ও ময়ূর, পাখা মেলে দাও (৩য় পর্ব)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০১/২০১৫ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাকে দেখে মিতুলের মা এগিয়ে আসে। ভদ্রমহিলার হাতে একটা চাদর। স্কুলের উল্টোদিকে মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে চাদর বিছিয়ে অভিভাবকরা বসে থাকে। আমাদের বাসা থেকে আস্থার স্কুল হাঁটার দূরত্বে। আস্থাকে প্লে'তে ভর্তি করার পর আমিও দিন কয়েক এভাবে বসেছিলাম। পরে আস্থাই আমাকে বলেছে, 'মা আমি থাকতে পারবো। তুমি অফিসে চলে যাও। আমি কিচ্ছুতেই গেটের বাইরে যাবো না।' আমার মেয়েটা বড় লক্ষ্ণী। ও খুব দ্রুত স্কুলের সাথে মানিয়ে নিয়েছিল। আমি দীর্ঘদিন স্কুলে আসি না। হাসানই রোজ মেয়েকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে যায়। ছুটি হলে মা এসে নিয়ে যায়। হাসানের অফিসে আজ নতুন একজন ক্লায়েন্ট আসবে। ওর তাড়া আছে দেখে আমিই মেয়েকে নিয়ে এলাম।

মিতুলের মা আমার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি তার চাহনি দেখেই বুঝতে পারছি কিছু একটা বলার জন্য তিনি উসখুস করছেন। মিতুল আস্থার ক্লাসমেট। আমার সাথে চোখাচোখি হতেই মিতুলের মা সীমাহীন কৌতুহল নিয়ে প্রশ্ন করেন,
-আপার শরীর খারাপ শুনছিলাম, এখন কেমন আছেন?
-ভাল।
ভদ্রমহিলা এবার আমার শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বলেন,
-আপা আপনার নাকি বাচ্চা নষ্ট হইছে? নাকি করছেন? এইভাবে বাচ্চা নষ্ট করা কিন্তু ভালা না, পরে সমস্যা হয়। আমার বড় ননাসের তো বিয়ের আট বছর হয়ে গেল এখন আর বাচ্চাই হয় না। হিল্লি-দিল্লিতো কম করলো না!

বাকহীন আমি স্থিরচিত্রের মতো দাঁড়িয়ে থাকি। মিতুলের মার ঠোঁটের নড়াচড়া দেখে বুঝতে পারি তিনি কিছু বলছেন বা প্রশ্ন করছেন। কিন্তু আমি কিছু শুনতে পাই না। যেন আমি অতলে তলিয়ে গেছি। আচমকা কে যেন আমাকে টেনে তোলে। আস্থা! আমার মুঠোবন্দি আস্থার আদুরে হাত। আস্থা এবার আমাকে জড়িয়ে ধরে,
-আমি স্কুলে ঢুকে গেলাম। বাই বাই মা। মা ছুটির সময় আসবে তুমি? আজ এসো তো মা! খুব মজা হবে।
আস্থার উচ্ছ্বাসে আমি নিজেকে সামলে নিয়ে ওকে হাতের আদরে জড়িয়ে নেই।
-আসবো না মা। নানুমণি আসবে। তুমি ভেতরে ঢোকো। আমি চলে যাচ্ছি।

আস্থা স্কুল গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। আমি হাঁটতে শুরু করি। মিতুলের মাকে পেছনে ফেলে আমি এগিয়ে যাই। বুকের ঠিক মাঝখানে ব্যথা করছে। রাস্তার কোলাহলে মিশে যেতে যেতে আমার খুব কান্না পায়। আমি বুঝতে পারি না কষ্টের বৈচিত্র্যগুলো বুকের ভাঁজে এসে এক হয়ে যায় কেন? কষ্টের বায়বীয় বা বরফভারি রূপের তারতম্য কেন একই ভাবে কাঁদায়? দু'চোখের পানি ডান হাতের উল্টোপিঠে মুছে নিয়ে আমি একটা সি.এন.জি. ডাক দেই। অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।

