দা পারভার্টস গাইড টু সিনেমা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৩/২০১০ - ৩:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্লাভো জিজেক। যুগোশ্লাভিয়ার দার্শনিক এবং ক্রিটিকাল থিয়োরিস্ট। সাইকোএনালাইসিস তাঁর গবেষণার বিষয়। মার্কস, হেগেল আর জাঁক লাঁকার তত্ত্ব নিয়ে জিজেক কথা বলেন। ফিল্ম থিয়োরি নিয়ে তাঁর কাজ আছে। জিজেকের ওপর তিনটা সিনেমা নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ‘দা পারভার্টস গাইড টু সিনেমা’ বানিয়েছেন সোফি ফিয়েনস। এই ডকুমেন্টারিতে বয়ানকারি জিজেক। সিনেমাশিল্পের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে কথা পেড়েছেন প্রায় চুয়াল্লিশটা সিনেমা নিয়ে। ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্সের অনেক রসদ পাওয়া যায় আড়াই ঘন্টার এই ডকুমেন্টারিতে।

জাঁক লাঁকার ‘টেলিভিশন’ বইটার অনুবাদ করতে গেছিলাম কয়েক মাস আগে। এক পৃষ্ঠা করার পর বুঝলাম এটা আমার সাধ্যের বাইরে। লাইব্রেরিতে সিনেমা আর টেলিভিশন নিয়ে বই ঘাঁটতে গিয়ে জিজেকের ‘হাউ টু রিড লাঁকা’ পেলাম। এভাবেই জিজেকের সাথে পরিচয়। স্লাভো জিজেক ডকু-তে তাঁর আলোচনায় বিভিন্ন সিনেমার সিকোয়েন্স দেখানোর সাথে সাথে ব্যাখ্যা করেছেন। সিনেমার বেশির ভাগ আম্রিকান কি ব্রিটিশ। আমাদের কামনার জগতে চলচ্চিত্রের ঢুকে পড়ে উৎপাত শুরু করে দেয়ার ব্যাখ্যা জিজেকের কাছে ভাল করেই আছে। জিজেকের ভাষ্যের সারসংক্ষেপ কিছুটা করি এখানে। সাথে গদারের মাথায় বাড়ি দেয়া লাইনটা মাথায় রাখতে পারেন। ‘সিনেমা ইজ ওভার’

‘আমাদের বাসনা পূরণ হয়েছে কি হয় নাই? এটা আমার কাছে মূল সমস্যা মনে হয় না। সমস্যাটা হল- আমরা কেমন করে জানি আমাদের বাসনা কি? আমাদের কোন বাসনাই প্রকৃতিপ্রদত্ত আর নাই। সেগুলো মেকি হয়ে গেছে। আমরা শিখে গেছি কিভাবে কি কামনা করা লাগে। আর সিনেমা এই গোত্রে সবচে পারভার্ট শিল্প। এটা দিয়ে আপনি কি চান না শিখে কেমন করে কি চাইতে হয় সেটা শিখে যাবেন।’ জিজেক শুরুতে এই বলে কথা শুরু করেন।

প্রথম ক্লিপ দেখানো হয় ‘পসেসড্’ সিনেমা থেকে। ১৯৩১ সালের সিনেমা। মিডল ক্লাস একটা মেয়ে একটা রেল লাইনের কাছ দিয়ে যাবার সময় একটা স্বপ্ন দৃশ্যের আবির্ভাব ঘটে। সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স। সিনেমার নায়িকা নিজেই যেন কোন সিনেমার দৃশ্য দেখছেন। ট্রেন আস্তে আস্তে এগোচ্ছে। এক একটা বগিতে এক এক রকমের উচ্চবিত্তীয় কাজকারবার। সেগুলো দূর থেকে দেখা যায়। কিন্তু অন্দরমহলে ঢোকা যায় ন। প্রায় এক জাদু বাস্তব সিকোয়েন্স। আমাদের আনকনসাস আমাদের সামনে কিছু পরাবাস্তবতা তৈরি করে দিতে পারে। লাতিন আমেরিকার উপন্যাসে পরাবাস্তব কাহিনীগুলো সেদেশের লোকেরা পুরো অবিশ্বাস করে না। নিশ্চয় তার কারণ আছে।

