গত কয়েকবছর ধরে, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে, অনেক মানুষের জীবনের একটি বড় সময় গেছে দেশের বাকি মানুষদের কিছু সহজ সত্য জানাতে। কি সহজ সত্য?
এই গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্প নিয়ে লিখা না; এটা ২ জন মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিজীবন নিয়ে লিখা, যার একজন আমার বাবা, আরেকজন আমার মামা। আমি সবসময় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি; জন্মের পরপরই যে ২ জন মানুষ সবার প্রথম রোল মডেল হিসাবে সামনে এসেছেন, তাদের ২ জনই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে উনারা দেশের জন্যে কতো বড় সাফল্য বয়ে এনেছেন, সেটা নিয়েতো আর আলাদা করে বলার কিছু নাই। আমি বরং বলতে চাই উনারা ব্যক্ত
কসাই কাদেরের উত্থান:
কসাই কাদেরের ফরিদপুরের আমিরাবাদ গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করে।
১৯৬৬ সালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় কসাই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র রাজনৈতিক শাখা ইসলামি ছাত্র সংঘে (বর্তমানে ছাত্র শিবির) যোগ দেয় এবং পরবর্তীতে কলেজ শাখার সভাপতি হয়।
বিভিন্নভাবে অনেকবার বললে মিথ্যাও সত্যের মত শোনায়। ব্যাপক প্রচারণার এই হচ্ছে লাভ। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার বিরোধী গোষ্ঠীর প্রচারণায় অনেক সময়ে বিচারের পক্ষে কাজ করা সমমনা ব্যক্তি-গোষ্ঠী-সংগঠনের মাঝেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সংগে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন 'অধিকার'-এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রের ঘনিষ্টতা নিয়ে একটি সাম্প্রতিক প্রচারণা কিছু মানুষের কৌতূহলের কারণ হয়েছে। আদিলুর রহমান খান বিএনপি আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, এবং পরবর্তীতে এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি বর্তমানে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করছে। আপাত দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারবিরোধী রাজনৈতিক সরকারের সময়ে নিযুক্ত আইন কর্মকর্তার সঙ্গে ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং বিভ্রান্তির একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিজামুল হক এবং যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপের আলোচনা গোপনে রেকর্ড করে নানা মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই কথাবার্তায় বিচার বিঘ্নকারী কিছু ছিলো কিনা তা অন্য ব্যাপার, কিন্তু এর পরিণামে বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই হ্যাকিং এর ঘটনাটি কীভাবে ঘটতে পারে, তা নিয়ে আলোকপাত করার জন্যই আমার এই লেখাটির অবতারণা।