২০১৩ আবার কিছু, যা-কিছু শিখতে শিখিয়েছে

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১২/০১/২০১৪ - ১২:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘কি ভাই, ক্যামন আছেন?’ জানতে চাইলাম, অফিসের নীচে সিগারেট খেতে নেমেছি, স্মোকিং-ফ্রি এনভায়রনমেন্ট, নিচে নেমে মাঝে মাঝে সব পাপী’দের সাথে দেখা হয়, সেখানে বিদেশী নারী’রা সিগারেট খায়, তাই দেখে মাঝে মাঝে ভিরমি খেয়ে তাকিয়েই থাকে কিছু বেকুব কিসিমের প্রাণী। সেদিন, আর কেউ নেই, আমি কনসালটেন্সি বাদ দিয়ে চাকুরী’তে অস্থায়ী ভিত্তি’তে স্থায়ী হয়েছি, তিনি জবাব দিলেন, ‘চলছে লড়াই!’

আমাদের ‘চলছে লড়াই চলবে, যার যা বলার বলবেই, বলছে বলুক আমাদের কাজ থামিয়ে দিতে নেই!’ সম্পর্ক বহুদিনের, কিভাবে কিভাবে যেন তুমুল একটা খাতির হয়ে গেল। অফিসের তুমুল সম্পর্কগুলো’র একটা পিছু-পা থাকে, আমি চাকরী ছেড়ে দিতে-ই সেই স্ক্র্যাপ বিজর্জরিত হাত-পা নিজ থেকে খসে পড়লো আমাদের দু’জনের। আজকে সকাল বেলা যখন ফোন দিলেন, আমার মোবাইলে ভেসে উঠেছে, ‘চলছে লড়াই!’, নাম নেই, মানুষের কর্তব্য গুণে পরিচয়। চারপাশে হাজারে-বিজারে মানুষ নানান ধান্ধায় ঘুরে-ফিরে-গান-গায়, সবার সাথে সব চলে-না! এই বিষয়’টা ছেলেবেলাতেই শেখা হয়, ছেলেবেলায় বড় হতে ইচ্ছে করে বড়দের মত করে, তবু-ও সব বড়দের কাছে গেলে আমাদের স্বস্তি মেলেনি, সবার সাথে সব হয়নি আমাদের কোনদিন কোনভাবে সকালে-বিকেলে ধান্ধায় কিংবা পরিমিতিবোধের কমতিতে।

আমরা যদি অস্বীকার করতে শুরু করি তাহলে কি পাই? নড়াইলে লাল-বাউল সঙ্ঘ ছিল, সঙ্ঘ মানে মানবিকতা’র সঙ্গ-সঙ্ঘ, পিসার হেলানো টাওয়ারের মত একটা মন্দির, পোড়ো, চারপাশে ঝোপ-ঝাড়, উঠতে যেয়ে পিঁপড়ের কামড়ে কামড়ে অস্থির হতে হলো সেটার ভেতর যেতে যেতে। ভেতরে বসে আছি, কেউ কথা বলছে-না আমার সাথে কিন্তু আমি সেখানে বেমানান। বহুক্ষণ কেটে গেল, হুট করে একজন গেরুয়া গায়ে সবল মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনের লাইন কোন’টা?’ রেলগাড়ি ঝমাঝম-এক দুই তিন কম, এত বেশি ভাবা নেই চিন্তা! দুইটা সমান্তরাল লাইন চলে গেছে কাব্যের মত, সেখানে ট্রেন আসে বাড়ী, বাড়ী মানে হয়তো বাবা-মা ঘুমিয়ে আছেন ঘর-কবরে তবু-ও বাড়ী মানে আপন, আপন বাড়ী- ঘরদুয়ারী! সেই ঘর-ফেরতা ট্রেনগুলো’র উপর যে নির্মমতা, নৃশংসতা দেখতে হয়েছে আমাদের তার তুলনা নেই।

