ধর্ম নাকি সংস্কৃতি? আমাদের মানবিক নিজ নিজ আচার বনাম জামাতের মওদুদীবাদী অ-ধার্মিক আগ্রাসন

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২০/০৩/২০১৩ - ৩:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লড়াইটা আদ্যোপান্ত সাংস্কৃতিক বলেই এর আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক চরিত্র আছে -- লড়াইটা সামষ্টিক আচরণ-প্রণালীর, সমষ্টি মানে সর্বশেষে ব্যক্তি। ১৯৭১ সালে’র ২৫ মার্চ রাতে যে গণহত্যা শুরু তার মূল পরিকল্পনায় যা ছিল তার নাম ‘এথনিক ক্লিনসিং’, বাঙ্গালী জাতিসত্তা নির্মূল অভিযান। হানা দেয় যারা তাদেরই হানাদার বলে, আর রাজাকার মানে কেবলমাত্র কয়েকটা নাম নয়, রাজাকার মানে প্রচুর হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন -- জঘন্যতম সব ঘটনা যাকে প্রচুর মানুষের জন্য এখন-ও আমাদের রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করতে হয়, এইসব মানুষের একই কাহিনী বারবার শুনতে পারা চাই! রেফারেন্স দিয়ে আরও প্রমাণ করতে হয়, কারণ জামাত এই ধরনের ‘কানে পোকা’ মানুষের কল্যাণে পৃথিবীর কাছে এই সেদিনও একাত্তরের এমন একটা ইতিহাস দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো যা অঙ্গাঅঙ্গি মিথ্যায় পরিপূর্ণ। সত্যের অপলাপে-ও পুরোপুরি মিথ্যা’র জন্ম হয়-না, মিথ্যার জয় হয় সত্য’কে ধামাচাপা দিতে পেরে। মিথ্যার বেসাতিতে টিকে থাকা জামাতের সাফল্য নয়, আমাদের ব্যর্থতা।

বাংলাদেশের মানুষ এমনকি ৫ই ফেব্রুয়ারি সকালবেলা ঘুম থেকে জেগেও ভাবেনি একটা চৌরাস্তার নাম তাদের আপামর চেতনায় বিশ্বাসের সংজ্ঞা পাল্টে দেবে। শাহবাগ যেমন কোন পাত্র নয় তেমনি শাহবাগ মানে শুধুমাত্র কোন ব্যক্তিবিশেষ নয়, ব্যক্তিবর্গ নয়, শাহবাগ চৈতন্যের অসীম আকাশে উর্ধ্বমুখী একটা প্রেক্ষাপট-- স্থান-কাল-মানুষের সমষ্টি। শাহবাগ একটা অন্তহীন উপন্যাসের ভূমিকা হতে পারে কিন্তু কোনদিন সর্বশেষ পরিণতি নয়। আমরা মুখে বলি চাই-না কিন্তু চাইলে সবকিছু চাই, যদি চাই তাহলে ছেলেমানুষের মত একদিনে একবারে সব চাই। শাহবাগ সম্ভবপর হয়েছিলো অগণিত মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সম্মিলনে। শাহবাগে জামাত-শিবির-পর্যটক ছাড়া আর কেউ কি হয় সেটা দেখতে যায় নি। শাহবাগে মানুষ গেছে নিজের কাছে স্পষ্ট থাকতে, গেছে নিজের কাছে নিজের অবদানের স্বীকৃতির জন্য- মাতৃভূমির জন্য লড়াইয়ে এর বেশি স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই। শাহবাগে কে স্লোগান ধরছে, কার স্লোগানে কে তাল দিচ্ছে, কে আসছে, কে ও বেলা আসবে বলে চলেই যাচ্ছে-- সেসব বিচার্য বিষয় ছিল না। শাহবাগে বিচার্য বিষয় ছিল- আমাকেও যেতে হবে। শাহবাগের অর্জন কিংবা শাহবাগ থেকে যা-কিছু বর্জন করা হলো তার কথা কতদূর লিখে শেষ করা যাবে? শাহবাগ’কে যে অস্বীকার করে সে একটা প্রবল শাহবাগ’কে প্রচণ্ড স্বীকৃতি দেয় বলেই তাকে অস্বীকার করতে চায়। আমরা কি সেসব অর্জন কিংবা বর্জনরীতি পুরোপুরি ধরে রাখতে পেরেছি?

