প্রসঙ্গ বিজয় দিবস এবং একটি গ্রেনেড হামলা!

ভণ্ড_মানব এর ছবি
লিখেছেন ভণ্ড_মানব [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৬/১২/২০০৯ - ৪:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


যথারীতি দুপুর বারোটার দিকে ঘুম ভাঙ্গলো আজকেও। পেপারটা হাতে নিতেই এই কোম্পানি-ওই কোম্পানির বিজয় দিবসের শুভেচ্ছায় ভেসে গেলাম। বিজয় দিবসের আচঁ অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই পাচ্ছিলাম। খোমাখাতায় পুলাপানের বিজয়ের মাসের স্পেশাল প্রোফাইল ফটোর জন্য পাগলপ্রায় অবস্থা। আমি এখন আর এসব ব্যাপারে ওভাবে আলোড়িত হই না। এখন সব দিনই আমার কাছে ঈদের দিন, সব মাসই আমার কাছে বিজয়ের মাস।

আগে বিজয় দিবসের বিস্তর না বললেও ছোটখাট প্রস্তুতি থাকতো। থাকতেই হতো কারণ বিজয় দিবসের ছুটির দিনেও যে সাতসকালে স্কুল মাঠে ছুটতে হতো পিটি-প্যারেড করার জন্য। অবশ্য সে সময় অতিউৎসাহিতই ছিলাম। কড়া রোদের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা প্যারেড করতে গিয়ে প্রবল দেশপ্রেমে বিদ্ধ হতাম। যেবার সুযোগ পেতাম না সেবার ঘুম থেকে উঠেই টিভি ছেড়ে বসতাম জাতীয় প্যারেড আর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী দেখার জন্য। যারপরনাই মুগ্ধ হতাম। এখন আর এসব কাজ করে না। বিজয়ের দিনেও বারোটায় ঘুম থেকে উঠি, পেপারে চোখ বুলাই, ওয়াটসনদের ব্যাটিং দেখি, বিকালে আড্ডা মারার প্ল্যান করি সংসদের সামনে(বিজয় উদযাপনের উদ্দেশ্যে না, অনেক মানুষের সমাগমে ‘মাইয়া’ দেখার জন্যে)।

আমাদের নতুন কাজের মেয়ে সকাল থেকে আমার বাবাকে ঘরে দেখে অবাক। আম্মা তখন তাকে বুঝিয়ে দেয়, ‘আজকে বিজয় দিবস, এদিন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, আজকে সবার ছুটি, কারো অফিস নেই।’ গ্রামের মূর্খ কাজের মেয়ে কদ্দুর বুঝতে পারে আমি জানিনা, কিন্তু ঘুম থেকে উঠে বাবাকে দেখে যে আমিও কিছুটা চমকিত তা তো আমার অজানা নয়। বিজয় দিবসের কথা মনে করে কিছুটা লজ্জিত হই মনে হয়।

আরেকটা ব্যাপার ছোটবেলায় কাজ করতো বিশেষ দিনের বাংলা সিনেমা দেখা। বিশেষ দিনের ছবিই বলি অথবা যেকোন দিনের ছবিই বলি ‘জীবন থেকে নেয়া’ এখনো আমার দেখা সেরা বাংলা সিনেমা। আর মনে পড়ে ‘আগুনের পরশমনি’র কথা, এটি দেখার জন্য বিশেষ দিনের খেলাধূলার বিকালখানা আমি খুশিমনেই কুরবানি দিয়েছিলাম। আরো কতগুলো সিনেমা দেখেছিলাম, নাম যে ভুলে গেছি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ দিনে সিনেমা এখনো হয়, তা বুঝতে পারি যদি ভুলক্রমে টিভির বাংলা চ্যানেল টিউন করে ফেলি তবে। বাংলা চ্যানেলের উপর মায়ামমতা তো দিনদিন কমতেই আছে, আর বিশেষ দিনগুলোতে পারলে এগুলো এড়িয়েই চলি, কি সব দেখে পাছে লজ্জা পেতে হয় সেই ভেবে।

