দম দেয়া ঘড়ি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৮/২০১২ - ৬:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুম করে দশ পনের বছর সময়ের মধ্যে চারদিকে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনটা করিম সাহেবকে বড্ড একটা অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রৌঢ় তিনি। মানুষের বয়স ষাটের উপরে গেলে তাই তো লেখা হয় বইয়ে। শব্দটা একটু অপ্রচলিত। কাউকে তিনি বলতে শুনেননি, ‘ অমুক লোকটা একটা প্রৌঢ় লোক।’ পাড়ার যে ফার্মেসীর দোকানটাতে সন্ধ্যার দিকে গিয়ে তিনি গল্প করেন সমবয়সী আরও কিছু লোকের সাথে তারা তাঁকে এখনও ডাকে করিম ভাই। রিক্সাওয়ালা ভাড়া নিতে গিয়ে বলে, ‘ চাচা দুইডা ট্যাকা একটু বাড়ায় দিয়েন।’ চাচা শব্দটা তবু অত গায়ে লাগেনা তাঁর। তিনি বুঝতে পারেন শব্দটাতে কেমন যেন একটা শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা ভাব আছে আবার নিজেকে একটু কমবয়সীও ভাবা যায়। তিনতলার সুচিত্র বাবুর স্কুল পড়ুয়া মেয়েটা দেখা হলেই সালাম দেয়। বড় মিষ্টি মেয়েটা। বলে, ‘ দাদু, আমাকে ন্যারেশানটা আবার একটু বুঝিয়ে দিতে হবে। মাথায় একটুও ঢুকেনা।’ দাদু শব্দটা এই লক্ষী মেয়েটার মুখে অতটা আপত্তিকর শোনায় না। তবু করিম সাহেব একটু দমে যান। আশেপাশে ভাল করে তাকিয়ে নিয়ে একটু রাগতঃ স্বর গলায় এনে উনি বলেন, ‘ ঢুকবে কিকরে, মাথায় যে তোর শুধুই গোবর।’ মেয়েটা তখন ফিচিক করে একটা হাসি দিয়ে চলে যায়। কিন্তু মাথায় খুন চেপে যায় যখন মাঠের উঁচু দেয়ালের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার পথে শুনতে পান ভেতরে পাড়ার ছেলেগুলো তার নাম ধরে বলাবলি করছে, ‘ বুইড়া একটা আস্ত শয়তান, ক্লাবের চাঁদার খাতায় একশটা টাকাও দেয়না।’ করিম সাহেব মনে মনে একটা বিশ্রী গালি আওড়ান তখন ছেলেগুলোর উদ্দেশ্যে। যদিও এই শব্দটা এখন আর উনি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করতে পারেননা।

করিম সাহেব প্রতিদিন সকালে অনেক সময় নিয়ে শেভ করেন। বাথরুমে একবার ঢুকলে বেরুতে বেরুতে প্রায় এক ঘন্টা। ব্যাপারটা নিয়ে ঘরের সবাই একটু বিরক্ত হলেও মুখ ফুটে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। শুধু মাঝে মাঝে জাহানারা, মানে তাঁর স্ত্রী, এসে দুয়েক কথা শুনিয়ে দেয়। যেমন- ‘ আচ্ছা তোমার যে বয়স হয়েছে এটা তোমার মাথায় থাকেনা? বাথরুম দুইটার একটা যদি তুমিই দখল করে রাখ সকাল বেলায়, বাকীদের যে অসুবিধা হয় এটা তো তোমার বোঝার কথা।’ অথবা ‘ এই বয়সে উত্তম কুমার হবার শখটা না জাগালেই কি নয় তোমার?’ করিম সাহেব জাহানারার কথা ভাবেন। এই নারীটির সাথে বত্রিশটি বছর একসাথে আছেন তিনি। মাঝে মাঝে সীমাহীন বিরক্তি জেগে উঠলেও জাহানারাকে তিনি ভালবাসেন। এখনও তাঁর মনে হয় জাহানারা মালা সিনহার মত সুন্দরী। কোন মেলায় গেলে তাঁতের সুন্দর কোন শাড়ী দেখলে তাঁর জাহানারার কথাই মনে আসে। অথচ করিম সাহেব নিশ্চিত নন জাহানারা তাঁকে আর ভালবাসে কিনা। হয়ত দীর্ঘ এক অভ্যস্ততার আড়ালে প্রেমের ঊচ্ছ্বাসটা ঢাকা পড়ে আছে। একটা মানুষ অন্য আরেকটা মানুষের মন কতটুকুই বা আর বুঝতে পারে? হোক না বত্রিশ বছরের সহাবস্থান। সংসার।

