আহ্ কবিতা...

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৬/২০০৯ - ৫:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(মেলানকলি থেকে পালিয়ে বেড়ানোর একটা প্রবণতা গড়ে উঠেছে আশৈশব...মেলানকলি শব্দটা জানবার আগে..বুঝবার তো বটেই। অথচ একটা বয়সের পরে অথবা একটা বয়সে পৌঁছে ভাবনার খাটিয়া ভেঙে কবিতা তাড়া করে বসলো। দৌড়ে অনভ্যস্ত আমি ছুটেছি কবিতার নাগালসাধ্য ব্যবধানে। নিজেকে বাঁচাতে চাইলে হয়তো খড়িকঞ্চির ভরসায় সের্গেই বুবকা হতাম। তার বদলে হিটে আউট স্প্রিন্টার হয়ে আছি। অথচ মেলানকলির সম্ভাবনা দেখামাত্র শাটার নামাই। কবিতায় ফুর্তি খোঁজা পাঠকের সংখ্যালঘিষ্ঠ তালিকায় মহানন্দে পড়ে আছি। সম্ভবত থাকবোও। কী মনে করে কেন আজ হঠাৎ কবিতা নিয়ে লিখবার ইচ্ছা হলো তা এক গূঢ় রহস্য, যার ঢ়'র গভীরতা আমাকে সাঁতার না জানা বিষয়ে সতর্ক করে দেয়। তবুও দীর্ঘকালের আড়ষ্ঠতা কাটাতে আঙ্গুলের বকবকানি বি-ন্যাচারাল থেকে দ্রুত ডি-শার্পে চড়াই পিতলের হাতুড়ির বাড়িতে। এই স্বেচ্ছাচারটাই হয়তো মূলধারার সাথে ব্লগীয় ধারার পার্থক্য।)

বাংলাব্লগ শুরু হবার, মানে কমিউনিটি ব্লগিং শুরু হবার কিছুদিন পর থেকেই আশে পাশে আছি। ব্লগিং শুরু কবিতা দিয়ে। সম্ভবত দ্রুত লিখে পোস্ট সংখ্যা বাড়ানো যায় এটাই সেযূগে কবিতায় একনিষ্ঠ হবার প্রকৃত কারণ ছিল। তার সাথে একরকম প্যাশনও ছিল, যে যাক এতোদিনে কোন একটা ভরা মজলিসে মুখ না দেখিয়ে এইসব অপারগতার পাঠ্যবস্তু ছেড়ে দেবার একটা ব্যবস্থা হলো। কালে কালে কিছু পাঠক জুটলো। পাঠযোগ্য কবিতা আর সেই সাথে আন্তর্জালিক বরেষুদেরও দেখা পেতে থাকলাম। বাংলাব্লগের প্রথম ধাক্কা থেকে দুতিনমাসে উঁকি দিতে থাকলো ব্লগীয় কবিরা।

ক্রমশ বাংলাব্লগের সেদিন ফুরালো। মূলধারার স্বীকৃত মাসলফুল কবিরা ব্লগে আসতে শুরু করলেন। ব্রহ্মতেজে কারো কারো মাসলপুল হলো। নির্বোধ জনতা তাতে আমোদিত হলে, আন্তর্জালকে ব্রহ্মশাপ দিয়ে বিদায় হলেন কেউ কেউ। কেউ কেউ সাতপাঁচ ভেবে থেকেও গেলেন। কিন্তু মনে একটা কিন্তুও তাঁদের অনেকের মাঝেই থেকে গেলো। আন্তর্জালে লিখতে গেলে, তাঁদের সাথে ব্যুৎপত্তিগত বৈসাদৃশ্যের একঝাঁক অসংস্কৃত চাবি-পাটা চালকের পাশে থেকে লিখতে হবে। এ বেদনা আর মধুর হলো না। হয়তো হবারও নয়। তাই হয়তো তাঁদের কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিলেন, না, আন্তর্জালে আর কবিতা না, এখন থেকে নিজেদের কবিতা বিষয়ে কাঠিবাজির জিমন্যাস্টিকস চলবে। শুধু একটা কথাই তাঁরা ভুলে গেলেন। পল্টি যতই নিখুঁত হোক, তাঁদের রোমশ ঠ্যাঙে অন্তত আন্তর্জালিক বাস্তবতায় কেউ নাদিয়া কমুনিচি দেখবে না।