আমরা অর্জন ধরে রাখতে পারিনা -- আমাদের জাতিগত একটা ব্যর্থতা আছে। শাহবাগে নিত্যনৈমিত্তিক যাওয়া মানুষেরা শাহবাগে আর নিয়মিত নন (শাহবাগ সেটা চাচ্ছেও-না এখন, শাহবাগ ছড়িয়ে পড়েছে বহুদূর!), নিয়মিত নয় আর মিডিয়া’য় মিডিয়া’য় কেবলমাত্র শাহবাগের চেতনার মত করে কথা বলে যাওয়া (শাহবাগের এই চাওয়া থাকবেই) -- নিয়মিত যাওয়ার চাইতে শাহবাগ নিয়ে নিয়মিত ইতিবাচক চিন্তা করার, কল্পনা করার মানুষ কমে যাচ্ছে। শোর উঠেছে বিক্রি-বাট্টা-কেনা-বেচা ইত্যাদি’র। এই স্বল্পতম সময়ে দূরত্বের যে হালখাতা বোনা হয়েছে তার পরিণতি হচ্ছে জামাতের জয়। নিজস্ব চেতনা মানে নিজের সাথে যুদ্ধ সবার আগে, সবার আগে নিজের কাছে স্পষ্ট থাকা, আর কারও কাছে নয়।

শাহবাগের চেতনার চরিত্র নিয়ে আমার ভেতর কোন সংশয় নেই। শাহবাগে যাওয়া-আসা কিংবা থেকে যাওয়া মানুষগুলো’র চরিত্র নিয়ে কথা বলা শুরু করার আগে নিজের ‘চেতনার চরিত্র’ ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া দরকার। আমাদের চরিত্র মানেই শাহবাগের চরিত্র কারণ আমি শাহবাগে গেছি বলে এক হাজার মানুষ থেকে সেটা দিনে দিনে লাখো মানুষ হয়েছে -- আজ আবার সেখানে একশো মানুষ আছে মানেই আমি এখানে লাখো মানুষ হয়ে তাদের সাথে আত্মিকভাবে থেকে গেছি -- ডাক এলে কিংবা প্রয়োজনে আমরা আবার যাব। সুবিশাল এক জলাধারে একটা প্রকাণ্ড পাথরের ঢিল যে ঢেউ তৈরি করে তা গণনা করা কিংবা তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবে ইতিহাস, আমি সেই জলাধারের অহিংস জ্বলন্ত আগুনে কতটা জ্বালানী হতে পারছি তার-উপর নির্ভর করে শাহবাগের সাফল্য -- শাহবাগের পরিণতি নির্ভর করবে চূড়ান্ত মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের একাত্ম থাকায় -- শাহবাগ চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করবে আমাদের যে-কোন পরিস্থিতিতে সামগ্রিক যূথবদ্ধ হাতে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায়। পিছিয়ে যায়-নি কেউ, সবাই তাঁর তাঁর নিজ জায়গায় কাজ করে যাচ্ছে -- এর প্রমাণ দেবে ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার এমনকি প্রকাশ্যে জামাত-শিবিরের সমালোচনা, নানাবিধ কাজ -- সবাই যার যার জায়গায় যতো-দূর সংহত ততো-দূর মুক্তি! শাহবাগে জনসমাগম কম মানে আর কোথাও পরিপূর্ণতা বেড়েছে। শাহবাগের নেতৃত্ব দেয়া তরুণ প্রজন্ম এখনও নিজেদের ভেতর একতাবদ্ধ -- তাদের যে যেভাবেই দেখুন না কেন, এখনও তারা একসাথে আছে -- জামাত কিংবা তাদের সুবিধাভোগী বহু মানুষ তাদের ভেতর দলাদলি চাইলেও তারা এখনও এক থাকতে পেরেছে এটা একটা দারুণ ব্যাপার।