করিম সাহেব আয়নায় নিজেকে দেখেন খুটিয়ে খুটিয়ে। মাথার সামনের চুলগুলো একটাও আর নেই। দুইদিকে দুইপাশে কাঁচা-পাকা চুল। প্রতিমাসে উনি নিজেই পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে চুলে কলপ লাগান। একসময় জাহানারার চুলেও এভাবে টুথব্রাশ দিয়ে ডাবরের কলপ লাগিয়ে দিতেন তিনি। ছেলের বউ ঘরে আসার পর থেকে জাহানারা আর চুলে কলপ লাগায় না। গায়ের রঙটা তাঁর এখনও ঊজ্জ্বল। এই ফর্সা রঙের জন্যই ছেলেবেলায় সবাই তাঁকে ডাকত গোরা। আয়নার দিকে তাকিয়ে করিম সাহেব কখনও নিঃশব্দে হেসে উঠেন। তিনি ভেবে পাননা কোন দিক দিয়ে তার এতগুলো বছর কেটে গেল। আয়নার ভেতর তিনি স্পষ্ট দেখতে পান তাঁর যৌবনের চেহারাটা। খুব একটা বেশী বদলে গেছে কি সেটা? আর মনটা? নাহ, মনের বয়স কি আর বাড়ে? তিনি এখনও আসকার দিঘীর পাড় বাদলের দোকানে গেলে সেই চুটকীগুলো শুনে সশব্দে হাসেন যেগুলো শুনে চল্লিশ বছর আগেও হোহো করে হাসতেন। বাদলের সাথে স্কুল পালিয়ে ইংরেজী সিনেমা দেখতে যাওয়ার দিনগুলোকে তার এই সেদিনের বলে মনে হয়। কোথায় যেন একবার তিনি ইংরেজী একটা লাইন পড়েছিলেন। আই এম নট ওল্ড, এজ ইজ বাট আ নাম্বার। মাঝে মাঝে কথাটা মনে মনে আওড়ান করিম সাহেব। তাতে মনে কৃত্রিম একটা ফূর্তি আসে। তবে দুনিয়াটা অনেক বদলে গেছে। এখনকার ছেলে-পিলে, চ্যাংড়াদের চাল-চলন, কথা-বার্তা সবকিছু অদ্ভুত ঠেকে তাঁর কাছে। তিনি চেষ্টা করেছেন দুয়েকবার ছোট ছেলেটার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আলাপ জমাতে। কিন্তু ওদের সাথে তাল মিলাতে পারতেন না। আজকালকার ছেলেগুলো যেন দুনিয়াটা পকেটে পুরে ঘুরে।

