছিল... নিতান্তই ফিরতে হয় বলে ফিরে আসা...


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ঠিকই তো. জলপেট না হলে আর জার্নি হয় নাকি?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শ্যাজা এর ছবি

হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমি ওই ম্যাচটি লাইভ দেখছিলাম, এত্ত মন খারাপ হল শেষে এভাবে হেরে গেল মন খারাপ আনফেয়ার মন খারাপ , ওই ঝড়টা না হলে নাইট রাইডার্সরা জিতে যেত নিশ্চিত
মন খারাপ আমিও এত বাতাস দেখে অবাক হয়েছিলাম কিরকম হঠাত করে সব বোতল কাগজ উড়িয়ে এনে মাঠে ফেলছিল।
বৌভাতের গল্পের অপেক্ষায় ....
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শ্যাজা এর ছবি

আসলে করারও কিছু ছিল না। যা ঝড় হয়েছিল সেদিন!

আপনাকে ধন্যবাদ মুমু..


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অচেনা কেউ এর ছবি

শ্যাজা আপুকে আজকাল তো বলতে গেলে দেখাই যায়না, অনেক ব্যাস্ত থাকো মনে হয় ! তোমার লেখা অনেকদিন পর পড়লাম।খুব ভাল লাগছিল।আগামী পর্ব পড়ার জন্য তর সইছেনা যে !! শিলিগুড়ি আমারও যাবার খুব ইচ্ছে।

শ্যাজা এর ছবি

মাঝে মাঝেই অন্তর্জাল আমাকে তার জগত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। যার জন্যে ইচ্ছে থাকলেও দেখা দেওয়া সম্ভব হয় না।

অচেনা কেউ নামে কাওকে চিনি বলে মনে পড়ছে না কিন্তু তুমি খোঁজ করে লেখা পড় জেনে আনন্দিত। কে পড়ছে জানলে আরো ভালো লাগবে..পরেরটুকু লিখছি..

শিলিগুড়ি বেড়াতে গেলে হাতে একটু সময় নিয়ে যাওয়া ভাল। চারপাশে এত যাওয়ার জায়গা যে ভেবে মাথা খারাপ হয়ে যায় কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখি বা কোথায় যাই। আর যেখানেই যাই, মনে হয়, আহা! ইশ্বরের কী অপরূপ সৃষ্টি!! মাথা নত হয়ে আসে আপনা থেকেই...


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অমিত আহমেদ এর ছবি

লেখা দুর্দান্ত হচ্ছে। শুভ লোকটিকে বিশেষ ভালো পাইলাম। আর পারলে নাইটরাইডার্সদেরকে দেয়া খিস্তিখেউড় কিছু তুলে দেন। আমিও শালাদের সাপোর্ট করে গেছিলাম বাঙালি বলে।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

শ্যাজা এর ছবি

ওদেরকে সমস্ত বাঙালীই বোধ হয় সাপোর্ট করছিল বাঙালী টিম বলে। অনেকের মুখে শাহরুখের জন্যে প্রবল সমবেদনা দেখেছি, আহারে, বেচারা এত পরিশ্রম করল আর দল কী দিল?!

খিস্তি-খেউড়গুলি? অনুমান করে নেন না আর মনে মনে যে কয়টা পারেন দিয়া দেন। একটাও ফালান যাইবো না হাসি

১৫বছরের এক ক্রিকেটপাগল ছেলে ম্যাচগুলো দেখছিল আর বলছিল, সৌরভ এখনো কেন খেলে যাচ্ছে? তাও আবার ক্যাপ্টেন হয়ে? ওর এই মুহুর্তে খেলা ছেড়ে দেওয়া উচিত!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অমিত আহমেদ এর ছবি

শাহরুখকে আমার অসহ্য লাগে। কলকাতার সাথে তার নাম জড়িয়ে আছে এটা ভেবেও মেজাজ খচে থাকতো সর্বদা। আর সৌরভকে নিয়ে কলকাতার আদিখ্যেতা এখন শেষ হওয়া দরকার। ১৫ বছরের ছেলেটি তা ঠিক ঠিক বুঝে নিয়েছে।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আরো শিলিগুড়ি এবং এরপরের এপার পর্বের অপেক্ষায়।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

শ্যাজা এর ছবি

ওপার পর্ব নিয়ে একটা সিরিয়াস লেখা নামানোর ইচ্ছে আছে সেজন্যেই এই শিলিগুড়িটা নিয়ে আগে লিখে ফেললাম। দেখি কবে হয়..

পাহাড় থেকে ঘুরে আসা অব্দি মাথায় ঘুরছিল, লিখব লিখব.. কিন্তু অন্তর্জালিক বিভ্রাটে হয়ে উঠছিল না।

যাগ্গে..


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

দিগন্ত এর ছবি

আমার নিজের উত্তরবঙ্গ খুবই ভাল লাগে, সবথেকে বেশী ভাল লাগে মানুষজন। ওখানে মানুষ অনেক সরল আর সাধাসিধে জীবনযাপণ করে, যেটা আমাদের দক্ষিণের লোকজনে ভাবতেই পারে না। আতিথেয়তাতেও কোলকাতার মত কিপ্টে ভাব নেই। আর পাহাড়ের তো কথাই নেই ... মানুষই অন্যরকম।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের মতোই, সিস্টেম এদের এখনও পুরা সিস্টেম করতে পারে নাই বলে বোধহয়...

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শ্যাজা এর ছবি

ওখানে সমতলের মানুষজন একরকম আর পাহাড়ের মানুষজন আরেকরকম। নানারকম সমস্যায় জর্জরিত। কিছু মনুষ্যসৃষ্ট আর কিছু প্রাকৃতিক। তবে ওদের আতিথেয়তার সত্যিই জুড়ি নেই।

আমি খুব অল্প সময়ের জন্যে গিয়েছিলাম, সেভাবে স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা-বার্তাও হয়নি। আবার যাওয়ার ইচ্ছে খুব শিগ্গিরই। বর্ষাটা কাটুক আর ততদিনে পাহাড়ও নিশ্চয়ই বর্তমান রাজনৈতীক অস্থিরতা কাটিয়ে শান্ত হবে..


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অচেনা কেউ এর ছবি

দিগন্ত ভাই কোলকাতার মানুষজন আসতেছে শুনলাম আপনাকে সাইজ করার জন্য।হাঃ হাঃ হাঃ।

ফারুক ভাইয়ের কমেন্ট দেখে তো ফুলে গেলাম।আমিও যে উত্তরবংগের ছেলে ! চোখ টিপি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍সুলিখিত ভ্রমণকাহিনী আমার বরাবরই ভালো লাগে।
চলুক!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।