এরপর ক্লিপে দেখানো হয় ‘দা ম্যাট্রিক্স’ থেকে। মরফিয়াস আর নিও-র বিখ্যাত পিল নির্বাচনের দৃশ্য। ‘নীলটা খাও- তাহলে নিজেকে নিজের বিছানায় দেখতে পাবে, যা মন চায় সেভাবে ভাবতে পারবে। লালটা খেলে এই বিস্ময়জগতে থেকে যাবে।’ মরফিয়াসের এই পিল নিয়ে প্রভেদ কিন্তু বাস্তব আর মায়ার ফারাক নয়। বাস্তব সরে গেলে কল্পকাহিনীর মায়ায় বাস্তব অন্য মাত্রায় এসে ধরা দেয়। আবার দেখেন সত্যিকার জীবনে কোন কিছু অনেক বেশি ট্রমাটিক, বিভৎস হলে - ফিকশনালাইজ করে ফেলার একটা প্রবণতা থাকে। এর উদাহরণ হিচককের ‘দা বার্ডস।’একটা বড়লোকের মেয়ে এক যুবকের প্রেমে পড়ে। তার বাসায় এসে দেখে সে মায়ের সাথে থাকে। ফলে টেনশন। একদিকে দখলদারী মনোভাবের মা আর অন্যদিকে উড়ে এসে জুড়ে বসা প্রেমিকা। এর মধ্যে কোত্থেকে বেহুদা পাখি এসে হামলা করে। কেন? পাখিরা এখানে প্রকৃতির স্বাভাবিক খেয়ালে চলে না। যখন প্রকৃত জীবনে হঠাৎ করে ভিনদেশির আবির্ভাব ঘটে, বাস্তবে ফুটো মেলে। আমাদের অস্তিত্ব একটা সিম্বোলিক ধারায় বিন্যস্ত, সেখানে গরমিল হলে বাস্তব ঠিকঠাক কাজ করে না। ছেলের যৌনগজতে মায়ের সুপার-ইগো সামলানোর জন্য পাখির আক্রমণ ছাড়া গতি নাই। ‘দা ম্যাট্রিক্স’ নিয়ে দার্শনিক জঁ বদ্রিয়াঁর একটা বই আছে। ‘সিমুলক্রা এণ্ড সিমুলেশান’। বেশ ইন্টারেস্টিং।

হিচককের ‘সাইকো’। সেই একই। মায়ের কাহিনী। ঘটনা ঘটছে তিনটা তলায়। বেসমেন্ট, এক তলা, দোতলায়। মজার ব্যাপার, মানুষের সাবজেক্টিভিটির ও তিনটা ধাপ। একতলায় নরমান থাকে। স্বাভাবিক একজন লোক। ইগো। দোতলায় সুপার-ইগো। মৃত মায়ের সুপার-ইগো। এরপর বেসমেন্ট বা সেলার হল ইদ (id)। নরমানের মধ্যে ইদ থেকে সুপার-ইগোতে যাবার একটা সাইকিক মাধ্যম কাজ করে। এই মা যে একটা কঙ্কাল সেটা আমরা সিনেমায় প্রায় শেষে জানতে পারি। ফ্রয়েডের কথার সত্যতা কিছুটা বুঝে নেয়া যায়। তিন মার্ক্স ভাইদের কমেডি ‘ডাক স্যুপ’ য়ে এই ধাপগুলো পরিষ্কার। গ্রুচো তার অদ্ভুত কাজের জন্য জনপ্রিয়। তাকে ধরেন সুপার-ইগো। চিকো খুব হিসেবি। তাকে ইগো হিসেবে কল্পনা করেন। হারপো একদম চুপচাপ। সুতরাং উনি ইদ। সে বাচ্চাকাচ্চাদের সাথে থাকতে ভালবাসে। আবার মাঝে মাঝে চরম ক্ষেপাটে। ফ্রয়েডের একটা বিখ্যাত উক্তি আছে। ড্রাইভস আর সাইলেন্ট। দূষণ আর পবিত্রতার অদ্ভুত সংমিশ্রণে ইদের গঠন।