মূলতঃ মোবাইল আর ইন্টারনেট এসেই করিম সাহেবের পরিচিত চারপাশটাকে অচেনা করে দিয়েছে কয়েক বছরের মধ্যে। করিম সাহেব ঢেউয়ের এই ধাক্কাটাকে ঠিক সেভাবে সামলাতে পারেননি। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বাসায় যে একেবারে ছিলনা এমন নয়। ন্যাশন্যালের এর সাদা-কালো টিভি দিয়ে শুরু করেছিলেন। জাহানারা ঘরে আসার পর কেনা ওটা। বৃহস্পতিবার কি শুক্রবার রাতে দুজনে একসাথে বিশ্বনাটক দেখতেন। ভালোই লাগত সেই নাটকগুলো। একটা জাপানী টু-ইন-ওয়ান কিনেছিলেন কয়েকবছর পর। পুরোনো দিনের হিন্দি গান রেকর্ড করার সখ ছিল তাঁর। নিউমার্কেটের চারতলায় ছিল টেলিটোন আর ঐকতান নামের দুটো ক্যাসেটের দোকান। ওখান থেকেই টিডিকে কিংবা সনি ক্যাসেটে কয়েকশ গান রেকর্ড করিয়েছিলেন তিনি। এখনও বাথরুমে শেভ কিংবা গোসল করার ফাঁকে ফাঁকে গুনগুন করে তিনি গান কিশোর কুমার কিংবা মুহম্মদ রফির গান। ছেলে-মেয়েরা যখন ছোট ছিল তখন পাহাড়ে বা সমুদ্রের কিনারে বেড়াতে গেলে জাহানারাকে তিনি শোনাতেন এই গানগুলো। জাহানারা অবশ্য কখনও বলেনি তাঁর কণ্ঠটা কিশোর কুমার বা মুহম্মদ রফির মত। তবে ববিতা মানে মেয়েটা খুব মজা পেত তাঁর গলায় গান শুনে। ছুটির দিনে মেয়েটাকে কোলে নিয়ে আদর করতে গেলে বলত, ‘ আব্বু, ঐ গানটা গাওনা আব্বু, মেরে সাপ্নেকা রাণী কাব আয়েগিতু।’ ফ্রিজ কিনেছিলেন বহুবছর পর, তাও জাহানারার অব্যাহত তাগাদায় আর থাকতে না পেরে। জাহানারা বলত, ‘ মাছ-মাংস পচে যাক ওটা সহ্য করা যায়, কিন্তু ছেলে-মেয়েগুলো গরমে একটু ঠাণ্ডা পানি খেতে পারেনা এটা আমি দেখতে পারিনা আর।’ অদ্ভুত যুক্তি! তবু ফ্রিজ কেনার পর মনে হয়েছিল তাঁর জিনিসটা সত্যিই দরকারী। তারপর সাদা-কালো টিভিটার পিকচার টিউব জ্বলে যাওয়ার পর সিঙ্গারের একুশ ইঞ্চির রঙিন একটা টিভি এল ঘরে। এটার মালিকানা অবশ্য যৌথ। বড় ছেলেটা টিউওশনির টাকা জমিয়ে প্রায় অর্ধেক দামই দিয়ে দিয়েছিল। করিম সাহেব তাই ওদের এত বেশী টিভি দেখা নিয়ে খুব একটা বকাঝকা করতে সাহস পেতেন না। পাড়ার বদমায়েশ ছেলেগুলোর কথা তবু গায়ে লাগে, কিন্তু ঘরের লোকের খোঁটা সোজা অন্তরে গিয়ে লাগবে তাঁর।

ছোট একটা চাকরী করতেন করিম সাহেব। খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন না অফিসে। ফলে ঘরে কখনও ফোনের প্রয়োজন অনুভব করেননি তিনি। আত্মীয়জনের বাসায় যাওয়া হত হরহামেশা। সময়ে অসময়ে। অন্ততঃ ফোন করে কারও সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এমনটা তাই কখনও মনে আসেনি। অফিসে একটা ফোন ছিল। ওখান থেকেই কালে ভদ্রে একে ওকে ফোন করেছেন। মাহমুদ সাহেবের ডেস্কে থাকত ফোনটা। উনিই ডায়াল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাম্বারটা মিলিয়ে দিতেন। ফোনের প্রয়োজন না থাকলেও যন্ত্রটার কাজ-কারবার তাঁর কাছে যাদুর মতই মনে হত। কানে শোনা যাচ্ছে দূরে থাকা অদৃশ্য একটা মানুষের গলা। অনেকটা যেন ভূতের সাথে কথা বলা। কি আশ্চর্য্য একটা ব্যাপার! করিম সাহেবের বড় ছেলেটার হাত ধরেই প্রথম মোবাইল ফোন ঢোকে ঘরে। শুরুর দিকে বেশ অবাকই হয়েছিলেন তিনি। তার নেই কোন অথচ কানে লাগিয়ে দিব্যি কথা বলে যাচ্ছে ছেলেটা। কেউ কল করলে সুন্দর একটা বাজনা বাজে। বাজনাটা ক’দিন পর পর বদলে দেয় সাজ্জাদ। অফিসের ফোনটার অথচ সেই একটা শব্দই শুনে এসেছেন তিনি সারাজীবন। আবার এই মোবাইল দিয়ে নাকি মেসেজও পাঠানো যায়। ওতে খরচ কলের চেয়ে কম আসে। করিম সাহেব কয়েকদিন চেষ্টা করেছিলেন যন্ত্রটা সম্পর্কে একটা ভাল ধারণা নিতে। কিন্তু সব কেমন গোলমেলে ঠেকে তাঁর কাছে। নাম্বার টেপো প্রথমে। তারপর সবুজ বোতামটা চাপো। তারপর রিং পড়ছে কিনা শোনো। তারপর কথা শেষ হলে লাল বোতাপ টিপে কেটে দাও। ঝামেলা আছে অনেক। তাই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন দুদিনেই।

