Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কথা ও কবিতা

মেঘ, তুমি কোথায়?

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৮/১১/২০১১ - ৭:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওর নাম ছিলো মেঘ। প্রথম যখন ওকে দেখলাম, তখনই চমকে উঠেছিলাম, চমকে উঠেছিলো ভিতর বাহির। যেন অশেষ গল্পমালা ঘূর্ণিজলের মতন ঘুরছে ওর চারপাশে, অজস্র রঙ ঝলমল করছে সেই স্রোতে। ওর জীবনের স্রোত যেন দেশকালের গন্ডী ছাড়িয়ে কোথা থেকে কোথায় চলে গেছে, রাঙামাটির দেশের শালমঞ্জরী পার হয়ে কবে যেন ছুটতে ছুটতে চলে গেছে বুড়ী ওকগাছের কাছে, যে গাছ ওকে স্বপ্নের অর্থ বলে দিতো সেই কোন ভুলে যাওয়া যুগে। ঐ বুড়ী গাছই তো ওকে বলেছিল


ইচ্ছাফড়িং

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ১৩/১১/২০১১ - ৮:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হেমন্তের দিন গুলোকে বিষাদবিধুর বলেন জ্ঞানীগুণীরা অনেকে। দিন ছোটো হয়ে যায়, আলো পাওয়ার সময়টুকু কমতে কমতে কমতে কমতে কেমন একটা মনকেমন রেখে যায়, বিরাট বিরাট গাছেদের সব সবুজ পাতাগুলো দেখতে দেখতে বাদামী লাল কমলা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে যেতে থাকে, ন্যাড়া গাছেরা নাঙ্গা সন্ন্যাসীর মতন স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকে উদাসীন নীল আকাশের নিচে। এমন সব দিনে মানুষের মন ও নাকি কেমন বিষাদনীল হয়ে যায়।


মধ্যরাতের অতিথি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১১/১১/২০১১ - ৭:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[i]ছুটে যাওয়া জানালার কাচে ঝাঁপিয়ে নেমে আসে তুমুল বৃষ্টির ঝরোখা। ভিতরের ঠান্ডা নিঝুম অন্ধকারে কুন্ডলী পাকিয়ে বসে চেয়ে থাকি ঐ ছুটন্ত চৌকো টুকরোটুকুর দিকে। বাইরের বৃষ্টিঝরোখা পার হয়ে দেখতে চেষ্টা করি পরপারে আছে কী বিস্ময়। জানালার কাচ বেয়ে গড়িয়ে যাওয়া বৃষ্টিধারার তরঙ্গিত লাবণ্য আমার চোখ টেনে রাখে, বাইরে সাদা হয়ে লেপেপুঁছে গেছে সবকিছু, মাটি থেকে আকাশ অবধি একটা সাদা পর্দা। ও পর্দা পার হবো কী করে?


মায়াবী দরজা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৪/১০/২০১১ - ১২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক বিকেলে আমাদের দূরপাল্লার ট্রেনটা হঠাৎ থেমে গেছিলো এক অচেনা স্টেশনে। প্লাটফর্ম মাটির সমতলে, একটুখানি দূরেই সবুজ জমি, তারপরে একটা টিলা। জমির মাঝখানে রাজার মতন দাঁড়িয়ে এক বিরাট অশ্বত্থ। এইরকম জায়গায় এসে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেলেই কেবল কল্পনা করতে ইচ্ছে করে নেমে পড়তে। নেমে পড়ে টিলার দিকে চলতে চলতে ঠিক একটা বিন্দুতে এসে ছিঁড়ে যাবে পরিচিত পৃথিবীর সুতো। তার পরেই দেখা দেবে সেই যাদুদরজাটা।


মণিমহল

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১০/২০১১ - ৫:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[i]বহুদিন হয়ে গেল দেখা হয় না মণিকুন্তলার সঙ্গে। মেঘ সরে গিয়ে অপরাজিতা-নীল শরৎ আকাশের ছোটো একটু টুকরো দেখা দিলেই সে উতলা হয়ে উঠে বলতো, "তুলি, তুলি, চল যাই পশ্চিমের মাঠে, ওখানে বুঝি কাশ ফুটেছে।"

আমি হাসতাম, "দূর পাগলি, এখনো যে বর্ষা যায় নি, আশ্বিন আসুক তবে তো!"

ওর মুখে মেঘের আবছায়া পড়তো, "যায় নি বুঝি? বর্ষা? "


দিনমোহনা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৯/২০১১ - ৭:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিনা সুতোর মালা গাঁথার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু গাঁথতে পারলাম না। একটা একটা করে পুঁতি তুলে নিই, পরপর সাজাই। সেই বর্ষাবিকেলের নীল পুঁতি যার ভিতরে কেমন একটা মায়াবী আলো ঝিলমিল করতো, সেইটার গায়ে হাত বুলিয়ে চুপটি করে নামিয়ে রাখি। পাশে রাখি ঝকমকে লাল আর সাদা দুটি পুঁতি, ওরা বৈশাখের সন্ধ্যা, ওরা জয়জয়ন্তী।


নৈঃশব্দের বাগান

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ০৭/০৮/২০১১ - ১১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নৈঃশব্দের বাগানে ঘুরে ঘুরে যায় রৌদ্রদিন ও জ্যোৎস্নারাত। কখনো তারা-ফুটফুট অমানিশা। কখনও বা ঝরোঝরো বাদলপ্রহর এসে আশিরবক্ষচরণ স্নান করিয়ে যায় এই বাগানকে।


অপার ভুবন

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১০/০১/২০১১ - ৮:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দু'হাতে জড়িয়ে রাখি রেশমী সুতো,
লুকিয়ে রাখি টুকরো টুকরো গোলকাঁচ
ঝুড়িতে রাখি মন্ত্রপাথর ও সুষমাচার-
উড়ে পালাতে থাকা রশ্মিকণারা
পালাতে পালাতে অবিরল হাসে।


শঙ্খপৃথিবী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৯/১১/২০১০ - ২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডানহাতের পিঠের কালচে বাদামী দাগটার উপরে হাত রেখে তুই জিজ্ঞেস করলি, "এটা কীসের দাগ রে তুরাইন?"

আমি হাত টেনে নিতে গিয়ে টের পেলাম তোর মুঠি ঘিরে ধরেছে হাত, ছাড়াতে পারি না। কিন্তু কী বলবো তোকে?

আমরা আগুন নিয়ে যখন প্রথম খেলতে শিখলাম, সেই সময়ের পোড়া দাগ এটা? তোর তো কিছু মনে নেই চিরল। তুই সব ভুলে গেছিস। ভালোই তো, ভালোই হয়েছে।


মুক্তধারার জন্য

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৬/২০১০ - ৫:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্তধারায় বাঁধন পড়েছে। শত শত পাক, শত শত গ্রন্থি ! জলের নূপুরে বেজে উঠতো যে রহস্যকথাগুলো, তারা থেমে গেছে। ঘুমিয়ে পড়েছে যেন নর্মধাত্রী হাওয়াও। অন্ধ অন্ধকারে বাতির খোঁজ নাই। তবু ভোর হবে আবার, ভোর হবেই। মোহরলতার ফুলের মতন সোনালী ভোর।

তর্জনীতে রেখেছি আগুন,
অনামিকায় টুকরো আলো-
অস্থির ভিতরে ডমরুধ্বনি,
পিনাকপানি, তোমার পিনাকে আজো ওঠে টঙ্কার?
তবে এখনও কেন চুপ?