পরের ক্লিপ দেখানো হয় ‘দা এক্সরসিস্ট’। ১৯৭৩ সালে বানানো হরর সিনেমায় বারো বছরের মেয়ে রেগানের শরীরে কোন প্রেতাত্মা ভর করে। আমরা অন্যদের সাথে কথা বলার সময় পাপেটের মুখে কথা বসানোর ভেন্ট্রিলোকুইস্ট প্রভাব থাকে না। আমার বাচন যদি বেদখলে চলে যায় তবে কি হবে? ভাল করে ভাবলে এই সিনেমায় এর বেশি কোন মেসেজ নাই। ‘দা টেস্টামেন্ট অব ডাঃ মাবুজ’ সিনেমায় মাবুজকে আমরা দেখি একটা গলার স্বর হিসেবে। এলিয়েন বডির এই ধারণা থেকে পরবর্তীতে আরো অনেক সিনেমা বানানো হয়। রিডলি স্কটের ‘এলিয়েন’ অপরিচিত সেই প্রাণী বা দখলকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। সেখানে ছোট্ট প্রাণীটা লাফ দিয়ে আমাদের শরীরে অন্য সত্ত্বা ঢুকিয়ে দেয়। আমরা নিজেরাই এক ধরণের এলিয়েন। আমাদের ইগো বা সাইকিক শক্তির ওপর আমাদের দখল অনেক জায়গায় নেই। আমাদের মুখ দিয়ে যা বেরোয় তার সব আমাদের কথা ধরে না। সেখানে ফাঁক থাকে। চার্লি চ্যাপলিন এ কথা খুব ভাল জানতেন। ‘দা গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবির কথা ভাবেন। একজন ইহুদি গরীব নাপিত। ট্র্যাম্প। অন্যজন চরম ক্ষমতাশালী হিটলার। দুজনের মধ্যে চেহারায় কোন পার্থক্য নাই। আওয়াজ ছাড়া। নাপিতকে হিটলার মনে করে যখন ধরে ডায়াসে নিয়ে যাওয়া হয় ভাষণ দেয়ার জন্য। হিটলারের এলিয়েন সত্তা তখন কি বলে? আমি রাজা থাকতে চাই না। এটা আমার কাজ নয়। আমি আর শাসন করতে চাই না। কোন দখলদারিত্বের মধ্যে আমি নেই। আমি সবাইকে সাহায্য করতে যাই। ইহুদী, জেন্টাইল, কাল, সাদা সবাই মিলে কাজ করে যেতে চাই। সৈন্যরা, গণতন্ত্রের কথা বিবেচনা করে চলেন সবাই একত্র হই।

‘মিউজিক ইজ পোটেনশিয়ালি অলোয়েজ আ থ্রেট’। জিজেকের এই কথায় বেশ চমক আছে। ব্যাখ্যার জন্য ডেভিড লিঞ্চের ‘মুলহলেন্ড ড্রাইভ’য়ের থিয়েটারের দৃশ্য নিয়ে কথা এগোন। স্টেজে গায়িকা গান করতে করতে হঠাৎ পড়ে যায়। কিন্তু গান থামে না। চলতে থাকে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে বোঝা যায়। সেটা একটা প্লেব্যাক। কার্টুন ‘এলিস ইন দা ওয়াণ্ডারল্যাণ্ড’ য়ের সি বিড়ালের মতো। বিড়াল অদৃশ্য হয়। কিন্তু হাসি থেকে যায়। শরীরের উপস্থিতি ছাড়া দেহজ কিছুর অস্তিত্ব-ই হল ফ্রয়েডের ‘ডেথ ড্রাইভ’। বৌদ্ধধর্মের স্বর্গীয় শান্তির দিকে দৌড়ানোর অভিযান নয়। বরং স্টিফেন কিং-য়ের হরর ধারণার সাথে এর মিল আছে। মরে যাবার পর জীবন্মৃত অবস্থা। মিশেল পাওয়েলের ‘রেড সু’জ’ ছবিতে বেলেরিনা মেয়েটার নাচার শখ তার জুতা দখল করছে। আনডেড বস্তু।