তবে সবারই যে বিজয়ের মাসের চিন্তাভাবনা আমার মতো চলছে তা নয়। রাস্তাঘাটে বের হলেই দু-তিন দিন ধরে দেখছি বাংলাদেশের পতাকায় দেশ ছেয়ে গেছে। পতাকা বিক্রেতাদের হাসিমুখ। এই মাস তাদের ব্যবসা করার মাস। গাড়ি, রিক্সা বা বাস সবকিছুতেই লাল-সবুজ পতাকা। দেখতে ভালো লাগে। আমিও খোমাখাতায় লাল-সবুজের ছবি বসিয়ে দিই। চারিদিকে শোনা যায় রক্ত-গরমকারী গানের আওয়াজ। পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, বাঁশি বাজছে। সবাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। ভালো লাগে দেশের জন্য চিন্তা-ভাবনা করার কতো মানুষ। আবার এসব মেকি মনে হয়। দুদিনের উৎসব মনে হয়।

টিভির বাংলা চ্যানেলগুলোর সংবাদ বা শিরোনাম টাইপের প্রোগ্রাম দেখা হয়। বাংলাভিশনের শিরোনামে দেখি...কোথায় যেন(মনে করতে পারছি না)‘আমজাদ হোসেন’ নামক এক মুক্তিযোদ্ধা আজ বিজয় দিবসের প্যারেড দেখতে গিয়ে হ্রদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমার ভাবাবেগ হয় না তেমন। যে দেশকে নিজের রক্ত দিয়ে স্বাধীন করলেন, সেই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের আস্ফালন দেখে তিনি তো লজ্জায় আত্মহত্যা করার কথাও ভাবতে পারতেন। ভাবি মরে বেঁচে গেলেন আমজাদ সাহেব। আর তাকে লজ্জায় পড়তে হবে না।

দেশকে নিয়ে, দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমি নিরাশাবাদীদের মধ্যেই পড়ি সম্ভবত। দুদিনের উৎসব আমার ভালো লাগে না। কি হবে এসব করে? কি হবে দুদিন খোমাখাতা আর রাস্তাঘাটে লাল-সবুজ উড়িয়ে, কি হবে বিজয় দিবসের বিশেষ সিনেমা দেখে, কি হবে বিজয়ের দিনে দুপুরে সপরিবারে ভালো খাবার খেয়ে, কি হবে আজকের দিনে এত এত টকশো চালিয়ে? যে জাতি স্বাধীনতার ৩৮ বছরেও স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় নিতে পারে না, সে জাতির একজন হয়ে আমি লজ্জিত। লজ্জিত আরো হওয়া উচিত স্বাধীনতা পরবর্তী সকল সরকারের যারা এই বিচারকারর্যে ধানাইপানাই করে, পরবর্তী নির্বাচন ইশতিহারে ঝুলিয়ে রাখে। দায় আমরাও এড়াতে পারিনা, আমরা সরকারের উপর হয়তো ওভাবে চাপ দিতে কখনোই পারিনি যাতে সরকার এই ব্যাপারে অন্তত টালবাহানা করতে না পারে।

তবে এই মুহুর্তে বড় আজব এক চিন্তা মাথায় খেলা করছে। মনে হচ্ছে বিচারের খেতাপুড়ি, র‌্যাব দিয়ে যদি যুদ্ধাপরাধীগুলাকে ক্রসফায়ারে ফেলা যেতো। যদি আমি আত্মঘাতী জঙ্গি হইতে পারতাম, তাইলে এইগুলারে বোমা খাওয়াইয়া সবাই একলগে উপরে চইলা যাইতাম। পরক্ষণের ডর করে। মরণের ভয় জাইকা ধরে। আমার তখন ইচ্ছা করে দূর থেকে এদের গায়ে যদি গ্রেনেড ছুইড়া মারতে পারতাম। পরেরদিন ধরুন পেপারের হেডলাইন আসলোঃ আযম-নিজামী গ্রেনেড হামলায় নিহত, সারাদেশে আনন্দ মিছিল!


