দখিনের জানলায়: ফিরে দেখা শেষ পর্ব

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১১/১২/২০১২ - ১০:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দখিনের দরোজা আর জানালা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর ব্যাপক আকুলতা আছে, কিন্তু চোখ খুলে দেখার প্রয়োজন আছে সব দিক দিয়ে। আমি গত তিন বছর দখিনে থেকেও সারা বাংলাদেশে কাজ করেছি, দেখেছি সব আছে আমাদের কিন্তু মানুষের সবকিছু মেনে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আর কিছু জিনিস শুধু আকার-আয়তন নয়, বরং মন্ত্রণায় বেড়ে গেছে বহুগুণ বেশি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু কিন্তু সেই ধর্মভীরুতার সুযোগে সারা দেশে বেড়ে গেছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা- সব ধর্মের। এই দৃশ্য কি শুধু বাংলাদেশে? মনে হয়না, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে একটা ধর্মীয় উত্তেজনা গ্রাস করে ফেলেছে। সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে আমার, সুযোগ পেলেই গ্রামের চায়ের দোকানে, আড্ডায়, ভিড়ে মানুষের সাথে কথা বলতে আমার ভাল লাগে সেই ছোটবেলা থেকেই, অস্বস্তি বোধ করি অসাধারণ হতে শেখা মানুষের সংস্পর্শে গেলে। আমি দেখেছি সার্টিফিকেটের উপর দাঁড়িয়ে ব্যবসা করা একজন মানুষের থেকে বহুগুণ বেশি মানবিকতা ধরেন একজন কৃষক কিংবা রিকশা চালনাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়া একজন সরল মানুষ হতে পারেন খুব বেশি জাগ্রত, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ স্ব-শিক্ষিত, প্রাজ্ঞ; মূলত পুঁথিগত ভাবে শিক্ষিত মানুষের দ্বিধা, সংশয় আর লোভে পড়ে এই দেশে ধর্মান্ধতা বেড়েছে।

শরণখোলা’র বড়বগী গ্রামের রহমত আলী কিংবা দিনাজপুরের দশ মাইলের কেরামত আলী’কে বেহেশতের হুর-পরীদের কথা শুনে জিভ বেয়ে লালা পড়ার চাইতে ঘরের আম্বিয়া মা কিংবা তফাজ্জলের মায়ের সাথে মৃত্যুর পর আবার দেখা হবে কিনা এই নিয়ে বেশি কাতর সংশয় প্রকাশ করতে দেখেছি আমি; যেমন আমার নিজ গ্রামে আঞ্জু ভাইয়ের সরল স্ত্রী বলেছেন যদি আবার কোনদিন জন্ম নেন তাহলে যেন আঞ্জু ভাই তাঁর জীবন আলো করে রাখেন আর আঞ্জু ভাই তাঁর সব জন্মে এই নারীর হাত ধরে মারা যেতে চান। বাংলাদেশের একেবারে হদ্দ বোকা গ্রামের মানুষ লোকাল ট্রেনে যেতে যেতে কিংবা চলতি পথে দাঁড়িয়ে এখনো বাউল গানে, মুর্শিদী কিংবা মারফতি গান শুনে চোখের পানি লুকাতে লুকাতে ঘরে ফেরে, গ্রামের সরল নারী’রা ঘোমটায় মুখ ঢেকে জীবন কাটাতে কাটাতে এখনও গুনগুন করে গান গাইতে ভুলে যায়নি। এদেশে এখনও জন্মের পর প্রতিটি শিশু’কে ছড়া বলা কিংবা গান গাইবার জন্য সবাই ব্যতিব্যস্ত রাখে, একটি মেয়ে শিশু’র জন্ম হলে খুশী হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এবং সেই মেয়ে শিশু’টিকে নাচ শেখানোর স্বপ্ন দেখেন প্রায় প্রতিটি মা। পুরুষের শক্তিশালী আচরণে বরং সমাজের দুর্বলতা বেড়েছে, ঘটেছে সাংস্কৃতিক অবক্ষয় আর জাতিগত প্রবল প্রেরণায় যে মানবিকতা জন্মলগ্ন থেকে আমাদের গানে-কবিতায়-গল্পে মিশে থাকে সেই মানবিক মূল্যবোধ কমেছে ধর্মীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবল দৌরাত্ম্য নয় বরং চাতুর্যে।