সে যাই হোক। গীবত অতি উপাদেয় হলেও এই পোস্টের ফুঁচকি আপাতত সেদিকে নয়। লিখতে বসেছিলাম ব্লগের কবিতা নিয়ে। সেই সূত্রে ব্লগের কবি আর বিদগ্ধ কবিতে গিট্টু লেগে গেল। এই গিট্টু খুলতে পারবো এমন দুরাশা করি না। তার বদলে ব্লগের পাতায় যাদের কবিতা ভালো লেগেছে এই ব্যক্তি পাঠকের তাঁদের কবিতা নিয়েই দুটো কথা বলবো। এই কথা কোন অবস্থাতেই শিল্প সমালোচনা নয়। নিতান্তই ভালো লাগা কিছু কবিতা আউরে পরবর্তী ভালোলাগার অনিশ্চিয়তার পরিবর্ধন। যাঁদের কবিতা ভালো লাগেনি বা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়া হয়ে ওঠেনি তাঁদের কথা বলবো না। আমি না বললেও অন্য কেউ যখন বলতেই পারে, তখন আমি কেন বললাম না এই দাবীতে ঘেঁটি পাড়া দিয়ে বসা টেক্সচুয়াল/অ্যাকটিভ দুই কালচারেই রাজনৈতিকভাবে অসিদ্ধ।

একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে আমার পছন্দের কবিদের কেউ কেউ সচলায়তনে লেখেন না বা কোন কারণে সচল ত্যাগ করেছেন। এই সমস্যা কাটাবার সঠিক উপায় হচ্ছে এই পোস্ট পড়ার সময় খেয়াল রাখা, আমি এখানে বাংলাব্লগ জগতে আমার ভালোলাগা কবিদের কথা বলছি। সচলায়তনের গন্ডি এখানে নির্ধারক নয়। ঠিক কবিদের কথা নয়, কবিতার কথা বলছি। যেখানে কবিকে শুধুই তাঁর কবিতা দিয়ে বিবেচনা করার মতো একটা ঘোরতর তর্কসাপেক্ষ আবর্তকে সহাস্যে এড়িয়ে শুধু ভালোলাগা কবিতাগুলি উল্লেখের খাঁচায় কাব্যালোচনা নেচে নেচে হাসে।

সেই ২০০৬ থেকে শুরু করি। শুভকথা হচ্ছে আমি পাঠক হিসেবে মারাত্মক ব্যক্তিকেন্দ্রিক। সেই সূত্রে উন্নাসিকও বলা যেতে পারে। ভালো লাগা কবিদের তালিকা সেই কারণে নাতিদীর্ঘ। প্রথমটা যাঁরা লিখতেন তাঁদের কারো কবিতা চোখে ধরে নি। মনে ধরার তো প্রশ্নই ওঠে না। প্রথম চোখে আটকায় রাসেল( ........) এর করা প্যারোডিগুলি। যে অবলীলায় সে একের পর এক প্যারোডি করে যেতো তাতে মুগ্ধ না হওয়া কঠিন ছিল। এই ছেলের প্যারোডির প্রধান শিকারদের একজন ছিলাম আমি নিজে। জীবনে কোনদিন এতো আনন্দ নিয়ে পঁচি নাই। এর পর সেই রাসেলের হাতে আরো অনেক বিদগ্ধজনকে পঁচতে দেখি। আমি নিজস্বতা থাকাকে খুব বেশী গুরুত্ব দেই। সেই সূত্রে রাসেল নজরে পড়া অনিবার্য ছিল। তবে সেই আমলে রাসেলের ভদ্রকবিতাগুলির চাইতে প্যারোডি আর পঁচানিগুলির স্বাদ অনেক অনেক বেশী ছিল। নানা কারণে এখানে লিঙ্ক দিচ্ছি না। কেউ জানতে চাইলে সামহোয়ারে রাসেল ( ........) এর ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল মাসের পোস্টগুলি পড়ে দেখতে পারেন। এর পরের মাসে সে উইলিয়াম ব্লেকের ম্যারেজ অফ হেভেন অ্যান্ড হেল অনুবাদ করেছিল। খুবই শ্রমসাধ্য কাজ সন্দেহ নেই। তবে আমার কাছে এর কোনটাই ওর প্যারোডি বা পঁচানি যেমন, ব্যার্থ রাইছু -- আত্মজীবনি
নামের পোস্টের শেষের এই গুল্লি কবিতাটির সমকক্ষ হতে পারেনি,

