বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রেডের শেষ দিনগুলিতে সবসময় হাতে ছোট একটা মেরুণ রঙের বাধাই করা ডায়েরী নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। হাতের কাছে প্রিয় বন্ধু, বন্ধুপ্রতীম অনুজ বা অগ্রজ যাদেরকেই পেতাম ডায়েরীটা বাড়িয়ে দিতাম কিছু কথা লিখে দেবার জন্য। কেউ নিছক শুভকামনা লিখে দিত, আবার কেউ লিখত খুব আবেগ নিয়ে কিছু, কিংবা নস্টালজিক কোন স্মৃতিকথা। কেউ লিখত বাংলায়, কেউবা ইংরেজীতে। এই দশ বছরে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে কিন্তু হারায়নি সেই ডায়েরিটা। প্রিয় দেশ, প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে অনেক অনেক দূরে থেকেও মাঝে মাঝেই নিয়ে সেই ডায়েরীটা নিয়ে বসি। মনটা খুব খারাপ থাকলে কখনো কখনো কিছু কিছু লেখা সেখান থেকে পড়ি। কখনো মন ভাল হয়, কখনো চোখ ছাপিয়ে কান্না আসে। তারপরেও সেটা সাথে রাখি।
আমার বুয়েট জীবনের পুরো সময়টাই কেটেছে বয়লার খ্যাত নজরুল ইসলাম হলে। চার বছরের একাডেমিক জীবনের প্রথম দুই বছর ছিলাম চারতলায় ৪২৯ নামের রুমটাতে, এর পরের দুই বছর প্রমোশন পেয়ে দুতলার পূর্বপাশের শেষ রুম, ২০১/ক তে। আমাদের পাশের রুমে, মানে ২০১ তে থাকত আদিত্য নামের ’৯৮ ব্যাচের একজন। ওকে একদিন ডায়েরীটা দিয়ে বললাম, আদিত্য, তোমাদের সাথে অনেক স্মৃতি, তার কিছুটা এই ডায়েরীতে তুলে দিও। আদিত্য ডায়েরীটা নিয়ে গেল ওর সাথে। এর কিছুক্ষন পরে আমার রুমে এসে জিজ্ঞেস করল আচ্ছা ভাইয়া আপনার রুমের পাশের ঐ গাছটার নাম কি? আমি বেশ অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম। তবে চেষ্টা করেও গাছের নামটা বলতে পারলামনা।পরের দিন আদিত্য ডায়েরীটা নিয়ে আসল। আমি পড়তে বসলাম,
“ ...আপনাকে ভীষণ মিছ করবে জানালার পাশের শিরিষ গাছটা, লম্বা করিডোরটা আর বোকা বোকা চেহারার পুরনো হলটা; আমি মিছ করব উঁচু গলার রবীন্দ্রনাথের গানগুলো আর ভয়ঙ্কর সুন্দর একজন প্রগতিশীল মানুষকে ...প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনার বিকাশ ঘটুক পরিপূর্ণভাবে ... এই মঙ্গল কামনায় ...
আপনার উপস্থিতিতে গর্বিত আশীর্বাদপ্রার্থী ছোট ভাই -আদিত্য”।
আমি লেখাটা বেশ কয়েকবার পড়লাম। তখন এমনিতেই র্যাগের সময়, কারনে অকারণে চোখ ভিজে আসে। সেই বিষন্ন বিকেলে আরেকবার চোখে পানি এল। আদিত্যের লেখাতেই নিজের বদভ্যেসটা আবার মনে পড়ল। সবসময় হলে সিড়ি দিয়ে উঠে করিডোরটা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হেড়ে গলায় গান ধরতাম। এর জন্য বেশ কয়েকবার বড় ভাইয়াদের অল্প-বিস্তর বকা ঝকাও খেয়েছি, কিন্তু বদঅভ্যেস যায়নি। সেই মন খারাপ করা বিকেলটাতে আমি অনেকক্ষণ বোকা বোকা চেহারার হলটির এক কোণের স্যাঁতস্যাতে রুমটাতে বসে থাকলাম। আদিত্যর সাথে দেখা হয়নি দশ বছর, কোথায় আছে জানিনা।