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

হতাশায় সব হারিয়ে ফেলতে রাজি নই... খুঁজতে খুঁজতে নিশ্চয়ই একদিন প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলবে,দীর্ঘ অপেক্ষার পর আসবে একটি সূর্যের দিন !! --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ভণ্ড_মানব এর ছবি

হুম। একদিন হয়তো প্রশ্নের উত্তর মিলবে। কিন্তু আমজাদ সাহেবের মত অনেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাই তা দেখে যেতে পারবেন না। তবুও নতুন সূর্যের অপেক্ষায়।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

স্পার্টাকাস এর ছবি

দীর্ঘ অপেক্ষা করার টাইম নাই। তুই গ্রেনেডটা ধর, আমি পিন খুইলা দেই।

জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

ভণ্ড_মানব এর ছবি

তোর লগে এককামে গেলে ধরা ছাড়া তো জীবনে আর কিছু খাইনাই। দেখা যাবে গ্রেনেডটা আমগোর চোপার উপরেই ফাটসে। মিশন ফেইলড্‌। মন খারাপ
দুইলাইন কবিতা যে নিজে লিখোস নাই খুব বুঝতে পারতেছি...তয় যিনিই লিখুন না কেন অসাধারণ নিঃসন্দেহে।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রামের মূর্খ কাজের মেয়ে কদ্দুর বুঝতে পারে আমি জানিনা

ভণ্ড মানব ভাই, কথাটা শুনতে আমার কাছে কেমন কেমন লাগছে, একটু খেয়াল করবেন প্লিজ ।

- বুদ্ধু

ভণ্ড_মানব এর ছবি

দুঃখিত ভাই বুদ্ধু। ভালো করেছেন ব্যাপারটা খেয়াল করে। মূর্খের স্থলে 'অজ্ঞ' ব্যবহার করলে মনে হয় কিছুটা পাপমোচন হয়। আছেন কোন মডুভাই?, আগাম ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ বুদ্ধু ভাই।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

অতিথি লেখক এর ছবি

মূর্খের স্থলে 'অজ্ঞ' ব্যবহার করলে মনে হয় কিছুটা পাপমোচন হয়।

একমত হতে পারলাম না ভাই। কারন আপনি এখানে তিনটি পরিচয় দিয়েছেন(অবজ্ঞা করে)। "গ্রামের", "'অজ্ঞ(মূর্খ )" এবং "কাজের মেয়ে "। এখন কোন বিষয় সম্পর্কে কেও অজ্ঞ হলে তাকে গ্রামের কিংবা কাজের মেয়ে হতে হয় না, যেকেও হতে পারে, যেখান থেকেই হতে পারে। আবার গ্রামের কিংবা কাজের মেয়েরাই যে আমাদের জাতীয় দিবস সম্পর্কে অজ্ঞ তাও কিন্তু না। ঊদাহরন দিলে ব্যপারটা পরিস্কার হয় , ১৪ ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ছিল, ঐদিন একুশে টিভিতে একটি রিপোর্ট দেখেছিলাম যেখানে শহরের ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরাই বলতে পারে নাই বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস কী, এমনকি "বুদ্ধিজীবী" উচ্চারনটা পর্যন্ত ভালো ভাবে করতে পারে নি।

(দুঃখিত, ভণ্ড মানব ভাই, আমাদের এই বিজয়ের দিনে আপনার ঐ বিশেষ একটা বাক্য নিয়ে মাথা ঘামালাম বলে। আমি ধরে নিয়েছিলাম যে, উপরের মন্তব্যে আমি বিস্তারিত ভাবে না বললেও আপনি মূল ব্যাপারটা ধরতে পারবেন। )

- বুদ্ধু

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ভাই বুদ্ধু,
বিজয়ের দিন আসলেই অন্তত এই বিষয়টা নিয়ে তর্কে বিতর্কে যাওয়া উচিৎ হচ্ছেনা। তবে মেয়েটি আসলেই গ্রাম থেকে এসেছে, সে অজ্ঞ(স্বাধীনতা, বিজয় এসব ব্যাপারে অন্তত) এবং তাকে কাজের উদ্যেশ্যেই আনা হয়েছে। সে যে বিজয়ের ব্যাপারস্যাপার বুঝতে নাও পারে এটা অবজ্ঞা করে বলিনি বরং স্বাভাবিকভাবেই তার ব্যাপারটা বোঝার সম্ভাবনা কম(যেখানে ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরাই ব্যর্থ হচ্ছে)...এভাবেই লিখেছি।
তারপরও দুঃখিত ভুল বোঝাবুঝির জন্য। আশা করছি এই ব্যাপারটায় অন্তত আমাদের আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘটবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

