জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচক ও বাংলাদেশ: পর্ব -২

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: সোম, ০৮/১২/২০১৪ - ১০:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০১৩ সালের এপ্রিলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের অর্থায়নে এশীয় পানি উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি (Asian Water Development Outlook) প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকাশনায় বাংলাদেশ সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানিসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চিত্র উঠে এসেছে। পানিসম্পদ উন্নয়নের জাতীয় পর্যায়ের এই রূপ আসলে জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচক বা National Water Sequirity Index (NWSI) এর মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে। পুরো রিপোর্টটি এই লিঙ্ক থেকে পড়া যাবে। আমি এই লেখায় চেষ্টা করেছি এই রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশের জাতীয় পানি নিরাপত্তার একটি রূপ তুলে ধরতে। লেখাটি দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব ইতিপূর্বে সচলায়তনে প্রকাশিত হয়েছে যাতে জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচকের মৌলিক তথ্য ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা নির্ণয়ের সার্বিক ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে। এই পর্বে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাপেক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান এবং কিভাবে এই সূচকগুলোর মান বৃদ্ধি করা যায় তা বিশ্লেষণের চেষ্টা থাকবে।

অন্যদের পাশে বাংলাদেশের অবস্থানঃ

এই পর্যায়ে দেখে নেই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশে অঞ্চলে সার্বিক পানি উন্নয়ন সূচকের অবস্থা। এডিবির এই রিপোর্টের আলোকে এই অঞ্চলের মোট ৪৯ টি দেশের মধ্যে কোনটিই সর্বোচ্চ পানি নিরাপত্তা সূচক (৫) অর্জন করতে পারেনি; মাত্র দু’টি দেশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান (৪) অর্জন করতে পেরেছে (অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড); মাঝারি অবস্থানে (৩) রয়েছে ১০ টি দেশ (আর্মেনিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, হংকং, জাপান, কাজাকাস্তান, মালয়শিয়া, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইপে ও তাজিকিস্তান); নিরাপত্তা সূচক ২ অর্জন করেছে সর্বোচ্চ ২৯ টি দেশ; এবং দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সহ মোট ১০ টি দেশ ন্যুনতম ১ নিরাপত্তা সূচক অর্জন করেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার গড় জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচক মাত্র ১.৬ যা কিনা অন্যান্ন অঞ্চলের মধ্যে ন্যুনতম। অন্যদিকে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত দেশগুলির পানি নিরাপত্তা সূচক অপেক্ষাকৃত বেশি। বিশ্বব্যাঙ্কের গভর্নেন্স পরিসংখ্যানের সাথে তুলনা করে দেখা যায় যে এই অঞ্চলে যে দেশগুলিতে গভর্নেন্স সূচক ভাল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই দেশগুলির পানি নিরাপত্তা সূচকের অবস্থান ভাল। নিচের গ্রাফটিতে বিষয়টি দেখানো হয়েছে।

water-security-adb

অবস্থার উন্নয়নের উপায়ঃ

এবারে আসা যাক কি কি পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ তার জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচকের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে তার ব্যবচ্ছেদ পর্বে। ইতিপূর্বে বলা হয়েছে যে জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচক মূলত পাঁচটি সাব-সূচকের সমন্বয়ে নির্নীত।এগুলো হচ্ছেঃ গৃহস্থালির পানির নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা, শহরাঞ্চলের পানির নিরাপত্তা, পরিবেশের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা, এবং পানি সম্পর্কিত দুর্যোগের সাথে অভিযোজনের ক্ষমতা। জাতীয় পানি নিরাপত্তা সূচকের উন্নতি ঘটানোর জন্য প্রয়োজন সাব-সূচক গুলোর মান উন্নয়ন।

প্রথমেই আসা যাক গৃহস্থালীর পানি নিরাপত্তা সূচকে।গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসব দেশে গৃহস্থালীর পানি নিরাপত্তা সূচকের মান ভাল সেই সব দেশের মাথাপিছু জিডিপি এর মান ভাল।গৃহস্থালীর পানি নিরাপত্তা সূচকের মানের উন্নতি ঘটানোর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অর্থায়নের সমন্বয় ঘটানো। গবেষণা মতে, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য যদি ১ টাকা ব্যয় করা হয় তাহলে চিকিৎসা খাতের ব্যায় হ্রাস পাবে ৫ থেকে ৪৬ টাকা। সেই সাথে অর্থনৈতিক উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা খাতে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরী সহযোগীতা ও স্বায়ত্বশাসন দেয়া উচিৎ। তার আগে অবশ্যই এসব সেবা প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপরায়ণতা সম্পর্কে সরকারকে নিশ্চিৎ হতে হবে। সে সাথে পয়ঃনিষ্কাশন খাতে বিনিয়োগ দিগুণ করা উচিৎ।

বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা সূচক এর মান ৩ এর একটু উপরে। অন্যান্ন সূচকের চেয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা সূচকের মান একটু উন্নত কারন স্বাভাবিক ভাবেই সরকার, বেসরকারী সংস্থা এবং ব্যাক্তি মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানসমুহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ (পানিসম্পদ)এর যোগানের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। তবে এর পরেও এই সূচকের উন্নয়নের জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ জরুরী। গবেষণায় এসেছে, সেচ ব্যবস্থা আধুনিককরণ ১ টাকা নিনিয়োগ করলে গ্রামাঞ্চলের জিডিপি প্রায় ২ টাকা বৃদ্ধি পায়, তাই সেচ ব্যবস্থার আধুনিক করণ আশু প্রয়োজন। পানির চাহিদা ও ভোগের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সেই সাথে পানির ব্যবহারকারীদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হ্রাসের জন্য নীতি নির্ধারণ প্রয়োজন। উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে সম্ভাব্য জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য নদীপ্রবাহের পরিবর্তন, ভাটি অঞ্চল ও জলাভূমিতে প্রভাব এইসব বিষয় নিয়ে আসা উচিৎ।

গৃহস্থালীর পানি নিরাপত্তা সূচকের মতই একটি দেশের মাথাপিছু জিডিপি এর মান উন্নয়নের সাথে সাথে সেই দেশের শহরাঞ্চলের জন্য পানির নিরাপত্তা সূচক এর মান বাড়ে। লক্ষ্যনীয় যে দক্ষিণ এশিয়ায় পানি নিরাপত্তা সূচকের এই উপ-সূচকটির মান খুবই নিম্ন ( বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর মান ১ যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান)। শহরাঞ্চলের জন্য পানি নিরাপত্তা সূচক বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কর্পোরেট ঘরানার গভর্নেন্স প্রনয়ন করা। এই সূচকের উন্নয়নে এর পর যে পদক্ষেপটি নেয়া উচিৎ তা হচ্ছে নন-রেভেনিউ ওয়াটার হ্রাসকরনে যথোপযোগ্য বিনিয়োগ করা। নন-রেভিনিউ ওয়াটার হচ্ছে সরবরাহকৃত পানির সেই অংশ যা কিনা ভোক্তার কাছে পৌঁছাবার আগেই হারিয়ে যায়। উদাহরন সরূপ বলা যেতে পারে সরবরাহকৃত পানির যে অংশ অপচয় হয়, অথবা মিটার ম্যানুপুলেশন করে (মিটার রিডিং এর অন্যায় ভাবে পরিবর্তন) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দূষিত পানির পরিশোধনে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং যত্রতত্র পরিবেশে দূষিত পানির নিঃসরণ বন্ধ করলে তা এই উপসূচকের মান উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ভাবে বন্যা ব্যবস্থাপনা করা, সমন্বিত ভূমি ও পানি ব্যবস্থাপনা আনয়ন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনার উন্নয়ন শহরাঞ্চলের জন্য পানির নিরাপত্তা সূচক এর মান উন্নীতকরণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা সূচকের মান মাত্র ১ ( ৫ এর স্কেলে)যা কিনা দক্ষিণ এশিয়ার গড় মানের সমান। কিছু পরিসংখ্যান দিলে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার এই সূচকের মান কেন কম সেটা অনুধাবন করা যায়। পৃথিবীর শতকরা ৬০ ভাগ জনসংখ্যা বাস করে এশিয়ার দেশগুলোতে, ফলশ্রুতিতে এই অঞ্চলে জনপ্রতি স্বাদু পানির যোগান সর্বাপেক্ষা কম। এশিয়ার শতকরা ৮০ ভাগ নদীর সার্বিক অবস্থা নাজুক যা কিনা অর্থনীতি ও সার্বিক জীবনযাত্রার উপর বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দেয়। পরিবেশের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা সূচকের এই নিম্নমান আসলে এই অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। কিন্তু এই অবস্থা থেকে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন পানি সম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন। আশার কথা হলো বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রনীত পানি আইনের প্রথমেই বলা হয়েছে যে পানি সম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, আহরণ, বিতরণ, ব্যবহার, সুরক্ষা ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই আইন হয়েছে। কিন্তু কিভাবে আমরা সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা আনয়ন করব? সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি নদী অবাহিকার সার্বিক পানিসম্পদের ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একটি সমন্বিত ব্যবস্থা। ধরা যাক একটি নদীর পানি সেচ ও শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু সেই পানি এমন ভাবে নদী থেকে উত্তোলন করতে হবে যাতে তা নদীতে বসবাস কারী জীবের ( যেমন মাছ, অন্যান্ন জলজ প্রানী ও উদ্ভিৎ)প্রতি হুমকীসরূপ না হয়। একই ভাবে শিল্পকারখানা থেকে বর্জ্য-মিশ্র পানি সঠিক ভাবে পরিশোধন না করে তা নদীতে ফেলা যাবেনা। সেই সাথে পানির দূষণ রোধে ও নদীর পূণঃসংরক্ষণ কল্পে সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। গবেষণামতে, নদীর পূনঃসংরক্ষণ কল্পে ১ টাকা বিনিয়োগ করলে এর বিনিময়ে অর্জিত মুনাফা হবে ৪ টাকা।