করিম সাহেবের নিজের কাছেই আছে এখন একটা নোকিয়া-১১০০ মোবাইল। এটা বড় ছেলেটার কিনে দেওয়া। ছেলেটা বলেছিল, ‘ আব্বু, তোমাকে জন্মদিনের গিফট দিলাম এটা।’ এখনও তিনি মেসেজ পাঠাতে পারেননা। কেউ কোন মেসেজ পাঠালে তা কিকরে পড়তে হয় তাও জানেননা। শুধু জানেন রিং বেজে উঠলে সবুজ বোতামটি টিপে হ্যালো বলে উঠলেই ওপাশ থেকে কথা শোনা যাবে। কাউকে খুব প্রয়োজনে ফোন করতে হলে নাম্বারটা আগে ভাগেই একটা কাগজে লিখে নেন। তারপর একটা একটা করে সংখ্যা টিপে তিনি কল করেন। ছেলেমেয়েরা তাঁর কাণ্ডকারখানা দেখে আড়ালে হাসে। করিম সাহেব অবশ্য টের পাননা।

খুব একটা আধুনিক বলে নিজেকে কখনও দাবী করতে যাননা ভদ্রলোক। এখনও একটা ফাউন্টেন পেন দিয়ে সোনালী ব্যাংকের চেকে সই করেন তিনি। কলমটা নাকি তাঁর বাবার দেয়া। ঘরে ঢাকার পত্রিকা রাখেন না। তাঁর যুক্তি, ‘ ঢাকার পেপারে কি আমি আমার গ্রামের খবর পাব?’ মেয়েটা প্রায়ই বলে, ‘ আব্বু, তুমি একটা ব্যাকডেটেট লোক।’ করিম সাহেব একটু অভিমান করে বলেন, ‘ ব্যাকডেটেট বাবা বুঝি ভালবাসতে জানেনা মেয়েকে?’ ববিতা তখন অবাক হয়, বলে, ‘ তুমি যে কী বলনা আব্বু? আমি কি তা বলেছি? এই যে দেখনা তুমি এখনও এই ময়লা, কাঁচ অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া দম দেয়া ঘড়িটা হাতে পড়। বড় ভাইয়া কত সুন্দর একটা ঘড়ি দিল তোমাকে। ওটা তুমি পড়বেনা। এ ঘড়িটাতো মিউজিয়ামে দিয়ে দেয়া উচিত।’ করিম সাহেব তখন স্ত্রীর দিকে তাকান। জাহানারা ব্যাপারটা বোঝে। তাই মেয়েকে থামিয়ে দেয়। দম দেয়া ঘড়িটার কত বয়স হবে? বত্রিশ কিংবা চৌত্রিশ। তাদের বিয়েতে জাহানারার আব্বা, মানে করিম সাহেবের শ্বশুর, মেয়ে-জামাইকে উপহারস্বরূপ দিয়েছিলেন এই ঘড়ি। করিম সাহেব ঘড়িটিকে বহু যত্নে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রতিদিন নিয়ম করে চাবি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দম দেন। যদিও লেখা আছে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট তবুও ঘামে যাতে নষ্ট না হয়ে যায় তাই তিনি তার নীচে লাগিয়ে রাখেন রাবারের একটা ক্যাপ। করিম সাহেব এ ঘড়ি হাতে দিয়ে সারাটা জীবন অফিসে গেছেন। বিয়েতে, অনুষ্ঠানে, আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন হাতে এই ঘড়ি নিয়ে। এখনও সন্ধ্যায় ফার্মেসীতে বাদলরা বলে, ‘ করিম, তোর ঘড়িটা কিন্তু তোর সাথে বেঈমানি করলনা রে।’ করিম সাহেব তাই ভাবেন দশ-পনের বছর আগেও কত দ্বিধাহীন চিত্তে হাতে এই দম দেয়া ঘড়ি বা বুক পকেটে ফাউন্টেন পেন রেখে অফিস করে বাড়ি ফিরে আসতেন তিনি। কী দ্রুত দুনিয়াটা বদলে গেছে!