যত বেশি সংকটাপন্ন ভৌগলিক অবস্থান ততবেশি ধর্মের কলে পড়া মানুষ। বরগুনা আর ভোলায় সরকারী বিদ্যালয়ের চাইতে এতিমখানা বেশি। এতিমখানা বলে একটা গরাদবদ্ধ জিনিস আমাদের দেশে শুরু হয় প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার পরপর, অবশ্যই বিদেশী সংস্থার প্রেসক্রিপশনে। বাংলাদেশে এতিম শিশুর সংজ্ঞা নির্ধারণে সরকার এখনো ব্রিটিশ আমলে প্রবর্তিত আইন মেনে চলে যে কারণে মা মারা যাওয়া একটি শিশু এখনও সরকারীভাবে এতিম হিসেবে স্বীকৃতি পায়না। একটা গ্রামের বেসরকারি এতিমখানায় যে শিশু থাকে সে সেই গ্রাম কিংবা কাছাকাছি গ্রামের সন্তান হয়, তার পেছনে এতিমখানার যে খরচ হয় সেই টাকা দিয়ে সেই শিশুটিকে তাঁর নিজ পরিবারের প্রতিপালন করা সম্ভব আরও ভালভাবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সরাসরি পরিচালনায় যেসব শিশু পরিবার আছে সেখানে প্রতিটি শিশুর পেছনে মাসিক বরাদ্দ এখন ২,০০০ টাকা আর অধিদপ্তরের আওতায় রেজিস্ট্রেশন কৃত বেসরকারি এতিমখানার শিশুদের জন্য মাসিক বরাদ্দ ১,০০০ টাকা। এই টাকার কতটুকু শিশুদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণে ব্যয় হয় তাই নিয়ে প্রচুর আলোচনা করা সম্ভব কিন্তু এখন করবোনা। পাশাপাশি বাংলাদেশে এতিমখানা নামক বিষয়টিও এনজিও’র মত একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সমাজ যে শিশুর দায়িত্ব নিতে পারেনা রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গীণ ব্যর্থতায়, সে শিশু এতিমখানায় বড় হয়, সে সামাজিক আচরণ শেখেনা, নির্ভরশীল হতে শেখে, সে জ্ঞানকাণ্ডের হাত ধরে বেড়ে উঠেনা এবং একসময় টের পায় তার সামগ্রিক অস্তিত্বের জন্য ধর্ম ছাড়া আর কোন অবলম্বন নেই। এরা বড় হয়ে শুধু নিজের টিকে থাকার জন্য ধর্মান্ধ হবে নাতো কি হবে? বাংলাদেশে এতিমখানার প্রসারে শিক্ষিত এবং ধনবান মানুষের প্রশ্রয় সবচাইতে বেশি।

