সারমেয় সমাচার

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: বুধ, ০২/০৯/২০০৯ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনু মুহাম্মদের ওপর পুলিশি হামলার পরআনু মুহাম্মদের ওপর পুলিশি হামলার পর
১.
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটমেন্ট কখনো ছিল না, এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রের কলকাঠি নাড়াচাড়া করার লাইসেন্স পাওয়ার ফলে আমি ধারণা করেছিলাম, প্রতিপক্ষকে ট্যাকল করার কৌশলে তারা কিছু বদল আনবে। কিন্তু কয়লা ধুলে যেমন ময়লা যায় না, আওয়ামী লীগের সারমেয়-স্বভাবেরও তেমনি কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রভুদের বিরুদ্ধে কিছু বলা মাত্র কুকুরের মতো ঝাপিয়ে পড়ার আওয়ামী লীগের পুরনো কৌশল আবারো দেখা গেল আজ।

২.
শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম(?)-এর যে কি অবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-র মন্ত্রী-নেতারাই তা খোলাশা করেছেন। তাদের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপস, অডিও টেপ এবং জবানবন্দীমূলক চিঠিপত্র এখনো ইন্টারনেটে সার্চ করলে পাওয়া যায়; ওইগুলোতে স্পষ্ট করেই নেতারা তাদের শীর্ষনেত্রী ও অন্যান্য নেতাদের দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত দিয়েছেন, কবে কার কাছ থেকে কিভাবে ঘুষ নিয়েছেন, চাদাবাজি করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, সবকিছুই দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার।

৩.
তারপরেও আমি আশা করেছিলাম, কৌশলে পরিবর্তন আসবে। প্রভুদের বিরুদ্ধে মিছিল দেখলেই দাঁত-নখ বেরিয়ে আসবে, এটা আশা করিনি। পেট্রোবাংলার সামনে গেলে আনু মুহাম্মদ কি করতেন? পেট্রোবাংলায় পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিতেন? আমি তো জানি, আনু মুহাম্মদ এবং তার অনুসারীরা পেট্রোবাংলাকে পছন্দই করেন; বিদেশী কোম্পানীগুলোকে কাজ না দিয়ে বরং পেট্রোবাংলাকে আরো সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করা হোক, এটাই তো তারা চেয়েছেন। সুতরাং আনু মুহাম্মদকে লাঠি দিয়ে না ঠেকালেও হতো। তিনি পেট্রোবাংলার সামনে গেলে আসলে কিছুই হতো না, অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ওখানে তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে কিছু বক্তৃতা-টক্তৃতা করতেন এবং একটা নতুন কর্মসূচি দিতেন। খুবই সাধারণ ব্যাপার হতো এটা। কিন্তু হলো না, তার কারণ- রাষ্ট্র।

৪.
আনু মুহাম্মদ-এর ওপর হামলাকে আমি রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলেই মনে করি। প্রথমত, খুবই সাধারণভাবে বলি- আনু মুহাম্মদের ছাত্রজীবন, শিক্ষকতা, লেখালেখি এবং রাজনীতি বরাবর বাংলাদেশের মানুষের পক্ষেই থেকেছে। তিনি আমার কাছে তাই রাষ্ট্রের প্রতীক। ফলে তার প্রতি হামলাকে আমি বাংলাদেশের প্রতি হামলা হিসেবে মনে করি। স্বাভাবিকভাবেই আমি মনে করি, আনু মুহাম্মদের ওপর হামলা একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ এবং যে পুলিশ ও তাদের নির্দেশদাতা আমলা-রাজনৈতিক এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।

৫.
কিন্তু আসলে সেটা হবে না। কারণ রাষ্ট্রের কলকাঠিওয়ালারা ঠিক এইভাবে ভাবেন না। রাষ্ট্র বলতে উনারা বোঝেন উনাদের ক্ষমতা। রাষ্ট্র বলতে কিন্তু আসলে ক্ষমতাটিই বোঝায়। সেই ক্ষমতা হলো- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি মোটেই গণতান্ত্রিক নয় এবং এর সংবিধানের অনেক জায়গাতেই গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা আছে। আওয়ামী লীগ যদিও ভোটের আগে এগুলো নিয়ে কিছু কিছু কথা বলেছে, কিন্তু এখন ভুলে গেছে। কিন্তু তার চেয়েও ভয়াবহ হলো, বাংলাদেশের শাসকদল ও গোষ্ঠী রাষ্ট্র বলতে বোঝেন ক্ষমতার ব্যবহার। যে ক্ষমতা জনগণ এবং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ভূমি ও সম্পদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার কথা, সেই ক্ষমতাকে বিদেশি কোম্পানী ও বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করাটাকেই কেউ কেউ রাষ্ট্র বলে মনে করে।

৬.
বাংলাদেশের জ্বালানী ক্ষেত্র বিষয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একবার দুর্নীতি মামলা হয়েছিল, সেই মামলা থেকে তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে খারিজ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে (২৪ অগাস্ট) তিনি আবার তাল্লু এবং ফিলিপসকে ৫, ১০ ও ১১ নং ব্লক বরাদ্দ দেন। সেই পুরনো কাসুন্দি। বাংলাদেশ পাবে ২০ ভাগ, কোম্পানী পাবে ৮০ ভাগ। আর এই ৮০ ভাগ আবার বাংলাদেশকে কিনতে হবে আন্তর্জাতিক বাজারদরে। কার্যত, গ্যাসের খনি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে চড়াদামে গ্যাস কিনতে হবে বাইরের কোম্পানির কাছ থেকে। যেন স্বর্ণকারের কাছে গয়না বানানোর জন্য সোনা দেয়ার পর এখন আন্তর্জাতিক দরে ৮০ ভাগ সোনার দাম দিতে হচ্ছে। এমন অসম চুক্তি পৃথিবীর ইতিহাসে নাই। অন্তত গুগলে সার্চ দিয়ে আমি খুঁজে পাইনি।

