আমার জন্ম পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। এ তথ্যটি ছাড়া আমার প্রথম জীবনে ঢাকার আর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্ভবত এ কারণে ঢাকার প্রতি আমার তেমন কোন টানও নেই। আমার জন্মের পরপরই আব্বা বদলী হয়ে চট্টগ্রাম আসেন। অনেকে খুব ছোটবেলার স্মৃতি মনে করতে পারে না। আমি মোটামুটি তিন বছর বয়স থেকে আবছাভাবে অনেক কিছু মনে করতে পারি। তিন বছর নির্দিষ্ট করে বললাম, কারণ এ বয়সেই আমি প্রথম স্কুলে যাই। আমার প্রথম স্কুলের নাম ‘কৃষ্ণচূড়া স্কুল’। স্কুল প্রাঙ্গনে অনেক কৃষ্ণচূড়া গাছের সমাহারই হয়ত এ নামকরণের কারণ। চট্টগ্রামে সার্সন রোড আর জামাল খান সড়কের সংযোগস্থলের কাছাকাছি ছিল স্কুলটা। অনেক পরে যখন হয়ত আমি কলেজে পড়ি, একদিন খুব দুঃখ নিয়ে খেয়াল করলাম স্কুলটা উঠে গিয়ে সেখানে একটা বিয়ের কমিউনিটি সেন্টার হয়েছে!
কৃষ্ণচূড়ায় মাত্র এক বছর ছিলাম। এ সময় আমার প্রধান কাজ ছিল আমার বন্ধু উপলের সাথে মিলে স্কুলের মাঠে যে গরু চরে বেড়াত তার লেজ ধরে টানাটানি করা। একবার সে গরু খেপে গিয়ে এমন তাড়া করেছিল যে তাতে আছাড় খেয়ে আমার দফারফা অবস্থা। ও হ্যাঁ, উপল আমার বাবার বন্ধুর ছেলে। সে সূত্রেই আসলে তখন খাতির ছিল। পরে আমাদের আর কখনো একসাথে পড়া হয় নি। কৃষ্ণচূড়ায় আর যেটা মনে আছে তা হল বছর শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কথা। একদিন আমাদের বাচ্চাদের সবাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে হাতে দু’টো করে নাবিস্কো লজেন্স ধরিয়ে দেয়া হলো। তার মধ্যে দু’টো বাচচাকে দেখলাম দামী গাড়ি আর পুতুল দেয়া হচ্ছে। আমি লজেন্স খেতে খেতে আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম- ওই ছেলেটাকে যে গাড়ি দিল, আমাদেরকে তো দিল না! আম্মা বলল- ও যে ফার্স্ট হয়েছে, তাই গাড়ি পেয়েছে; তুমি হলে তুমিও পেতে। কেন, কীসে ফার্স্ট হয়েছে, আমি কিছুই বুঝিনি, শুধু বুঝে গেছি বড় মানুষগুলো মাঝে মাঝে ছোটদের সাথে এমন ক্রুর আচরণ করে। বৈষম্যময় পৃথিবী আমাকে সেই প্রথম স্বাগত জানালো।
চট্টগ্রামে আমাদের প্রথম বাসা ছিল সার্সন রোডে। ভূতুড়ে টাইপের বাসা। রাতে তো বটেই, দিনে-দুপুরেও আমাদের জানালায় বাদুড় ঝুলে থাকত। সার্সন রোড-চট্টেশ্বরী এলাকা এখনো অনেক নির্জন। তাই সে সময় কতটা জনমানবহীন ছিল, সহজেই অনুমেয়। আমরা থাকতাম পাহাড়ের পাদদেশে একটা চারতলা বিল্ডিংয়ের দোতলায়। পাহাড়ের উপরে আরেকটা ছোট বাড়িতে থাকতেন আমাদের বাড়িওয়ালা ‘জজ সাহেব’। সম্ভবত বিচারপতি ছিলেন, তাই এই নাম। অনেক পরে জেনেছি, এই জজ সাহেবের বড় ছেলে হলেন আজকের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম। তখন জামাল নজরুল সাহেব ওখানে থাকতেন না; ইংল্যান্ডে ছিলেন। কিন্তু তাঁর অন্য ভাই-বোন, তাদের বাচচা-কাচচারা ওখানে থাকত। চারতলা বিল্ডিংটা এখন বিপিসির কর্মকর্তাদের আবাসস্থল। পাহাড়ের উপরে ছোট বাড়িটা হয়তো এখনো আগের মতই আছে।