আজ দুপুরেই ঘটনা ঘটেছে। খুব সামান্যই ঘটনাটা। করিম সাহেব বাসায় ফিরছিলেন মুরাদপুর সোনালী ব্যাংকের কাজটা সেরে। ভ্যাপসা গরমে ঘামে একাকার হয়ে বাসের মাঝামাঝি একটা সিটে জানালার পাশে বসেছিলেন তিনি। ষোলশহর স্টেশনের সামনে বাসটা দাঁড়াতেই বাঁ হাতটা দিয়ে জানলাটা একটুখানি খুলে হাতটা একটু বাইরে রাখলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ফেরতা শাটল ট্রেণটা সবে স্টেশনে থেমেছে। দলে দলে রাস্তা পেরুচ্ছে বিভিন্ন বয়সী ছাত্র-ছাত্রীরা। কারও কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। কারও হাতে একটা ডাইরী। ওদের দিকে তাকিয়ে থেকে একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন করিম সাহেব। হঠাৎ একটা হেঁচকা টান মারল কে যেন। হাত থেকে ছিঁড়ে গেল তাঁর ঘড়ির বেল্ট। করিম সাহেব দেখলেন ঘড়িটা উড়ে গিয়ে পড়ল একদম রাস্তার মাঝখানে। অমনি রাবারের ক্যাপটা খুলে গড়িয়ে রাস্তার ওপাশে চলে গেল। নিজের অজান্তেই তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলেন, ‘ ধর, ধর, শালা ঝাপটাবাজ।’ ঘড়িটা হাতে রাখতে না পেরে লোকটা আর কোনদিকে তাকালো না। বামদিকে একটা কাট মেরে শপিং কমপ্লেক্সের লাগোয়া গলিটা ধরে সে সুগন্ধার দিকে ছুট লাগাল। করিম সাহেবও বাস থেকে নেমে গেলেন। কয়েকটা ছেলেকে দেখলেন চোরটার পেছন ধাওয়া করতে। রাস্তার যেখানটায় ঘড়িটা ছিটকে গিয়ে পড়েছিল ওখানে কয়েকটা টুকরো পড়ে আছে দেখলেন তিনি। কোন একটা বাস হয়তো ঘড়িটার উপর দিয়ে চলে গেছে। করিম সাহেবের মনে হল বাসটা আসলে তাঁর বুকের উপর দিয়ে চলে গেছে।

আন্দরকিল্লা মোড়ের ঘড়ি মেরামতকারী লোকটা তাচ্ছিল্যের একটা হাসি হেসে বলল, ‘ চাচা, এই ঘড়ির লাইফ আর নাই। আপনি এইবার একটা নয়া ঘড়ি কিনে ফেলেন। আমাদের এখানেও বেশ কিছু ভাল ঘড়ি আছে। বিদেশী।’ বলেই লোকটা ঘড়ির শোকেসটা করিম সাহেবকে দেখিয়ে দেয়। করিম সাহেবের হৃদয়টা বেদনার্ত হয়ে উঠে। বিয়ের দিনের জাহানারার মুখটা তাঁর মনে পড়ে। সিটি কর্পোরেশন অফিসের পাশ দিয়ে তিনি ক্লান্ত পায়ে হাঁটতে থাকেন। যেতে যেতে তাঁর মনে হয় হঠাৎ একটা যুগ যেন এক মূহুর্তে শেষ হয়ে গেছে। এক লহমায় তাঁর বয়স যেন বেড়ে গেছে অনেক।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দু’এক জায়গায় বানানটা একটূ দেখে নিয়েন...যেমন মেয়েটা বলে ‘এই দেখ না তুমি এখন এই ময়লা,কাঁচ অস্পস্ট হয়ে যাওয়া দম দেওয়া ঘড়িটাই ‘পড়ছ’।বড় ভাইয়া কত সুন্দর একটা ঘড়ি দিল তোমাকে অটা তুমি ‘পড়বেনা’। অবশ্য অতি আধুনিক ছেলেমেয়েদের উচ্চারণের ঢং টাই এখন এমন।

আমার কেন জানি মনে হয় শরীরের বয়সের সাথে সাথে মনের বয়স ও কম বেশি বাড়েই...আমাদের মনের বয়স ও বাড়ছে...হয়তো আমরা তা ধরতে পারছি না...করিম সাহেব ও পারেন নি...এই যে সময়ের সাথে তাল মেলাতে না পারা-এটাও সেই মানসিক বার্ধক্যেরই উদাহরণ...