আমি সারাজীবন আড্ডাবাজ একজন মানুষ। বাবার বদঅভ্যেসটা নিজের মধ্যে দেখে মাঝে মাঝে গর্বে বুকের ছাতি ফুলে উঠত। বুয়েটে হলে উঠার পরেই যখন দেখলাম এক রুমে একই ব্যাচের তিনজন, তখন খুশিতে আটখানা। সারা হলে ব্যাচ ‘৯৬ এর তিনজনের এক রুম খুব বেশি ছিলনা, তাই বেশ কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের রুমটা হয়ে উঠল ব্যাচের আড্ডার আদর্শ একটা জায়গায়। যদিও এক ব্যাচের তিনজনের খুব বেশিদিন থাকা হলোনা। আমাদের আড্ডাতে অতিষ্ট হয়ে আমাদের রুমমেট সেলিম এক বা দুই টার্ম পরেই রুম পরিবর্তন করল, আমাদের নতুন রুমমেট হয়ে আসল সঞ্চয় নামে ব্যাচ ’৯৭ এক ছেলে। চিকন চাকন লম্বা গোছের ছেলেটিকে দেখে প্রথমে ভাবলাম কেমন হবে, আড্ডাবাজ না হলেতো সমস্যা। উঠার পরে দেখলাম আড্ডাবাজিতে ও আমাদের থেকে দুইধাপ এগিয়ে। আমাদের জমে গেল। সঞ্চয় গিটার নিয়ে টুংটাং বাজাতো আর আমাদের সাথে আড্ডা দিত। সঞ্চয়ের সাথে প্রায় এক বছর কাটিয়ে দিয়েছিলাম আমি, আর আমাদের আরেক বন্ধু ও রুমমেট তাবেদ। সঞ্চয় আমার ডায়েরিতে লিখেছিল,
“ বলবনা বিদায়
দেখা হবেনা আবার
বলব কোন নিশ্চয়তার?”
সঞ্চয়ের সাথেও দেখা হয়না দশ বছর। তবে হ্যাঁ, ভার্চুয়াল জগতে ‘ছেলের হাত ধরে অরণ্যের পথে হেঁটে চলেছে সঞ্চয়’- এই দৃশ্যটা দেখে ভাল লাগে। ঠিক যেমন এই লেখাটা যখন লিখছি, তখন আমার ছেলেটাও আমার গায়ে হেলান দিয়ে পা দুলিয়ে দুলিয়ে টিভি দেখছে।
সঞ্চয়ের মাধ্যমে ওদের ব্যাচের আরো অনেকের সাথে আড্ডা হতো। ওদের মধ্যে নোমান আমাদের রুমে প্রায়ই পিএল (প্রিপেয়ারেটরী লিভ) এর সময় আড্ডা আর পড়াশুনা করত রাত জেগে। মধ্যরাতে আমরা কখনো সবাই একসাথে রিকাশায় চেপে নিরবে বা পুরোন ঢাকার হোটেলগুলিতে খেতে যেতাম। কখনো বা অনেক বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক হতো। রাতভর পড়ে বা আড্ডা মেরে আমরা মাঝে মাঝে ভোর ছয়টার চানখারপুলের সোহাগে যেয়ে ভরপেট খিচুড়ী খেয়ে এসে জম্পেশ ঘুম দিতাম। বন্ধু না হয়েও আমাদের সম্পর্কগুলো ছিল বন্ধুত্ত্বের মত। নোমান আমার মেরুণ ডায়েরীটা হাতে পেয়ে লিখেছিল,
“ PL এ রাতের আড্ডা আর হবেনা। সকাল ৬ টায় সোহাগে খিচুড়ী খেতে যাওয়া একসাথে হয়ত বা শেষ। কিন্তু শেষের পরেও আরও কিছু থেকে যায়। হয়তোবা শেষ থেকেই তার শুরু। সেটা আপনি যখন এই লেখাটা পড়তে শুরু করেছেন তখন থেকেই শুরু হয়েছে। শুভেচ্ছা”।
নোমানের কথাগুলি মাঝে মাঝে ভাবি। শেষের পরে একটাই শুরু হয়েছে, সেটা দূরত্ব। ফেইসবুকে খুঁজে দেখলাম, নোমান এখন অস্ট্রেলিয়াতে। নোমানদের সাথেই আমাদের রুমে আড্ডা দিত পারভেজ। তখন আমার এক বিব্রতকর সময় শুরু হয়েছে। বিভাগে মেধাতালিকায় শুরুর দিকে থাকার কারনে বন্ধুরা, অনুজরা সবাই টিচার নামে ডাকা শুরু করেছে। এখন অবস্থা কি হয়েছে জানিনা, আমাদের সময়ে ক্যাম্পাসে দুইটা গোত্র ছিল এক ছাত্র, আর দুই শিক্ষক এবং এই দুই গোত্র যেন একে অপরের প্রতিপক্ষ, যার এক পক্ষ বাঁশ দেয়, আরেক পক্ষ বাঁশ খায়। এ যেন বাংলার সেই চিরায়ত বউ-শাশুড়ীর সম্পর্ক। ছাত্ররা সারাজীবন বাঁশ খেয়ে শিক্ষক হয়ে বাঁশ দিতে যায়। তার থেকেও অবাক বিষয় ছিল মাত্র এক মাস আগে যে বড়ভাইকে হলে আড্ডার ছলে পঁচানি দিতাম, ক্ষুদ্র সময়ের পরিক্রমার সেই