ভাতফুল

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৬/২০১৫ - ২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উঠানের একপাশে রেবেকার লাশ রাখা। দু'টো ভারি বিছানার চাদর দিয়ে লাশের খাটিয়া ঘিরে দেওয়া হয়েছে। লাশের মাথার কাছে রাখা চেয়ারে একজন বয়স্কা মহিলা বসা। মহিলার হাতে লাল দানার সুন্দর একটা তজবিহ। মহিলা তজবিহ জপছেন আর মাঝে মাঝে বলছেন, ‘মুদ্দার গোছল সারা হইছে, আপনারা সবাই দূর থেইকা দোয়া করেন, ম্যায়া মুদ্দারে পুরুষমানুষ দ্যাখতে পারবো না।’ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কারো মধ্যে লাশ দেখবার কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হচ্ছে না। বরং মহিলার হিমশীতল কণ্ঠ শুনে কেউ কেউ দৃষ্টি বেশি দূর অগ্রসর হবে না জেনেও আগ্রহী হয়ে পর্দা ভেদ করে সেদিকে তাকাচ্ছেন।

উপস্থিত জনতার মধ্যকার আরোপিত নিরবতা দেখে বোঝা যাচ্ছে মৃত্যুর প্রাথমিক ধকল বাড়ির সকলে কাটিয়ে উঠেছে। এমনকি আগত অতিথিদের কুশলাদি বিনিময়ে চাপা আওয়াজ আর রেবেকার মায়ের বিলাপও স্তিমিত হয়ে এসেছে। বেলা বাড়বার সাথে সাথে বাড়ির মধ্যে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি আর বাতাসে ভেসে বেড়ানো আগরবাতির ঘোর লাগা গন্ধ থেকে থেকে শুধু স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে এটা একটা মরা বাড়ি। হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে একটা কচি গলা কেঁদে উঠলো, আমার খিদা লাগছে। ভাত খামু।

এবার লোকজনের মধ্যে দুইটি সরলবাক্য নিয়ে জটিল সব আলোচনা শুরু হয়ে গেল। যেন এত ফুটফুটে মুখে ক্ষুধা কথাটি যত বেশি বেমানান, তার চেয়ে বেশি বেমানান এখন কথা বলবার স্থানটি। তাই নিরবতা ছিন্ন করে কথার গুঞ্জন শোনা যায়, ছিঃ ছিঃ ছেমড়ির নোলা কত! মায় মরছে আর খাওন খোঁজে। আইজকালকার পোলাপাইন! বাপ-মা মরতে না মরতেই চোক্ষের পানি শুকাইয়া পেটের চিন্তা! কিসব বিলাই ছাও পেটে ধরছে রেবেকা। ম্যায়াডার তো কপালডাই পোড়া আছিল। নাইলে এ্যাতো অল্প বয়সে হাটের রোগে মরে!

নিথর লাশটি তার কপাল আর গর্ভের ওপর আরোপিত দোষারোপের উত্তর করে না দেখে অচিন দেশের পরীর মতো মায়াবী গলায় কে একজন বলে ওঠে, ‘আহারে পোলাপাইন মানুষ! মায় কি আর এ্যাতো বেলা না খাওয়ায় রাখতো?’ বাচ্চা মেয়েটি চোখের পানি আর কথার বন্যায় ভেসে যেতে যেতে যেন তীর খুঁজে পায়। এবার সে চোখের পানি মুছে নিয়ে বক্তার দিকে তাকায়। উদ্বিগ্ন বালিকার চোখের দৃষ্টি পরখে বোঝা যায়, আহা এখন যদি প্রশ্নের পাশাপাশি উত্তরপত্রও মেলে!

মেয়েটি আকাঙ্ক্ষিত উত্তর না পেয়ে দিশেহারার মতো বলে ওঠে, ‘মা কোন বিহানকালে ভাত দেয়! আইজ কেউ খাইতেও ডাহে নাই। আমার খিদা লাগে নাই?’ এবারও প্রশ্নের উত্তরদাতা মেলে না। বরং শ্রোতাদের চোখেমুখে অদ্ভুত এক আলোকরশ্মি খেলা করে। রেবেকার মাথার কাছে বসে থাকা মহিলা যেন বিস্ফোরণ ঘটায়, ‘ম্যায়াডারে কেউ নেয় না ক্যা?’ সেই বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া হয় বিপরীত। নিজের ভুল বুঝতে না পেরে দ্বিগুণ দৃঢ়তায় পুরনো দাবী উত্থাপন করে সে, ‘আমি ভাত খামু!’ দিকভ্রান্তকে পথে আনতে এবার চেষ্টা তদবীর শুরু হয়।

