টুকরো সময়

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: সোম, ১১/০২/২০০৮ - ৩:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে বসে আছি।আমি আর ও।আমরা দুজন।বেশ কিছুক্ষন হল এসেছি।আমি আগে।ও পরে।সেই থেকে চুপচাপ।কারো মুখে কোন কথা নেই।কিংবা শেষ বারের মত কথা না বলা নীরবতা উপভোগ করার চেষ্টা করছি দুজনই।
প্রথম মুখ খুললো ও।
-আসতে সমস্যা হয়নি তো?
-নাহ।
টঙ্গীতে এক ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকার কথা বেমালুম এড়িয়ে গেলাম।
-বের হবার আগে কিছু খেয়ে এসেছিলে?
-হুঁ
-মিথ্যে কথা।তুমি কিছু খেয়ে আসোনি।
আমি কিছু বলিনা।ও কিভাবে যেন সব বুঝে যায়।
ওর মুখে রাগের আভাস।
আমি জানি আসলে ও রাগেনি।আমার উপরে একদম রাগ করতে পারেনা ও।শুধু ছেলেমানুষী ঠোঁট ফোলানো।বাবার ভাষায় আমি হচ্ছি দুনিয়ার মস্ত গাধা।কিচ্ছু বুঝিনা।কিন্তু এটা বুঝি।ও আমার ওপর একটুও রাগেনি।
- এখান থেকে গিয়েই রাতে খাওয়ার জন্য কিছু কিনে রাখবে,ঠিক আছে?
আমি বাধ্য ছেলের মত ঘাড় নাড়ি।
-আর সেবারের মত খালি পেটে আর কখনো কোক খাবেনা।খবরদার।
এবারো কিছু বলিনা।একটানে সেই দিনটাতে চলে যাই।বিকেলে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কোক খেয়েছিলাম।এরপর সারাটা দিন বমি বমি ভাব।কি বিশ্রি অনুভূতি।ওকে বলতেই পারলে ফোনেই আমাকে জুতোপেটা করে।
হঠাৎ মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়।ও পাশে থাকলে কখনো এমন খারাপ লাগেনা।আজ লাগছে।আর কোনদিন ও আমার একপাশ আলো করে এভাবে বসে থাকবেনা।সেদিনের মত করে আর কোনদিন বকবেনা।আমি ভাল থাকি কিভাবে?

চোখ দুটো জ্বলছে।নির্লিপ্ত মুখ করে তাও বসে থাকি। আসার পর ওর চোখের দিকে তাকাইনি একবারও।কিন্তু জানি দুপুরের রোদ ভুলে চোখ দুটোতে কেমন আঁধার জমে আছে।

দুজনেই কিছুক্ষন ধরে আবারো চুপচাপ বসে আছি।যেভাবে চুপ করেছিলাম কথাটা প্রথম শোনার পর।ফোনের ওপাশে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার ঢেউ আছড়ে পড়ছে।আমার বুকের ভেতরটা টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল।চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিল-এই মেয়ে,একটুও কাঁদবেনা।একটুও না।আমি তোমাকে শেখাবো কিভাবে চারপাশ আলো করে হাসতে হয়।হাতে হাত চেপে ঘন্টার পর ঘন্টা অর্থহীনভাবে হাঁটতে হয়।কিংবা রাতের অন্ধকারে গা ডুবিয়ে দু চোখে কিভাবে তারার আলো মাখতে হয়।শেখাবো আরো অনেক কিছু...সব শেখানোর আগে আমি তোমাকে কোথাও যেতে দেবনা... কত কিছু আরো বলার ছিল।কিছুই বলা হয়নি।বলতে পারিনি।তখনো চুপ করে ছিলাম।এখন যেমন আছি।