দেশ’টা কি ধর্মের ভাঁওতাবাজি যুদ্ধক্ষেত্র নাকি! বাপ-দাদা’র ক্ষত্রিয় সম্পত্তি, যে যা ইচ্ছা তাই করা যাবে গায়ের জোরে? যুদ্ধ চালাচ্ছে নাকি কেউ? মানুষের গায়ের উপর পেট্রল ঢেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালাতে যাদের হাত কাঁপে না, তারা কারা? তারা কি কোনরকম যোদ্ধা, আফ্রিকার মত, যাদের কথা আমরা বিভিন্ন বইতে পড়েছি, যারা গোত্রে-উপগোত্রে বিভক্ত হয়ে ‘টিয়ারস অফ দ্য সান’ মুভি’তে দেখা অমানুষের মত যুদ্ধ করে, এরা কি তাদের মত? হ্যাঁ। নাকি এরা আধুনিক রবিন হুড, গরীবের কাছে সবকিছু বিলিয়ে দেয় বলে নিজেদের কিছুই থাকে না আর? নাকি এরা প্রাচীন কালে ল্যাটিন আমেরিকায় স্প্যানিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা সাইমন বলিভা’রের সেনানী সকল? আরও কাছে যাই, এরা কি সেই লড়াকু প্রজন্ম, মানুষ, বিধাতাসম অমর-শহীদ, যাদের নাম নেই বলে কেবলমাত্র একটা পতাকা থাকে মহীয়ান! কোন দেশ নেই, জাতি নেই বলে যারা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে একটা মানচিত্রের মত জেগে আছেন সু-মহান! মোটেই না।

ক্রুসেড লেগেছে নাকি? কিংবা অটোমান সাম্রাজ্য আবার পৃথিবী দখল করে নিতে চাইছে বলে ভয়ে থরথর করে কেউ কাঁপছে না বলে আমাদের কাঁপতে হবে? আর তার ধামা ধরে এশিয়া মহাদেশে সব ছাগলের খামারে মহামারী লেগেছে? এমন হয়েছে নাকি যে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বলে একটা বর্বরতা আর নৃশংসতা এমনকি আমেরিকা নামের রাষ্ট্র দিতে গিয়ে স্কটিশ ‘উইলিয়াম ওয়ালেস’ এর ডাকে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েছে ভিয়েতনাম এর সব সৈন্য-সামন্ত? বহুদিন আগে হিমু ভাই একটা পোস্টে বলেছিলেন, ‘নীল চাষের দিন শেষ!’, আসলেই শেষ হয়ে গেছে। নাকি, খুব সমস্যা করে হলেও জোতদারে-জোতদারে, নায়েবে-আমীরে-মহাজনে-মহাজনে গোস্বা হয়েছে সবার -- ছোটলোক বড় হলে গরীব হয় তাই গরীবের ঘরে ঘরে আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো! রাস্তাঘাট কেটে, ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে দিয়ে, গাছ কেটে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়ে উটপাখির মত মাথা গুঁজে না থেকে বাংলাদেশ বদলে দাউ বদলে দাউ-দাউ-দাউ-দাউ!