একটা গ্রেনেডে কাজ হবেনা বোধহয়। একটা সুইসাইড স্কোয়াড গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছিলাম। রাজি থাকলে আসেন কাজ শুরু করি...জয় বাংলা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ভণ্ড_মানব এর ছবি

এসব শিয়াল কুকুর মারতে কেন নিজের মূল্যবান জীবন বিপন্ন করবেন?
এদের মরণে আমরা জীবন দিলে আনন্দ-মিছিল কারা করবে?
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

কৃতী  [অতিথি] এর ছবি

"আযম-নিজামী গ্রেনেড হামলায় নিহত, সারাদেশে আনন্দ মিছিল!"
বেশ হইসে লাইন টা।

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ধন্যবাদ কৃতী।
একদিন অবশ্যই আসবে যেদিন আনন্দ মিছিল করতে পারবেন।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

ভণ্ড_মানব এর ছবি

হুমম কী?
করবেন নাকি আনন্দ-মিছিল?
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভণ্ড মানব... আপনার লেখা পড়ে জানলাম আপনার মা কাজের মেয়েটাকে বলছে

‘আজকে বিজয় দিবস, এদিন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, আজকে সবার ছুটি, কারো অফিস নেই।’

এখানে একটা ছোট্ট সংশোধনী দেই। ১৬ ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হয়নি। স্বাধীন হয়েছে ২৬ মার্চে। ১৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছে।

হয়তো বলতে পারেন এসব ছোটখাটো ব্যাপার, কিন্তু আসলে এগুলো ছোটখাটো ব্যাপার না। এগুলোর সুবিধাগুলো রাজাকারদের জিভেই লাভের গুড় দিচ্ছে।

ভালো থাকবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ভণ্ড_মানব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
আসলে ছোটখাট ব্যাপার মনে করে অনেকেই এই ভুলটা করে, আমার আম্মাও করেছেন, কাল সকালেই আম্মাকে শুধরে দিব। আমি নিজেও এ ব্যাপারে সচেতন ছিলাম না ওভাবে। আপনার শেষ পোস্টটা পড়ে বেশ উপকার হলো। আবারো ধন্যবাদ।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা অনুরোধ করি, "কাজের মেয়ে", "কাজের ছেলে", "কাজের বুয়া", "কাজের লোক", "চাকর", "চাকরানী" এই শব্দগুলো দয়া করে আর ব্যবহার করবেন না। দয়া করে "গৃহকর্মী" বলুন। উনাদের কাজটাকে একটা সাধারণ পেশা হিসেবেই দেখুন, আর মানুষটাকে আপনার-আমার সমান হিসেবেই ভাবুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তানবীরা এর ছবি

এ কথাটি পশ্চিমা দেশে চালু আছে। এখানে লোকে বলে আমার "হেল্প"। কিংবা আরো প্রাঞ্জল করার জন্য "ডোমেষ্টিক হেল্প" বলে কখনো কখনো।

আসলে এখানে নিজের ব্যাক্তিগত / সাংসারিক কাজের জন্য অন্যের পরিশ্রম তা অর্থের মূল্যে কেনা হলেও লোকে সেটাকে "হেল্প" হিসেবেই দেখে।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

দয়া করে "গৃহকর্মী" বলুন।

আমার কাছে শব্দটা ভালো লাগছে।
অনেকদিন আগে, আমি প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে ছোট্ট একটা কাজ করেছিলাম, ওইখানে একজন ম্যাডাম ছিলেন। উনি 'প্রতিবন্ধী' টার্মটাকে ঘৃণা করতেন। সবসময় বলতেন, Intellectually Challenged বলেতে (যাদের বুদ্ধি বিকাশে বিলম্ব হয় তাদেরকে)। আমি জিজ্ঞেস করসিলাম, ম্যাডাম এর বাংলা কি 'বুদ্ধি প্রতিবন্ধী' না ? উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন challenged এর বাংলা কিভাবে প্রতিবন্ধী হয় বলোতো?

---নীল ভূত।

কৃতী [অতিথি] এর ছবি

যেটা মনে হয় নৈমিত্তিক সাবলীল ভাষা ব্যবহারের কারণেই শব্দটি এসেছে..এতই প্রচলিত এটা..যদিও এর ব্যানচাই.
লিখাটা সিরাম হইসে ঃ্ড

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।