নিজের চেয়ারে বসতে না বসতেই অফিস সহকারী টুটুল রুমে ঢোকে,
-ম্যাডাম আপনার চিঠি আসছে।
আমি নিশ্চিত এটা অপর্ণার চিঠি। অনেকদিন পর ওর চিঠি পেলাম। পরে পড়বো। আগে মেইল চেক করবো। জরুরি কিছু মেইল আসবার কথা। তাছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল এ্যাডভাইজার শফিক ভাইয়ের সাথে কিছু লিগ্যাল বিষয়ে কথা বলতে হবে। বিকালে শফিক ভাইয়ের চেম্বারেও কাজ আছে। দু'জন নারী ভিকটিমের মামলার নালিশ তৈরি করতে হবে। অফিস থেকে সোজা শফিক ভাইয়ের চেম্বার বনানীতে যেতে হবে। যেসব ভিকটিমকে আমরা লিগ্যাল সাপোর্ট দেই তাদের মামলা পরিচালনারও দায়িত্বও আমাদের। কাজে ডুবে যেতে যেতে আমি মিতুলের মায়ের কৌতুহলী মুখ ভুলে যাই।

মাকে ফোন করে জানাতে হবে যে আজ ফিরতে দেরি হবে। আস্থা আজ একটু বাইরে যেতে চাচ্ছিল। ওর বান্ধবী মালিহার বার্থডে পার্টি। সন্ধ্যের আগেই ফিরতে হবে। মেয়েটা বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে খুব প্রিপারেশন নিয়ে রেখেছে। বাবাকে দিয়ে গিফট আনিয়েছে। নিজের হাতে কার্ডও বানিয়েছে। সকাল থেকেই খুশিতে ঝলমল করছে আস্থা। এই প্রথম কোনো বান্ধবী তাকে দাওয়াত করেছে। আস্থার মুখটি মনে পড়ে আমার কাজের ক্লান্তি চলে যায়।

হাতের কাজগুলো গুছিয়ে এনে আমি অপর্ণার চিঠিটা খুলি। অপর্ণার হাতের লেখা বেশ পরিচ্ছন্ন। চিঠিটা পড়তে পড়তে আমার মনের বিষাদ জুড়োতে থাকে।

প্রিয় সুরভি,
অনেকদিন পর আজ কাজের ঝামেলা খুব কম। এখন কাজ-কাম নাই বললেই চলে, মানে বায়িং হাউস আর গার্মেন্টসের জন্য এই সময়টা ডাল সিজন। আর আজব ব্যাপার হইল, এই সময়টা শুরু হইল আর অফিসে ফেসবুকিং, ব্লগিং, ইউটিউব নিয়া বসের নিষেধাজ্ঞা জারি হইল। আমি এইসবে খুব মাইতা থাকি না তুমি জানো, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আমার হাত হুদাই নিশপিশ করতাছে। শেষ পর্যন্ত কাজকাম না পাইয়া তোমারে লিখতে বসলাম।

গতকাল সন্ধ্যায় আর্যকে এক চায়নিজ রেস্টুরেন্টে নিয়া খাইতে গেছিলাম। শালারা বদের বদ। একটা সেট মেনুর অবস্থা দেখলে মনে হয় কইষা দুইখানা চড় লাগাই। খাবারের দাম লাভসহ রাখে ৫০%, চেয়ার টেবিলের দাম ১০%, লাইটিং এর ঝাপসা আলোর দাম ১০%, এসির বাতাসের দাম ১৫%, সাথে ভ্যাট ১৫%। কয়দিন পর কইবো, না খাইয়া গেলেও দোকানে ঢুকার চার্জ দিতে হইবো। আর্য আমার মেজাজ আর ব্যাগের অবস্থা বুঝতে পাইরা বলল, চল মা বাড়ি গিয়ে ভুনাখিচুড়ি খাই। তারপর মা-ব্যাটায় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করলাম বাড়িতে। ভালই আছি আমরা। ভাল থেকে হ্রস্ব ই'কারটাও কয়দিন পর তুইলা দেওয়া যাইবো।