গলায় সবটুকু আর্দ্রতা ঢেলে সেই মায়াবী কণ্ঠস্বর আচমকা বলে ওঠে, ‘আয় সোনা আমার সাথে, দেহি পাকঘরে কি আছে।’ সোনালীর চোখজোড়া এবার সোনার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে। প্রিয় বন্ধুর মতো সোনালী তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। দশ বছরের সোনালীর নির্বুদ্ধিতায় যত না গুঞ্জন উঠেছিল, এবার তার চেয়ে বেশি গুঞ্জন ওঠে। তারপর সেই গুঞ্জন ভেদ করে এক পরিণত গলার ধিক্কার শোনা যায়, ‘বুদ্ধি গোলায় খাইছোনি টিপুর মা! মরা বাড়ি চুলা ধরায়নি?’ টিপুর মা এবার অসহিষ্ণু গলায় উত্তর দেয়, ‘না গো চাচী, বুদ্ধি গোলায় খাই নাই। সব খাওনের তো আর রান্ধন হওনের লেইগা চুলায় যাওন লাগে না। আছরের ওয়াক্ত হইয়া যাইতাছে ছাওয়াল-পাওয়ালের কি পেট নাই নি? নিজেরাতো বাড়ির থন এক পেট খাইয়াই আইছি! আয় সোনা।’

বাধ্য মেয়ের মতো সোনালী টিপুর মায়ের পিছু পিছু রান্নাঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে। ভাত চেয়ে কথা শোনায় যত না বিস্মিত হয়েছিল সোনালী, তার চেয়ে শতগুণ বিস্ময় নিয়ে ও তাকিয়ে দেখে রান্নাঘরের এক কোণে বসে তার বাবা বাটিতে করে মুড়ি খাচ্ছে। টিপুর মা আর মেয়েকে দেখে তোফায়েল লাজুক ভঙ্গিতে হাসে, ‘আয় সোনা, মুড়ি খাবি?’ টিপুর মা সোনালীর হাত ধরে তার বাপের পাশে বসিয়ে দিয়ে বলে, ‘আমি দরজা ভিরায় যাইতাছি।’

তোফায়েল টিপুর মায়ের দিকে বিব্রত দৃষ্টিতে তাকায়। টিপুর মায়ের চাহনিতে দৃশ্যমান নির্ভরতা মেপে নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে যেন, ‘হেই বিহান বেলারথন কানতাছি, খিদা লাগছিল।’ তারপর তোফায়েল মেয়ের কানের কাছে ফিসফিস করে বলে, ‘নে মা, তুইও দুইখান মুড়ি খা।’ সোনালী হাত বাড়ায়। মেয়েকে তার অপকর্মের অংশীদার করতে পেরে তোফায়েল খুশি হয়ে ওঠে, ‘এট্টুন গুড় থাকলে ভালা হইতো, নারে? তোর মায় গুড় যে কই থুইছে!’ ক্ষুধা সমস্যার আপাত সমাধান পেয়ে মুঠো ভর্তি মুড়ি নিয়ে সোনালী বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘গুড় লাগতো না বাপজান, হুদাই মজা।’


মন্তব্য

দীপ্ত এর ছবি

সংক্ষিপ্ত, সুন্দর। "তোর মায় গুড় যে কই থুইছে" ধাক্কা মেরে যায়।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা ভাই।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

এই প্রথম প্রয়োজন আর বিলাসের পার্থক্য ভালোভাবে বুঝতে পারলাম-সোনালি আর ওর বাপের খাওয়া থেকে চোখ টিপি । বরাবরের মতোই দারুণ গপ্প, সাদিয়া’পু চলুক চলুক

দুইখান বানান নিয়া এট্টু কই যদিও আমি নিজেই প্রচুর বানান ভুল করি-
সোনালী>সোনালি
নিরবতা>নীরবতা
আর ‘দু’টো’ বানানটা সঠিক তবে বাংলা একাডেমি এখন ‘দুটো’ বানানকেও সঠিকতা দিয়েছে।