১৯৭১ সালে গেরিলা যুদ্ধ করেছিলেন যারা তাঁরা জানতেন-ই না গেরিলা যুদ্ধ কি জিনিস, ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ঘটে গেছে সবকিছু। আর আজকে যারা গেরিলা যুদ্ধ করে পতাকা বদলে ফেলতে চাইছে চন্দ্রবিন্দু সহযোগে, তারা বুঝতেই পারেনি চন্দ্রবিন্দু উড়ে এসে জুড়ে বসতে চায় বলে বানানে বিস্তর ভুল হয়! কিংবা একটা শাহবাগের মত একটা মতিঝিল হতে হলে জনতার বিশ্বাসের যে পারমানবিক শক্তি প্রয়োজন হয় তার কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা-কাঠামো নি:স্ব! পয়সা দিয়ে, টাকা দিয়ে আনুগত্য কেনা যায়, মানুষের শপথ কিনতে হলে জায়নামাযে বসে ব্যবসা করা যায়, সেই ব্যবসার টাকায় তহবিল খুলে মানুষ’কে সমর্থকের মত কেনাবেচা করা যায়... কিন্তু গেরিলা যুদ্ধ করে জিহাদে নামা ‘নফসে-আম্মার’ এর ভুল ব্যাখ্যা শেখা জিহাদিদের দল, মানবতা কেনা যায় না! মানবতার সারবস্তু ক্ষুর-চাপাতি-কুড়াল-পেট্রল-আগুনে-আগুনে যারা শিখে আসে --- তাদের ভেতর যাদের না শিখে কোন গত্যন্তর রাখেনি তালেবুল আলেম শিক্ষকে’রা, তাদের আমলনামা ফেরেশতা লিখে না, তারা নিজেরা লিখে। যেমন কতিপয় পুরোহিত জানে মন্দিরে কোন নারী তার লালসার শিকার হয়, মক্তবে কোন শিক্ষক কোন ছেলেটাকে পাছায় গাছ-বাড়ী চিনিয়ে দেয় বলে বাকি সবার উপর মানুষের সন্দেহ জাগে। আর যারা অসহায়-এতিম শিশু’দের লালন-পালনের ফিরিস্তি নিয়ে, সেইসব শিশুদের কেবলমাত্র ধর্মপ্রচারক বানাতে যেয়ে ভুলে করে সবার কাছে নির্ভরশীল বানিয়ে ফেলে, তারা সেইসব কোমল-মতি অসহায় ‘শিশু-পণ্যের’ উপর নির্ভরশীল তাই দুর্নীতি নিয়ে কথা-ও বলতে-ও ভয় পায় টুপির ভিতরে!

ব্যাকরণ নতুন করে লিখা হোক, পর্যালোচনা করা হোক দেশের সমস্ত অকল্যাণকর আইন-কানুন-বিধি-বাস্তবায়ন নীতিমালা-প্রজ্ঞাপন-হুকুমজারি কিংবা সামগ্রিক ফতোয়াবাজদের। যেখানে জনকল্যাণমূলক যা-কিছু নিহিত আছে তার সবকিছু’কে অবমুক্ত করা হোক নিজ নিয়মে, ‘সাদা মন’ এর মানুষেরা তাদের সাদা মনে হলুদালো’র পাদুকা-বিতরণ কর্মসূচী থেকে দূরে থাকুক। এইসব বস্তাপচা ধ্যান-ধারনা, চিন্তা-ভাবনা, ডর-ভয়, কাকস্য পরিবেদনা থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে আসুক, মানুষেরা পণ্য নয় কিংবা ‘অবজেক্ট’ নয় যে তাদের’কে গুণিতক হিসেবে কেউ দেখতে গেলে ৩% ভোট জালিয়াতি হয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ লেগে না লেগে গেলে দাঁড়িপাল্লায় মেপে দেখাতে হবে! রাষ্ট্রের অর্ধেক জনসংখ্যারও বেশি জনসংখ্যার বয়স ০-১৮ বছর, ০-৩৫ বছর বয়সীদের ভিড় ঠেলে কদাচিৎ বাইরে মুখ তুলে হাসেন সীমিত সংখ্যক বয়োবৃদ্ধ যারা তাদের জন্য দেশে মাদ্রাসার মত অগণিত বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠতে দেইনি আমরা, সেই পাঁয়তারা-পরিকল্পনা কেউ হিসেব-কষে-কষা’র আগেই আমাদের সাবধান হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। নারীদের সামগ্রিক অংশগ্রহণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা’র রিজার্ভে আরও সব অবদান ম্লান হয়ে যায় --- বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে ২০৯টি ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ-নেয়া দেশগুলোর ভেতর ক্রিকেট শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রবল বিক্রমে! আমরা কোথাও পিছিয়ে নেই, পিছিয়ে আছি কল্পনাশক্তি’তে, নিজের উপর বিশ্বাসে, ক্ষমা ভুলে ক্ষমা’র অক্ষমতায়!