শুধু আমার ফুফাতো বোন স্বপ্না আইসা মাঝে মইধ্যে কয়, ফুফা-ফুপু, চাচারা নাকি গায়েবী সূত্রে খবর পাইয়া নানা কথা কয়। সেদিন শরিফ ফুফা নাকি বলছে, 'অয় ডিভোর্সি মাইয়া মানুষ, এতো বেড়ায় ক্যা। ছবি তোলে ক্যা। তোলে, তোলে, শাড়িশুড়ি ফিন্দা ছবি তুইলা ফেবুতে আপলোডাইবার দরকার কি। আমরা সব খবরই রাহি! আরেকটু গন্ধ ছড়াইলে দিমুনে অফিস থেইকা বাইর কইরা।' আমি ফুফার কথা গায়ে মাখি না। বরং তাদের ঠিক জায়গামত জ্বালা ধরাইতে পাইরা আমার নির্ভেজাল আনন্দ লাগে।

এইমাসে ভাবছি চুল স্ট্রেইট করমু। পারসোনা বেশি টাকা নেয়। আমার পোষাইবো না। তাই মাঝারি টাইপ কোনো পার্লারে করমু। তারপর শাম্পু কইরা চুল ছাইড়া একটা পাখি শাড়ি পড়মু। তারপর আর্যরে শাড়ির সাথে ম্যাচিং শার্ট পড়ায় নিয়া শরিফ ফুফার বাড়ি বেড়াইতে যামু। ফুফা-ফুপুর মুখজোড়া কেমন হয় তা নিয়া তোমারে লম্বা একখান চিঠি লিখুম। ভাইবাই মজা লাগতেছে। বিষয়টা না জানি কত্ত মজার হইবো! আসলে মাসুদের সাথে ডিভোর্সটা হওয়ার পর থেইকা নিজেরে খুব কবুতরের মতো হালকা লাগে, মনে হয় উড়াল দেই। আবার মাঝে মইধ্যে খুব রঙিন লাগে, মনে হয় পাখনা মেলি।

পিয়ন আইসা তাড়া লাগাইতেছে। ওরে চিঠিটা কুরিয়ার করতে দিমু। আজ আর না। তবে তোমার চিঠি পাইয়া সেদিন আমি কিন্তু খুব অবাক হইছি সুরভি। এত অবাক মনে হয় মাসুদ আমারে ছাইড়া দেওয়ার পরেও হই নাই। কারণ আমার তেরোতম চিঠির জবাবে তুমি সাড়ে বিশ পৃষ্ঠার যেই চিঠি লিখছো তাতে তো তোমারে আমার বুটিক শপ গিফট করা উচিত! তবে তোমারে পাওলো কোয়েলোর 'ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই' বইটা পাঠাইয়া মস্ত বড় ভুল করছি। তুমি আর আত্মহত্যার কথা বলবা না। আজব তো। আমারতো তাইলে কবেই মইরা যাওয়া উচিত ছিল!
ইতি, আর্যর মা

অপর্ণার চিঠি পড়ে আমি হাসি। অপর্ণা ভুলে গেছে, ও নিজেও একবার মরতে বসেছিল। মাসুদ ভাইয়ের সাথে যখন ওর সম্পর্কের ক্রম অবনতি ঘটছে তখনই রেহানার আবির্ভাব। মাঝে দেশে ফিরে দেশেই স্যাটেল হবে বলে মাসুদ ভাই কি একটা ব্যবসা শুরু করেছিল। যেদিন মাসুদ ভাই আর তার নতুন অফিসের নতুন স্টাফ রেহানাকে অপর্ণা ওর মাস্টারবেডে খুঁজে পায় সেদিন ফোন করে অপর্ণা বলেছিল, 'দৃশ্যটা আমি খুব উপভোগ করছি, মোবাইলে সেভ কইরা রাখছি। আমি এইটাই চাইছি, মাসুদরে হাতেনাতে ধরুম। এইবার সে কেমনে পিছলায় দেখমু।'