খেয়াল করিনি ওর হাতটা কখন আমার হাতের উপর উঠে এসেছে।
-আমার দিকে তাকাও।
আমি তাকালাম।গাঢ় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ও।
-বল,তুমি আমাকে ভুলে যাবে।
ঐ চোখে অনুরোধ,আকুতি নাকি অসহায়ত্ব? চিরকালের দ্বিধান্বিত আমি আবারো দ্বিধান্বিত হলাম।

আমি কারো চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যে বলতে পারিনা।
মাথা নিচু করে আস্তে করে বললাম- হুঁ।


মন্তব্য

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ওর বাবা দুম করে কেমন বিয়ে ঠিক করে ফেললো ওর

এই বাক্য সুন্দর একটি লেখাকে ক্লিশে টাইপ করে তুলেছে। বাক্যটি তুলে দিলেও কোনো ক্ষতি হয় না বলে আমার ধারণা। দু'জনের আর কখনো দেখা হবে না, তার কারণ পাঠকের না জানলেও চলে, উহ্য থাক না। গল্পে বিষণ্ণতার আভাস আগাগোড়া আছে, ওটুকুই যথেষ্ট।

মুখে মধ্যবিত্ত স্বত্তার কুলুপ এঁটে

এই বাক্যাংশটিও অপ্রয়োজনীয় সামাজিক কমেন্টারি হয়ে গল্পের আমেজ নষ্ট করে।

লিখে যান। এরকম মাস্টারি করলে রাগ করবেন? তাহলে ক্ষ্যান্ত দিই, এই শেষ।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কনফুসিয়াস এর ছবি

জুবায়ের ভাই,
এইরকম মাস্টারির আসলে খুব দরকার। বিশেষ করে এই সময়ে, যখন ব্লগের মতন কম্যুনিটি অনেক জনপ্রিয়। এখন লেখা শেষ হলে পরে ফার্স্ট ড্রাফটটাই চলে আসে পাঠকদের সামনে, সম্পাদকের শ্যেন দৃষ্টির কোন বালাই নেই এখানে। আমার ধারণা, অনেক সময় লেখক নিজেও হয়তো দ্বিতীয়বার রিভিশান দেন না ব্লগে পোষ্টের আগে। ( এই পাপে সবচেয়ে বড় পাপী আমি নিজেই)।
তাই, এখানেই আসলে এমন মাষ্টারির দরকার। সমালোচনা দরকার, উৎসাহ দরকার।
শোমচৌ কদিন আগে এই নিয়ে আফসোস করেছিলেন, এই আফসোস রয়েছে আমারও। সুযোগ পাওয়া সত্তেও এটাকে কাজে লাগাতে পারছি না। অথচ ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব পাঠকের সাথে সরাসরি কম্যুনিকেট করে একটা লেখাকে পূর্ণতা দেয়া।
এখানে যারা আগে থেকেই লিখেন, তারা যদি নতুন লেখকদের এভাবে অল্প কিছু অভিজ্ঞতালব্ধ দিক নির্দেশনা দেন- তার ফল ভাল বই মন্দ হবে না।
স্বপ্নাহত রাগ করবেন কি না জানি না, তবে আমি আপনাকে অনুরোধ করবো আপনি এরকম "মাষ্টারি' আরও নিয়মিতভাবে করে বেড়ান। হাসি

আপনার ছুরির নীচে আমার গল্পও রেখে গেলাম। হাসি
১। শব্দশিল্পী।
২। নিমন্ত্রণ।
৩। সমান্তরাল-

আর মনে করিয়ে দিতে চাই এই পোস্টটা- গল্প লেখার কলা কৌশল।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্বপ্নাহত এর ছবি

ব্লগের সাথে আমার পরিচিতি খুব খুব অল্পদিনের।তেমনি গল্প লেখার সাথেও।শুরুতেই যদি আপনার মত এমন একজন মাস্টার এর ছত্রছায়ায় আসতে পারি সেটা তো আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।ছাত্রত্ব গ্রহণের ব্যাপারে একবিন্দুও ভাবিনি।এমন কিছুর জন্যইতো সচলায়তনে যোগ দিতে পেরে নিজেকে অনেক অনেক ভাগ্যবান মনে করি।

ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা।শুধু বলি এমন শাসন এর জন্য ভবিষ্যতেও চেয়ে থাকবো।

আপনার কথা অনুযায়ী লেখাটা যে ঠিক করে দিয়েছি সেটা বোধহ্য না বললেও চলে। হাসি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=

বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

পড়লাম ...
................................................................................

