ছবিব্লগ: আপকো দেখকর তো যমীন ডর জায়েগী, আপ যমীন সে কিউ ডরতি হ্যায়!!

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০০৮ - ২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-৪-

দার্জিলিং চা'এর বাগান, তরাইয়েদার্জিলিং চা'এর বাগান, তরাইয়ে

শিলিগুড়ি থেকে ফিরে এসেই বেড়ানোর গল্পটা লিখতে শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করে উঠতে পারিনি। এমন নয় যে সময় পাইনি। আবার খুব যে সময় পাই তাও নয়। সংসারী মানুষের নানা হ্যাপা। তবে আলসেমীও একটা বড় কারণ, স্বীকার করে নিই। আবার অনেক সময় শুধু পড়ি। সব লেখাই যে পড়ি তাও নয়। তবু বেশির ভাগই পড়ি। লগইন না করেই। এর মাঝে অন্য বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছি, ভেবেছি, ওটা পরে লিখব! কিন্তু হয়ে উঠছে না আর। যখন বেড়ানোর গল্পটা শুরু করেছিলাম, তখন অনেকেই ছবি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ছবি বিষয়ে একটু সমস্যা ছিল তিনটে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়েছিল, একটা আমার একটা তথাগত'র আর অন্যটা নীলায়ণের। আমার ছবিগুলোর আকার ছোট করতে পারছিলাম না, নীলায়ণের ছবি হাতে পাইনি আর তথা শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছে এখানকার পাট চুকিয়ে এবং ছবিগুলো আমাকে না দিয়েই। আজকে বিকেলে হঠাৎ শুক্লা এসএমএস করে মেল ঠিকানা জানতে চায়, ছবিগুলো ও নাকি খুঁজে পেয়েছে নীলুর ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা এক্সট্রা হার্ড ডিস্কে। বলে রাখা ভাল নীলু প্রচন্ড খামখেয়ালী। সকলের ছবি তোলে, কিন্তু দিচ্ছি দেব করে কাউকেই ছবি দিয়ে উঠতে পারে না। শুক্লার মেলে কয়েকটা ছবি পেলাম। দেখামাত্রই বেড়ানোর সবকটা ছবি যেন একসাথে জীবন্ত হয়ে উঠল! গল্পটা আদৌ শেষ হবে কিনা সে বিষয়ে নিজেই সন্দিহান হওয়াতে আপাতত ছবিগুলো তুলে দিলাম, পরিচিতিসহ।। সাথে সংক্ষেপে কয়েক লাইন।

নীলায়ণ, শুক্লা, তথা, শুভ ( পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে)

বৃষ্টি মাথায় করে আমরা রওয়ানা দিয়েছিলাম হিলকার্ট রোড ধরে, দার্জিলিংএর পথে। কোথায় যাওয়া হবে কোন ঠিক-ঠিকানা নেই যদিও, তবু ও‌ই রাস্তা ধরে এগুনো হচ্ছিল, কোথাও একটা তো যাওয়া হবেই! পাহাড়ের রাস্তায় খানিকটা উঠতেই দেখা গেল রাস্তার পাশের পাশের জঙ্গলের গাছ ভেঙে পড়েছে, রাস্তা বন্ধ, আর যাওয়া যাবে না। ঝিরঝিরে বৃষ্টি মাথায় করে নেমে পড়লাম সব রাস্তায়। খানিক হাঁটাই যাক!

ছাতা মাথায় তথা

আরও কিছু গাড়িও দাড়িয়ে পড়েছে, আটকে পড়া যাত্রীরা দেখলাম নিজেরাই টেনেটুনে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে লেগে গেছে, কিন্তু সেও কতক্ষণে হবে কে জানে!
ও‌ই দেখা যায় টয় ট্রেন!
জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে দেখা গেল, দাঁড়িয়ে আছে কু ঝিক ঝিক টয়ট্রেনটিও, তারও আগে বাড়ার পথ রুদ্ধ, ভেঙে পড়া গাছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে খানিক ছবি তোলা, খানিক নয়নভরে দেখে নেওয়া চারপাশের বৃষ্টিভেজা ঝকঝকে সবুজ।
মিটিন; কোথায় যাওয়া যেতে পারে!
অন্য রাস্তা ধরে কার্শিয়াং যাওয়া সাব্যস্ত করে আমরা আবার গাড়িতে।

