দহনের কাল

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: রবি, ১০/০৩/২০১৩ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৌসুমী ভৌমিকের গানের একটা কলিই বারবার ফিরে আসে মনে, '' কোথায় শান্তি পাব, কোথায় গেলে, বল কোথায় গেলে? "

' টার্মিনাল ' ছবির নায়ককে যখন বলা হয় যে তার দেশে এখন দূর্বিষহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই, সেখানে সে ফিরে যেতে চায় কিনা; উত্তরে নায়ক যা বলেছিল তা ঘুরেফিরে ছোটবেলা থেকে শুনে আসা ইংরেজী বাক্যটিরই প্রতিধ্বনি মাত্র- There is nothing sweeter than HOME.

আমার ঘরে বহুদিন ধরে একটা ধোঁয়া জমে আছে, কোন বাতাস এসেই তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়না, আমাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ধোঁয়াটা প্রতিদিন একটু একটু করে গাঢ় হতে হতে বিষাক্ত হয়ে গেছে, ছড়িয়ে গেছে ঘরের প্রতিটি কোনায়, খুপড়িতে, দেরাজে, ড্রয়ারে, বয়ামে, ট্রাংকে। এ ঘরে এখন আমি আর স্বস্তি পাইনা, প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারিনা, দু'চোখ ভরে দেখতে পারিনা দেয়ালে শিশুর পেন্সিল দিয়ে আঁকা নদীটার বুকে ভেসে চলেছে শান্ত যে নৌকো সেটি। ঘরে আমার শান্তি নেই।

আরও একটা গান প্রাণে বাজে প্রায়ই। রবীন্দ্রনাথের। '' দূরে কোথাও, দূরে দূরে, আমার মন বেড়ায় ঘুরে ঘুরে ''। হতাশায়, ক্ষোভে দেশ থেকে দূরে, বহুদূরে চলে যেতে ইচ্ছে করে চিরতরে। মাঝে মাঝে দূরে চলেও যাই। কামলা খাটি। নগরে-নগরে, গ্রামে-গ্রামে, অরণ্যে-অরণ্যে ঘুরে বেড়াই। নোটের গন্ধের মাদকতা ফিকে হয়ে এলে কিংবা ভ্রমণে ক্লান্তি এলে ফিরে আসি আবার ঘরে। ভাতের গন্ধ বহুদূর থেকে ইশারায় ডাক দেয়। সে ডাক উপেক্ষা করা দুঃসাধ্য মনে হয়। সাথে থাকে অনেকগুলো মুখ যাদের আমি বৃথা খুঁজে মরি টেলিফোনে বা ফেসবুকে। ভিয়েনা নামক অপূর্ব একটি নগরীতে কয়েক ঘন্টা হেঁটে মনে হয় আমার শহরে বিকেলে চেরাগী পাহাড়ের মোড়ে বাতিঘর নামের বইয়ের দোকানের সামনের ক'খানা টুলে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার মত সুখ পৃথিবীর কোন সুন্দরতম নগর আমাকে দিতে পারবেনা। ঘুরে ঘুরে ফিরে আসি আমার শহরে। ঘরে। দেখি বিষাক্ত ধোঁয়ায় মরে যাচ্ছে গাছগুলো। শিশুগুলো। নদীটি। কবিরা। শিল্পী।

বিবাহিত এক বন্ধু আছে আমার। স্কুল-শিক্ষক। বিবাহপূর্ব জীবনে কবিতা লিখত। তখনও হৃদয়ে অফুরান হাসি ছিল তার। আজকাল সে আর কবিতা লেখেনা। স্ত্রী আর মিষ্টি শিশুপুত্রটি নিয়ে সে সংসারে ব্যস্ত। এখনও তার হাসি অফুরান। দূর্দিনেও তার হাসি অমলিন। আমি প্রায়ই বলি, '' প্রীতম, তুই সুখী মানুষ, তোর শার্টটা আমাকে দিস, সুখী মানুষের জামা গায়ে চাপালে সুখ পাবে ভেবেছিল অসুখী রাজা।'' সে হেসে বলে, '' বন্ধু, সুখী মানুষের গায়ে কোন বস্ত্র ছিলনা।''