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর বর্বরতা আর নৃশংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আলেম-ওলামা কিংবা মোল্লা-তন্ত্র কেউ এখনো কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি, এখন-ও ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’ আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি ‘সর্ব-ধর্মীয় মহাসম্মেলন কেন্দ্র’ হিসেবে -- একুশ তপাদার বলে একজন ফেসবুক এক্টিভিস্ট জানিয়েছেন, প্রথমটা ঘটে গেলে তিনি স্বস্তি পাবেন আর দ্বিতীয়’টি ঘটে গেলে নিশ্চিত হবেন। আমি তাকে চিনি না, জানি না কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটি ভবিষ্যতের পথ দেখিয়ে দেয়া একটি চিন্তা’র খোরাক হতে পারে। উপজেলায় ইউএনও কিংবা ডিসি’র নেতৃত্বে সরকারী মানুষের সাথে গ্রামীণ মানুষের যৌথ যথাযথ প্রক্রিয়ায় আলোচনা করে সবকিছু চিহ্নিত করা সম্ভব; সম্ভব কারা কারা কোনধরনের পশু হিসেবে জন্ম নিয়ে তবুও গর্ত ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ে সময়-সুযোগ মত। পশুদের কোন রাজনৈতিক দল থাকতে পারে না, যারা সেই পশুদের রাজনীতি করার কাজে ব্যবহার করে তাদের সামগ্রিক বিচার-ব্যবস্থায় জোর করে কেনা সামাজিক মর্যাদা থেকে ‘ঘাউ’ করে ভয় দেখালে তুড়ি মেরে দূর করা সম্ভব। যারা ভয় দেখানোর জামাতে ইসলামী-অংশ নিয়ে প্রথা-মূল ইসলামবিরোধী চেতনার ঝাণ্ডা উড়ায়, সেই জমায়তে সামিল হতে এতিম শিশুদের হেফাজত করতে ভুলে যায় যারা, কিংবা যাদের কোনকিছুতেই কোনকিছু স্পর্শ করে না ‘জলপাই আচার’ ছাড়া, তাদের মাত্রাছাড়া বিরক্তিকর আচরণ আর বস্তাপচা হম্বিতম্বি থেকে আমাদের দরোজা-জানালা উদ্ধার করা হোক.... আমাদের মানবিকতা’কে শতাব্দী’র নৃশংসতা আক্রমণ করা হানাদার-রাজাকার-বর্বরদে’র বিচারে চূড়ান্ত শাস্তি হওয়ার একবছর পূর্তি হতে যাচ্ছে ২০১৫ সালে’র ১২ই ডিসেম্বর --- চলছে লড়াই লড়বে, যা ভাঙে তা ভাঙবে, ভাঙনের জ্বালামুখে গর্বিত সত্য --- দেরি হয় কিন্তু পশু’রা হারে, মানবিকতা নিজ থেকে জিতে যায় সর্বত!

যেমন আজকে ‘চলছে লড়াই’ এবং তাঁর ভাষায় তাঁর ‘সম্মানিত সহধর্মীনি’ এবং আমাদের ‘মশিও ডাইভার্শন’ মিলে যে আড্ডা’টা আমরা দিলাম, তার সারবস্তু হচ্ছে, “‘বাংলাদেশে’র মানুষ আদতে সাম্প্রদায়িক নয়, ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু’’, আর সেই ধর্মভীরু মানবিকতা’কে ‘জড়সড় পুঁজি’ হিসেবে নির্ভরশীল বানিয়ে বাণিজ্য-বিতান খুলে বসে থাকা এতসব মেডিটেশন, কায়মনোবাক্যে, বস্তাপচা ‘ইসলাম বিপন্ন তাই আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো’ বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ, মানুষ হিসেবে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়ে ঘরপোড়া দু:খ-কষ্ট আর যাতনা ভুলে যা-কিছু সহজ চাওয়া তাতে পরিতৃপ্ত থাকতে পারাতেই তাদের ঐতিহ্যবাহী সুখ খুঁজে পাক, এত হুমড়ি খেয়ে সবকিছু’কে কামড়াকামড়ি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে নেই। এত দল নেই তবু দলাদলি’র প্রয়োজন নেই, পক্ষ একটাই, যা-কিছু সত্যের সাথে সহমর্মিত, তার সাথে আছি, বাঁচি- একটাই পরার্থপর ক্ষুদ্রতায় মরে যেতে পারে যে যাপিত জীবন, তা অনতিক্রম্য নয় বলেই অতিক্রম করার চেষ্টা করতে নেই, যা হবার নয় তা জোর করে হয় না কোনদিন, যা হতে শিখেছে তাই হয়, হয়ে যায়! লড়বে লড়াই!