অথচ রাতে খবর পেলাম। অপর্ণা হাসপাতালে। আমি ছুটে গেলাম দেখতে। তখন ওর জ্ঞান ফিরেছে, 'ওষুধ কয়টা কম পইরা গেছিল। বুঝি নাই এই কয়টায় হইবো না।' আর্য তখন নার্সারিতে পড়ে। ছোট আর্য দরজার পাশে ভয়ার্ত চেহারায় দাঁড়িয়েছিল। আমি আর্যকে কোলে তুলে অপর্ণার পাশে বসিয়ে দিতেই অপর্ণা প্রমিত বাংলা উচ্চারণে বলে উঠেছিল, 'বাবুসোনা আমাকে মাফ করে দাও। বাবুসোনা আমার কপালে একটু আদর করে দাও। আমি আর কখনও এমন করবো না।'

-আরনল্ড মেইল পাঠিয়েছে আপা। আপনাকে সিসি করেছে। চেক করেছেন?
আমি চমকে উঠি। মুন এসেছে। মুন কাছে এসে দাঁড়াতেই মিষ্টি সৌরভে ঘরটা ভরে গেছে। মেয়েটার রুচিবোধ দারুণ। মুন এখনো বিয়ে করেনি। ও আমার কলিগ। একাউন্টস সেকশনে কাজ করে। সারাদিনই তাকে ফেসবুকে পাওয়া যায়। এমনকি রাতে ঘুমোবার আগ পর্যন্ত মুন ফেসবুকে ছবি আপলোড করতে থাকে। কখনো সেলফি, কখনো চাঁপা ফুল কানে গুঁজে, কখনো কফিমগ হাতে বারান্দায়।
জীবনটা কিভাবে উপভোগ করতে হয় মুন জানে। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করা ড্যাম স্মার্ট বয়ফ্রেন্ড নিয়ে সাজানো জীবন ওর। মাসের শুরুতে বেতন পেয়ে বলবে, 'চলেন তো সুরভি আপা আড়ং ঘুরে আসি। ফেরার সময় হট ডগ আর কফি।' আজ বেতনের দিন। মুন সকালেই গুড মর্ণিং জানিয়ে বলেছে, 'আপা আজ কিন্তু বেতনবার!'
মুন আবার বলে,
-আরনল্ডের মেইল রিপ্লাই করেছেন আপা?

আমি হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে মুনের দিকে তাকাই। আমি ওকে বসতে বলবার আগেই চেয়ার টেনে বসে পড়ে মুন প্রফুল্ল স্বরে বলতে থাকে,
-আপা আড়ঙে সেল চলছে। অফিস শেষে চলেন তো। ফেরার পথে সুইট ড্রিমস ঘুরে আসবো। সুইট ড্রিমস দারুণ সব আন্ডার-গার্মেন্টস আর স্লিপিং গাউন এনেছে।
আমি ওকে কপট ধমক লাগাই,
-এই প্রতি মাসে এসব কিনে নাকি কেউ?
মুন আমার দিকে চোখ নাচায়,
-আরে আমার জন্য কিনবো নাকি? আমারটা দেখে কে! আপনার জন্য।

ওর কথা শুনে আমি বয়ঃসন্ধিকালের মতো লজ্জা পেয়ে যাই। অপর্ণা আর মুন দুজনের সংস্পর্শে এলেই মন ভাল হয়ে যায়। একজনের বিষাদের সাথে দারুণ বোঝাপড়া, আরেক জন যেন বিষাদের সংজ্ঞাই জানে না। দুজনের সাথেই আঙুলবন্দি উড়তে আমার ভাল লাগে। সব ভুলে আমি মুনের সাথে আড্ডায় মেতে উঠি।
(চলছে)
ও ময়ূর, পাখা মেলে দাও (২য় পর্ব)
ও ময়ূর, পাখা মেলে দাও (১ম পর্ব)


