জেনেসিস ৫৬-৫৮

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শনি, ০৪/০৭/২০০৯ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৫৬.

ততোধিক রসাধারধারণক্ষম ধারাবাহিক রঙ্গনটীদের ধীরলয় খেমটায় খোলের পুরিতে আঙ্গুল ধরে এলে জ্বলে ওঠে অপ্রকৃত স্ফুলিঙ্গ নামাবলীর পশম বাঁচিয়ে পাঁঠাবলীর বর্ধিত জেয়াফত আঁচিয়ে অসরল ঢেঁকুর-নির্যাসে রঙ্গালয় গান্ধা করে

৫৭.

অফহোয়াইট বিকালের গলায় আঙ্গুলের ক্রমবর্ধমান চাপে তারায় টিউন হতে থাকে দিগন্ত পাগড়ীতে হাতুড়ির ঘাত সমানুপাতে তর্জনী গ্রাস করে নিতে থাকে দিনান্তের সবটুকু সেমিঅরগাজম চুকিয়ে চুড়ান্ত অন্ধকার নিশ্চিত করতে

৫৮.

অর্থাৎ অর্থাপত্তিবিঘ্নিত রুচিকর ননস্টিকি ডেকচির চারপাশে বাতাসখেকো সুরক্ষাচক্রের পরিধিতে হিতাহিতজ্ঞানযুক্ত প্লবগ সমীকরণের অসম্পূর্ণ বিন্দুরেখার দীর্ঘশ্বাস অজানা রাশির চালিয়াতিতে অসংরক্ষণ নিশ্চিত করে হলুদ হলুদ ডানা মেলে উবে যায় লোকালয় থেকে রাসায়নিক ভাগাড়ে


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

৫৭ নম্বরটা এন্টেনার আশে পাশে আছে... চোখ টিপি
____________
অল্পকথা গল্পকথা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনলাইনে বাংলা থেকে বাংলা অভিধানের খোঁজ জানো শিমুল?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দ্রোহী একসময় বলতো - বাংলা অনুবাদ করে দেন ঃ)
____________
অল্পকথা গল্পকথা

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

খুব কঠিন কবিতা লিখেন আপনি সুমন ভাই
বরাবরের মতৈ চিন্তার দ্বার খুলে দেয়
খুব ভালো লাগলো

সুমিন শাওন

জিফরান খালেদ এর ছবি

জেনেসিস না শুধু আরো বহু জায়গায় (জেনেসিসের বহু অংশ অন্য ভাষাভঙ্গিতে শুইসে) আপনার ফ্রি অ্যাসোসিয়েশানের প্রতি একটা টান কাজ করসে দেখতে পাই। তবে, ফ্রি অ্যাসোসিয়েশান কইলেও ঝামেলা হইয়া যায়। আপনার শব্দভঙ্গি, সিন্ট্যাক্স সুররিয়ালিস্ট ম্যানিফেস্টোর সনাতন ধারারে অগ্রাহ্য করে দেখি। এই অর্থে বলতেসি যে -আপনারে সচেতন মনে হয়। ঘোরটার নিয়ন্ত্রণে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

জিফরান পুরা সুশীল বিবৃতি দিছে। জিফরানে এই বিবৃতি সামান্য এদিক ওদিক করে যে কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব। কারণ এই বক্তৃতার বেশিরভাগ শব্দই বদ্দার জেনেসিসের মতো। বঙ্গানুবাদ ছাড়া বোঝা সম্ভব না।

জিফরান খালেদ এর ছবি

হা হা হা। মেম্বার, মনে হয়না, এইটা অন্য কারো ব্যাপারে কওন যাইবো। যাহা এইখানে জমা হয়, সচলের পাতে, সবই মোটামুটি সাজানো গোছানো, সুন্দর হইবার অভিলাষ লয়া 'ধারণা'র পোষাকে হাজির... আমি সুমন ভাই এর কবিতায় ঐটা পাই না। ঐ অভিলাষটা, গোছানো ব্যাপারটা। তবে, এইটাও কইসি যে, গোছানো খানিকটা হয়তো আসেই। যেইটা উনি করেন, বা হইতে দেন।

যাক, এসব বাদ, পায়ুমন্ডলের সামগ্রিক হালচাল লয়া একটা পোস্ট ছাড়েন।

মামুন হক এর ছবি

শুধু সচেতনই না, আমার তো মনে হয় উনি ঘোরটাকে নিয়া খেলতেছেন। আগেই কইছি এগুলা রঙচঙে সব ওয়াগন হুইল। অন্তত আমি সেভাবেই দেখি।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হা হা হা হা.... চাক্কার ব্যাপারটা ভাল্লাগছে



অজ্ঞাতবাস

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

এইটা একটা রসাধারধারণক্ষম রঙ্গনটীদের ধীরলয় পুরিতে ধরে জ্বলে স্ফুলিঙ্গ বর্ধিত আঙ্গুলের ক্রমবর্ধমান চাপে সেমিঅরগাজম চুকিয়ে, অর্থাৎ ডেকচির চারপাশে অজানা রাশির চালিয়াতিতে হলুদ হলুদ ডানা মেলা কবিতা হইছে। খাইছে

সুমন চৌধুরী এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

বদ্দা। আপনার জেনেসিস সিরিজের বঙ্গানুবাদ যদি কোন বইমেলায় ছাড়েন তাহলে কিনে পড়তাম। দিনের পর দিন মাথার দেড় গজ উপর দিয়ে যাওয়া কবিতা দেখতে দেখতে কবিতার উপর হতাশা এসে যাচ্ছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
শঙ্কর [অতিথি] এর ছবি

বাঃ শব্দগুলো ধীরে ধীরে কেমন বোধগম্য হয়ে উঠছে।
৫৬-র পর পর টানা দুটো শব্দ বুঝিনি
৫৭-তে বাউন্ডারী, পর পর চারটে শব্দ টানা বুঝতে পেরেছি - কে যেন কাউকে 'গ্রাস করে নিতে থাকে' এবং
৫৮-তে পুরো ওভার-বাউন্ডারী কে যেন কোথায় 'হলুদ হলুদ ডানা মেলে উবে যায়'।

আশা রাখি কোনদিন আপনার বহুব্যবহৃত অষ্টাবক্র ত্রিভঙ্গমুরারী কবিতাশক্তির রসধারণসক্ষম পাঠকবর্গের দৈনন্দিন উতকর্ষতা অনুধাবনে সক্ষম হব।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
যুধিষ্ঠির এর ছবি

পোস্ট-ভদকা সিচুয়েশন হয় জেনেসিস পড়লে। খাওয়ার সময় কনফিউসড, এরকম ছাইভস্ম একটা জিনিস - কেন? কেন! কিন্ত তারপরের লাটিম ঝিম ধরা সময়টা - আহ্!

জেনেসিসও তাই - পড়ার পরে নেশা ধরে। তারিয়ে উপভোগ করি। এইটা আবার বোঝার চেষ্টা করে কোন পাগল!

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ছাইভস্ম শব্দটা আসলে শুধু ভদকার ক্ষেত্রে - আপনার কবিতার জন্য প্রযোজ্য না। নেশার ঘোরে লিখে ফেলেছি খাইছে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হা হা
নাজদারুভিয়ে!



অজ্ঞাতবাস

যুধিষ্ঠির এর ছবি

"নাজদারুভিয়ে!"? এইবার ধরা - বাংলা অনুবাদ করেন।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটার ইংরেজী হৈল Cheers!
জার্মান Prost!
বাংলা কী?



অজ্ঞাতবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।