আমরা জাতিগত-ভাবে ‘রিয়েকটিভ’ একটা চরিত্র ধারণ করে ফেলেছি যার ফলশ্রুতিতে সবকিছু থেকে নিজেদের বিযুক্ত করে সুবিধাবাদীদের সুযোগ করে দেই সবভাবে, আমরা ‘প্রো-একটিভ’ নই। আমরা আগে থেকেই ভাবছি না, আগে থেকেই জামাতিদের কূট-কৌশল কি হতে পারে তা ভেবে নিয়ে যে প্রস্তুতি নেয়া দরকার তার বেলাতে এখনও ঘাটতি আছে, ঘাটতি আছে নিজ নিজ জায়গায় ‘প্রো-একটিভলি’ কাজ করে যাওয়ায়, ইতিবাচক-ভাবে ভাবতে থাকায়, স্বপ্নটা ধরে রাখায়, কল্পনার দেখা দৃশ্যাবলী দেখতেই থাকায়। ‘হেফাজতে ইসলাম’ এর মত দল তৈরি হবে এটা প্রত্যাশিত, প্রত্যাশিত বিষয়গুলো নিয়ে না ভাবলেই বরং বারবার জামাতের ছকে নাচতে হবে। জামাত-শিবির বিরোধী যুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশে নতুন নয়, এইসব আছে নানান জায়গায়, পত্রিকার পাতায়, আর্কাইভে, মুভি’তে -- সেগুলো গবেষণা করা প্রয়োজন ভুল থেকে শিক্ষা নেবার জন্য। সবার হাতে একই বাদ্যযন্ত্র একইভাবে কাঁদেনা, একইভাবে হাসেনা সব মানুষ। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ পৃথিবীতে সাদৃশ্যের জায়গাটুকু আপাত সরল -- আমাদের বিশ্বাস-চেতনা-মনন এবং তারউপর ভিত্তি করে আমাদের চর্চা কিংবা প্রাত্যহিক কাজগুলো আমাদের একসাথে রাখে কিংবা আলাদা করে। জামাতের বেলায় সে একসাথে থাকা এখন আর সাংগঠনিক নয়, প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গেছে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিকতা অনাড়ম্বর, সেটা একটা আন্দোলনের পরিণতি পেয়ে গেছে, সেটা ধরে রাখতে হবে; না পারলে দুইদিন পর নিজস্ব নিয়মে চুল কাটার অপরাধে, জামা পড়ার অপরাধে, গান শুনতে পারার অপরাধে, সন্তান’কে স্কুলে পাঠানোর অপরাধে, জোরে হাসতে পারার অপরাধে, রাস্তায় মাথা নিচু করে হেঁটে যেতে না পারার অপরাধে, মওদুদী’কে পয়গম্বর হিসেবে না মানার অপরাধে, গো-আযম’কে ইমাম না মানা’র অপরাধে, সাইদী’কে চাঁদনী-রাতে ক্যানভাস করে কলিজু খেতে না দেয়ার অপরাধে.... ব্লগ পড়ার অপরাধে, কিংবা কেবলমাত্র ‘সোনা’ অথবা ‘কলিজু’ ব্লগ না পড়ার অপরাধে-ও যে আপনাকে আফগানিস্তানের মত বাংলাদেশের রাস্তায় পাথর খেয়ে মরে যেতে হবেনা তার গ্যারান্টি কে দেবে? এরকম কিছু হবে-না তারই দিব্যি আমাদের কে দিয়েছে? আফগানিস্তান আর নাপাকিস্তানও মানুষের ‘দেখি না কি হয়’ আচরণে আজকে এইরকম পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।