নকিয়া-১১০০ সেটটার কথা পড়ে বেশ মজা পেলাম...মনে হয় ৬০ ভাগ বৃদ্ধদেরই প্রিয় মোবাইল সেট এটি।আমার ধারণা আপনার বাবাও এই সেটটি ব্যবহার করেন... হাসি

করিম সাহেবের নিজ চুলে কলপ দেওয়ার সাথে সাথে স্ত্রীর চুলে কলপ লাগিয়ে দেওয়াটাও বেশ মজা লেগেছে...কারণ সাধারণত দেখা যায় স্ত্রীরাই স্বামীদের মাথায় কলপ লাগিয়ে দেয়...একটু বিপরীত উপস্থাপনা মন্দ লাগে নি...

জায়গার নামগুলো একটু অন্যরকম হলে ভাল লাগত।কোন সত্য ঘটনার অবলম্বনে??

আগের সবগুলো লেখার চেয়ে এই লেখাটা ভিন্ন...এতে খাটি গল্পের স্বাদটা পাওয়া গেছে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই গল্পটা বেশ ছিমছাম। এরকম ঝরঝরে লেখা পড়তে আরাম হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দৃশ্যগুলো এত স্পষ্ট যে গল্প বলে মনে হয়নি। এত কাছ থেকে লেখা গল্পগুলো খুব টানে! চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ নীড়'দা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

রংতুলি এর ছবি

চরিত্রের মধ্যে ঢুকে লিখেছেন একদম, তাই এতোটা নাড়া দিয়ে গেলো মনকে! কেনো জানি আব্বার কথে মনে পড়ে গেলো... মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার আব্বা এরকম ঘড়ি পড়তেন? আমার বাবা কিন্তু পড়তেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

বলছি তো ভায়া জামা জুতো ঘড়ি এগুলো হয় 'পরা' আর ক, খ,গ,ঘ এগুলো হয় 'পড়া। যেমন ইংরেজীতেও আমরা বলি 'টু উইয়্যার আ ওয়াচ' সেরকম।অবশ্য আপনি যদি কনফিডেন্টলি ভুল করতে চান আর আপনার পাঠক কে একটা বড়সড় ধাক্কা দিতে চান আমার কিছু করার নেই।।। হাসি

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

ভাল লাগল । গল্প হলেও বাস্তব।

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

ভালো লাগলো, সুন্দর ধরে রেখেছেন একটা কালকে--

সুমাদ্রী এর ছবি

ধন্যবাদ অনুদা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

স্যাম এর ছবি

চলুক হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনুপ্রেরণা

ভাই-অয়ন আর পবন। ওদের বয়স একই তবে স্বভাব একেবারেই আলাদা। অয়ন শান্তশিষ্ট-লোকে বলে বোকা। পবন চঞ্চল এবং দুরন্ত-লোকে বলে বুদ্ধিমান ছেলে।

অয়ন ঠিক আর আট দশটা ছেলের মতো না। সারাক্ষণ একটা কল্পলোকে তার বাস...কোন কিছুতেই তার খুব বেশি আগ্রহ নেই। একদম ছেলেবেলায় স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে অন্য ছেলেরা যখন গোল্লাছুট বা হা-ডু-ডু খেলত অয়ন জানত ও না এই খেলাগুলোর নিয়মগুলো কি।এই যেমন হা-ডু-ডু দমের খেলা সে জানত কিন্তু কখন দম ফেলা যায় কখন যায় না সে জানত না। জানার প্রয়োজন ও মনে করেনি। যখন একটু ক্ষিদে অনুভব করতো তখনি শুধু টিফিনের ঘন্টাটার জন্য একটু অস্থির হতো সে।টিফিনটা খেয়ে তারপর ক্লাসের সামনের বারান্দায় বসে সবার খেলা আর ছুটোছুটি দেখত।। সারা মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো ছেলেগুলোর মধ্যে পবন ও থাকত।স্কুলে একি ক্লাসে পড়তো দু ভাই।

