রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোঃ সেকাল ও একাল

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০১/০৪/২০১৬ - ৩:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮৮ সালের ৭ই জুন। মিলিটারি স্বৈরশাসক লেঃ জেঃ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল। তৎকালীন সংসদে পাশ করা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বিল। এই সংশোধনী দিয়ে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইসলাম এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল আছে। কিছুদিন আগে এই অষ্টম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটা রিটের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
এখন যেই সংবিধানে 'ধর্মনিরপেক্ষতা'কে দেশের চার মূল স্তম্ভের একটা বলে দাবী করা হয় সেখানে রাষ্ট্রধর্মেরও উপস্থিতি ঠিক কতোটা যৌক্তিক এ নিয়ে বিশাল আলোচনা করা যেতে পারে এবং ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় হয়েছে। আমার লক্ষ্য সেটা না। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হলো ১৯৮৮ সালে এই সংশোধনী পাশ হবার পর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কি হয়েছিল পরের দিনগুলোতে, আর এই সাম্প্রতিক রিট আদালতে যাওয়ার আগে কি প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছিল, সেটা তুলে ধরা। কন্সিস্টেন্সির জন্য নীচের সব স্ক্রিনশটগুলো দৈনিক ইত্তেফাক থেকেই নেয়া।

প্রথমেই দেখা যাক ৮ই জুনের প্রথম পৃষ্ঠার শিরোনাম কি ছিলঃ

এখন দেখা যাক তৎকালীন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া কি ছিলঃ

দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলগুলোর সিংহভাগ এই সংশোধনী বিল পাশের বিষয়ে চরম বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দাবী করেন এই বিল পাশ 'ধর্মের নামে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা', অন্যদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন আরেক বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও দাবী করেন 'সংবিধানের সংশোধনী জনগণ মানিবে না'। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং অন্যান্য দল রাস্তায় মিছিল করে, এবং যানবাহন ভাংচুর/অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। বুঝা যাচ্ছে যে এই সংশোধনী বিল দেশের সব বৃহত্তম রাজনৈতিক দলগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছিল।

পরের দিন, মানে ৯ই জুনের ইত্তেফাকের দিকে চোখ বোলানো যাক। প্রথমেই, তৎকালীন স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি এরশাদের এ ব্যাপারে মন্তব্য, যা তিনি করেছিলেন আটরশীর বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে গিয়ে, আটরশীর পীর এবং তার মুরিদদের সাথে সাক্ষাৎকারেঃ

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে হেফাজতে ইসলামীর শফি হুজুরের পাশে ঘুরঘুর করে তার সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় কি? যাই হোক, একই দিন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুপ প্রতিক্রিয়া জারি ছিলঃ

এবং একই খবরের বাকি অংশ সেদিনের কাগজের দ্বিতীয় পাতায়ঃ

প্রথমেই চোখে পড়ে অষ্টম সংশোধনী বাতিল এবং সরকারের অপসারণ দাবী করে ৮ দল (বিএনপি-নেতৃত্বাধীন জোট), ৭ দল (আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন জোট) এবং ৫ দল পৃথক পৃথকভাবে পরবর্তী রোববার অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছিল। সেই সাথে সম্পূরক খবরে দেখা যায় যে প্রতিবাদে গাড়ি ভাংচুর/অগ্নিসংযোগ অব্যাহত ছিল। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল যুদ্ধাপরাধী এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীও কিন্তু এই সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করেছিল। একই খবর থেকে উদ্ধৃতঃ

"জামাতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মুজলিশে শুরার তিনদিন ব্যাপী বৈঠক গতকাল শুরু হইয়াছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্বাস আলী খান বলেন, সরকার তার নিজ রাজনৈতিক প্রয়োজনে ৮ম সংশোধনী বিল পাশ করিয়াছে। সরকার তাহাদের গণবিরোধী কার্যকলাপ ঢাকা দেওয়ার জন্য ইসলামের নাম ব্যবহার করিতেছেন। কোরান সুন্নাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জনগণের দাবী পূরণ হইবে না"