হাস্যোজ্জ্বল ভাইয়াটিও ক্লাসে দেদারসে ঝাড়ি মারত। আমাদের জুনিয়র ব্যাচের ফয়সাল নামের এক ছেলে একদিন মুখ কালো করে এসে জানালো হলের এক বড় ভাই তাকে ভাইভাতে ব্যাপক ঝাড়ি মেরে বলেছে তোমারত বেসিকই ঠিক নাই! আমার মেরুন ডায়েরীর পাতাতেও তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ‘টিচার’ বা ‘স্যার’ শব্দটি বেশ অনেক বারই এসেছে, কখনো অনুজদের কাছে থেকে, কখনো বা বন্ধুদের কাছ থেকে। কেউ মজা করেছে আবার কেউবা ফ্রি পেয়ে বেশ ভারী ভারী পরামর্শ দিয়েছে। পারভেজের মন্তব্যটা ছিল মজার,
“ বেশি কিছু বলার নাই, কি লিখব, কি বলব, আমাদের সাথে থেকে গেলে পারতেন, পাস করায়ে দিতাম (সাথে হাসি)। টিচার হয়ে মনে রাখবেন আশা করি। মনে রেখেও কাজ নেই, খুঁজে পাবেননা।
পূনশ্চঃ খাওয়া বাকী রইল স্টার এ”
আসলেই খুঁজে পাইনি তোমাদের কাউকে, স্টার এ আমাদের একসাথে খেতে যাওয়াও হয়নি আর কখনো।
সঞ্চয়ের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে মজার আর আলাদা ছিল রণ। কিছুটা পাগলাটে ধরনের বলে আমি বলতাম রণ পাগলা। রণর সাথে পরিচয়টাও বেশ মজার। পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে যা মনে পড়ছে তাই বলি। ও হলে সিট পেয়েছিল সম্ভবত আমাদের পাশের এক রুমে। ও যেদিন হলে সব কিছু নিয়ে উঠতে এসেছে সেদিন সেই রুমে ছিল তালা। ও আমাদের রুমে এসে সাময়িক ভাবে ওর লাগেজগুলি রাখল। এক কথায় দুই কথায় আমাদের আড্ডা জমে উঠল। ওর স্কুল জীবন কেটেছিল রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে। সেখানে কিভাবে ছোটবেলায় ওদের আনন্দের, কষ্টের সময়গুলি কেটেছে তা নিয়ে গল্প করতে করতে সারারাত পার হয়ে গেল। সেই থেকে রণ আমাদের একজন। এখন ও এমেরিকাতে, মাঝে একদিন ফোনে কথাও হয়েছে। সেই আগের মতই আছে, পাগলাটে, ফেইসবুকে নাম রেখেছে ‘অস্থায়ী দর্শনার্থী’। রণ লিখেছিল,
“ জাহিদ ভাই, আবার দেখা হবে। সাবধান থাইকেন !”
আশা করি দেখা হবে কখনো, হয় টেক্সাসের উষ্ণ আবহাওয়ায়, কিংবা এই শ্বেতযবনের দেশে, কফির মগ হাতে নিয়ে।
মন্তব্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ মরুদ্যান।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শুধু চলবে না, দৌড়াবে।
- কাজী
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সিরিজ চালিয়ে যাও। এই সিরিজে লম্বা মন্তব্য করবো না, সম্ভব হলে আমার গল্প আলাদাভাবে বলবো।
বুয়েটে পড়ার পরে অন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর পড়েছি, কিন্তু আমার মনে কোনদিনই সেই বিশ্ববিদ্যালয়টা বুয়েটের জায়গা নিতে পারেনি। বুয়েট আমাদের alma mater। এটা শুধু আমাদের স্নাতক করার জন্য না, এর শাব্দিক অর্থ "nourishing mother"-অর্থেও।
অটঃ 'শ্বেত যবনের দেশ' নামটা কয়েন করে নিলে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পান্ডবদা। আপনার গল্পের আশায় থাকলাম।
অটঃ 'শ্বেত যবনের দেশ' আপনার কাছ থেকে শেখা, এখন দেদারসে ব্যবহার করি
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাহ!