প্রায়ই একে ওকে বলি, '' সুযোগ থাকলে চলে যাও। য পলায়তি স জীবতি।'' সত্যিই তো। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যেকোন মূহুর্তে অদৃশ্য ঈগল এসে সুতীক্ষ্ণ নখর দিয়ে ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে পারে প্রাণ। নিয়ে যাচ্ছেও। শত্রু কে? কোথায়? চিনব কীকরে? ৪২ বছর আগে শত্রুদের চেনাটা সহজ ছিল।তারা ছিল ভিন্ন আবহাওয়ার, ভিন্ন ভাষার মানুষ। দূর থেকে দেখেই চিনে নেওয়া যেত। কিন্তু এখন ঘাতক আপনার পাশের লোকটিই। আপনি তাকে চেনেন না, কিন্তু সে আপনাকে চেনে, আপনার সাথে বসে বাসে করে যায়, চা খায় টং এর দোকানে, পত্রিকা পড়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, নালার ওপর দাঁড়িয়ে মোতে, প্রার্থনায় সামিল হয় একসাথে। কেউউ নিরাপদে নেই এখন আর। যেকোনো জায়গা থেকে তুলে নিয়ে, রাতের আঁধারে কোপ মেরে বা প্রকাশ্যে সবার সামনে ছুরি মেরে বুক ফুলিয়ে চলে যাচ্ছে ওরা, শত্রু বলে চিনবেন কাকে?

তসলিমা'র একটা বইয়ের নাম ছিল এরকম, ' যাবনা কেন, যাব '। আমার মত অনেকেই বলে, '' হ্যাঁরে, আর সম্ভব না, চলে যাব।'' কিন্তু, কোথায় যাব? কোন মহাদেশে, কোন অতল জলের গহীনে, কোন মহাকাশে? দূর থেকে খবর আসে, '' কারও সাথে কথা বলা যায়নারে এখানে, ছাগলের পালে ভরে গেছে ইউরোপ-আমেরিকা।'' আমি বন্ধুর মর্ম-বেদনা বুঝি। আমি নিজেও সেটি টের পাই আশে-পাশের মানুষগুলোর সাথে সামাণ্যতম আলোচনায়। দেখি লোকজন সকালে উঠে অনলাইনে পড়ছে '' আমার দেশ '' পত্রিকা। শাহবাগ আন্দোলন হয়ে গেছে ইসলাম-বিরোধিদের আখড়া। দেখি রাজীবের মৃত্যুতে উল্লসিত লোকটি সারাদেশে সাম্প্রতিক তাণ্ডবের নীরব সমর্থক, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলোর উপর অত্যাচারের খবর পড়ে হাসতে হাসতে একে অপরকে বলছে, '' মালুগুলারে দেশ থেইক্যা লাত্থি মাইরা অগো দ্যাশে পাঠাই দিতে হইবো '', অবাক হয়ে যাই যখন চাঁদের বুকে সাঈদীর ছবি দেখার ব্যাপারটাকে সত্যি ভেবে তারা বলে, '' এইবার আল্লাহর গজব পইড়ব তগো উপরে ''।

ধর্ম ব্যাপারটা জানতাম মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য। একজনকে যখন বললাম, '' বাংলাদেশের এই অবস্থা কেন? এ দেশের অধিকাংশ মানুষই তো ধর্ম পালন করেন, তারপরও কেন আমাদের আত্মা অপরিশুদ্ধ।'' সে বলল, '' আমরা কেউ সঠিকভাবে ধর্ম পালন করছিনা ''। সবাই বলে এ কথা। তাহলে, সঠিকভাবে ধর্ম পালন করছে কে? আমি নিশ্চিত যে লোকগুলো অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভেঙেছে, অন্য ধর্মানুসারীদের বাড়িঘর পুড়িয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে; যারা ফুটুফুটে নিষ্পাপ কিশোর তৌকিরকে খুন করেছে তারা সবাই ধার্মিক এবং তারা বিশ্বাস করে তারা সঠিকভাবেই ধর্ম পালন করে
যাচ্ছে।

নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। কোথাও শান্তি নেই। কোথাও যেন আপন কেউ নেই। বেদনায়, ক্ষোভে, দুঃখে মানবজন্মকে ঘৃণা করতে বসি।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

...কথা ছিলো ‌আমাদের ধর্ম হবে ফসলের সুষম বন্টন, আমাদের তীর্থ হবে শস্যপূর্ণ ফসলের মাঠ।
অথচ পান্ডুর নগরের অপচ্ছায়া ক্রমশ বাড়ায় বাহু অমলিন সবুজের দিকে, তরুদের সংসারের দিকে।
জলোচ্ছাসে ভেসে যায় আমাদের ধর্ম আর তীর্থভূমি,
আমাদের বেঁচে থাকা, ক্লান্তিকর আমাদের দৈনন্দিন দিন।''

যদিও
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশের ক্ষমতায় এখন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দল।
তবুও
স্বাধীনতার এত বছর পর রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বললেই খুন হচ্ছে নিরস্ত্র লোকজন।
রাজীবকে কুপিয়ে মারা হলো তার বাসার সামনেই।
জগৎজ্যোতি মারা গেলেন বাড়ি ফেরার পথে।
তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা রফিউর রাব্বীর ছেলে তানভীর ত্বকীর মৃতদেহ উদ্ধার হলো শীতলক্ষ্যা নদী থেকে।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন সঙ্গীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। গতকাল খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের নিচে পাওয়া গেল তাঁর ছোট ভাই মিরাজ উদ্দিন আহমেদের লাশ।
দায়িত্বপালন করতে গিয়ে নৃশংসভাবে প্রাণ দিলেন কতজন পুলিশ সদস্য...

অক্ষমতায় চোখে কালো ঠুলি আর কানে তুলো দিয়ে পালানোর জায়গা খুঁজে মরি।
যদিও যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে...

[দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য দুঃখিত।]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ধুসর জলছবি এর ছবি

অক্ষমতায় চোখে কালো ঠুলি আর কানে তুলো দিয়ে পালানোর জায়গা খুঁজে মরি।
যদিও যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে...

হুম। আসলেই পালাতে চাইলেও পারা যায় না, ভুলে থাকতে চাইলেও মনে পড়ে যায়। মন খারাপ

স্যাম এর ছবি

আমি পড়লাম কবিতা ...
আহ! এরকম দীর্ঘ মন্তব্য করতে পারতাম!

স্যাম এর ছবি

আমি নিশ্চিত যে লোকগুলো অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভেঙেছে, অন্য ধর্মানুসারীদের বাড়িঘর পুড়িয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে; যারা ফুটুফুটে নিষ্পাপ কিশোর তৌকিরকে খুন করেছে তারা সবাই ধার্মিক এবং তারা বিশ্বাস করে তারা সঠিকভাবেই ধর্ম পালন করে যাচ্ছে।

আমিও ... মন খারাপ

gypsy এর ছবি

"রফিউর রাব্বীর ছেলে তানভীর ত্বকীর" হত্যাকাণ্ডটির দায় আগে বাগে জামাত-শিবিরের উপর চাপানো বুমেরাং হতে পারে। শেষমেশ যদি দেখা যায় এই খুনটা আসলে করেছে নারায়ানগঞ্জের প্রভাবশালী একটি পরিবারের লোকজন, তখন কিন্তু জামাত-শিবির পাবলিক সেন্টিমেন্ট পাবে। জামাত-শিবির প্রচারণা চালাবে অন্যদের খুনের দায় ওদের উপর চাপানো হচ্ছে, যার প্রমাণ ত্বকীর হত্যাকাণ্ড। আজকের আলু পেপারের খবর আর নারায়ানগঞ্জের সাধারণ মানুষ কিন্তু ঐ প্রভাবশালী পরিবারটিকে সন্দেহ করছে।