এ গেলো আজ থেকে সাতাশ বছর আগের কথা। এখন অষ্টম সংশোধনী বাতিলের জন্য রিটের আবেদন নিয়ে আদালত রায় দেয়ার কিছুদিন আগের প্রতিক্রিয়া দেখা যাক। প্রথমেই এ বছর ২২শে মার্চ এ, হেফাজতে ইসলামীর হুমকিঃ

এর ছয় দিন পর, ২৮শে মার্চ, সেই জামায়াতে ইসলামী, যারা সাতাশ বছর আগে ৮ম সংশোধনীকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' আখ্যা করে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলো। নিশ্চয় তারা আগের অবস্থানেই অটল ছিল? ইয়ে, মানেঃ

বাহ, দেখা যাচ্ছে সাতাশ বছরে 'গণবিরোধী কার্যকলাপ ঢাকা দেয়ার জন্য ইসলামের নাম ব্যবহার করার প্রয়াস' দেশের 'সুশাসন এবং শান্তি বজায় রাখার চাবিকাঠিতে' পরিনত হয়ে গেছে! শুধু তাই না, এই অষ্টম সংশোধনী রক্ষা করার জন্য এখন জামায়াতে ইসলামী হরতাল ডাকতেও প্রস্তুত, এবং এটা বাতিল করার রিট এখন হয়ে গেছে 'কতিপয় রাষ্ট্র ও ধর্মবিদ্বেষী ব্যক্তিকে খুশি করার ঘৃণ্য চক্রান্ত'।

বলাই বাহুল্য, অষ্টম সংশোধনী বাতিল করা নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল থেকে দাবী উঠেনি। বিএনপি চুপ থাকবে সেটা জানা কথা, কারন তারা এখন জামায়াতে ইসলামীর একটা অঙ্গসংগঠন ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু যেই আওয়ামী লীগ এক সময় এটা বাতিল করার জন্য বিক্ষোভ করেছিল, তারা এখন ক্ষমতাসীন দল হয়েও এই বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে সরাসরি কিছু ওভাবে বলা হয়নি। ধরে নেয়া হয় যেতে পারে যে সরকার বিচারবিভাগের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য রাখেনি। কিন্তু সরকার দলের অনেক নেতাদের হেফাজতে ইসলামের শফি হুজুরের সাথে সখ্যতা, আওয়ামী লীগেরই অনেক নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা, বিভিন্ন সময়ে ব্লগার/প্রকাশক হত্যা অথবা তাদের উপর আক্রমন ও ৫৭ ধারার আওতায় লেখক/প্রকাশকদের গ্রেফতার/হয়রানির পর বিভিন্ন নেতাদের বক্তব্য, কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন পাঠ্যসূচিতে নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি হবে ইসলাম, এহেন বক্তব্য, এসব দেখে মনে হয় দেশে একমাত্র যেই দলটিকে অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিনিধি বলে ভাবতাম, তারাও সেই নীতি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। আমার মতে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে আমাদের অনেক কিছুর জন্য কৃতজ্ঞ হবার কারন আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, এই একটা বিষয়ে তাদের বিফলতা এবং দায়বদ্ধতা অন্য কোন দলের থেকে আর কম থাকছে না।

সাতাশ বছর আগে যখন অষ্টম সংশোধনী বিল পাশ করা হয়েছিল, তখন দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলগুলোই তার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে পড়েছিল, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। বর্তমানে এই সংশোধনী বাতিলের আবেদনে করা রিট যৌক্তিক/অযৌক্তিক, যাই হোক, সেসব রাজনৈতিক দলের কোনটারই কোন উচ্চবাচ্য নাই দেখে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়ঃ ধর্মের কথাই বলেন আর অসাম্প্রদায়িকতার কথাই বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য দিনশেষে এসবই এক একটা ইস্যু ছাড়া আর কিছু না।

যেসব ইস্যু পুঁজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করা যায়, অথবা ক্ষমতায় থাকলে গদি আঁকড়ে ধরে রাখার খোরাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।


খবরের কাগজের আর্কাইভের জন্য কৃতজ্ঞতায়ঃ ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF), সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড রিসার্চ (CBGR), ওমর শেহাব।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইয়ামেন এর ছবি

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নজু ভাই।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