ধন্যবাদ বস। লুদমিলার খবর কি?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লুদমিলা ভাল আছে, থ্যাঙ্ক ইউ জাহিদ।
তোমার গোটা পরিবারকে আমার শুভেচ্ছা।
অনেক ভালো লাগলো। অসাধারণ মমতা ভরা লেখা।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমারও এইরকম অনেক বন্ধু ছিলো। আপনার মতো লিখতে পারি না। শুধু একাএকা স্মৃতিচারন করি।
চলুক।
অবশ্যই লিখতে পারবেন। আজই কীবোর্ড নিয়ে বসুন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুব আগ্রহ নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার আগ্রহ মেটানোর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চলতে থাকুক জাহিদ ভাই। যদিও এরকম লেখা পড়লে মন খারাপ হয়, তবুও চলুক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি। এই আগষ্টে/সেপ্টেম্বরে ভ্যাঙ্ক্যুভার আসার পরিকল্পনা আছে। দেখা হবে হয়ত।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাল লাগল, চলুক
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমি একজন আদিত্য কে চিনি, ইইই '৯৮, যে নজরুল ইসলাম হলের ২০১ নম্বর রুমে থাকত। দেখেন তো, এই সে কিনা
যদি এতিই সেতি হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু আপনারা এক মুল্লুকেই থাকেন
আপনি একদিন ঠিক বলেছেন। কনফার্ম করলাম, এই সেই আদিত্য। লেখাতে ঠিক করে দিলাম ব্যাচ এর নাম। অনেক ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনি বলিয়া লজ্জ্বা দিবেন না স্যার। আদিত্য আর আমি, গলায় গলায় বন্ধু
তথাস্ত। আমাকেও স্যার বলিয়া লইজ্জা দিবেনা
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো লেগেছে- মন খারাপ ও হয়েছে- যদিও আমি বুয়েটে পড়ি নাই, কিন্তু বুয়েটে অনেক বন্ধু থাকার কারনে বুয়েটের সাথে বেশ ঘনিস্টতা ছিল। কিছু মায়াও আছে
----
পিনাক পাণি
আসলে এই গল্পগুলো বুয়েটেই সীমাবদ্ধ নয়। মনে হয় বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্পগুলো একইরকম।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম। ভালো লেগেছে। আসলে ক্যাম্পাস আর হোষ্টেল এর গল্পগুলো একইরকম। তা সে বুয়েট হোক আর কাউনিয়া সরকারী কলেজ হোক। একইরকম অনুভুতি নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সামনে দাঁড়ায় স্মৃতিময় মানুষগুলো। এখন এই মধ্যবয়সে এসে মনে হয় ক্যাম্পাসের ওইটুকু সময় ছিলো জীবনের পরম পাওয়া। বাকী সবকিছু যেন শুধুই দাঁড় টেনে যাওয়া।
বদর কইও মাঝি ---------
এই কথাটিই উপরে মন্তব্যে বলেছে। ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো লাগলো। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
স্বয়ম
ধন্যবাদ। শীঘ্রই দিব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বুয়েটপড়ুয়া একটা ভাই আর একটা বোন আছে, দুটোর কাছেই লেখাটা পাঠিয়ে দিচ্ছি, পিচ্চি যদিও, ওরা হয়ত এর মর্ম বেশি বুঝবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চলতে থাকুক
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পথে দেখা কত মুখ, কত ব্যথা, কত সুখ,
সবি ভুলি, তবু কিছু -----------------
ভোলা যায় না, কেন ভোলা যায় না ---------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চমৎকার - চলুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আপনি স্মৃতিকথার যাদুকর। আপনার কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে ভাল লাগছে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চলুক, নাম আর স্থান কিছুটা বদলে দিলে এটা আমারো গল্প, হয়ত আরো অনেকের।
একদম ঠিক বলেছেন স্যাম। ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই, নজরুল হলের ৪১১ নাম্বার রুমে পাঁচ বছর কাটিয়েছি। '৯৬ ব্যাচকে পেয়েছিলাম মাত্র এক টার্মের জন্য। আপনার এই লেখার প্রায় সবাইকেই চিনলাম। না চিনলেও নিজের কাহিনীর সাথে তেমন কোন পার্থক্য থাকতো না।