তারানা_শব্দ এর ছবি

মন খারাপ

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

লেখাটি পড়তে পড়তে তোমার মন খারাপের ভাগ নিয়েই নিলাম!
কোথাও শান্তি নেই! তবু সুমাদ্রী, দেখো, এই আকালেও কীভাবে আমরা আশাবাদ আঁকরে আছি! আমরা সুসময়কে ফেরাবোই।

তারানা_শব্দ এর ছবি

চলুক

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

শামীমা রিমা এর ছবি

নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। কোথাও শান্তি নেই

শামীমা রিমা এর ছবি

আমি নিশ্চিত যে লোকগুলো অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভেঙেছে, অন্য ধর্মানুসারীদের বাড়িঘর পুড়িয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে; যারা ফুটুফুটে নিষ্পাপ কিশোর তৌকিরকে খুন করেছে তারা সবাই ধার্মিক এবং তারা বিশ্বাস করে তারা সঠিকভাবেই ধর্ম পালন করে ।

কিভাবে সমভব ?

তানিম এহসান এর ছবি

আলো আসবেই। আমাদের জেগে থাকা বৃথা যাবে না...

বনজোছনা এর ছবি

মন খারাপ

আইলসা এর ছবি

সমস্যা হইলো আপনারা খুজতে জানেন না। মেট্রিক ফেইলরে জিগান জেনোসাইডের বানান।
শান্তি খুজতে এইখানে আসলে হইতো? শান্তির ফেরিয়ালা উনুস কাক্কুরে মুবাইল মারেন, ক্ষুদ্র ঋন নেন, ব্রাক নিয়া দুইটা ভালো কথা লিখেন, শান্তি ঘরে রাখনের জায়গা পাইতুন না।

[সিরিয়াস পোস্টে হাল্কা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থন পূর্বক]

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তাইলে শান্তি খুজতে কি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান গো কাছে ধর্না দিমু?? ইয়ে, মানে...

নীল আকাশ এর ছবি

মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে।
এটা কেবল আশাবাদ ব্যক্ত করার মিষ্ট কথা নয়। এটা সত্যি ঘটবে। সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়নি এখনো। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নষ্টদের পক্ষে নয়, এই বিশ্বাসটা জাগিয়ে রাখতে হবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ব্যঙের ছাতা এর ছবি

দহনের কাল একদিন শেষ হবেই
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শেষ হবেই এ দহনের কাল।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এ সব দেখে শুনে ক্ষোভে দুঃখে সব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু বলতে চাই আরেকটি লড়ই করবার শক্তি সঞ্চয় করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য।

মর্ম এর ছবি

আমি নিশ্চিত যে লোকগুলো অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভেঙেছে, অন্য ধর্মানুসারীদের বাড়িঘর পুড়িয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে; যারা ফুটুফুটে নিষ্পাপ কিশোর তৌকিরকে খুন করেছে তারা সবাই ধার্মিক এবং তারা বিশ্বাস করে তারা সঠিকভাবেই ধর্ম পালন করে
যাচ্ছে।

তারা ধার্মিক এ কথাটা আমার মনে হয় না। তারা ধর্মের নামে না বুঝে বা ধর্মের দোহাই দিয়ে হয়ত করে এসব, কিন্তু ওরা ধার্মিক নয়।

আমাদের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল, আমরা ধর্ম জানি অল্প। জানার চেষ্টা করি অল্প। কোন ধর্মই মন্দকে ভাল বলে না। ইসলাম শিক্ষা তো পড়েইছি, স্কুলে ছিলাম যখন অন্য ধর্মের বন্ধুদের বইগুলো পড়তেও ভাল লাগত।

ধার্মিক কোন মানুষ অন্য কারো 'হক' নষ্ট করতে পারে না। যদি করে, তাকে ধার্মিক মানতে আমার আপত্তি আছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।