জামাতের অর্থনৈতিক শক্তি (বর্জন করেই যাচ্ছেন কি?) আমাদের চালায় আজ বহুবছর, আরও ভয়ংকর তাদের সর্বত বিস্তার -- এটা কোন জুজুবুড়ি নয়, ভয় দেখানোর কায়দাও নয়। তারা এমন একটা জায়গায় নিজেদের নিয়ে গেছে যে, তাদের হাতে একটা ‘ছায়া-রাষ্ট্র’ পরিচালিত হয় বাংলাদেশে। তারা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের প্রায় সবকিছু, সেই নিয়ন্ত্রণের সীমারেখায় তারা গানপাউডার মেনে নিতে আমাদের অভ্যস্ত করে ফেলছে, অভ্যস্ত করে ফেলছে পরিকল্পনা করে পুলিশ খুন, অভ্যস্ত করে ফেলছে ধর্মের নামে বিভাজনে ‘মওদুদী’বাদকে। মওদুদী না পড়ে যারা জামাতের-ইসলাম খোঁজেন তাদের ধর্মবিশ্বাসের পায়াভারী! জামাতের মাথার উপর যদি আজকে কেউ ছাতা ধরে রেখে বলে ‘যা ইচ্ছা তাই কর, কেউ কিছু বলবে-না’ -- বাংলাদেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে আরেকটা ২৫শে মার্চ কিংবা ১৪ই ডিসেম্বরের মত করে নতুন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবার মত সর্বাত্মক আক্রমণে যাবার মত সামর্থ্য রাখে এই গোষ্ঠী -- এটা তাদের জন্য মুহূর্তের সিদ্ধান্তের ব্যাপার, চোখের পলক পর্যন্ত পড়বে-না। এতো তান্ডব দেখার পরেও যদি এই সত্য বিশ্বাস না হয় তাহলে এই জাতির কপালে নির্ঘাত শনি’র পর মহাশ্মশান আছে!! বিএনপি এখন জামাতের ‘সি-টিম’ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের ভেতরও জামাত-পন্থী বলয় না থাকাটা-ই অস্বাভাবিক, এরশাদ সর্বশেষেও জামাতের পক্ষে-ই থাকবে (ইতিহাস কথা বলে), বাম দলগুলো ভেতর কেউ কেউ ১৯৭১ এর পুরনো পৈতা পড়ে ফেলেছে -- আপনি আমি কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো? কারও কাছে যেতে হবেই বা কেন ভাই-বোন-বন্ধু-সহযাত্রী?? আমাদের থেকে যেতে হবে নিজ নিজ চেতনার জায়গায়, আর কোন বিকল্প নেই, এইবার না পারলে আরও ৪২ বছর! পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কেমন দেশ রেখে যাব তা ঠিক করার সময় শেষ হয়ে যাবে হয়তো-বা আজ রাতে! ক্রান্তিকালে প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ।