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

আগের পর্বগুলোও পড়ে এলাম। আগ্রহ জারী আছে। হাসি আশা করি আর অনেক পর্ব আসবে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা। পরের দুই পর্ব লিখেছি। আপনাদের সামনে দেয়ার মতো হলে দিবো। শুভকামনা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

এমন মন্তব্য পেয়ে ভয় করছে। আপনাদের অনুভূতি জেনে সম্পাদনা করে কমতিটুকু সেরে নিতে চাই। ভাল থাকুন প্রিয়মুখ আয়নামতি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

দীপ্ত এর ছবি

এটা কি শেষ পর্ব?

অপেক্ষায় ছিলাম অনেকদিন। শেষটাও ভালই লেগেছে, আপনার ভাষায় বলি

ভাল থেকে হ্রস্ব ই'কারটাও কয়দিন পর তুইলা দেওয়া যাইবো।

ব্যক্তিগত মত - এই সিরিজের প্রথম পর্বটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কেউ আমার লেখার অপেক্ষায় আছে জেনে খুব আনন্দ লাগছে। অশেষ কৃতজ্ঞতা।
না শেষ পর্ব না। শেষ হচ্ছে না। লিখতেই ইচ্ছে করে শুধু যখন লেখাটা নিয়ে বসি। যা মন চায় লিখে ফেলি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

কেমন লাগে রে! মন্তব্য লিখে সংরক্ষণে ক্লিক না করেই পটাং করে পাতা উল্টে ফেলেছি মন খারাপ
আবার নতুন করে মন্তব্য লিখতে হলু তাই।
এপর্বটা এট্টু কমজোর লাগলো। সময় নিন সমস্যা নাই। কিন্তু শেষপর্বটা সেইরাম হওয়া চাই বাবা!
আপনি তেমনটা লিখতে পারবেন জানি বলেই আশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠেছে বুঝলেন?
শুভকামনা থাকলো হাসি

মজিবুর রহমান  এর ছবি

বড় গল্প পড়ার ধৈর্য আমার থাকেনা কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলছি প্রথম পর্ব থেকে পড়ে এলাম , মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না।গল্পের চরিত্রায়ন লেখনির বুনোআদরে সমুজ্জ্বল , বাকিটুকুর জন্য অপেক্ষায় রইলাম ( দুই বালতি পপকর্ণ হাতে )।

মজিবুর রহমান

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা। আমিও আপনার লেখায় অপেক্ষায় রইলাম।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

আজকে ভেবেছিলাম সবার আগে কমেন্ট আমিই করবো কিন্তু টুকরো টুকরো কাজে আটকে গিয়েছিলাম। তোমার এই সিরিজটা পড়তে ভালো লাগে। চিঠির ভাষাটা মজার। আশা করছি সামনেই পুরো লেখা ইনশাহ্ললাহ মলাট বন্দী হিসেবে দেখবো।
ভালো থেকো।

অপর্ণা মিতু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

তুমিও ভাল থেকো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... শেষ হলে একবারে পড়ব পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমিও ইটা রাইখ্যা গেলাম... রাখলাম। পরীক্ষা বেরুলে পড়ব!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

এই ফাঁকে এলোমেলো কিছু শব্দের ঝাঁক আসুক। কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ভালো লাগা সুলতানা সাদিয়া।

বরাবরের মতো সাবলীল সুন্দর লেখা।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

গগন শিরীষ  এর ছবি

দারুন!

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

চলুক

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লাগলো চলুক

- ওমেশু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন লিখেছেন....আপনাকে দিয়েই সম্ভব বাংলা সাহিত্যের অগ্রগতি

- আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অগ্রগতি! চলুক সবাইকে নিয়ে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।