আমাদের বাসার পরিবেশ ভূতুড়ে হলেও আমার এখানে আনন্দের উপকরণের কমতি ছিল না। তার আগে এখানকার অন্য বাসিন্দাদের কথাও একটু বলে নেই। আমাদের নিচতলায় থাকত রূপমরা। রূপম আমার সময়বয়সী, কিন্তু সে ছিল ‘বাচচা-ভয়ংকর-কাচচা-ভয়ংকর’ টাইপের ছেলে। তাদের বাসার কাজের ছেলেকে সে একবার পাহাড়ের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে হাড়-গোর ভেঙে দিয়েছিল! আমি তখন সেই কাজের ছেলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর থেকে রূপমের সাথে ঘোরাফেরা করার ব্যাপারে আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও, বাসা থেকে বের হলে সেটা আর মনে থাকত না। তিনতলায় ছিল দুই ভাই- বাবু আর ডফিন। আমার চেয়ে একটু বড়। আমি ডফিন নামটা ঠিকমতো উচচারণ করতে পারতাম না, তাই ওকে ডাকতাম ‘ডলফিন’। অনেক পরে এই নামে একটা ছেলেকে দেখেছি নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট খেলতে নাসিরাবাদ স্কুলের হয়ে। কিন্তু এই ‘ডলফিন’ই সেই ডফিন কিনা আর খোঁজ নিয়ে দেখি নি। চারতলা ছিল আমার অভয়াশ্রম। এখানে থাকতেন চট্টগ্রাম আর্ট কলেজের শিক্ষক (পরে প্রিন্সিপাল) হাসি চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী ছায়া চক্রবর্তী। এই দম্পতির কোন সন্তান ছিল না। ছায়া আন্টি আমাকে এতই আদর করতেন আমি তখন মনে করতাম এঁরা বুঝি আমাদের আত্মীয়। আমি স্কুল থেকে ফিরে সোজা তাঁর বাসায় গিয়ে খানাপিনা, খেলাধুলা আর দেয়াল-মেঝে সব রং দিয়ে আঁকিবুকি করতাম। বাসার চেয়ে মনে হয় ওখানেই সময় কাটাতাম বেশি। আমার অল্প-স্বল্প আঁকাআঁকির হাতেখড়িও এইখানে। আমার জন্মদিনে হাসি চক্রবর্তী আমাকে একটা ‘গিটার’ (তখন এই নামে একটা জলরংয়ের সেট পাওয়া যেত) আর রংতুলি উপহার দিয়েছিলেন। আমরা সার্সন রোডের বাসায় বেশিদিন ছিলাম না। অনেক পরে একবার দূর থেকে ছায়া চক্রবর্তীকে দেখেছিলাম। কিন্তু তখন বড় হয়ে গেছি। সময়ের সাথে সাথে সম্পর্কের মধ্যে যে দূরত্ব গড়ে উঠেছিল, তাকে অতিক্রম করে আর তাঁর কাছে যাওয়ার সাহস পাই নি। দেখি, দেশে গেলে এঁদের একবার খোঁজ নিতে হবে।
আমাদের এ সময় একটা মুড়ির টিন মার্কা লিলিপুট সাইজের গাড়ি ছিল। আব্বা এক বিদেশী ভদ্রলোকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ফ্রেঞ্চ গাড়ি- নাম ‘Renault’। ছবিতে যেটা দেখছেন সেটা ২০০২ মডেলের। সত্তরের শেষে এই গাড়ির মডেল কেমন ছিল তা বুঝতেই পারছেন। বানান করে অনেকদিন পর্যন্ত আমি গাড়ির নাম বলতাম ‘রেনাল্ট’। পরে জানলাম এর উচচারণ হবে আসলে ‘রেনো’! যাই হোক, তখন চট্টগ্রাম শহরে কেবল দু’টো রেনো ছিল। তার একটা ছিল আমাদের- সাদা রঙের, অন্যটা ছিল আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে- কমলা রঙের। গাড়ি মুড়ির টিন হলেও, তাই এটা নিয়ে আমাদের একটু চাপা গর্ব ছিলো! সেজন্যই মনে হয় চোর এসে একরাতে গাড়ির দু’পাশের আয়না ও আরো কিছু নাট-বল্টু খুলে নিয়ে গাড়িটাকে আরো বদখত বানিয়ে দিলো।