স্বপ্নাহত এর ছবি

কিং কং ভাই আমার লেখা পড়লেই খালি কীবোর্ডুনুভূতিশুণ্য হয়ে যায়।কাহিনি কিছু বুঝতেসিনা ইয়ে, মানে...

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রানা মেহের এর ছবি

স্বপ্নাহত
মুহম্মদ জুবায়ের এর মন্তব্যটা পড়ুন।
নিশ্চিত আপনি এর থেকে
ভালো লিখতে পারেন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্বপ্নাহত এর ছবি

মেহের ভাই,অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কোথায় জানি শুনেছিলাম কিংবা পড়েছিলাম আপনিও অনেক চমৎকার গল্প লিখেন।

আমার মত কিছু গরু গাধাকে ছাত্র বানাবেন না??

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=

বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বিষণ্ণ!!
জুবায়ের ভাইকে আমিও অনুরোধ করবো এই মাস্টারীটুকু করার জন্য। আমাদের মাঝে এমন একজনকে পেয়েও যদি অ-আ-ক-খ না শিখতে পারি সেটার চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কিছুতেই নেই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

স্বপ্নাহত এর ছবি

ধূসর গোধূলির চেয়েও বিষণ্ন?

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

দ্রোহী এর ছবি

জুবায়ের ভাইয়ের ছাত্র হতে এক পায়ে খাড়া।

স্বপ্নাহত, আপনার গল্পটা ভালো লেগেছে। আপনার জন্য জাঝা।


কি মাঝি? ডরাইলা?

স্বপ্নাহত এর ছবি

দ্রোহী ভাই,
এই অধমরে উত্তম দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

সুপাঠ্য

মুহাম্মদ২০১৭

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

একটি আবেদন। মন্তব্যগুলির বেশিরভাগই এই গল্প বিষয়ে নয়। বিব্রত বোধ করছি এই কারণে যে, এই লেখার চেয়ে আমি এখানে বেশি গুরুত্ব পেয়ে যাচ্ছি। অনুগ্রহ করে স্বপ্নাহত-র লেখার ওপরে মন্তব্য সীমাবদ্ধ রাখলে লেখকের প্রতি সুবিচার করা হবে। আমাকে জানানোর মতো কিছু থাকলে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারেন। আশা করি কেউ ভুল বুঝবেন না।

স্বপ্নাহত, সবার হয়ে আমি দুঃখ প্রকাশ করি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যগুলির জন্যে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

স্বপ্নাহত এর ছবি

যুবায়ের ভাই,
সবাই যেখানে আপনার ছাত্র হবার জন্য এক পায়ে খাড়া সেখানে আপনি নিজে এগিয়ে এসে আমার মাস্টার হয়েছেন।
এই জন্যে অন্যদের মনে হয় হিংসা হইতেসে হো হো হো

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=

বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল হইসে
- খেকশিয়াল

স্বপ্নাহত এর ছবি

হাসি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমি কারো চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যে বলতে পারিনা।
মাথা নিচু করে আস্তে করে বললাম- হুঁ।

কি আর বলব????
---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"

স্বপ্নাহত এর ছবি

কিছু বলার নেই? তাহলে থাক... হাসি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নজমুল আলবাব এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

আপনার যখন ভালো লেগেছে... যাক... তার মানে খুব বেশি খারাপ হয়নি হাসি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রায়হান আবীর এর ছবি

........সুপাঠ্য

Man can do what he wants, But he can't want what he wants

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সচলে তো দেখি সব বসদের ঠাসাঠাসি!
চরম গল্প হয়েছে।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

স্বপ্নাহত এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে প্রথমেই একপ্রস্থ হেসে নিলাম। দেঁতো হাসি

আপনাদের মত বসদের সংস্পর্শে আসলে আমার মত গরু গাধা মানুষ হইতে কতক্ষণ?

