জাগ্রত হৃদয়ের কাছে সকল সংকটে থাকে আলো

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০৩/২০১৩ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘুমকাতুরে ঘুমের দেশে ঘুমিয়ে থাকা লক্ষ্মী-সোনা আধেক মানুষ, আর আধেকে নষ্ট রাতের গদ্য -- তুমি ঘুমাও বরং, তোমার জেগে থাকার প্রয়োজন নেই আর.. এই জাগ্রত রাতের সংহতি ভেঙে দিয়ে আজন্ম নতমুখ পরাজয় পদাবলী তোমার হতে নেই এতবেশি দাবী -- তোমার দ্বিধান্বিত পথচলার প্রয়োজন ফুরিয়েছে গতরাতে, কিংবা তারও আগে বহুদূর...

বিবর্ণ শান্তির নিশ্চিহ্ন পায়রা হাতে ভস্ম ভণিতা তুমি- তুমিও ঘুমাও, তোমাদের জেগে থাকা প্রণোদনা সমাবেশে বিচ্যুতি... তোমার বিনম্র চাহনি প্রতিবার খুলে দেয় পশুদের দ্বার, তোমার আড়ষ্ট মলাটে প্রতিবার জন্ম নেয় নষ্ট শকুনের নখ, প্রতিবার তোমার সলজ্জ ভূমিকায় শুধু জেগে যায় হায়েনার দল -- তুমি ঘুমাও... আর যদি বুকভরা শ্বাসের ভিড়ে সশব্দে কথা বলে কোন বর্ণিল চেতনা যাকে তুমি কেবলমাত্র দূর থেকে ভালবেসে এসেছ একবার কষাঘাতে -- তবে জেনে নিও- কাছে গেলে সব রঙ প্রতিবার হয়না ফিকে, মানুষেরা একবার জাগে, বারবার ঘুমায় প্রকৃতি! এখন নবারুণ সময় তোমাকেও খুঁজে নেবে দেখে নিতে মশালের প্রত্যাশিত জ্বালামুখে তুমি কতটা লড়াই পারো জুড়ে দিতে......

এখন ফুলেরাও সংগ্রামী, নিরুপমা রাত জাগে, গান গায়- প্রাণ পায় প্রতিবেশী সনাতন আলো! এখন কবিতা’র কাছে প্রিয় প্রেমিক তবু খোঁজে না পঙক্তি ফুলেল, এখন প্রেমিকার কাছে একটি গানের চেয়ে স্লোগানের রূপরেখা বড় বেশি প্রিয়... বড় বেশি প্রিয় তাই যূথবদ্ধ হাতে সোনালু স্বপ্নের ভিড়ে পদধ্বনি মিছিলের...

মায়ের প্রাকৃত আঁচলে একবার শপথে মাথা রেখে জেগেছে যারা, যারা একবার পিতা’র বিরল হাতে দেখেছে নবান্ন ঘাসের কাছে ইতিহাস কতখানি দৃঢ় -- যাদের হাতের মুঠোয় একবার মৃত্তিকা তবু প্রতিবার দিয়ে গেছে বারবার উপসংহার সবিশেষ -- যাদের দেহাতি আগুনের কাছে আশৈশব প্রতিবার স্পৃহা -- তাদের উষ্ণ নৈকট্যে জানি একদিন স্বাধীনতা খুঁজেছিল প্রিয় তার পতাকার রং... মানচিত্রের কথা বলে কেবলই সংহত যারা, যারা কেবলই স্থির আর স্থিত হতে শিখেছে দংশিত সময়ের সাথে সাথে...

প্রতিবার বাসি ভাল -- প্রতিবার জন্মাবধি জানি, স্ব-দেশের মুখখানি নিরবধি আলো... আমার মাটি, আমার দেশ -- আমার মুক্তিযুদ্ধ, আমার স্বাধীনতা -- আমি সংকটে প্রতিবার শুনি ধমনীতে রক্তের স্রোত- ইতিহাস কথা বলে বিজয়ী!

তবে হে বাঙালী বীর- সূচনায় হয়তো থাকে কিছুটা দহন,
ঝরনা’রা নদী হয় স্রোতে -- জলের কর্তব্য জানে চন্দ্র-গ্রহণ --
মোহনায় যেতে যেতে একা একা সব ঢেউ ফিকে হয় তুমুল দাবীতে;
নির্নিমেষ তিতিক্ষার চরিত্র অশেষ তাই সাগরের কাছে যেতে
বহু পথ দিতে হয় পাড়ি, নিতে হয় বহু ত্যাগ মেনে!


মন্তব্য

আইলসা এর ছবি

গুরু গুরু

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ আইলসা। সচলাভিনন্দন হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

৫ হাজার বছরের দালিলিক ইতিহাসে এদেশের মানুশ কখনো পরাজয় মেনে নেয় নি।
স্থবিরতা এসেছে বারবার, কিন্তু স্তব্ধ হয়নি প্রতিবাদের ভাষা, কন্ঠস্বর।
আমি এখনও আশাবাদীদের দলে, আশাতেই বেচে থাকছি।

এত্তো সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য জনাব তানিম-কে অভিনন্দন।

বিজন কথক

সুমন চৌধুরী এর ছবি

"মানুশ" কী?

অতিথি লেখক এর ছবি

জনাব সুমন সাহেব, নতুন নতুন "অভ্র"তে লেখা শিখেছি। এখনও এর সঠিক ব্যবহার করতে সক্ষ্ ম হইনি।
চেষ্টায় আছি ভাই---

তানিম এহসান এর ছবি

এভাবেই বেঁচে থাকি লড়াকু জনতা! ধন্যবাদ আপনাকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্বিতীয় মৃত্যুর সব আয়োজনে জীবনের স্বাদ হাতছানি দেয়।

রসি

তানিম এহসান এর ছবি

মৃত্যু মানে নতুন জীবন!

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

বহু পথ দিতে হয় পাড়ি, নিতে হয় বহু ত্যাগ মেনে!

পুরোটাই খুব ভালো লাগলো। সুখপাঠ্য।

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ পোড়ামাটি।

অতিথি লেখক এর ছবি

মাথা নষ্ট পোস্ট। কিভাবে লেখলেন এইটা ভাই। মানে, ক্যামনে কি? অস্থির।

উত্তম জাঝা! গুল্লি

সামি

তানিম এহসান এর ছবি

ধন্যবাদ সামি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।