জনবিচ্ছিন্নতার সাথে ধর্মকে ব্যবহার করার একটা যোগও দেখতে পাচ্ছি কিন্তু। এরশাদ এই গনবিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে ওঠার প্রয়াসেই ধর্মকে এভাবে ব্যবহার করেছে, জামাত-শিবির সেই একই উদ্দেশ্যেই ধর্মকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে সব সময়। এখন বর্তমান সরকার সেই একই দিকে পা বাড়াচ্ছে। প্রশ্ন থাকে এর পর কি? খুবই ভালো একটা দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ইয়ামেন ভাই।

সোহেল ইমাম

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

ইয়ামেন এর ছবি

লেজে হোমো এরশাদ নিজে বিশ্বলুইচ্চা থেকে দেশের বাকি মুমিনদের সঠিকভাবে ইসলাম পালন করার ব্যবস্থা করে দিয়ে গেছেন। এমন আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত আর কয়টা আছে বলেন? হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

সোহেল ইমাম

অতিথি লেখক এর ছবি

"আবেদনকারীদের আবেদন অধিকার না থাকায় রুল খারিজ করে দেয় আদালত"- আবেদনকারীদের কিসের ভিত্তিতে অধিকার থাকে সেটাই তো জানলাম না!
যাইহোক, এখন একটা জিনিসই বুঝতে পারছি, সেটা হলো বাংলাদেশের ইসলামের প্রবর্তক বড় হুজুর (লেজে)হোমো এরশাদ। ১৯৮৮ সালের আগে দেশে কেউ মনে হয় ইসলাম ধর্ম পালন করতে পারতো না। বড় হুজুর হোমো এরশাদ না থাকলে কি অবস্থা হতো সবার চিন্তা করা যায়? দেশের মুসলিম মানুষদের যে লোকটা ধর্ম পালন করতে দিলো, তাকেই আমরা কিনা গালি দেই। ছি ছি।
আমাদের সরকারের উচিত হবে, খুব শীঘ্রই ইরানের মতো আমাদের দেশেও "সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা" পদ চালু করে সেই পদে আজীবনের জন্য হোমো এরশাদকে আসীন করা।

সাজ্জাদূর রহমান

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমমম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আবুল ফজল ইবনে মোবারক  এর ছবি

রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের সেকাল ও একালের মন্তব্য ও কর্মপন্থার মাঝে আকাশপাতাল পার্থক্য অবলোকন করিয়া আমার চক্ষু ছানাবড়া হইয়া গিয়াছে। সত্যই সেলুকাস, ইহারা ইহাদের দেশকে বিচিত্র বানাইতে পারদর্শী বৈকি!!! অ্যাঁ

ইয়ামেন এর ছবি

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতা এনারা আমাদের থেকে অনেক ভালো বুঝেন আর কি। সেই বাস্তবতা অনুধাবন করে নিজেদের সার্ভাইভাল তো এনশিউর করা লাগবে ভাই। আমাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষও নাই, তাই যখন বাতাস যেদিকে বয় সেইদিকে চলার মোটিভেশনও নাই। যাউকগা, এত বিচক্ষন যাতে জীবনে না হওয়া লাগে, এটাই প্রার্থনা।
পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

এক লহমা এর ছবি

"সাতাশ বছর আগে যখন অষ্টম সংশোধনী বিল পাশ করা হয়েছিল, তখন দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলগুলোই তার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে পড়েছিল, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। বর্তমানে এই সংশোধনী বাতিলের আবেদনে করা রিট যৌক্তিক/অযৌক্তিক, যাই হোক, সেসব রাজনৈতিক দলের কোনটারই কোন উচ্চবাচ্য নাই দেখে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়ঃ ধর্মের কথাই বলেন আর অসাম্প্রদায়িকতার কথাই বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য দিনশেষে এসবই এক একটা ইস্যু ছাড়া আর কিছু না।

যেসব ইস্যু পুঁজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করা যায়, অথবা ক্ষমতায় থাকলে গদি আঁকড়ে ধরে রাখার খোরাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।" - চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

ইয়ামেন এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ইয়াসীন ভাই, এক লহমা ভাই

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।