বিশ্বের এগারতম সুখী দেশ বাংলাদেশ, সেই সুখী দেশটি’র ভাগ্য নির্ধারণ করার মত সাংস্কৃতিক যোগ্যতা-ও ধরে না কোন দেশ কিংবা ভক্তের শানে নুযূলে জড়ানো জুজু-ধন মুরুব্বী। বাংলাদেশ, দেশের মানুষ নিজেরা নিজের যোগ্যতায় আরেকটা মালয়েশিয়া বানাবে না, থাইল্যান্ড বানাবে না, ‘নালন্দা’ বাংলাদেশ থেকে মানবিকতা শিখে যাবে মানবতা-বিরোধী অপরাধের অপরাধী সংজ্ঞা জেনে আসা সমস্ত মাকাল ফলের ভেতরের খোসা খাওয়া অ-সাম্প্রতিক পরজীবি বুদ্ধি, জ্ঞানের টাইটানিক আর আইন-সাংবাদিকতা’র মার্কামারা আগাছা! শুধুমাত্র চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শিখতে শুরু করলেই ধ্বংস হয়ে যাবে- আলু’র দম খেয়ে বদহজমের তৃপ্তি’তে বিষাক্ত ঢেকুর তুলে চারপাশ গান্ধা বানিয়ে ফেলা সকল ‘একতা’র কাছ থেকে চুরি করা টাকার শরমে শুরু করা ধান্ধাবাজি’র গরমে চোদনা হয়ে যাওয়া চোর-বাটপার আর বংশীবাদক প্রবর্তক-প্রবর্তনা-গদ্দিনশীন মালকোঁচা মারা ধুতরাপাতা-ধুতি পদ্ধতি!

বাংলাদেশ তুমি তুলনারহিত থেকে যাও আমাদের জাগৃতি প্রিয় আপামর বাংলাদেশ! বাকি সব অস্বীকার করা গেলে ২০১৫ সালে আমরা পৃথিবীর যোগ্যতম মানবিকতা অর্জনে সাফল্য ধারী জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেছি!

উৎসর্গ:
মাথায় তুমুল আন্দোলন আনন্দে চেপে থাকা হারিয়ে ফিরে পাওয়া একটি সনাতন ক্যাপ একটি পরিবারের সমস্ত মমত্ববোধ ধরে রাখে! এবং এক বারিধি’র কাছে পৃথিবীর সবকিছু সত্য হয়ে যায় যাঁর কাছে!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা শাহবাগের মত একটা মতিঝিল হতে হলে জনতার বিশ্বাসের যে পারমানবিক শক্তি প্রয়োজন হয় তার কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা-কাঠামো নি:স্ব!

- চলুক

শুধুমাত্র চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শিখতে শুরু করলেই ধ্বংস হয়ে যাবে- আলু’র দম খেয়ে বদহজমের তৃপ্তি’তে বিষাক্ত ঢেকুর তুলে চারপাশ গান্ধা বানিয়ে ফেলা সকল ‘একতা’র কাছ থেকে চুরি করা টাকার শরমে শুরু করা ধান্ধাবাজি’র গরমে চোদনা হয়ে যাওয়া চোর-বাটপার আর বংশীবাদক প্রবর্তক-প্রবর্তনা-গদ্দিনশীন মালকোঁচা মারা ধুতরাপাতা-ধুতি পদ্ধতি!

-আমার পেটে গুড়্গুড় করতে থাকা কথাগুলো তুমি খুব ভালোভাবে বলেছো। অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
চলছে লড়াই, চলবে।

ভালো থেকো তানিম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
---------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

তানিম এহসান এর ছবি

লড়ছে লড়াই লড়বে!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

আচ্ছা যন্ত্রণায় পড়া গেল সাক্ষী সংযুক্ত মন্তব্যের ঘরে! আপনে খ্রাপ খাইছে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গতবার বেশি কথা কয়া বিপদে পড়লাম, আর এইবার বিপদে পড়লাম কম কথা কইয়া... আমি মনে হয় আসলেই খ্রাপ মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

দেঁতো হাসি শয়তানী হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেখছেন ভাই।

তানিম এহসান এর ছবি

স্বচ্ছ হইছে আশা করি!!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দুইটা সমান্তরাল লাইন চলে গেছে কাব্যের মত, সেখানে ট্রেন আসে বাড়ী, বাড়ী মানে হয়তো বাবা-মা ঘুমিয়ে আছেন ঘর-কবরে তবু-ও বাড়ী মানে আপন, আপন বাড়ী- ঘরদুয়ারী!

