একান্তই ব্যাক্তিগত অভিব্যক্তি।
এমনিতে আমি বোধহয় একটু বোকা কিসিমেরই মানুষ। না মানে পরিবারের লোকজন সে রকমই বলে কি না । এই যেমন, বাজারে গেলে দোকানদার নাকি আমাকে ঠকায়, সুযোগ পেলেই রিক্সা অথবা সিএনজি ওয়ালা বেশী ভাড়া নেয়, ইত্যাকার কথাবার্তা। এ সব শুনে শুনে আমারও ওরকমই ধারনা।
এ হেন বোকা মানুষটার মাথায় ইদানিং একটা বুদ্ধি খেলছে। আপনাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে একটা মতামত নিই।
জানতে পারলাম, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত পাঁচ ধরনের অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুলাল-১ এর বিচারকগণ তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, গোলাম আযমের মুক্তিযুদ্ধকালিন অপরাধ মৃত্যুদন্ড পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে নব্বই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। নব্বই বছর বয়সের এক অপরাধীকে নব্বই বছরের কারাদন্ড !
আরও জানলাম, তার বড় ধরনের কোন রোগ বা অসুস্থতা না থাকা সত্বেও তাকে পিজি হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) জেল-হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন সকাল নয়টায় এক চামচ মধু, এক চামচ অলিভ অয়েল, দুটি বিস্কুট, চিড়া ভাজা বা মুড়ির মোয়া, দুধ, হরলিকস ও দুটি ডিম। বেলা ১১টায় দেওয়া হয় খিচুড়ি, সবজি, স্যুপ, আচার ও ফল। বেলা দুইটায় দেওয়া হয় দুই টুকরা মাছ, সবজি, ডাল ও আচার। বিকেলে নাশতায় তাঁকে সরবরাহ করা হচ্ছে স্যুপ ও ফল। রাত আটটায় দেওয়া হয় ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, আচার ও ফল।
আমারও মোটামুটি বয়স হয়েছে। নানাবিধ রোগেও ধরেছে। মানে শারীরিক অসুস্থতাও আছে। আমার টাকাকড়ি তেমন নেই। অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক সামর্থ হারালে দেখাশোনা করার লোক রাখা সম্ভব হবেনা। বৃদ্ধাশ্রমে থাকার মতো আর্থিক সামর্থও নেই।
অসুস্থতার কারনে ডাক্তারের নানাবিধ বিধিনিষেধ আছে। আমি অবশ্য খুব একটা মেনে চলিনে। তবে হ্যাঁ, আজ থেকে সব একেবারে নিয়ম মতো মেনে চলবো। নব্বই বছর পর্যন্ত আমাকে বাঁচতে হবে যে !
নব্বই বছর বয়স হলে বেশ কয়েকটা রাজাকার, ইজারাদার, জায়গীরদার েরে সাবাড় করে পিজি হাসপাতালের জেল-হাসপাতালে থাকবো। আর প্রতিদিন মুফতে মধু-অলিভ অয়েল, রুটি-গোস্ত, কোর্মা-পোলাও খেয়ে দিব্যি রাজার হালে দিন কাটাবো। আর দেখাশোনা করার জন্যতো অভিজ্ঞ সিস্টাররা থাকছেনই। কি বলেন আপনারা, ঠিক আছেনা ?
আর এও বলি, মৃত্যুদন্ডতো আর হবেনা কারন এই কেসের রেফারেন্সেই পার পেয়ে যাব, ডি,এল,আর (ঢাকা ল রিপোর্ট) বলে কথা !
এইবেলা চুপিচুপি বলি, বাড়িতে এখনই যা অবস্থা চলছে তার চেয়ে ঐ বয়সে জেল-হাসপাতালেই ভাল থাকবো।
মন্তব্য
আমারে ও লগে নিয়েন ।
জেলে বসে হরলিস্ক খেতে মুঞ্ছায় ।
আপনার বয়স হয় নাই। হা হা হা
ভাল বলেছেন
ইসরাত
এই বলেই যেটুকু শান্তনা !
ধন্যবাদ ।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কষ্ট।
ধুর! তারচে না খেয়ে মরা ঢের ভালো
কষ্ট
কী আর বলবো!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
লাজওয়াব !
facebook
যাক নিশ্চিন্ত হওয়া গেল যে আপনি ৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচবেন। তাহলে আর কোন সমস্যা নাই। আমি, আমার আব্বু, আমার কিছু বন্ধু আর আপনি মিলে আমরা মানুষের জন্য কিছু করব।
ফাহিমা দিলশাদ
বাঁচতে চাইলেই কি নব্বই বছর পর্যন্ত বাঁচা যায়? কত কিছিমের দৈব-দুর্বিপাক, দুর্ঘটনা, রোগ-ব্যাধি, তারপরও দীর্ঘদিন সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকতে চাই বৈকি!
যাহোক আমি থাকি বা নাই থাকি তোমার মনোবাসনা যেন পূর্ণ হয়!
ভাই, পারবেন। ইচ্ছা করলেই পারবেন নব্বই বছর পর্যন্ত বাঁচতে। শুধু যে বাঁচবেন তাই না সিক্স প্যাক নিয়া বাঁচবেন। আমার ছবি দেখছেন?
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
হা হা হা সিক্স প্যাকের প্রয়োজন নেই। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থেকে বেঁচে থাকতে পারলেই চলবে।
কমসে কম শতায়ু লাভ করুন!
পিজির জেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ৯০ বছর, আর মধু-অলিভ অয়েল, রুটি-গোস্ত, কোর্মা-পোলাও এইসব খাওয়ার জন্য কমসে কম ১০ বছর!!
নতুন মন্তব্য করুন