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

বজলুর রহমান এর ছবি

যখন আমরা নিজের জ়ীবনে থেকে কোন ঘটনা নিয়ে লিখি, বা নিজের সত্যিকার পরম অনুভুতি বা বিশ্বাস আক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে, লেখার মান সাধারনত তত ভালো হয় না। রবীন্দ্রনাথের চিঠিগুলো যেমন আমার কাছে খুব বিরক্তিকর মনে হয়।

ক্রিয়েটিভ রাইটিং কোর্সে শেখা ফর্মুলার ফলাফল বেশি আকর্ষণীয় হয়, তাতে ততখানি আন্তরিকতা না থাকলেও।

আমি "এটা কি ২৪৪১১৩৯", গানটি শুনলেই বিচলিত বোধ করি, যদিও এ গানের বাণীর সিকুয়েন্সে অনেক ভুল লজিক আছে। টেকনিকের গুণে সেগুলো আমরা উপেক্ষা করি। সুরের অভিনবত্ব আর কন্ঠস্বরের আপাত আন্তরিকতাই জয়ী হয়।

স্বপ্নাহত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আমার লেখার ব্যাপারে আরেকটু সরাসরি মন্তব্য করলে আমার জন্য বোঝাটা আরেকটু সহজ হত।

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

যখন আমরা নিজের জ়ীবনে থেকে কোন ঘটনা নিয়ে লিখি, বা নিজের সত্যিকার পরম অনুভুতি বা বিশ্বাস আক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে, লেখার মান সাধারনত তত ভালো হয় না।

একেবারেই একমত নই। সম্পূর্ণ আত্মজৈবনিক বিষয় ও কাহিনী নিয়ে পৃথিবীতে বহু মহৎ শিল্পকর্মের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা ও অনুভবের স্পর্শ ছাড়া উৎকৃষ্ট সাহিত্য হয় বটে, সেসব ব্যতিক্রম।

কারখানার যান্ত্রিকতায় তৈরি শিল্পকর্ম যান্ত্রিকই হয়। টেকনিক্যালি শুদ্ধ হলেই যে তা শিল্প হয়ে উঠবে তার কোনো মানে নেই। টেকনিক্যাল শুদ্ধতা একটি শর্ত বটে, উপাদান হিসেবেও জরুরি, কিন্তু অবশ্যপ্রয়োজনীয় নয়। একটু উদাহরণ দিয়েই বলি। অকালপ্রয়াত কবি আবুল হাসানের কবিতায় ভাষা-ছন্দের ত্রুটি প্রচুর আছে, চিন্তায় অসঙ্গতিও আছে যা তরুণ বয়সে থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর কবিতায় ব্যক্তিগত আবেগের কম্পনটি যেভাবে ধরা পড়ে, ওইটুকুই পাঠক চায়, আবিষ্ট হয়ে থাকে। আবুল হাসান ছোটো কবি কিন্তু নন।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

বজলুর রহমান এর ছবি

"All generalisations are false"।
এটাও।
কোন পাল্লা বেশী ভারি, সে বিতর্কে যাব না। তসলিমাও কিছু আত্মজৈবনিক লেখা লিখেছেন বটে।
টেকনিক শেখা ভালো, এবং কিছুটা নৈর্ব্যক্তিক হওয়া; তাতে ভারসাম্য থাকার সম্ভাবনা বেশি -- এ সাজেশন হয়তো খারাপ নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।