জগত সম্পর্কে তার এই অনাগ্রহ যে কিছুটা অস্বাভাবিক সে নিজেও বোঝে আর তার কারণ খোঁজে...কিন্তু কোন কারণই পেত না খুঁজে। তার নিরানন্দ স্বভাবটাকে পালটে সবকিছুতে আরেকটু মজা নেওয়ার চেষ্টাও করেছে সে তবু স্কুলের কোলাহল মাঠের চে বারান্দার নীরব কোণটাই তাকে টানতো বেশি।টিফিনের আকর্ষণটাও বড়জোড় আইস্ক্রীম বা আঁচারের আকর্ষণ ছাড়িয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি।অনেক চেষ্টা করেও অন্য ছেলেদের সাথে একটু গল্প জমাতে পারতো না।ওর গল্পের দৌড় ছিল হ্যা,না,ও আচ্ছা,তাই পর্যন্ত।কি করে ছেলেগুলো এমন অনর্গল কথার ফুলঝুরি ঝরাতো ভেবে অবাক হতো সে আর খুব আকর্ষণীয় ভাবে গল্প বলাটা হঠাৎ সঠাৎ রপ্ত করতে চাইত তাও পাছে এসবে ওর অতিরিক্ত অদক্ষতা আর অনাগ্রহ কোন মন্তব্যের জন্ম দেয় যা সে শুনতে চায় না সে জন্য...যেমন ছেলেটা কারো সাথে মেশে না...কেমন যেন বোকা বোকা।অয়ন জানত ওর এই বোকা বোকা আর নিরুসাহী স্বভাব লোকের কোন ক্ষতি না করলেও এ নিয়ে কথা বলার সময়ের তাদের অভাব হবে না আর তাতে অবধারিতভাবে চলে আসবে পবনের প্রসঙ্গ অয়নের দুঃখটাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিতে।।নির্লিপ্ত স্বভাবের হলেও তখন জগতের সমস্ত সিরিয়াসনেস এক করে সে কাঁদতে চায় না। কিন্তু এত কিছুর পরও সে নিজেকে পালটাতে পারেনি।

অয়ন মাঝে মাঝে ভাবে তার ‘অনাগ্রহ’র যেমন কিছু ক্ষতি আছে তেমনি কিছু উপকারও তো আছে।খেলতে যায় না বলে খেলার মাঠে হঠাৎ বেধে যাওয়া ঝগড়াগুলোতেও তো তাকে পড়তে হয় না...বছর তিনেক আগে বিকেলে ফুটবল খেলতে গিয়ে ঝগুড়া বেধে পবন রিমন কে মার লাগিয়ে দিল আর রিমনের বাবা সোজা এসে বাবার কাছে নালিশ করলো।তারপর কামরাঙ্গা গাছের ডাল ভেঙ্গে সে কি মার পবন কে!স্কুল থেকে বাসায় না ফিরে সিনেমা দেখতে যাওয়ার কারণে মা’র হাতে ভীষণ মার খেল আরেকবার।অয়ন কে নিয়ে তো এই ঝামেলাগুলো হয় না।তবু পবন ই যেন সবার বেশি আপন বেশি প্রিয়। তাতে অয়নের কোন অভিযোগ নেই।পবন তো তার ই ভাই।

অয়নের দুঃখটা ছিল অন্যখানে।অয়নের যে কোন গুণ ছিল না তাতো না। লেখাপড়াতেও সে ভালো পবনের চেয়েও।।হাতের লেখাও অনেক সুন্দর ছিল।।ওর অনেক আগ্রহের একটা বিষয় ছিল চিত্রাঙ্কন।।ক্লাসে সবার চে বেশি নম্বর ছিল তার। বেশি মার্কস পাওয়ার জন্য অন্য ছেলেরাও ওর কাছে আঁকা শিখতে চাইত। গানের গলা ও ভাল ছিল ছেলেটার।কোন প্রতিষ্ঠানে শিখে নিতে পারলে আরো অনেক ভাল করার সম্ভাবনা ছিল ওর।কিন্তু বোকা ছেলেটা যে কোন কিছুর আবদারও করতে জানত না।আর তাতে লাভ হতো পবনের। নিত্যনতুন আবদারের মেলা বসত ওর।আজ নতুন জামা কাল জুতো।এক ঈদ এ পবন পেল দুটো জামা আর পবন একটা...কারণ দ্বিতীয় জামার আবদারটা সে করেনি। আবদারের ভার কম হওয়ায় বাবা মাও পূরণ ও করতো সেগুলো।