পৃথিবীর শতকরা ৯০ ভাগ দূর্যোগ হচ্ছে পানি সম্পর্কিত। উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হচ্ছে পৃথিবীতে পানি বিষয়ক দূর্যোগের ক্ষেত্রে দুটি সবচেয়ে ঝুকিবহুল অঞ্চল এবং ভাবনার বিষয় হচ্ছে এই দূর্যোগের হাত থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে (রেজিলিয়েন্সি) এদের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। বাংলাদেশের জন্য পানি সম্পর্কিত দুর্যোগের সাথে অভিযোজনের ক্ষমতা সূচকের মান মাত্র ১ যা কিনা দক্ষিণ এশিয়ার গড় মানের চেয়ে (১.৮) কিছুটা কম। গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে সব দেশের মাথাপিছু জিডিপি এর মান যত ভাল সেই সব দেশে এই সূচকের মান তত উন্নত। বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়াকে এই অবস্থা থেকে ফিরে আসার জন্য দুটি প্রধান পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমতঃ বন্যা, উপকূলীয় ঘুর্নিঝড় ও জলোছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষেত্রে আধুনিক ও কার্যকরী পূর্ভাভাস ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আশার বিষয় হচ্ছে এই পদক্ষেপে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। নিচের ভিডিও টিতে মোবাইল ভিত্তিক বন্যা পূর্ভাভাস নিয়ে দারুন একটা ভিডিও প্রেজেন্টেশন রয়েছে, আগ্রহী পাঠিক সময় করে দেখতে পারেন।

দ্বিতীয়তঃ দুর্যোগ পরবর্তী পূনর্বাসনের ক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে হবে। এটা করা যেতে পারে দূর্যোগের আগেই কিছু ব্যবস্থা নিয়ে। সেটা হতে পারে দূর্যোগ এর জন্য প্রয়োজনীয় আশ্রয় আবাসন বানিয়ে যাতে মানুষ ও গবাদীপশু সেখানে নিরাপদে অবস্থান নিতে পারে। অথবা বেশ কিছু ভিন্নধর্মী দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নিয়ে।উপরে উল্লেখিত ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কিভাবে বন্যার পূর্বাভাস জেনে আগে থেকেই পুকুরের চারদিকে জাল দিয়ে আটকে দিয়ে পুকুরের মাছকে বন্যার পানির হাত থেকে রক্ষা করা যায়।

পরিশেষেঃ

উপরের আলোচনা থেকে জানা গেল বাংলাদেশের পানি নিরাপত্তা সূচকের যে পাঁচটি আলাদা আলাদা সাব-সূচক রয়েছে সেগুলিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাপেক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়। সেই সাথে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে এই সূচকগুলোর মান বৃদ্ধি করা যায়। এই মান বৃদ্ধির দৌড়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমানে গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসনীয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা হতাশাব্যাঞ্জক। আশা থাকবে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকার এই পানি নিরাপত্তা সূচকের মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরো সচেষ্ট হবে কারন টেকসই উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে পানিসম্পদের উন্নয়ন এবং সেটা বুঝতে যত দেরী হবে দেশের উন্নয়ন ততই বিঘ্নিত হবে।

(সমাপ্ত)


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
বিশ্ব পানি দিবসব্যক্তিগত ব্লগ। কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।


মন্তব্য

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

পূর্বাভাস পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু লিখুন। নিজের বর্তমান কাজের সাথে মিলিয়ে দেখতে চাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

হাসিব এর ছবি

এক্ষেত্রে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা খাতে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরী সহযোগীতা ও স্বায়ত্বশাসন দেয়া উচিৎ।

স্বায়ত্বশাসন মানে কী বোঝাচ্ছেন এখানে? স্বায়ত্বশাসন না দিলে পুরোটাই সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকলে সমস্যা কোথায়?

শহরাঞ্চলের জন্য পানি নিরাপত্তা সূচক বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কর্পোরেট ঘরানার গভর্নেন্স প্রনয়ন করা।

একই রকম প্রশ্ন, কর্পোরেট ঘরাণার গভর্নেন্সে যেতে হবে ঠিক কোন যুক্তিতে?

তানিম এহসান এর ছবি

এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে যারা সরকারী এবং বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করছেন তাদের সাথে শেয়ার করা শুরু করলাম। আপনার লেখাগুলো আমি শেয়ার করি। পরবর্তী পোস্ট দ্রুত আসুক!

উপরে হাসিব ভাইয়ের প্রশ্ন দুটোর উত্তর কি আসে তার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছি। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।