রাস্তায় চলতে গেলে দেখবেন কিছু মানুষ মসজিদ এবং মাদ্রাসার রশিদ হাতে ঘুরে বেড়ায়, দাঁড়ি-টুপি’র সাথে খুব বেশি ব্যস্ততা এবং এরাও একশ্রেণীর চাঁদাবাজ। যে টাকা সে সারাদিনে কালেকশান করবে তার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তার, কমিশন বাণিজ্য। এই কাজে এতিমখানার নিরীহ শিশুদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়, পাশাপাশি তারা বাড়ী বাড়ী ঘুরে টাকা কালেকশান করে, কেউ যদি একদিন কোন টাকা কালেকশান করতে না পারে তবে তার জন্য শাস্তি আছে, আতংকে অস্থির পিতৃ-মাতৃহীন এইসব শিশুদের ঘাড়ে পা রেখে কিছু জোঁকের মত মানুষ টিকে আছে। কিছু মানুষ সত্যিকার অর্থে হয়তো কাজ করেন কিন্তু তাদের সেই কাজের যে স্বীকৃতি মেলে তার উপর ভর করে দাঁড়িয়ে যায় আরও ধর্মীয় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ মানুষ সারাজীবন ঘুষ খায় একটা হজ্ব করে কিংবা পুণ্যস্থানে যেয়ে সব পাপ জমা দিয়ে আসার জন্য, এবং এদের হাত ধরে বাংলাদেশে শরীরে শরীর ঠেকিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা দাঁড়িয়ে গেছে। মসজিদে ফ্যান চলে, সেই ফ্যানে লিখা থাকে ‘সৌজন্যে অমুক’, নামায পড়ার সময় গরম লাগে বলে মসজিদে এসি লাগানো শুরু হয়েছে, সেইসব এসির গায়ে লিখা থাকে ‘সৌজন্যে তমুক’... মসজিদে-মন্দিরে-গির্জায়-প্যাগোডায় ধামাধরে যে পরিমাণ টাকা জমা হয় প্রতি বছর সেই টাকা কোথায় খরচ হয়? কার জন্যে? সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে বলে এইসব জানতে জানতে প্রশ্ন করেছি আমি, দেখেছি তাঁরা সব বোঝেন কিন্তু নিজের ঘামের লবণ বিক্রি করে এখন বেঁচে থাকতে হয় বলে তাঁদেরও সার্বিক অসহায়ত্ব আছে, আছে ‘কাফের’, ‘মুরতাদ’ নামে কলঙ্কিত হবার আজন্ম ভয়!

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত বেড়েছে আশংকাজনক হারে সেইসাথে চক্রবৃদ্ধিহারে কমেছে ভাল মানুষের ভেতর একতা। বেড়েছে গাছের আম ফেলে প্রাণ ম্যাঙ্গো জুস খাওয়া, গাছের আমে ফর্মালিন, পুকুরের মাছে ফর্মালিন, ধানে-চালে-গমে এমনকি বিছানা-বালিশে ফর্মালিন সম্পর্কের ভিড়ে ব্যবসার পণ্য হতে হতে কাটানো সাংসারিক মানুষের দল সবকিছু মেনে নিয়েছে। ইসলাম ধর্মের কোথায় লিখা আছে একটা মসজিদের পাশে আরেকটা মসজিদ করা যাবে? একটা মন্দিরের পূজারী চাইলেই আরেকটা মন্দির কিংবা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে আরও কিছু মানুষের ঘুম হারাম করে দিতে পারবে? কোথাও নেই। বাংলাদেশে আযান শুরু হলে শেষ হয়না, আযানের সময় সব কাজ বাদ দিতে বলা হয়েছে, ১০-১৫ মিনিট নানান জায়গা থেকে আযান ভেসে আসতেই থাকে, কখনো কখনো এক মসজিদের আযান অর্ধেক শেষ হবার পর পাশের মসজিদে শুরু হয় আযান -- কোথাও কোথাও হুজুরেরা মিলে সময় ভাগ করে নিয়েছেন, কার পরে কে আযান দিবে। ধর্মভীরুতার কাছে মানুষের সকল প্রশ্ন যখন শেষ হয় তখন শুরু হয় ধর্মান্ধতা।