লেখা চলুক (Y)
আরে অবশেষে আমার হলের কাউকে পেলাম। অনেক অনেক স্মৃতিরে ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
২০১/ক তে গিয়েছি বহুবার। আমাদের ক্লাসের দুই বন্ধু থকতো ঐ রুমে। তখন পর্যন্ত আড্ডাবাজরাই ছিল এর বাসিন্দা। এখন কি অবস্থা জানি না।
ঠাঁঠারি বাজারের স্টার, চানখাঁর পুলের সোহাগ এখনো তেমনই আছে। পিএলের রাতে দল বেধেঁ এখনও হলের ছেলেরা খেতে যায়। আপনাদের সময় কি অবস্থা ছিল জানিনা, তবে এখন সারা রাত জেগে থাকা পলাশীর ডিম-চাইনিজ-পরোটা, চা আর আড্ডায় অসাধারন এক জীবনের ছবি থাকে রাতভর।
এই ক্ষুদ্র জীবনে যা কিছু শিখেছি, জেনেছি - সব কিছুর পেছনে আছে সোহরাওয়ার্দীর ২০১২ নং রুম। যদিও মাত্র সেদিন হল ছেড়েছি, এখনো প্রায় প্রতি মাসে যাই তারপরও একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছি স্ম্রতির যন্ত্রনা।
আমার রুমটাতে কোন এক জায়গায় নিজের নাম লিখে এসেছিলাম। জানিনা আছে কিনা !
আমাদের সময় পি এল এ পলাশীতে পরোটা-ডিম খেতে যেতাম রাতে। অন্যসময় সেরকম কিছু চোখে পড়েনি।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাহ !
facebook
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভয়াবহ কথা। কিন্তু কথা সইত্য।
খুব ভাল লাগলো, জাহিদ। লেখা চলুক চলুক চলুক।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চমৎকার. অবশ্যই চলবে.
..................................................................
#Banshibir.
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাইজান পুরাই নস্টালজিক করে দিলেন!
সিরিজ ফলো করার ইচ্ছা আছে
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো লাগলো
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
স্মৃতিচারন ভালো লাগল । আনন্দবাড়ী নামটাই কেমন বিষাদগ্রস্ত । আশ্চর্য তো ! উল্টাটাই হওয়া উচিৎ ছিল । অনুভূতিরা বড়ই অদ্ভুত !
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আদিত্য ভাই ভিক্টোরিয়া থাকেন না এখন? আম্মোও বয়লারের বাসিন্দা আছিলাম।
হুম তাই দেখলাম। আরে আপনিও দেখি আমার হলভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দিক্কার
তুই অফ যা অনেক দিন ধইরা লেখস না।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এমন লেখাগুলো মন খারাপ করিয়ে দেয়।
স্মৃতি আমার কাছে বেশীরভাগ সময়েই কষ্টের মনে হয়।
কেন যে দিনগুলো হারিয়ে যায়.....?
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম জাহিদ ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ। শীঘ্রই দিব পরের পর্ব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আহ ! কী অসাধারণ একটা লেখা ! ভাইয়া আমিও কিন্তু নজরুল হলে থাকি,২২৫ নং রুমে অবাক হই যখন দেখি এতদিন পরেও আমরা একই কাজগুলো করে যাচ্ছি দেখে ! স্টার-সোহাগ এগুলোতো মনে হয় কাছের যায়গা, এখনও যতই রাতে আপনি স্টারে যান,বুয়েটের কারও না কারও সাথে দেখা হবেই ! আহ সময় ! হাজার বছর ধরে উপন্যাসের মত। চরিত্রের রিপ্লেস্মেন্ট হয়েছে,কিন্তু গল্পটা ঐ পুরাতনই। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। আর নজরুল হলের পক্ষ থেকে ভালবাসা (আচ্ছা,২২৫ এ কে থাকতো তখন ?)
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
অটঃ ২২৫ যে কে থাকতো এখন মনে নেই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমি বুয়েটের স্টুডেন্ট নই, তবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের হলের রুম নম্বর ছিল ২০১/A. আসলেই সব হল জীবনগুলির গল্প একিরকম। নস্টালজিক করে ফেলল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
খুব ভালো লাগলো। আশা করি আরো লিখবে।
নতুন মন্তব্য করুন