জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: বুধ, ২২/১০/২০০৮ - ১১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যৌননিপীড়ক সানিকে প্যাদিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগরের যেসব শিক্ষার্থী, তাদেরকে বিপ্লবী অভিনন্দন। এই দুর্দিনে এমন একটি সুসংবাদের জন্য তোমাদের লাল সেলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে অনেক নিপীড়ন দেখেও আমরা যা করতে পারিনি, তোমরা তা-ই করে দেখালে। এই অনন্যসাধারণ ঘটনায় তোমাদের জন্য রইলো শুভ কামনা। এই ঘটনা একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাক এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকুক- এই শুভ প্রত্যাশা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌননিপীড়নের ঘটনায় এক বছর ধরে যে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেনি, প্যাদানির পনের মিনিটের মধ্যে সেই প্রশাসন তোমাদের বহিষ্কার করার ঘটনায় এটা সন্দেহাতীতভাবে পরিষ্কার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যেকেই যৌননিপীড়ন (এবং তাদের রক্ষা)-এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ১১ বছরেও যারা একটি যৌননিপীড়ন বিষয়ে নীতিমালা বা আইন করতে পারেনি (যে আইনের খসড়া প্রায় ১১ বছর আগে আমরা তাদের হাতে তুলে দিয়ে এসেছিলাম) মাত্র ১১ মিনিটে তোমাদের বহিষ্কার করে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে, এই শিক্ষক ও প্রশাসকরা আসলে নিজেরাই নিপীড়ক।

ছাত্রদল বিষয়ে আমার বলার কিছুই নেই, কারণ ছাত্রদল এবং বিএনপি বাংলাদেশ-বিরোধী সংগঠন বলে আমি মনে করি। যৌননিপীড়ক শিক্ষককে প্যাদানি দিলে এটাকে তারা নিজেদের ওপর প্যাদানি বলেই মনে করে।

তোমাদের প্রতি আমার দুটি পরামর্শ আছে। প্রথমত, এটা নিশ্চিতভাবেই জেনে রেখো, তোমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবেই হবে এবং তোমাদের সব সার্টিফিকেট-ও বাতিল করা হবে, এমনকি অন্য কোথাও যাতে তোমরা ভর্তি হতে না পারো সে জন্য "রেড ট্রান্সফার"-ও করা হতে পারে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মায়ায় পরে, পরিবার বা শুভাকাঙ্খীদের প্ররোচনায় মিথ্যা মোহে পড়ে ভেঙ্গে পড়ো না অথবা কোনো বিচারলয়ে মিথ্যাচারণ কোরো না। দ্বিতীয়ত, যেহেতু এই নিপীড়কবাদী রাষ্ট্র ও প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কোনো অর্থেই তোমাদের সাথে থাকবে না এবং তোমাদের ছাত্রত্ব, সার্টিফিকেট বাতিল করা হবেই, সুতরাং যাবার আগে আরো কয়েকটা নিপীড়ককে আচ্ছামতো প্যাদানি দিয়ে যাও। খুন একটা করলেও ফাসি, দশটা করলেও ফাসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট আমার কোনো কাজে লাগছে না, কোনো চাকরিতে কখনো দরকার হয়নি, ভবিষ্যতেও দরকার হবে বলে মনে হয় না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আমার না থাকলেও চলবে, সুতরাং তোমাদের ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল করার সময় আমাকে জানিও, আমার সার্টিফিকেটগুলো প্রশাসন ভবনের সামনে ভস্ম করে রঙপুকুরে বিসর্জন দিয়ে আসবো।

আবারো শুভ কামনা। তোমাদের বিজয় প্রত্যাশা করছি। আরো সুসংবাদ প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকলাম।


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

আমি তো শুনলাম ছাত্রলীগের গুণ্ডারা সেসব মেয়েদের উপর চড়াও হয়েছে, যারা সানিকে ধোলাই করেছিল।