ছোটবেলায় ধর্ম যতটা বুঝেছি তার চাইতে পড়তে হয়েছে বেশি, সেখানে সৎ থাকা, আরেকজনের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত না হওয়া, লোভ না করা, গরীব আত্মীয়ের খোঁজ নেয়া, এতিমের হক্ব আদায় করা ইত্যাকার নানান বিষয় ছিল। এইসব কথা এখন কেউ বলেনা, কবরের জায়গা নিলামে কিনে রাখে মানুষ মারা যাবার আগে, জীবিতাবস্থায় টাইলস কিনে রাখে কবরের জন্য -- বাংলাদেশের মানুষের সবকিছুতে ভণ্ডামি করা চাই কিন্তু মরার পর বেহেশতের দাবী ছাড়তে সবাই নারাজ। আরবি বোঝে না কেউ, আরবি ভাষার বেলায় সবার ভেতর একটা স্নায়বিক দৌর্বল্য আছে, সেই সুযোগে নানানভাবে প্রতারণার ফাঁদে পড়া মানুষের জন্য ওয়াজ-তাফসীরের নামে দেইল্যা নামের এক রাজাকারও এখন কেয়ামতের দিন দেখা হবার কথা বলতে পারে। হ্যাঁ, কেয়ামতের দিন দেখা করার জন্য জীবিতাবস্থায় খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, মিথ্যা আর মওদুদীবাদ জায়েজ আছে সব পশুর জন্য! পিরোজপুর শহরে ঢুকতে যে বিশাল কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে এই জারজের নামে সেখানে যারা পড়ায়, যেসব কোমল মতি এতিম শিশুরা সেখানে আসে -- তাদের নিয়ে ভাবার মত সময় কোথায় রাষ্ট্র যন্ত্রের?

ব্রিটিশ প্রেতাত্মার উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র যন্ত্র, মজিদের প্রেতাত্মার ভিড়ে সারা দেশ সয়লাব। এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে তাই দাঁড়ি আর টুপি তাই একমাত্র সরল সমাধান হয়ে যেতে পারে সবকিছু ভুলে যাবার জন্য। এই দেশে মানুষ মরতে ভয় পায় তাই কে ওয়াজ করে এটা বোঝার চাইতে ওয়াজে দেয়া নসিহত খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় বলে সাঈদীর মত ক্যানভাসারের জুটতে পারে ‘আল্লামা’ টাইটেল আর একজন রহমত মিয়া কিংবা কেরামত আলী’র অস্তিত্বের চাইতে ‘দেশ বিক্রি’ রোধ করা দরকার বলে পারিবারিক ব্যবসায়ীদের দল দেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করে, ধর্মের সমস্ত কলে বাতাস দেয় আর গাছের উপরের আর তলাটা খায় রাতের আঁধারে!

সমাজ, রাষ্ট্রের ব্যর্থতায় শুধুমাত্র জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে যে নারী সর্বস্ব বিক্রি করে ঘরে ফিরে ক্রোধের দাবানলে আমাদের অভিশাপ দেয় আমি তাকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। নিজ চোখে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করা বাংলাদেশের বেহায়া রাজনীতিচক্রের চেহারা দেখার পর তাদের জন্য সম্মান শব্দটা নিজস্ব অভিধান থেকে বাদ দিয়েছি বহু আগেই, আজকাল সমস্ত অভিধানে বাংলাদেশ বলে আশৈশব দেখে আসা একটা স্বপ্ন কোথাও খুঁজে পাইনা, আমাদের সমস্ত মানবিক বোধের স্বীকৃতির বাইরে যে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে গেছে আমি তাকে স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছে করেনা। আমার সমস্ত নবান্ন আবেগের হালচাষের লাঙল এখন এরশাদের মত একটা বেহায়ার হাতে, আমি ভাত খাই বলে আমার সমস্ত ধানের শীষের একচ্ছত্র মালিকানা বিএনপির হাতে আর বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনের নৌকায় আমি এখন মুশতাকের প্রেতাত্মাকে আবারও দেখি মাথা উঁকি দিতে দেখি, দেখি প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রায় সব নৌকা শ্যালো ই িঞ্জনে রূপান্তরিত হয়ে যায়, প্রতিটি কাস্তের ভিড়ে দেখি মানুষের আধপেটা চেহারারা ম্রিয়মাণ! আর রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলে আমার কৈশোরের প্রিয় কবি’কে আমার খুব বেশি মনে পড়ে -- জাতির পতাকা খামচে ধরে থাকা সব পুরনো শকুনের খোলা চোখে আমি প্রতিদিন দেখি আমার বাংলাদেশ নতুন করে ধর্ষিত হয়, খুন হয় সূক্ষ্ম যতসব বোধ, লুণ্ঠিত ইতিহাসে তবু ডিম পাড়ে নতুন উকুনের দল!