ময়লা অন্তর্বাসে সিকনি মুছে
মাথায় সাজিয়ে রাখি গৌরবমুকুট
মুক্তচিন্তনের ফেউ ঘুরে কলামে
খেঁক শেয়ালের খোজে বিজ্ঞ কুক্কুট
কলম অনশনে যায় তুলে ভুয়া ইস্যু
চটি পড়ে রিপুর তাড়নায় পুড়ি
আনমনে চিবাই বীর্যসিক্তমুড়ি
লিখি প্রতিবাদ লিপি
ইতি ব্যার্থ রাইছু।

এর বাইরে রাসেলের ভালো লাগা কবিতাগুলির মধ্যে উল্লেখ করার মতো এই মুহুর্তে মনে পড়ছে বিনিময় করবো না স্মৃতি .....

এই কবিতার মূল্য কত?
সিগারেট বাবদ ৩০ আর যে কাগজে লিখছি সেটা ১টাকায় কেনা।
আড্ডায় বসে ৩ কাপ চা ৯ টাকা আর তোমার সাথে দেখা করবার জন্য যখন রিকশা চেপে যাচ্ছি তখন রিকশা ভাড়া লেগেছে ৩০ টাকা।

মানসিক শ্রম আর কায়িক শ্রমের জন্য মজুরি আরও ৪০ টাকা বাড়ালেও মোটে ১১০ টাকা-
সম্পাদক কিনতে চাইছে ৫০০ টাকায়-

কি লাভ হবে কবিতা বেচলে কর্পোরেটের কাছে?

পথ , জ্যাম আর মানুষের ঘাম ঠেলে তোমার কাছে , আরও কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা আমার,
তোমার স্পর্শ লেগে আছে এ কবিতায়,
তোমার কাছে যাওয়ার আর তোমার ছায়ায় শুয়ে থাকার
১০০ দিনের গন্ধ লেগে আছে-

ভালোবাসাবাসি দিনের কখনও নিলাম হয় না

কুন্তলা,

না আমি এ কবিতা বেচবো না।

সেকালে রাসেলের সাথে শুধু কবিতা না, আরো অনেক কিছুতে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। কবিতার মুগ্ধতা সেগুলিতে ধারাবাহিক ফুয়েল জুগিয়ে গেছে। রাসেলের কথা দিয়ে কবিতার আলোচনা শুরু করার কারণ শুধু তাঁরাই বুঝবেন যারা আগে ব্লগার পরে লেখক। এটা কোন কৃতিত্ব-ব্যর্থতা না। এটা একটা ঐতিহাসিক সীমানির্ধারন।

{(চলবে)....চা খেতে যাচ্ছি না...ভাত খেতে যাই....ঘুমও আসছে...}


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি সামহোয়ারে শুরু করেছিলাম জিব্রানের অনুবাদ দিয়ে ২০০৬ এর মে মাসে। প্রথম পোষ্টে একমাত্র মন্তব্য ছিলো সাদিকের। দ্বিতীয় পোষ্টে সারিয়া ও কনফু'র।
পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ পোষ্টে এসেই রাসেল হাজির এবং যথারীতি তার প্যারোডি নিয়ে।
আমি লিখলামঃ-
'আমি বিশ্বাস করিনা যে মানুষ
কেবল মধ্যবিত্ত স্বভাবের,
তার একটিই কারন, আমি লক্ষ্য করেছি যে,
মানুষ অপরাধীদের এবং
প্রেরিতপুরুষদের হত্যা করতে ও দ্বিধা করেনি--'