প্রশাসন খুবই তৎপর দেখা যাচ্ছে।

যূথচারী এর ছবি

আমি যে নিউজপেপারে খবরটা পড়লাম, সেখানে ছাত্রলীগের কথা বলা ছিল না, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের কাছে শুনলাম- যৌননিপীড়ন বা যৌননিপীড়নের পৃষ্ঠপোষকতা, এই বিষয়ে নাকি ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ঐক্যজোট। তারাও নাকি নিপীড়ন-বিরোধী শিক্ষার্থীদের মারধরের সময় ছাত্রদলের পক্ষে থেকে লড়েছে।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দুঃখিত যুথচারী, একমত হতে পারলাম না। এটি আমার ব্যক্তিগত মত। এধরনের "পপুলার জাজমেন্ট" মানতে পারিনা। একজন ধর্ষক বা যৌন নিপীড়কের শাস্তি বিভাগীয় পর্যায়ে না হয়ে সাধারণ আদালতেই হওয়া উচিত। তা সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই হোন আর কোন সরকারী কর্মকর্তা হোন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বাংলাদেশের বাইরে না যে সেখানে দেশের প্রচলিত আইন চলবে না। প্যাঁদানি সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে তাতে আত্মতৃপ্তি পাওয়ার কিছু নেই। সমস্যার মূল চিহ্নিত করে তা উৎপাটন করতে হবে। এই সমস্যার মূল কি তা আপনারা যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা ভালো বলতে পারবেন। ছাত্র বহিষ্কারের এই ঘটনায় সানিদের রবরবা বরং আরো বেড়ে যেতে পারে। ছাত্রদের উচিত মামলা করে বিভাগীয় শাস্তির মোকাবেলা করা। এইসব মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন মামলা লড়ার সাহস রাখে না।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যূথচারী এর ছবি

কথাটা আপনি ঠিক-ই বলেছেন, আমারো সবসময় মনে হয়, মামলা করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মামলা ব্যাপারটা সাধারণত করা হয় না। প্রতিদিন অনেক অসঙ্গতির মধ্য দিয়ে আমরা চলি, কই আমরা কি মামলা করি? এমনকি আমরা কি অভিযোগ পর্যন্ত করি? ধরুন আপনি যে দোকানে দুপুরে খেতে যান, ওখানকার খাবারের নিম্নমান আর ভ্যাট-এর রশিদ না দেওয়ার কারণে আপনি কি মামলা বা সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করেছেন? আমি অবশ্য বেশকিছু মামলা করেছি এবং সেগুলো করে বেশ বিপাকেই আছি। আচ্ছা আমাদের কথা বাদ দেন, যেসব মানবাধিকারবাদী আইনজীবী এনজিও-রা যারা বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা মানবাধিকারের নামে সংগ্রহ করছে, তারাও তো মামলা করছে না। জাহাঙ্গীরনগরের ছেলেমেয়েরা এদের সাথে যোগাযোগ করে মামলা করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। শেষ পর্যন্ত, আমার মনে হয়, গণধোলাইয়ের কোনো বিকল্প নাই। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে জুতাপেটা করেছে সে দেশের শ্রমিকরা, বাংলাদেশে অন্তত ক্রিমিনাল, পলেটিশিয়ান আর দুর্নীতিবাজদের রেগুলার জুতাপেটা করা উচিৎ।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আবারো দ্বিমত পোষন করছি প্রিয় যূথচারী। ভ্যাট রশিদ না দেয়া আর যৌন নিপীড়ন এক নয়। এই অপকর্মটির শাস্তি কতটুকু শারিরীক ক্ষতি হল সে বিবেচনায় হতে পারে না। একজন নারীকে ধর্ষন করলে শারিরীকভাবে তিনি হয়তো পা ভাঙ্গার চেয়ে কম কষ্ট পাবেন। কেউ পা ভেঙ্গে দিলে আমরা মৃত্যুদণ্ড দাবী করব না, কিন্তু ধর্ষন করলে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড আমি নির্দ্বিধায় দাবী করব। বিভাগীয় শাস্তির নামে ধর্ষনের মত সর্বোচ্চ মাত্রার অপরাধকে হালকা করার কোন সুযোগই দেয়া উচিত নয়।

দেখুন, ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টার কিন্তু এক ধরনের পপুলার জাজমেন্ট। এতে অধিকাংশ সময় খুব খারাপ ধরনের অপরাধীদেরই খুন করা হয়। তারপরও সেটা খুন, শাস্তি নয়, বিচারতো নয়ই।

একই অপরাধ যদি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক বা মক্তবের মৌলভী করত তাহলে কি ফৌজদারী মামলা হত না? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া কি ইরানের আয়াতুল্লাহ হবার মত কিছু যে তার কোন অপকর্মই রাষ্ট্রে বিদ্যমান আইনে করা যাবে না? অবশ্যই না। আমাদের এসমস্ত ক্ষেত্রে মামলার পথ ধরতে হবে এইজন্য যে ঐসমস্ত নপুংসকদের আদালত 'ফেস' করার মেরুদণ্ড নেই।