না পারলে খুব স্বাভাবিকভাবে যা হবে তা হচ্ছে জামাতের বিরুদ্ধবাদী সকল পরিবারের সকল ‘নারী’ আবার ‘গণিমতের আকণ্ঠ মাল’ হবে, সকল পুরুষ হবে সেবাদাসী এবং সকল শিশু জামাতের পদলেহনকারী হিসেবে বড় হবে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে -- আপনি আমি প্রতিদিন অন্যের ক্ষতিসাধন না করে নিজের ইচ্ছায় যা-কিছু করি, নিজস্ব সবরকম আচার-আচরণ-রীতি-নীতি-প্রথা -- মানে আপনার আমার সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের জামাতিকরণ হবে, তারপর জামাতের রাজনৈতিক রাজত্ব -- বাংলাস্তান নামে নতুন এক দেশজ আত্মপরিচয়!! লড়াইটা ধর্মীয় হিসেবে জামাত যতটা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে আদতে বিষয়টা কি একইরকম? জামাত-শিবিরের চর্চাটাই ওরকম। জামাত-শিবির-হিযবুত তাহরীর-আনসারউল্লাহ এই দলগুলো’র সব দাঁত মওদুদী ধর্ম দিয়ে বাঁধাই করা, সব টুথব্রাশে মওদুদী ধর্মের কাঁটা, সব পেস্টে ধর্মের আঠা মওদুদী; সব নখ গিল্টি করা মওদুদীবাদের নামে নকল ধর্মের পালিশ দিয়ে, জামা-কাপড়ে গন্ধমাদন-ও মওদুদীও -- কিন্তু ঘরের ভেতর, বাইরে এরা প্রয়োজনে মওদুদী ধর্মের নামে ধর্মবিরুদ্ধ সব কাজও করে যাবে, যেমন করে যাচ্ছে। এরা আমাদের মত নয় যাদের হৃদয়ে সবার জন্য ভালবাসা কাজ করে, যাদের কাছে সব মানুষ সবার আগে মানুষ, যাদের কাছে পরের মানুষও হয়ে যেতে পারে আত্মার আত্মীয়... এরা একপেশে, দৃষ্টিহীন, বোধশক্তিহীন, জড়পদার্থের মত একঘেয়ে জান্তব নিষ্প্রাণ, যারা শুধুমাত্র নিজেদের সুবৃহৎ গোষ্ঠীর বাইরে আর কারও অস্তিত্ব’কে সাংঘর্ষিক চ্যালেঞ্জ ছাড়া থাকতেই পারেনা -- আপাদমস্তক জামাত-শিবির স্বভাবে সবসময় ‘ফ্রাংকেনস্টাইন ইন বোথ ড: জেকিল এন্ড মি: হাইড!’

কাল আপনিও আক্রান্ত হবেন কিংবা তারপরে পরশু -- আজকে চেতনার রংমশালে নিজেই স্ব-উদ্যোগী থাকতে পারলেই কেবলমাত্র জয় সুনিশ্চিত! জয় বাংলা!


মন্তব্য

shishircma এর ছবি

লেখাটা দারুন লাগল।।।।।।।।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

অমি_বন্যা এর ছবি

লেখাটাতে কিছু বলার নেই শুধু বলবো দারুণ একটা ভাবনা, সুন্দর ভাবে উপস্থাপন। চলুক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এ লড়াই জিততে হবে। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জিত হবে অনেক কালের জন্যে। হয়তো......।
হ্যাঁ, কাল আমিও আক্রান্ত হব কিম্বা তারপরে পরশু। চলুক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এ লড়াই জিততে হবে। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জিত হবে দীর্ঘকালের জন্য। হয়তো.......।

কাল আপনিও আক্রান্ত হবেন কিংবা তারপরে পরশু

চলুক

স্যাম এর ছবি

শাহবাগে বিচার্য বিষয় ছিল- আমাকেও যেতে হবে।

চলুক চলুক এবং এখনো তাই আছে - এখনো 'আমাকেই' যেতে হবে

তানিম এহসান এর ছবি

shishircma, সাক্ষী সত্যানন্দ, আমি_বন্যা, প্রৌঢ় ভাবনা, স্যাম -- সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বনজোছনা এর ছবি

আছি, ছিলাম , থাকব .... যদিও আত্মপরতায় আকন্ঠ নিম্মজিত , তবু আছি শাহাবাগের সাথে আমার অস্তিতের লড়াই-এ

তানিম এহসান এর ছবি

আমরা সবাই আছি। তারুণ্যের সাথে থাকতে হয়, থাকতে হয় চেতনার সাথে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।