দেবদ্যুতি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ। ঠিক করে নিবো। ব্যস্ততার জন্য বড় করে উত্তর করতে পারলাম না।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভাল লাগলো। চলুক
এরকম বাড়ির কথা ভাবলেও কেমন যেন একটা খারাপ লাগা ভর করে মনের উপর।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হুম, মাস পাঁচেক আগে এমন একটা বাড়ি থেকে ফিরেই মন খারাপ লাগা নিয়ে লিখেছিলাম। সেই বাড়ির ভাইবোনেরা একটা সময় সবাইকে খেতে ডাকছিল দেখে আমি অবাক হচ্ছিলাম। এক আপা বলেছিলেন, মা তো যাবারই ছিল। কিন্তু ক্ষুধা কি আর থেমে থাকে?

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দারুণ।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ কবি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

শিশিরকণা এর ছবি

কি সুন্দর গল্প!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ প্রিয় শিশিরকণা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

এক লহমা এর ছবি

কঠিন গল্প। ভালো ধরা হয়েছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

একটু খারাপও ধরবেন দাদা মাঝে মাঝে। খারাপটুকু শুধরে নিবো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

পেটই মানুষের জীবনের বড় কাল…দারুন লিখনি।
এ্যানি মাসুদ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা আমার নিয়মিত পাঠকের প্রতি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

shahaziz এর ছবি

বাস্তবধর্মী লেখা। মরা বাড়িতে কেউ খাবেনা এধরনের তামাশা দেখেছি। আবার উল্টোটা দেখেছি প্রায় সবখানে। সংস্কারধর্মী লেখা। জীবনে কোন কিছু থেমে থাকেনা, জীবনটা একটা চাকা বিশেষ। শুভেচ্ছায়।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কৃতজ্ঞতা জানবেন। তবে কোনো সংস্কার আমার উদ্দেশ্য ছিল না, অনুভূতিটা নিজের করতে চেয়েছি মাত্র।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

লজ্জা পাচ্ছি প্রিয় আয়নামতি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লিখেছেন!! আমিও অনেক বাড়িতে দেখেছি, মরার কস্টটা একসময় সহ্য হয়ে যায় কিন্তু ক্ষুধা যে কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। এটা ভিষণ বাস্তব, কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না।

জোছনা

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

বুকের ভেতরে কেমন ধাক্কা দিয়ে গেলো। সংক্ষেপে কত কথাই না বলা যায়। শুভকামনা আপু

@জিল্লুর রহমান সোহাগ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

বরাবরের মতোই গল্প ভালো লেগেছে। তবে স্বজনদের শুরুর দিককার রূঢ় আচরণটা কিছুটা আরোপিত মনে হয়েছে, যদিও এটা গল্পের পরিণতির জন্য দরকারি বোধ হয়।

স্বয়ম

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আসলেই বেশি রূঢ় হয়েছে। কি জানি কেমন করে এমন রূঢ়তা এসে পড়লো আঙুলে। অশেষ কৃতজ্ঞতা, এভাবেই অনুভূতিটুকু জানাবেন।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

তানিম এহসান এর ছবি

সুন্দর গল্প, খুবই ভাল লাগলো হাসি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। হাসিমুখেই থাকুন।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মরুদ্যান এর ছবি

আহা! কি সুন্দর!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটা বেশ লেগেছে । অন্যরকম স্বাদ ।

(কলমের কালি শেষ)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনাকে সচলে প্রথম পেলাম।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সো এর ছবি

চমতকার!

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

হাচলাভিনন্দন সো! ধন্যবাদ। আপনার নতুন লেখা ছাড়ুন।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

গৌতম হালদার এর ছবি

চমতকার লেখা গুরু গুরু
শেষ প্যারাটা হৃদয় ছুঁয়ে দেয়।
অপেক্ষায় থাকলাম।

গৌতম হালদার

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ধন্যবাদ

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

গান্ধর্বী এর ছবি

এমন লেখা পড়ে নিজের লিখতে না পারার কষ্টটা বেমালুম ভুলে থাকা যায় গুরু গুরু
পাঁচ তারা দাগিয়ে গেলুম

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অনেকদিন পর এলেন। মাঝে মাঝে লেখা আসে না। আসবে অচিরেই, অপেক্ষায় আছি। শুভকামনা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।