আদালতে কি হয় তা খুব ভালোভাবে জানি। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মামলা করে আজ ছয় বৎসরেও টাকা পাইনি, যদিও মামলার রায় আমার পক্ষে গেছে (চার বৎসর পর)। তবু আমাদের দেখিয়ে দিতে হবে আমরা এভাবেও লড়াই করতে পারি। হয়তো এভাবে জিততেও পারি। এব্যাপারে গরিবীর ফেরিওয়ালাদের বা সুশীল বেজন্মাদের মুখের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। আমাদের লড়াই আমাদেরই লড়তে হবে। এধরনের অপরাধের কথা জানিয়ে দিতে হবে সারা বিশ্বকে যেন এ সমস্ত কুকুরেরা উচ্চশিক্ষার, ভিসিটিং প্রফেসর হবার, নানা রকম প্রকল্পের পরিচালক হবার বা পুরষ্কার পাবার সুযোগ না পায়।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যূথচারী এর ছবি

আগেই যেমন বলেছি, আমি মামলা করার পক্ষের লোক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা মামলা করা ও মামলা চালানোর জন্য উপযুক্ত আইনজীবী পায়নি, এটাই দুঃখজনক। তবে শেষ পর্যন্ত আপনার সাথে আমি একমত।

আরো কতগুলো বিষয় আপনাকে একটু পরিষ্কার করতে চাই। প্রথমত, আইনী লড়াইয়ের বিশেষত নিম্ন আদালতের যেসব ঝামেলা আছে সেই প্রক্রিয়ায় কয়েকমাস পর যৌননিপীড়নের বিষয়গুলো প্রমাণ করা অনেক কষ্টসাধ্য। এর আগে ১৯৯৮-এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিপীড়কদের চিহ্নিত করার পর তারাই মামলা করেছিল। এটি অনেক বেশি কার্যকর পদ্ধতি। দ্বিতীয়ত, এই শিক্ষকরা কেউই "উচ্চশিক্ষার, ভিসিটিং প্রফেসর হবার, নানা রকম প্রকল্পের পরিচালক হবার বা পুরষ্কার পাবার সুযোগ" আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আসে না। বর্তমানে যারা শিক্ষক, তাদের বেশিরভাগই ছাত্রজীবন থেকেই দালালি, তল্পিবহন ও সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠনের অংশ ছিল। ছাত্রজীবনে নকল করে বহিস্কৃতরাও এখন শিক্ষক। মূলত, কোথাও কোনো চাকরি না পেয়ে অথবা কোনো কাজ না করে সহজ জীবন পাড় করে দেওয়ার আশায় এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় এসেছে।

পপুলার জাজমেন্ট খারাপ আমি জানি। কিন্তু পপুলার জাজমেন্ট-ও দরকার। বিশেষ করে, যখন আপনার চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে, তখন পপুলার জাজমেন্ট খুব কাজে আসে। এই যে সানিকে জুতাপেটা করা হলো- এটাকে জাবির শিক্ষক সমিতি কিভাবে নিয়েছে লক্ষ্য করেছেন? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা শাস্তি দাবি করেছে। যেন ধর্ষণকারীকে জুতাপেটা করা আর পুরো শিক্ষকসমাজকে জুতাপেটা করা একই কথা। আসলে কিন্তু একই কথা, শিক্ষক সমিতির প্রায় প্রত্যেক শিক্ষকের ভেতরে একজন ধর্ষক মন রয়েছে। যে কারণে ৪ জন ছাত্রীর অভিযোগের সময় যারা একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি, তারাই ধর্ষক জুতাপেটিত হবার পর কর্মবিরতি-র ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং পপুলার জাজমেন্ট আমাকে অন্ততপক্ষে আরো কতগুলো ধর্ষক চেনার সুযোগ দিয়েছে।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

সবুজ বাঘ এর ছবি

ক্যা? ওরা সার্টিফিকেট পাইব না ক্যা? ওগোরে বহিষ্কারই বা করা হইব ক্যা? তুই এইন্না কী কস? আমরা কি মইরা গেছিরে? বরং খানপুলাটাইপ শিক্ষকগোরেই আমরা বহিষ্কার কইরা দিমু ইনভার্সিটি থিক্যা, থুতনায় বিরাট বিরাট কিল বসাইয়া।

পলাশ দত্ত [অতিথি] এর ছবি

সলিড। সলিড।

কীর্তিনাশা এর ছবি

সবুজ বাঘের মন্তব্যে (বিপ্লব)
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নামহীন এর ছবি

খালি ছাত্রদলরে দেখলন? ছাত্রলীগও ছিল, ওগোরে নিয়া কিছু বললেননা যে?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডবের সঙ্গে সহমত...
প্রচলিত আইনে এদের বিচার চাইতে সমস্যা কি? কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত! হাসি