অয়ন ছেলেবেলা থেকেই জেনে এসেছে সে সীমাহীন বোকা যে কোন কিছু পারে না।।জানে না...কিন্তু তার এই গুণগুলোর খোঁজ ও করেনি কেউ প্রশংসা তো পরে। যা কিছু তার নেই তাই কেবল আলোচনায় এসেছে যা সে পারে তা রয়ে গেছে অগোচরে।ওদের সামনের বাসার অন্তুর আম্মু দু একবার এসেছিল পবনদের বাসায়।তার আলোচনায় ও কি করে যেন উঠে এল অয়ন কেন কথা বলে না, কেন ওর কোন বন্ধু নেই...ওকি একটু বোকা?-এমন কথা।।আর সেই সাথে অন্তুর বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা তো হাতে গোনা যাবে না ইত্যাদি।অথচ এই অধিকতর বোকা মানুষগুলো ভাবে নি একটা ছোট্ট প্রাণে কতটা ভয়ানক প্রভাব রাখতে পারে এই কথাগুলো।এদের এহেন অনর্থক আলাপের ফলশ্রুতিতে একসময় অয়নের ছোট্ট মনে দুঃখের বিশাল ঢেউ ওঠে।অয়ন যেন ধীরে ধীরে আরো নিস্পৃহ হয়ে যেতে থাকে।

এদিকে পবন অয়নের চেয়ে বেশি নম্বর পেতে আর্ট শিখল...গানের ও তামিল নিতে শুরু করলো। কোন একটা আঁকা একটু ভাল হলেই বলতো ‘দেখ তো বাবা কত সুন্দর একেছি?’এমন আদুরে গলা শুনে কোনরকম একটা কিছু আঁকলেই ছেলের মন খারাপ হবে ভেবে তাতে বাহবা যুগিয়েছে বাবা মাসহ সবাই। আর তাতেই ওর উৎসাহ বেড়ে গেছে বহুগুণে। ছবি এখন সে অয়নের চে ভাল আঁকে। গেলবার লোকাল একটা আর্ট কম্পিটিশনে ফার্স্ট প্রাইজ ও পেয়েছে ও।এবারো একটা কম্পিটিশনে অংশ নেবে ও।অয়ন নেবে না। পবনের অর্জিত প্রাইজগুলোর দিকে তাকিয়ে পুরনো দিনের কথা কথা মনে পড়ে যায় ওর। ছেলেবেলায় পবনের কম সুন্দর ছবিগুলো দেখে যখন সবাই প্রশংসা করতো অয়ন খুব করে চাইত ওর আঁকা ছবিগুলো দেখেও সবাই ভালমন্দ কিছু একটা বলুক।পবনের মতো যেচে প্রশংসা সে নিতে চায় নি।কিন্তু অয়নের চাওয়াটা চাওয়াই থেকে যেত।

এসব ছোটখাট অতৃপ্তিগুলো অয়নের ক্ষতি করেছে মেলা। এখন অয়ন আটকে আছে একটা জায়গাতেই কিংবা বলা যায় পিছিয়েই গেছে। কাউকে টেক্কা দিতে কোন কিছু করতে সে জানতো না...মুখ ফুটে মনের চাওয়াকে প্রকাশ করতেও সে জানতো না..আর বাবা মাও অয়নের অব্যক্ত চাওয়াগুলো বুঝতে যেতেন না হয়ত খেয়ালের অভাবে বা সীমিত সামর্থ্যর কারণে। অয়ন ও অভিমানে চুপ করে থাকত।ছবি এখন আর সে আঁকে না...হাতের লেখাও আরো একটু সুন্দর করার ব্যপারেও নেই আগ্রহ।সত্যি বলতে কোনভাবেই আর আগের সেই ইচ্ছেগুলোকে জাগাতে পারে না সে।

এভাবে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় তার ছোট ছোট আগ্রহের বিষয়গুলোও...একটুখানি অনুপ্রেরণা আর যত্নের অভাবে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সামান্য কিছু এদিক ওদিক করে দিলে আমার জীবন-কাহিনীই মনে হবে।
ভাল থাকুন।

সুমাদ্রী এর ছবি

হাহা। 'প্রৌঢ়' শব্দটা লেখার সময় আপনার কথা মনে এসেছিল। ভেবেছিলাম আপনি হয়ত পড়ে তেড়ে আসবেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটার মধ্যে বেশ যত্নের ছাপ আছে। ভালো লেগেছে।
হয়তো আরেকটু ছোট করা যেত হাসি

--পাভেল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো পড়তে, এরকম ছিমছাম লেখা পড়তে আরাম; চোখের আর মনের।
ইসরাত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।