আমি আমার এ গর্বিত জীবনে মধ্যাহ্নের সবটুকু দাহ শেষে পড়ন্ত বিকেল হয়তোবা খুব কাছাকাছি তবু বয়স হয়নি ঢের: এইরকম সময়ে এসে এই সচলায়তনে তবু বহুবিধ চাঞ্চল্যের ভিড়ে, যুক্তি-তর্কের ভিড়ে আমি টের পাই এখনো সম্ভাবনা আছে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে আশান্বিত করে... একটা এই-প্রায় ৪৩ বছর বয়সী অভাগা দেশের কিছুটা প্রতিবন্ধীত্ব হয়তো খুব বেশি বুকে বাজে কিন্তু সার্বিক পঙ্গুত্ব এখনো বহুদূর বাকি! জাগ্রত বাংলাদেশ বুকে নিয়ে আমাদের মৃত্যু হোক!


মন্তব্য

অরফিয়াস এর ছবি

লাল সালু উপন্যাস এর কথা মনে পড়ে তানিম ভাই ?? মাজার এর জন্য লাল সালু আর নুরানী মানুষ হতে আমাদের দেশে এখন মেহেদী রাঙ্গা দাড়ি আর সফেদ টুপি।

জাগ্রত বাংলাদেশ বুকে নিয়ে আমাদের মৃত্যু হোক!

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তানিম এহসান এর ছবি

মজিদের কথাই বলেছি এক জায়গায়। মৃত্যু এভাবেই চেয়েছি সবসময়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হ্যাঁ, অন্তরের এই আগুনেই আমার আস্থা। চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

আগুন কমে না, বাড়ে।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন
'মানুষ হইতে হবে' - মানুষ যখন।
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান
নাই কি শরীরে তব রক্ত, মাংস, প্রাণ?
হাত পা সবারই আছে, মিছে কেন ভয়?
চেতনা রয়েছে যার, সে কি পড়ে রয়?
সে ছেলে কে চায় বল, কথায় কথায়
আসে যার চোখে জল, মাথা ঘুরে যায়?

রংতুলি এর ছবি

চলুক চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ রংতুলি।

তানিম এহসান এর ছবি

সে ছেলে কে চায় বল, কথায় কথায়, আসে যার চোখে জল, মাথা ঘুরে যায়? এইরকম কয়েকজনের কথা আমার মনে পড়ে গেলো।

জাবি’তে এমএইচ হলে’র পেছন দিকে একবার শিবির আক্রমণ করেছে এইরকম একটা হুড়মুড় হুড়মুড় সময়ে বেশ কয়েকজন বাথরুমে যেয়ে লুকিয়েছিল, হায়রে তামাশা!

চোখের জল ১৯৯৫ সালে শুকিয়েছে, শেষ হয়েছে ১৯৯৬ সালে’র এক সন্ধ্যায়। এখন শুধু চোয়াল শক্ত হয়; মাথা ঘুরে না, মাথায় মাঝে মাঝে আগুন ধরে যায়।

সালাহউদ্দীন  এর ছবি

ভাই, পুরা লেখাটা পড়লাম অনেক অনেক ভাল লাগল। আর খারাপ লাগল যেইটা তা হল সব প্লান করেও বারিশাল যেতে না পারার দুঃখ।

মন খারাপ

তানিম এহসান এর ছবি

আহারে! এত দুঃখ থাকলে কেমনে হবে সালাউদ্দীন সাহেব! আপনাকে ঠিক চিনে ফেলেছি হাসি আরও বড় হ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।