তখন টিভিতে জনপ্রিয় সিরিজ ছিল ‘হাওয়াই ফাইভ-ও’। আমরা, মানে বাবু-ডফিন-রূপম-আমি এটা নকল করে খুব খেলতাম। তখন খেলার সময় একটা লাইন মাঝে মাঝে আওড়াতাম- ‘হ্যান সাপ, ডল মুক’। লাইনটা অবচেতনভাবে আমার মাথায় দীর্ঘদিন গেঁথে থাকলেও বড় হয়ে এর অর্থ কোনভাবেই উদ্ধার করতে পারছিলাম না, অন্তত ‘হ্যান সাপ’ বুঝলেও পরেরটুকুর। অনেকদিন পর একদিন টিভিতে যখন আবার হাওয়াই ফাইভ-ওর একটা পর্ব দেখাচ্ছিল, তখন দেখলাম একটা দৃশ্যে আসামীর দিকে পিস্তল তাক করে গোয়েন্দাপ্রবর বলছেন ‘হ্যান্ডস আপ, ডোন্ট মুভ’। আহ, অবশেষে দু’য়ে দু’য়ে চার মিলল- “আমি পাইলাম, ইহাকে পাইলাম!”
-----------------
(চট্টগ্রামে আমার স্মৃতি প্রায় বছর বিশের। যদি কখনো সেটা লিখি, তার শুরুটা কেমন হতে পারে সে চেষ্টা করে দেখলাম। সময় পেলে আরো কয়েক পর্ব হয়তো চালাতে পারি)
মন্তব্য
চট্টগ্রাম শহর, ছোটবেলার শহর। তানভীর ভাই ভাল লাগল স্মৃতিচারণ পড়ে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়।
‘হ্যান সাপ, ডল মুক’
কঠিন হইসে তানভীর ভাই।
ধন্যবাদ রিয়াজ।
লেখা খুব ভাল্লাগলো, তানভীর ভাই।
চট্টগ্রামের মতন আরাম কোথাও গিয়া পাই না
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ঠিক ঠিক। চিটাগাংয়ের মত আরাম আর কোথাও নাই। আর সবখানেই পরবাসী, পরবাসী লাগে।
এ শহর আমার শহর/ এখানে বৃষ্টি-মেঘে/ কেটেছে হাজার বছর/ কেটে যাক হাজার বছর
লিখতে থাকুন। চট্রগ্রাম সারা জীবনই পিছন থেকে টেনে যাচ্ছে, আর কোন জায়গাকে নিজের ঘর তো এখনো বলতে পারছি না।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হুম। সার্সন রোডে কিন্তু অনেক পেঁচাও ছিল
ধন্যবাদ।
সেভ করে রাখলাম, পরে পড়বো। ভালো লেগেছে, আপাতত ৫ দিয়ে গেলাম
পোস্ট থেকে একটা নতুন জিনিস শিখলাম। সেটা বানান আর উচ্চারণ বিষয়ক।
এই ধরণের স্মৃতিচারণমূলক লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। আর তানভীর ভাইয়ের লেখাটা অসাধারণ হয়েছে, জানিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ ফারুক।
আমি ১৯৯১ এর ডিসেম্বরে আর ১৯৯৬ এ চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল চট্টগ্রামের লোকজন ভালো, বেশ হেল্পফুল। এখনো ভালো আছে নিশ্চই।
আমি ছিলাম '৯৭ পর্যন্ত। চট্টগ্রামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য এখানে যারা বাইরে থেকে আসে তারাও একসময় এখানকার আপন হয়ে যায়। আর কোন এলাকায় বোধহয় এটা হয় না। আমার অনেক বন্ধুর গ্রামের বাড়ি অন্য জেলায়। কিন্তু চট্টগ্রামে বড় হওয়ার সুবাদে তারা পরিচয় দেয় চট্টগ্রামের লোক হিসেবে। আমারো তাদের কখনো বাইরের লোক মনে হয় নি।