‘ফাইটক্লাব’ সিনেমার মূল বিষয় দ্বৈত সত্তা। এডোয়ার্ড নরটনের দেহে ভর করে ব্র্যাড পিট। ব্রিটিশ ক্ল্যাসিক হরর ‘ডেথ অফ নাইট’ সিনেমার ভেন্ট্রিলোকুয়স্ট তার পাপেটের ওপর ঈর্ষা করে সেটাকে চুরমার করে ফেলে। তারপর জবান বন্ধ হয়ে যায়। শেষ দৃশ্যে দেখা যায় সে কথা বলার চেষ্টা করছে। অনেক কষ্টে কথা বেরোয়। পাপেটের সেই অদ্ভুত গলায়। তার মানে দাঁড়াচ্ছে – এই ধরণের অটোনোমাস জিনিস থেকে বাঁচতে হলে সেই বস্তুতে নিজেকে পরিবর্তিত করতে হবে। ‘দা কনভারসেশন’ সিনেমার গোয়েন্দা জিন হ্যাকম্যানের বাথরুম সিকোয়েন্সটা দেখে মনে হয় সে নিজেকে খুনের দৃশ্য দেখার ফ্যান্টাসি করছে। ডেভিড লিঞ্চের ‘ব্লু ভেলভেট’ সিনেমায় ডরোথির ফ্ল্যাটে যা ইচ্ছা তাই ঘটে। পুরুষের বিকৃতকাম থেকে শুরু করে যেকোন বিভৎস কামনা। ফ্র্যাঙ্ক ডরোথির সাথে যে ম্যাসোকিস্ট আচরণ করে তার সাক্ষী হয় জেফরি। এই দৃশ্য নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। ফ্রয়েডের তত্ত্ব দিয়ে বোঝান যায়। নারীবাদিরা এই দৃশ্যের মধ্যে নৃশংসতা খুঁজে পাবেন। তবে একদম অন্যভাবে ভাবলে দেখা যায় ডরোথি যৌনদিক দিয়ে প্যাসিভ। ফ্রাংকের ফ্যান্টাসি এক অর্থে ডরোথির নিজের ফ্যান্টাসি। নিষ্ক্রিয়তা থেকে রেহাই পাবার জন্য।

হিচককের ‘সাইকো’ সিনেমায় বাথরুমে হত্যাকাণ্ডের পর মোছামুছির ঘটনা প্রায় দশ মিনিট ধরে দেখান হয়। পরিচ্ছন্ন উপায়ে কাজটা কিভাবে করা যায় সেটা এত সময় ধরে দেখানোর মধ্যে কলংক মোছার জন্য কি পরিমাণ শ্রম দিতে তার ইঙ্গিত আছে। আর উৎপাত জীবনে হামলে পড়ার জন্য কোন সময় নেয় না। ‘দা বার্ডস’ ছবিতে দেখা যায় বিন্দুমাত্র কোন পূর্বাভাষ না দিয়ে পাখিরা আক্রমণ করে বসে।

বাসনা হচ্ছে বাস্তবতার ক্ষত। চলচ্চিত্র আমাদের বাসনা বাড়িয়ে দেয়। দূরত্ব কিছুটা রেখেই। অনেকে ফ্রয়েড পড়েন, ভাবেন ফ্রয়েড পড়লে যৌনতা নিয়ে যাবতীয় সব জানা হয়ে যাবে। সবকিছু যৌনতার মেটাফর হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করেন। ফ্রয়েড কিন্তু সেদিকে না গিয়ে অন্য প্রশ্ন করেন। সবকিছু যৌনতা দিয়ে বোঝান গেলে ইন্টারকোর্স করার সময় আসলে আমরা কি ভাবি? এই প্রশ্ন মাথায় আসলে সব গুবলেট হয়ে যায়। সামনে পিছনে দুলে দুলে একই কাজ কিভাবে সব কিছুকে বোঝাতে পারে? এর মধ্যে নিশ্চয় অন্য বস্তু আছে। ম্যাট্রিক্সের কেন শক্তি প্রয়োজন- এটা ভুল প্রশ্ন। বরং এটা জিজ্ঞাসা করা ভাল- কেন শক্তির ম্যাট্রিক্স প্রয়োজন? এই শক্তি হচ্ছে আমাদের লিবিদো। তাহলে লিবিদো বা ইচ্ছাশক্তির কেন নানান ফ্যাণ্টাসির দরকার? নিজেকে হরেক মায়ায় জড়িয়ে টিকে থাকার জন্য।