প্যারোডী করে রাসেল লিখলোঃ-
আমি বিশ্বাস করি না ইঁদুর
দাঁতে কাটে শুধু পাঠ্যপুস্তক
কারন আমি লক্ষ্য করেছি যে
ইঁদুর মাঝে মাঝে
বড় বাবুর সেরেস্তার গোপন দলিল
এবং আমার প্যান্টলুনের পকেটও কেটে রাখে।

এর পরের আরেকটা লেখা আমারঃ-
' যেজন ভালো অথবা মন্দের মধ্যে ব্যবধান
অনুধাবন করতে পারে,
ছুঁতে পারে দুটোই নিজের আঙুলে ,মেধায়,
সেজন
ঈশ্বরের বস্ত্রের প্রান্তদেশ অনায়াসেই
স্পর্শকরে আছে,তাই না--!
'

রাসেল এটাকে বানালোঃ-
' যেজন ডান ও বাম হাতের নিপুন সমন্বয় করতে পারে
এবং অবলীলায় 2 পকেটেই গুঁজে দিতে পারে 2 2 আঙ্গুল
সেজন নিঃ সন্দেহে ফার্ম গেটের উস্তাদের কাছে
পকেট মারার বিদ্যা শিখেছে-
ঠিক বলেছি না...'

ওর উইলিয়াম ব্ল্যাকের কাজটা দুর্দান্ত হয়েছিলো। ঐ সময়ে একই সাথে ছাগু তাড়ানো এবং সৃষ্টিশীলতা দুটোই তুঙ্গে ছিলো আমাদের। তারপর তো কতোকিছু- কত জল, কত বাঁধ!

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ও দ্যা টাইম.....



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ফেব্রুয়ারী ২০০৬এর কোন একদিনে আমি লিখছিলাম,

উর্বরতায় খামাখা খামাখা
হুমকী কেন আনো?
এই বিছানায়
আরো ক'দিন
বেশী শুলেই জানো?
হতেও পারে
হঠাৎ শুরু রূপকথার প্রেম,
আলতো ঢং-এ মাখামাখি
এক রঙা হারেম।
উল্টো হয়ে নাচলে তবু
কল্কি থাকে সোজা,
বাজিকরের ঘিলুর সাফাই
দৃষ্টি আধবোঁজা

এর জবাবে রাসেল লিখলো :

আবর্জনায় খামোকা খামোকা
ঘাটাঘাটি করো কেনো?
ময়লা ঘাটলে গন্ধ বের হবে
এ কথাও নাহি জানো?

যদি বুঝতে কিরূপে তোমাকে
আয়তোলোচন বলি ভালোবেসে
অচলায়তন বল্লেই হতো ঠিক
উদ্দেশ্য ভেজা কামনার রসে,

সঠিক ছাটে পড়লে পোশাক
উর্বশী তুমি , কামনামদির আমি
নাচের তালে কিংকর থরোথরো
নেশার বলগে পান করি ভরা শমি।

আমি পড়ে রাপু খাপাং !



অজ্ঞাতবাস

অনীক আন্দালিব এর ছবি

রাসেলের লেখা, একটা ঘটনাকে যে কোনভাবেই বিশ্লেষণের ক্ষমতা সবসময়েই আমার কাছে ঈর্ষণীয় মনে হয়। তবে মজার ব্যাপার, তার কবিতা পড়া হয়নি, এতদিন জানতামও না যে এককালে কবিতা লেখার এই ঘটনা।

তবে "ব্লগের কবি" বা "ইন্টারনেটের কবি" বলে নাক উঁচাদের নাক সিটকানো বা শিকনি ঝাড়ার শব্দ পেয়েছি শুনতে। সেটা খুব ভাল বিষয় মনে হয় নাই।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ইতিহাস শেষ বিচারে তথ্যের একমাত্র সুলুক......