তানভীর ভাই, আমার অবজারভেশনের পেছনের কারণটাও বলে রাখি। ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কারণে আমার ধারণা ছিল চট্টলার মানুষজন বোধহয় আত্নকেন্দ্রিক হবে। কিন্তু সে ধারণাটা একদম ভুল ছিল। সেইসাথে কক্সবাজারের মানুষও দারুণ লেগেছিল।
ভালো লাগলো লেখা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ধন্যবাদ বিপ্র।
আরে আসেন বুক মেলাই। আমিতো আদি অকৃত্রিম চাটগাইয়া। আপনার বর্ননাগুলো পড়ে তবু স্মৃতিময়তা জেগে গেল। চিরকাল চাঁটগায় থেকেও বিরক্ত জন্মায়নি এখনো কেন জানি.....হা হা।
কৃষ্ণচুড়া স্কুলের কাছাকাছিই আমার নিবাস। সার্সন রোডের জায়গাটা এখনো প্রচন্ড নির্জন ও ভুতুড়ে রাতের বেলা। তবে দিনের বেলা অসাধারন সুন্দর। ওই স্কুলটা যদিও নেই এখন,কৃষ্ণচুড়া গাছগুলো আছে। ডেভেলাপারের হাত পড়বে হয়তো শীঘ্রই, কৃষ্ণচুড়ার জায়গায় আকাশছোয়া দালান হবে। একদিন শুধু স্মৃতিই থাকবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সার্সন রোড আর স্টেডিয়ামের পেছনে রেলওয়ের রাস্তা দিনের বেলায় অসাধারণ সুন্দর। আমার খুব প্রিয় জায়গা। ধন্যবাদ নীড়সন্ধানী। কোন একটা মন্তব্যে দেখেছিলাম আপনি কলেজিয়েটের; আমিও তাই
হাসতে হাসতে পড়ে গড়াগড়ি খেলাম। "হ্যান্সাপ, ডল্ মুক্" শুনে আরো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ তুলিরেখা। আপনার মন্তব্যে আমিও আপ্লুত হলাম
স্মৃতিচারণ অসাধারণ হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে দুইবার গেছি, অফিসের কাজে। ভালোমন্দ কিছু দেখার সময় পাইনি। তবে উচুঁ নিচু রাস্তায় গাড়িতে করে ঘুরতে দারুণ মজা পেয়েছি। স্মৃতি বলতে মনে পড়ছে এইটুকুই।
ধন্যবাদ পান্থ। আশা করি পরের বার আরো সময় নিয়ে ঘুরতে পারবেন।
ভাল লেগেছে!
ধন্যবাদ সিরাত
ছোটবেলার স্মৃতি খুব সুন্দর৷ আরো লিখুন এমন ছোটবেলার গল্প৷
-------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ দময়ন্তী। সময় পেলে আরো লেখার আশা রাখি।
উনাদের দুই ছেলে। প্রথমজন অনুপম চক্রবর্তী লালন, পেশায় স্থপতি, ঢাকায় প্র্যাকটিস করছেন নিজ ফার্মে। আর ছোটটা অনুভব চক্রবর্তী অয়ন, বিবিএ পড়ছে।
বেশ লাগলো প্রয় শহর নিয়ে স্মৃতিচারণ।
চাঁটগা রক্স
বাঃ, আপনি তো মনে হয় এঁদের খুব কাছের লোক। যদি পারেন ছায়া চক্রবর্তীকে আমার শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে লেখাটার লিংক পেলাম................ছায়া চক্রবর্তী আমার মা!...............মার সাথে মাত্র কথা বলেছি।.................আপনার কথা শুনে খুবই খুশী হয়েছেন...............বলেছেন যে আপনার সাথে যোগাযোগ হলে বা দেখা হলে আরো খুশী হবেন!.................................
লেখা ভালো লেগেছে!....................................
আর চট্টগ্রামের ব্যাপারে আমি একজন মৌলবাদী।.................চট্টগ্রাম রকস্.........
