সে এলো অবশেষে। নক্ষত্ররাত্রির রহস্যময় বাতাসের মতন হাল্কা, নরম পায়ে সে এলো। সে এলো উতল কুলহারা ঢেউয়ের মতন, সে এলো উড়ন্ত অলীক পাখির গল্পের মতন.....
চোখ মেললাম তাকে দেখবো বলে।চোখ ঝাপ্সা হয়ে এলো দ্রুত, শুধু দূরাগত বৃষ্টির গন্ধের মতন ঘ্রাণ এসে লাগলো চোখেমুখে....
ঝুঁকে পড়ে সে আলতো গলায় বললো- "চলো, চলো, যাবে না?"
ধূলাপায়ে চলতে চলতে সমুদ্রতীরের বালিতে। সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে সীগাল নিজেদের মতন উড়ছে আর নিজেদের ভাষায় কথা বলছে। আকাশ খুব নীল আজ, সমুদ্র আরো নীল। বালির ঢিবির উপরে দাঁড়িয়ে দেখতে পাই দূর, দূর, কত দূর! সমুদ্রের নীল শরীর মিশে গেছে আকাশের নীল বুকে। অন্তহীন মিলন তাদের।
এইসব ধূলিকণা পদচিহ্নময়
সময়ের রোদ্দুরে অভ্রকুচি ঝলকিয়ে-
কী কথা কয়?
এ পুরানো সিন্ধুনীর ইতিকথাময়
সারাবেলা আনমনে ফেনামাখা ঢেউ দিয়ে
আর্শিতে বৃষ্টিবিন্দু দুলে ওঠে, খুলে যায় ভিতর দরজা। হালকা শব্দ-প্রথমে স্বচ্ছ,বাষ্পময়, তারপরে আস্তে আস্তে ফিরোজা। ভিতরে অল্প আলো শিরশিরে, সন্ধ্যার শঙ্খধ্বনির মতো টলমল, ঠান্ডা ঠান্ডা ভয়, আর তীব্র লালচে কমলা কৌতূহল।
মোহরের গড়িয়ে যওয়ার শব্দ-
সোনালী রুপোলী তামারঙ শব্দ,
চন্দনের গন্ধের মতন স্বাদ
জোছনাগন্ধী বন চুপচাপ,
স্তব্ধ।
বৃষ্টিবিন্দুতে শব্দেরা টলমল
খুলে যায় বর্ষাদিগন্তের সবুজ দরোজা-