It all depends on what you mean by home.
"Home is the place where, when you have to go there,
They have to take you in."
The Death of the Hired Man, Robert Frost

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আয়নামতি এর ছবি

চলুক
এ লড়ায়ে জিততে হবেই!

তানিম এহসান এর ছবি

এইবার আমরা হারবো না।

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সেই পাঁয়তারা-পরিকল্পনা কেউ হিসেব-কষে-কষা’র আগেই আমাদের সাবধান হয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

সাবধানের বছর হবে ২০১৪!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তানিম এহসান এর ছবি

সাবধানের বছর হবে ২০১৪! সবচাইতে কঠিন বছর যাবে এইটা। বাইরে থেকে দেখা যাবে না, তলে তলে যতরকম ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হবে। এইবার মনে নীলচাষের চেষ্টা মাইর খাবে নিজ থেকে, দেইখেন। ইতিহাস নিজ থেকে লড়াইতে নেমে গেছে, এইবার হয়ে যাবে।

এক লহমা এর ছবি

ঠিক। সাবধানের বছর হবে ২০১৪! খুব-ই কঠিন বছর যাবে বলে মনে হচ্ছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তানিম এহসান এর ছবি

শুরু হয়ে গেছে। নাস্তিক-আস্তিক জিগির তুলে সেই সু-প্রাচীন ‘ইসলাম বিপন্ন’ হুজুগ তুলে শাহবাগ আন্দোলন’কে বিপন্ন করে বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা। এখন আবার-ও সেই সু-প্রাচীন ‘ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে’ হুজুগ। এবং সারা বাংলাদেশে এই কথা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। মিথ্যেবাদীদের সাথে জিততে হলে সারাক্ষণ পেছনে দু’চোখ না রাখতে পারলেও কান খাড়া রাখতে হয়!

কেন জানি মনে হয় ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম’ হয়ে যাবে বাঙালী! এই ধাক্কায় আরেক প্রাচীন জিগির বাঙ্গালী-বাংলাদেশী সমস্যার-ও সমাধান হয়ে যাবে বলে কল্পনা করছি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

হাততালি

নির্ঝর অলয় এর ছবি

তানিম ভাই, খুব কঠিন বিষয়, আরেকটু প্রাঞ্জল হতে পারত কিন্তু।

মাথায় তুমুল আন্দোলন আনন্দে চেপে থাকা হারিয়ে ফিরে পাওয়া একটি সনাতন ক্যাপ একটি পরিবারের সমস্ত মমত্ববোধ ধরে রাখে!

এই বাক্যটির গঠন লক্ষ্য করুন। আন্দোলন-আনন্দ সমাসবদ্ধ হবার কথা নয়?

তানিম এহসান এর ছবি

একই মন্তব্য ভিন্নভাবে করেছেন আরেকজন আলাদা জায়গায়, সেখানে তিনি নির্দিষ্টভাবে বলেছেন বাক্যগুলো বেশি দীর্ঘ হয়ে গেছে, রাগ চেপে লিখা, আজকাল রেগে গেলে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছি। তবে, হ্যাঁ, আমি মেনে নিচ্ছি আপনার মন্তব্য।

হতে পারে। আবার একটা কমা দিয়ে দিলে আরও মজা, ‘মাথার ভেতর তুমুল আন্দোলন, আনন্দে চেপে থাকা.....’ কিংবা আরেকটা যাত্রাবিরতি, ‘মাথার ভেতর তুমুল আন্দোলন --- আনন্দে চেপে থাকা....’ মজা পেলাম। এমন মন্তব্য ভাবায়, আনন্দ দেয়। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।