Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

এলোমেলো টুকরো কথা

অপরাজিতা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৪/২০১৭ - ৪:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদিন সব ভেঙে গিয়েছিল একলহমায় । সম্পর্কটাকে পরিত্যক্ত বাড়ির মতন পেছনে ফেলে পথে বার হয়ে গিয়েছিল তারা দু'জনেই । তিল তিল করে গড়ে ওঠা বহু সুখদুঃখের মুহূর্ত মালা থেকে ছিঁড়ে যাওয়া মুক্তোর মতন ছড়িয়ে পড়েছিল ধুলোয় বালিতে বাতাসে জলে আগুনে শূন্যে ।


কাজলদিঘি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ২১/০৬/২০১৪ - ৮:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার চোখ দুটি ভারী আশ্চর্য ছিল। কেমন যেন গভীর, অতল, একটু উঁকি দিলেই মনে হতো টুপ করে পড়ে যাবো। সেই চোখে কখনো চিকমিক করতো রোদ্দুর, কখনো বা মেঘলা হয়ে যেত, কখনও আবার তারা ঝিকমিক করতো। তবু সেই চোখের অপার রহস্যের দুয়ার কোনোদিন খুলতো না আমার কাছে।


প্রজাপতিডানার রেণুধূলি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৬/২০১৪ - ১০:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদিন ভাবছিলাম আর লিখবো না । কী হবে লিখে? তার চেয়ে চোখ মেলে দিয়ে, কান পেতে রেখে, মনের দরজা খুলে চুপ করে বসে দেখাই ভালো। মানুষের হৃদয়ের আলোছায়ার খেলাও তো এই আকাশ বাতাস মেঘ রোদ বন নদীর উপরের আলোছায়ার খেলার মতনই। যারা সত্যিকারের অনুভবী লেখক, যারা সত্যিকারের সূক্ষ্ম স্পন্দনশীল হৃদয় নিয়ে পৃথিবী দেখেন-তারা হয়তো পারেন এই আলোছায়ার খেলা তুলে ধরতে। আমার পক্ষে চেষ্টা করাই মূঢ়তা।


রহস্যময়ী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১১/০৬/২০১৪ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত্রি এক স্নিগ্ধ নদীর মত, ভোরের মোহনার দিকে বইছে চুপি চুপি। রাত্রি সেই প্রিয়তম মুখ, যা আমি কোনোদিন দেখিনি স্পষ্ট করে, স্বপ্নের ভিতরে আস্বচ্ছ নীলচে কুয়াশায় যে মুখের আদল দেখি শুধু। তার আকুল চোখ দু'টি দেখতে পাই, কিন্তু মুখের বাকী অংশ আচ্ছন্ন হয়ে থাকে স্বপ্ন-কুহেলিতে।


নক্ষত্র-সন্ধ্যা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৬/২০১৪ - ১২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্টারপার্টি হবার কথা ছিলো এপ্রিলের শেষের দিকে, কোনো একটা সুন্দর সন্ধ্যায় যখন আকাশ স্বচ্ছ-নির্মল, একেবারে পরিষ্কার। কিন্তু কী কারণে যেন পাল্টানো হলো সময়, আসলে সেমেস্টার শেষ হবার মুখে ব্যস্ততা খুবই বেশী থাকে, সমস্ত ফাইনাল পরীক্ষা টরীক্ষা ফাইনাল-গ্রেডিং গ্র্যাজুয়েশান অনুষ্ঠান ইত্যাদি সবই তো তখন! তখনের জন্য অপেক্ষা করলে হয়তো বাতিল হয়ে যেতে পারে, তাই ফেব্রুয়ারীতেই হলো স্টারপার্টি।


ময়ূরকন্ঠী ভোর

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ০২/০৬/২০১৪ - ৫:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেষ বসন্তের এই দিনগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার। বেলা অনেক বড়ো হয়ে গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটাতেও দিনের আলো। গ্রীষ্মের তপতপে দিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডার। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত পর্যায়ে রাত নটায় সন্ধ্যা হবে।


হৃদয়নদীর তীরে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ৬:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ভুলে যা" "ভুলে যা" "ভুলে যা" বললেই কি কিছু ভোলা যায়? কোন্‌ বহুদূরের পাহাড়ের চূড়ার উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে, কত মাঠবন পার হয়ে, কোন্‌ সুখ-উঠানের পাশ দিয়ে কলকলিয়ে, কোন্‌ দুখ-পাথরের গায়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বয়ে যেতে থাকা ছলাৎছল নদীকে কি উৎসে ফিরে যা বললেই সে ফিরতে পারে?


মনোলীনা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ২০/০৯/২০১৩ - ৭:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা ছোট্টো হাতঘড়ি, ঘড়ির মুখটা উপবৃত্তাকার মসৃণ নীলাভ, তার উপরে তিনটে সোনালি কাঁটা। তিনটে কাঁটাই থেমে আছে। ঘড়ির সোনালী ধাতব ব্যান্ডটা কারুকার্যময়, হঠাৎ দেখলে মনে হয় যেন ব্রেসলেট। মনোলীনার খুব প্রিয় ছিল এই হাতঘড়িটা।


প্রাণের টান - সচলায়তন

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি
লিখেছেন প্রোফেসর হিজিবিজবিজ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১১/০৯/২০১৩ - ৩:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার পাঠক জীবনে দুইটি দন্ত স এর প্রভাব অপরিসীম - সুকুমার রায় আর সেবা প্রকাশনী। বুঝতে পারিনি কখন যেন তৃতীয় দন্ত স এর আবির্ভাব ঘটেছে এবং তা আমার জীবনের অঙ্গাঙ্গী অংশ হয়ে পড়েছে। বুঝলাম অফ লাইনে কয়েকটি দিন কাটানোর সময়ে। বুঝতেই পারছেন এই তৃতীয় দন্ত স হচ্ছে সচলায়তন। আগে এই দন্ত স এর প্রভাব বুঝতে পারিনি, অনেকটা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝতে না পারার মত। বুঝলাম কিছুদিন আগে, যখন বিশেষ ক


বেলাভূমি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২৪/০৭/২০১৩ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দাঁড়িয়ে আছি একটা মস্ত ঘরের মধ্যে, হা হা করছে ফাঁকা ঘর, কোনো জানালা নেই, শুধু অদ্ভুত সবুজ রঙের দেওয়াল ঘরের চারিদিকে। ছাদ অনেক উঁচুতে। ছাদ থেকে ঝুলছে একটা সোনালি শিকলি, তার ডগায় একটা অদ্ভুত আকৃতির পলকাটা ঝাড়বাতির মতন জিনিস, কিন্তু আলো জ্বলছে না সেখানে। শুধু কোথা থেকে লুকানো আলো এসে ওটার উপরে পড়ে চিকমিক করছে।