অজ্ঞাতবাস

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পড়লাম, জানলাম, মজা পেলাম।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

রাসেলের কবিতা আর কবিতা নিয়ে আলোচনা আমার ভাল লাগে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সুমন চৌধুরী এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রাসেল একটা জোশ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি
শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আহ! সেইসব দিনগুলি আসলেই জোশ ছিল!

অফটপিকঃ আম কোয়নিগস্ প্লাৎস্ কৈ?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অফ্টপিক...৮০তেছে...



অজ্ঞাতবাস

উজানগাঁ এর ছবি

শুরুটা বেশ ইন্টারেস্টিং!!! বাকীটা না পড়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। চোখ টিপি
তাড়াতাড়ি পোস্ট দেন।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
জিফরান খালেদ এর ছবি

কবিতা দিয়া শুধু ভরায়েন্না মোর ব্রাদার। আপনের সম্পর্কটাও বইলেন এগুলার লগে। আমি আরাম পাবো কইয়া রাখলাম। প্রিয় ব্লগ-কবিদের কেউ সচলে নাই জাইনা সন্ন্যাসী সাজলাম।

ব্লেকের ঐ অনুবাদটা কই দেখা যাবে? আর, রাসেল ভাইয়ের কবিতা আমার পড়া নাই। যাইয়া দেখি।

আপনি জারি রাখেন। আমি চোখ রাখলাম।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

প্রিয় ব্লগ-কবিদের কেউ সচলে নাই জাইনা সন্ন্যাসী সাজলাম।

এই কইলাম নাকি? কইলাম যে অনেকেই নাই আবার অনেকেই আছে।

ব্লেকের ঐ অনু্বাদটা পড়তে সামহোয়ারইনব্লগে রাসেল( .......) এর ২০০৬ মে-জুন মাসের পোস্টগুলি দেখেন।



অজ্ঞাতবাস

জিফরান খালেদ এর ছবি

একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে আমার পছন্দের কবিদের সকলে সচলায়তনে লেখেন না বা কোন কারণে সচল ত্যাগ করেছেন।

হাহাহা।

আমি পড়তাসি ম্যান। থাঙ্কস অনেক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হায় হায় সকলে কইছিলাম নাকি? কিন্তু কাইলকা তো কিছুই খাই নাই....না খাইয়াই!!!!....মন খারাপ



অজ্ঞাতবাস

জিফরান খালেদ এর ছবি

হাহাহাহা

এক হপ্তার হারেমের মালিকের এমনটাই তো হইবেক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

লং রান হারেম চিনেন নাকি?



অজ্ঞাতবাস

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমার যেইটা হবে, ঐটা যুগ যুগ থাকবে।

আপনারে আমন্ত্রণ জানাবো মাঝে সাঝে। দুঃশ্চিন্তা মাত করিয়ে!

সুমন চৌধুরী এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

রাসেল সম্পর্কে হোসেনের একটা কথা প্রায়ই মনে হয়
"রাসেল এমন একজন মানুষ, তাকে অপছন্দ করা যেতে পারে
কিন্তু কখনো অস্বীকার করা যাবেনা"
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কনফুসিয়াস এর ছবি

বদ্দার আলোচনা ঠিকাছে।
রাসেল ভাই-র ঐ কবিতাগুলা অনেকটা নবীন বরণ টাইপ কবিতা ছিলো, নতুন কেউ আসলেই উনি একটা করে প্যারোডি করতেন।
আমি ব্লগে ঢোকার পরপর লিখলাম এইটা-

তিতলি -
----------------
আমার আকাশসীমা বেঁধে দেয়া আছে ৷
তবু,
সংকোচ পায়ে নিয়ে তোমার নিকটে গিয়ে ,
যখনি দাঁড়াই -

আশার পাখিকে নিয়ে সীমানা ছাড়াই !

আর রাসেল ভাই তারপরই প্যারোডি করলেন-

কুংফু সিরিয়াস- ব্রুস লি

গোটা ছয় ইট ভাঙ্গি ক্যারাটের কোপে
তবু
ভয়ে থাকি কখন কি হয়?
তোমার চোখের দিকে
যখনই তাকাই-
দিগন্তছাড়া ভয়ে প্যান্টু ভিজাই।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।