বজলুর রহমান এর ছবি

জাহাঙ্গীর নগরের যত শিক্ষকের সাথে আমার পরিচয় (বেশি নয়, ৩০/৪০জন), তাদের মধ্যে একমাত্র মনিরুজ্জামান ছাড়া আর সবাইকে আমার কাছে কেন জানি অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। সেই মনিরুজ্জামান এখন ভিসি হয়ে কি অস্বাভাবিকদের দলে যোগ দিল? এর পরে যখন দেখা হবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কিন্তু ততদিন ভিসি নাও থাকতে পারে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অস্বাভাবিক কী অর্থে বজলু ভাই? ২৯/৩৯ জন মানুষকে (যারা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) অস্বাভাবিক লাগাটাই তো একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ইয়ে, মানে...

বজলুর রহমান এর ছবি

আমি আসলে শুধু বিজ্ঞানের শিক্ষকদেরকেই চিনি। নিশ্চিত যে সেলিম-আল-দীন, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বা আনু মহাম্মদ গর্ব করার মত শিক্ষক; কিন্তু এঁদের সাথে কখনো পরিচয় হয় নি। যাঁদেরকে চিনি তাঁদের মধ্যে বড় বেশি গ্রাম্য দলাদলি, এবং অনেকের মধ্যে অন্ধ কুবিশ্বাস দেখেছি।
এমন কি আমার একদা প্রিয় আফরোজী আপাকেও দেখলাম আস্তে আস্তে বদলে যেতে। ইউনুস সাহেবের দল না হওয়ায় নাকি ঢালাওভাবে দেশের শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের গালাগাল করেছেন। পদার্থবিজ্ঞানের এক শিক্ষক ছাত্রদের ২০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়েছিলেন, আল্লাহর নাম, না গুণাবলী , কি জানি লিখতে। প্রমোশনের সময় চেয়ারম্যান তার পক্ষে সাফাই গাইলেন। রসায়নের সৈয়দ সাহেব পাগলামীর জন্য বিখ্যাত। আরো অনেকের অনেক কথা আছে, এখানে বলা যাবে না। মনিরুজ্জামানকে আমার কাছে সব সময় সফিস্টিকেটেড ভদ্রলোক মনে হয়েছে।

যূথচারী এর ছবি

আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না, সেলিম আল দীনের বিরুদ্ধে যৌননিপীড়নের অভিযোগ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিন থেকে শুনে এসেছি, পরে আরো অনেক তথ্য পেয়েছি, পরে একদিন এই বিষয়ে লিখবো। জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নং হলটি কাগজে কলমে আছে, বাস্তবে নাই, পুরো একটা হল-ই সিদ্দিকী সাহেব হজম করেছেন। মুনিরুজ্জামান কাপুরুষ টাইপের মানুষ, বহু অপকর্ম তিনি অনুমোদন করেছেন এবং বহু অপরাধীকে সারাজীবন প্রশ্রয় ও সমর্থন দিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে নিজে অপরাধ না করে তিনি বহু অপরাধ করিয়েছেন। এই কারণে তাকেও আমি সাধু বলে মানতে পারছি না।
আনু মুহাম্মদ-এর কথা আলাদা, ব্যক্তিগত জীবনে তার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই, আর চাইলেও কিছু পাবেন না। কারণ দুর্নীতি করার জন্য যে যোগ্যতা আর ক্ষমতা লাগে, তার কোনোটাই তা নেই।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

ছাত্রদল বিষয়ে আমার বলার কিছুই নেই, কারণ ছাত্রদল এবং বিএনপি বাংলাদেশ-বিরোধী সংগঠন বলে আমি মনে করি। ...............................................................

আপসস্.. আপনার সাথে বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোকজনই একমত না। আপনার ধোয়া তুলসি পাতা ছাত্রলীগ আর আপনার মতে বাংলাদেশ বিরোধী ছাত্রদলের মধ্যে ২ খানা পার্থক্য দেখাইতে পারেন?

একটা পার্থক্য আমি আপনাকে বলে সাহায্য করতে চাই- শ্রদ্ধেয় মানিক ছাত্রলীগ করতেন।

যূথচারী, আমি আপনার সাথে একমত, আনু মোহাম্মদ আসলেই আলাদা মানুষ। এর বাইরেও অনেক শিক্ষক আছেন যারা হয়ত তেমন আলোচিত নয় কিন্তু মানুষ হিসাবে অনেক ভালো।

যূথচারী এর ছবি

আমার ধোয়া তুলসী পাতা ছাত্রলীগ মানে কি? আপনি লেখাটা ভাল করে পড়েনইনি। লেখা পুরোটা পড়ে মন্তব্য করুন।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।