সমস্ত সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় দেখা যায় একটা ইদ মেশিন নিয়ে নাড়াচাড়া। যেখানে অনেক ফ্যাণ্টাসি বাস্তব হয়ে যায়। তারকোভস্কির ‘সোলারিস’ এক্ষেত্রে ভাল উদাহরণ। মনোবিজ্ঞানী নায়ক একটা রকেটে একটা গ্রহের কাছাকাছি যান যেখানে মানুষের ভেতরের ট্রমা বা বাসনা তার প্রতিরূপ তৈরি করে। মনোবিজ্ঞানী দেখেন তাঁর মৃত স্ত্রী তার স্পেস-শিপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঠিক তাঁর স্ত্রী নন যেন তার একটা মডেল। তাঁর স্ত্রী যা জানেন মডেল সেটা জানে না, বরং মনোবিজ্ঞানী যতটুকু জানেন সেইটুকুই তার জ্ঞান। একটা পুরুষতান্ত্রিক মিথোলজি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। পুরুষের পাপ থেকে নারীর সৃষ্টি।

একটা চরম সুন্দর মানুষ ও যখন কাছাকাছি আসে তখন তার অনেক খুঁত চোখে পড়ে। হিচককের ‘ভার্টিগো’ এই গোত্রের উদাহরণ। সুন্দর একটা চেহারার পেছনে কী বিভৎসতা থাকতে পারে তার কল্পনা মাথায় আসে না। কিন্তু আমরা সেটার দিকে দৌড়াই। মুখের পেছনে যে শূন্যতা হিচককের গল্পের টানে সেটা বোঝার অবকাশ থাকে না। নারী সাবজেক্ট হলে পুরুষত্ব অর্থহীন হয়ে পড়ে। লিঞ্চের চলচ্চিত্রে ঘটনা আরো গভীর। ‘ব্লু ভেলভেট’ সিনেমার শুরুর দিকে বাবা লনে পানি দিতে গিয়ে হার্ট এটাক করলে লিঞ্চ ক্যামেরা নিয়ে যান …

আর না লিখি। বরং জিজেকের সাথে ক্লাসটা করে নেন।


মন্তব্য

খেকশিয়াল এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো। ডকুটা দেখতে হবে।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

বালক এর ছবি

ভালো লাগলো।
আর শুনেন, সময় বেশি নাই কিন্তু হাসি

*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দেখতেছি।

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

দেখা হয় নাই।
মাথায় থাকলো ব্যাপারটা।
ধন্যবাদ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দেখে ফেলেন।

মামুন হক এর ছবি

আপনে এত যত্ন নিয়ে প্রতিটা লেখা তৈরী করেন...পাঁচ তারা না দিয়া উপায় থাকেনা হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বস্‌, ৫ তারা না দিয়া কিছু ট্যাঁয়া পাডায়েন, মেম্বররে দেয়া লাগবো। দেঁতো হাসি

অকাল পক্ক [অতিথি] এর ছবি

সবগুলা মুভি হয়তো দেখা হইয়া উঠে নাই......মাগার ডকু টা দেখলাম......আর মুভি ম্যানিয়াক হিসাবে এইটা বলতে পারি লেখা প্রশংসার যোগ্য ... খাসা হইছে !!!!!!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দেখছেন জেনে ভাল লাগল।

শিক্ষানবিস এর ছবি

চমৎকার লাগল লেখাটা। ডকুটা দেখতেই হবে। যে সিনেমাগুলো নিয়ে লিখেছেন তার প্রায় সবগুলোই দেখা। সাইকো নিয়ে তিন তলার ব্যাখ্যাটা খুব মনে ধরেছে। মানে বাসনা ঝালিয়ে নেয়া গেছে। সিনেমাকে একটু অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে সাহায্য করবে আপনার লেখাটা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সিনেমাগুলো বেশীরভাগ দেখা। এটাই মজা। আর জিজেক আর লিঞ্চ দুজনেই মাল।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

শক্ত বিষয় নিঃসন্দেহে। আর এমন কঠিন চিজ হজম করা আমার কম্ম নয়!

তবে লিংকগুলার জন্য ধন্যবাদ।

.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দেঁতো হাসি

বোহেমিয়ান এর ছবি

চমৎকার ।(Y)
ইয়ে স্পয়লার এলার্ট দিলে ভালো হইত মনে হয় , যারা সাইকো দেখে নাই, মজাটাই তো শ্যষ!

আমার ভাগ্য ভালো বেশির ভাগ ই দেখছি ।
তয় চার্লি চ্যাপ্লিনের গ্রেইট ডিরেক্টর দেখা হয় নাই মন খারাপ
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।