গাড়ি ঘুরিয়ে আমরা আবার অন্যপথে। সময় কম। বেলা প্রায় বারোটা বাজে, বিকেলের মধ্যেই ফিরতে হবে, এর মধ্যে যেটুকু দেখে নেওয়া যায়। বেরুনোর আগেই বলে নিয়েছিলাম মোমো খাব। অন্য কোন লাঞ্চ নয়। শুধু মোমো। নেপালীদের তৈরি, নেপালী ধাবায় বসে মোমো খাব। ড্রাইভার জানাল, পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে প্রচুর ধাবা পাওয়া যাবে, চিন্তার কিছু নেই। আমাদের গাড়ি চলল, কার্শিয়াংএর পথে। কিন্তু বিধি বাম। কার্শিয়াংএ একটা গন্ডগোল চলছিল সেদিন। অনেকদিন ধরেই চলছিল, কিন্তু সেদিন একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই হয়েছিল বলে খবর।পাহাড়ে অবশ্য অনেক আগে থেকেই রাজনৈতীক ডামাডোল চলছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবীতে। কার্শিয়াং যখন আর তিন হাজার ফিটের দূরত্বে, একটা মোড়ে ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে বলল, আর যাওয়া যাবে না, বাড়ি থেকে বারণ করে দিয়েছে কার্শিয়াং যেন না যায়! গেলে আটকে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল! আমরা তবুও ড্রাইভারকে অনুরোধ জানালাম, আমাদের প্রাণটি হাতে নিয়ে তুমি বাবা এই আট হাজার ফিট তুলে এনেছ, আর খানিকটাও নাহয় চল! কিন্তু সে মুখে কিছু না বলে গাড়ি থামিয়ে দিল এক ধাবার সামনে, বলল, আপনারা মোমো খেয়ে নিন!
নেপালী ধাবানেপালী ধাবা

পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা যার নেই সে কল্পনাও করতে পারবে না সে যে কি জিনিস! চুলের কাঁটার মত বাঁক ঘুরে সরু রাস্তা দিয়ে গাড়ি চড়ে যায় উপরে, আরও উপরে। কখনও একপাশে তো কখনও দু পাশেই হাজার হাজার ফুট খাদ! গাড়ি যদি পড়ে তো মানুষ তো কোন ছার গাড়ির টুকরো টাকরাও খুঁজে পাওয়া যাবে না! ড্রাইভারের মুখে শুনলাম, এখানে যদি কোন গাড়ি খাদে পড়ে যায় তাহলে প্রথম যে গাড়ি বা মানুষের চোখে সেটি পড়ে তারা এসে রাস্তার ধারে লাগিয়ে রাখা কালো বোর্ডে গাড়ির নাম, নম্বর, ও গাড়ির আরোহীদের নাম লাল চক দিয়ে লিখে রেখে যায়।! সমতল ছেড়ে গাড়ি যখন পাহাড়ের দিকে এগুচ্ছে তখন দেখলাম ফলকে লেখা আছে, ইটস বেটার টু বি লেট নট টু বি মিষ্টার লেট! বুকের ধুকপুকুনি তখনই বেড়ে গেসল! শরীরের হাড়-মাংস-রক্ত ততক্ষণে অলরেডি জমে বরফ তায় এই সব গল্প! ড্রাইভারকে প্রায় চেঁচিয়েই বলি, মন দিয়ে গাড়ি চালাও, কথা বলতে হবে না! চোখ বন্ধ করে দুই হাতে শক্ত করে পাশে বসা মানুষটিকে ধরে শক্ত হয়ে বসে থেকে শুধু প্রভুর নাম জপ করি, এবারে বেঁচে ফিরে যেতে পারলে আর কখনও পাহাড়ে আসার নাম করব না! শুক্লা মাঝে মাঝেই চেঁচিয়ে উঠছিল ভয়ে আর সে নিয়ে প্রবল হাসাহাসি করছিল গাড়িতে বসা অন্যরা। চোখ বন্ধ করে রাখতেও ভয় পাই, জোর করে চোখ খুলে রাখি, গাড়ি যদি পড়ে তবে অন্তত যেন কলমাটা পড়তে পাই। চোখ মুদে থাকলে তো জানতেই পারব না যে গাড়ি পড়ছে!