অদ্ভুত এবং আমি খুবই অবাক! এ লেখা দেয়ার সময় দূরতম স্বপ্নেও ভাবি নি এভাবে আপনাদের খোঁজ পাব। নাহ পৃথিবীটা আসলেই ছোট! দেশে কবে যাওয়া হবে, জানি না। গেলে অবশ্যই দেখা করব। আমার ইমেইল- tanveer9515 [at] yahoo [dot] com আপনি আমাকে একটা ইমেইল করতে পারেন, বা এখানেও আপনার ইমেইল ঠিকানা রেখে যেতে পারেন; যাতে পরে যোগাযোগ করতে পারি। অনেক ধন্যবাদ।
- চাটগাঁ'র মতো এতো আরাম আর কোনো শহরে নেই। (যদিও দুইবারে মোট তিনদিন ছিলাম ওখানে।)
'হেন সাপ, ডল মুক'-এর মতো কিছু ব্যাপার আমার মাথায় এই সেদিন পর্যন্তও ছিলো। এখনও আছে কিছু কিছু, ইচ্ছে করেই তাড়াই না। ভালো লাগে ওগুলো নিয়ে খাবলাখাবলি করতে। বছর খানেক আগে জোর করে একটা ধারণা পাল্টিয়ে ফেললাম। "বিমান এতো উপর দিয়ে উড়ে, তারপরেও ঐ বিমানের গায়ে, লেজে এতো সুন্দর, শৈল্পিকভাবে রং-নকশা করে ক্যামনে?"
-এই প্রশ্নটা ছোটবেলা থেকে মাথায় ঘুরতো। দেশে বিদেশি এয়ারপোর্টে যতোবারই বিমান দেখেছি, ততোবারই ভেবেছি। অবশেষে, ২০০৬ সালে এসে আমার সেই রহস্যের সমাধান হয়ে গেলো কয়েকজনের হাসির তুমুল শব্দে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হি হি হো হো হো।
আমি খালি কল্পনায় দেখছি বিমানের পাশ দিয়ে উড়তে উড়তে রং তুলি ব্রাশ বালতি নিয়ে লোকে প্রাণপণে রঙ করছে আর আঁকছে! কতগুলো পাখি চোখ পাকিয়ে পাকিয়ে দেখছে আর কিসব আলোচনা করছে!
ইশ, অ্যাসটেরিক্সের শিল্পীরা এমন ধরনের কমিকস করলে চ্রম করতো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনের ব্যাপার-স্যাপারগুলা নিয়াও পোস্ট দেন। আমরা পড়ি।
lalon_arch@yahoo.com....................আশা করি যোগাযোগ হবে!........ভালো থাকবেন!
আরো কিছু পর্ব আসা উচিৎ। ভালোলাগলো।
আশরাফুল আলম রাসেল
ধন্যবাদ রাসেল।
প্রযুক্তি এখন মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের সেতু হয়ে গেছে। আবারো প্রমান হলো সেটা। লেখক ও ছায়া চক্রবর্তীর পরিবারের যোগাযোগের সুত্র দেখে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ সিমন।
কী মুগ্ধতাজাগানিয়া একটা লেখা!!!!! তার চাইতে বেশি চমৎকৃত হলাম সুদূর অতীতের প্রিয়জনের সন্ধান পাওয়া দেখে।
ধন্যবাদ দ্রোহী। আমিও বিস্মিত।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা তানভীর ভাই
চট্টগ্রামে যাবার শখ ছিল অনেক
হয়নি কোনদিন
দেখি এবার দেশে গেলে একটা ট্রাই নিতেই হবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমারো তো সিলেট যাবার শখ ছিল অনেক...হয় নি কোনদিন
এবার গেলে আমিও ট্রাই নেবো ওদিকে যাবার।
আমার শহর আর মায়ার শহর, চট্টগ্রাম...
অলওয়েজ রক্স!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার এই লেখাটা এখন চোখে পড়ল। দারুন লেগেছে। আর আরেকটা কথা, আমি দেখি আপনার শিরোনামের কপিরাইট ভায়োলেট করে ফেলেছি
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরে তাসনীম ভাই, আমি কি কাগু যে বাংলা ভাষার কপিরাইট নিয়ে রাখব!
আর অনুগ্রহ করে আমাকে তুমি করে বলবেন। আফটার অল, এইখানে আপনি আর আমিই আছি শুধু 'লাল মাস্তান' হিসেবে
গানস আপ তানভীর
তুমি কি হিউস্টনে থাক?
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা, গানস আপ
আপনাকে খোমাখাতায় মেসেজ পাঠিয়েছি।
নতুন মন্তব্য করুন