ও'পাশে কার্শিয়াং উঠে যাওয়ার রাস্তা আর বাঁকের এপাশে নেমে যাওয়ার পথও'পাশে কার্শিয়াং উঠে যাওয়ার রাস্তা আর বাঁকের এপাশে নেমে যাওয়ার পথ
সবাই রাস্তার উপর হাঁটাহাটি করছে, রাস্তার ধারে গিয়ে খাদ দেখছে, আমি গাড়ির পাশে গাড়িকে শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। পা দুটো থরথর কাঁপছে! শুভ, তথা এসে হাত ধরে টানাটানি করছে, খাদের পাশে দাঁড়িয়ে নিচের দৃশ্য দেখার জন্য। সে নাকি অপূর্ব! অনন্য সাধারণ! কিন্তু আমার পা কিছুতেই রাস্টার ধারে যায় না। চেষ্টা করেও যেতে পারি না। েমনিতেই আমার উচ্চতায় ভয়। চারতলা বাড়ির ছাদে থেকে আমি নিচের দিকে তাকাতে পারি না, মনে হয় পড়ে যাব! তথা বুঝতে পারে, বলে ছেড়ে দাও ওকে, ওর ভয় আছে হাইটে! শুভ তবুও মশকরা করে যায় সমানে। এমনকি শুক্লাকেও দেখা গেল ভয়-ফয় দূরে সরিয়ে রেখে রাস্তার ধারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে! রাস্তার একপাশে কিছু ষ্টোনচিপস জড় করা ছিল, আমি গিয়ে সেটার উপর বসি। ওরা ছবি তোলে। ছবি তোলার আমিও চেষ্টা করি কিন্তু সে রাস্তার এপাশ থেকে, পাহাড়ের গা ঘেঁষে দাড়িয়ে। তাতে করে রাস্তার ধারের রেলিংএর ছবিই ওঠে। নিচের পাহাড়, উপত্যকা, গাছপালা, পাহাড়ের গায়ে গায়ে চায়ের বাগান আর খাদের ছবি ওঠে না।
রাস্তার ধারের রেলিংএর ছবিরাস্তার ধারের রেলিংএর ছবি

ধাবায় ঢুকে নেপালী হাতে রান্না করা মোমো আর পাহাড়ী ছাগলের প্রায় আধসেড্ধ ঝাল ঝাল মাংস ভরপেট খেয়ে ফেরার পথ।মোমোর সাথে ওরা এক অসাধারণ সস দেয় খেতে। সস বলতে, শুকনো লাল লংকা আধবাটা করে নিয়ে ভিনিগার দিয়ে হালকা করে শুধু আগুনের উপর বসিয়ে নিয়ে নেড়ে-চেড়ে নেওয়া। গোটা গোটা লংকার দানা আর টকটকে লাল রং দেখলেই জিভে জল এসে যায়। আর সে কী দুর্দান্ত ঝাল সেই সস! আমার সঙ্গীরা সব শুয়োরের মাংসের মোমো খেতে চািছিলেন কিন্তু সে ফুরিয়ে গেছে শুনে আমি যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। অন্তত শুয়োরটা আমার পোষাবে না। খেলাম চিকেন মোমো। আহা! সে কি স্বর্গীয় স্বাদ! নামার সময় আর অতটা ভয় লাগল না। কেন কে জানে। সন্ধেবেলা বৌভাত আর তারপরে রাত ভোর হওয়া অবদি শুভ আর তথার অত্যাচার। কাউকে ঘুমোতে যেতে দেবে না। সবাইকে জেগে থেকে আড্ডা দিতে হবে আর তরল গিলতে হবে। গিলতেই হবে! শুক্লা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়েই পড়ল। তিনটে অবদি আমিও কোনমতে বসে থকলাম। শেষে অনেক অনুরোধ উপরোধ করে ঘুমোতে যাব বলে রাজী করানো গেল। সকাল ছ'টায় গাড়ি আসবে, আমাদেরকে 'মিরিক' নিয়ে যাওয়ার জন্যে।

মোবাইল ফোনের উপুর্যপোরি ঘন্টায় ঘুম যখন ভাঙল, বেলা তখন সাড়ে ন'টা। শুভজিতের নতুন বোন'জামাই অনির্বাণ এসে ডোরবেল বাজানোতে তার ঘুম ভেঙেছে আর সে সকলকে ফোন করে ঘুম ভাঙিয়েছে! ঘটনা হল, সাড়ে ছ'টায় গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার এসে হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে শেষমেষ অনির্বাণকে গিয়ে ডেকে এনেছে ঘটনা কি দেখার জন্যে! সারা ঘরময় ছড়ানো বোতলেরা গড়াগড়ি করছে দেখে অনির্বাণ আর ঘরে ঢোকেনি, বাইরে থেকেই জানিয়ে দিল গাড়ি অপেক্ষা করছে, আপনারা রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ুন। সন্ধে সাতটায় ট্রেন, কাজেই পাঁচটার মধ্যে হোটেলে ফিরতে হবেই!

( আজও শেষ করা গেল না। রাত দুটো বাজে। বাকিটুকু কাল সকালে। প্রমিস! )


মন্তব্য

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আগে শেষ(সঞ্চয়) হোক তারপর বলাবলি।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

শ্যাজা এর ছবি

ঠিক হ্যায়!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

দময়ন্তী এর ছবি

বোঝো কান্ড!! এইটুকুনিতেই কি অবস্থা!
তুমি তো তাহলে লেহ্ লাদাখ, কানোসর, সিউনি এমনকি , এমনকি কৌসানি, রানিক্ষেত বা ঘরের কাছের সিমলা , কসৌলিতেও যেতে পারবে না ৷ আহারে বেচারী ৷

হাইট সিকনেস কাটানোর জন্য সঙ্গে আদা থেঁতো করে (বেটে নয় কিন্তু) আর লেবুর কুচি নিয়ে যেতে হয় ৷ আদা থেঁতোর মধ্যে অল্প অল্প লেবুর রস চিপে চুকচুক করে চাটলে অত শরীর খারাপ লাগে না, আস্তে আস্তে কমে আসে ৷ সাথে সাথে ভয়ও কমে ৷ আদা না থাকলে শুধু লেবু নিয়ে সেফটিপিন জাতীয় কিছু দিয়ে ফুটো করে একটু একটু শুঁকবে ৷ বেশী খারাপ লাগলে অল্প অল্প করে লেবুর রস চাটবে আর সঙ্গে অল্প নুন থাকলে তো ভালই ৷ আর পাহাড়ে কক্ষনো কক্ষনো খালি পেটে চড়তে নেই ৷

আমারও অবশ্য ভার্টিগো আছে ৷ হাঁচোড় পাঁচোড় করে চড়াই উঠে পরে আর নামতে পারি না ৷ কিন্তু গাড়ীতে গেলে এলে আবার ভার্টিগো কি !

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শ্যাজা এর ছবি

দমু,
পরেরবার পাহাড়ে যাওয়ার সময় তোমার এই কথাগুলো নোট করে নিয়ে যাব।

ভরপেট খেয়েদেয়ে নামার সময় সেজন্যেই কি আর ভয় লাগেনি!!

চিন্তা করো না। আমি নিশ্চিত আবার পাহাড়ে যাব!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুর্দান্ত বর্ণনা
মানুষ সচবে জীবন্ত করে লিখতে পারে তার বেড়ানোর কাহিনী
যদি তা সঙ্গে সঙ্গে লেখে

দেরি না করে বাকিটাও লিখে ফেলেন

শ্যাজা এর ছবি

কয়েকটা লাইন একটু উল্টোপাল্টা হয়ে ছিল, ঠিক করে দিলাম।

লীলেনজী,
কাল ছবিগুলো দেখে ও‌ই দু'টো দিন একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠল যেন। সব সব যেন দেখতে পাচ্ছি পরিস্কার!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

খেকশিয়াল এর ছবি

আহারে আমার পেইলিং, গ্যাংটক, দার্জিলিং ট্যুরটার কথা মনে পইড়া গেল ! আহা কি ট্যুর দিসিলাম একটা মন খারাপ
চলুক শ্যাজাদি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এতো পাহাড় ভাঙলাম; কিন্তু শ্যাজাদি, আপনার মতো পাহাড় দেখা আর হলো কই! মন খারাপ

লেখা ও ছবি--দুর্দান্ত হচ্ছে...চলুক প্লিজ। হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শ্যাজা এর ছবি

আমি আর পাহাড় কোথায় দেখলাম বিপ্লব'দা..

তবুও আপনি প্রশংসা করলেন, ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

রেজওয়ান এর ছবি

চমৎকার লেখা!

স্মৃতিগুলো ফিরে আসছে। দুবার দার্জিলিঙ গেছি। একবার বন্ধুদের সাথে সেই নব্বুইয়ের দশকের প্রথম দিকে, আরেকবার বধুর সাথে, আমাদের হানিমুন। অনেক ঘটনা.. অনেক অনুভব।....

ধন্যবাদ আপনাকে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

শ্যাজা এর ছবি

ধন্যবাদ রেজওয়ান..

আমার তো ঝটিকা সফর ছিল।শুধু উঁকি দিয়ে দিয়ে যাওয়ার মত ব্যাপার। পাহাড়ে তো থাকাই হয়নি। প্রথমবার বলে উৎসাহটা বেশি ছিল। আনন্দ আর ভয়টাও বেশি ছিল।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ছবিগুলো দেখে খুব ভাল লাগল।
পারলে পুরোটা সিরিজটা নামিয়ে দিও দিদি। আর তোমার ছবিই তো দেখা গেলনা। এটা কিন্তু ঠিক হলনা।পরেরবার তোমারটাও দেওয়া চাই। বর্ণনার ঢং ভাল হয়েছে খুব।

--------------------------------------------------------

শ্যাজা এর ছবি

পরের পোষ্টে ছবি দিলাম যে..

দেখোনি বুঝি?


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

পলাশ দত্ত এর ছবি

জিন্দেগি কিতনা আরামদায়ক এ্যান্ড মজাদার হ্যায়!

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।