৭.
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সংজ্ঞা অনুসারে শেখ হাসিনার এই কাজ দেশপ্রেমিকমূলক। কেননা দেশের স্বার্থেই তার সবকিছু করার কথা। দেশদ্রোহীমূলক কোনো কিছুই তিনি করতে পারবেন না, এই শপথ তিনি নিয়েছেন। "রাজা যখন অন্যায় করেন, তখন তিনি আর রাজা থাকেন না" রবীন্দ্রনাথের এই কথা অনুসারে হয় তিনি তার কর্তৃত্ব হারিয়েছেন অথবা তিনি দেশপ্রেমমূলক ও ঠিক কাজটিই করেছেন।

৮.
শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার দেশপ্রেমের যে কি হাল, তা আগেই একবার বলেছি। বর্তমান কাজটিও যদি ওই রকমই কিছু হয়ে থাকে, তবে তা বাংলাদেশের জন্য খুবই বিপদজনক। কেননা সমাজবিজ্ঞানের সংজ্ঞানুসারে এর ফলে রাষ্ট্রটি আসলে খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে, বস্তুত ভাঙ্গা। তার পরেও আনু মুহাম্মদের কাজটিকে কেন আমি দেশপ্রেমমূলক বলছি এবং তার ওপর হামলাকে দেশদ্রোহিতা বলছি? তার কারণ আমি এই চুক্তিটিকে যৌক্তিক ও হিতকর মনে করি না- তা নয়। তার চেয়েও বরং এই কারণে আরো বেশি যে, রাষ্ট্র কখনো আসলে শূন্য থাকে না। আনু মুহাম্মদ সেই শূন্যস্থান পূরণ করে একটি দেশপ্রেমের দৃষ্টান্তই রেখেছেন।

৯.
তাই বলছি, আনু মুহাম্মদের ওপর হামলাকারী পুলিশ এবং নির্দেশদাতা আমলা ও রাজনীতিকেদর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।

ছবি- রানা রায়হানের ফেসবুক অ্যালবাম থেকে


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত কিন্তু ....

----আওয়ামী লীগের সারমেয়-স্বভাবেরও তেমনি কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রভুদের বিরুদ্ধে কিছু বলা মাত্র কুকুরের মতো ঝাপিয়ে পড়ার আওয়ামী লীগের পুরনো কৌশল আবারো দেখা গেল আজ।----

সারমেয় শব্দটি না ব্যবহার করলেও পারতেন।

যূথচারী এর ছবি

কুকুর শব্দটি কুকুর সমাজের জন্য অপমানসূচক ভেবে প্রথমেই কুকুর শব্দটি ব্যবহার না করে একটু অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করলাম। তবে সবাই যদি চান, আমি 'কুকুর' প্রতিস্থাপিত করে দিতে পারি। আমার আপত্তি নাই।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

তীরন্দাজ এর ছবি

এই শব্দ ব্যাবহারের প্রতি আমি আমার একাত্বতা প্রকাশ করছি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তারপরেও আমি আশা করেছিলাম, কৌশলে পরিবর্তন আসবে। প্রভুদের বিরুদ্ধে মিছিল দেখলেই দাঁত-নখ বেরিয়ে আসবে, এটা আশা করিনি।

আমি কেন জানি শুরু থেকেই পেসিমিস্টিক ছিলাম।

রাষ্ট্র বিষয়ে দ্বিমত। রাষ্ট্র হচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণাধীন শাসন এবং শোষণের যন্ত্র, যাকে আইনের মাধ্যমে সন্ত্রাসের মনোপলি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের এই মনোপলি একতরফা ভাবেই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে। সেই বিচারে জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটির সমাবেশে পুলিশী হামলার সাথে রাষ্ট্রের চরিত্রের কোন বৈপরিত্য নাই। প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শ্রেণীর একচেটিয়া মুনাফা।

তেলগ্যাস বিক্রির টাকা গণমুখী উন্নয়ণে ব্যবহৃত হবে এটা যে বিশ্বাস করে সে ছাগু।



অজ্ঞাতবাস

দুর্দান্ত এর ছবি

"তেলগ্যাস বিক্রির টাকা গণমুখী উন্নয়ণে ব্যবহৃত হবে এটা যে বিশ্বাস করে সে ছাগু।"

চলুক

যূথচারী এর ছবি

আমি সাধারণ সমাজবিজ্ঞানের সংজ্ঞার কথা বলেছি, কারণ সেখান থেকে আমার উপসংহারে যেতে সুবিধা হয়। আপনি যেটা বলেছেন, আমি সেটা মানি, কিন্তু তা হলে আর এতো কথা বলার দরকার থাকে না।

আমিও পেসিমিস্টিক। এই সব কিছু জানা গল্পই। আওয়ামী লীগ ৫ বছর কি কাজ করবে, তার সবই এখন বলে দেয়া সম্ভব। কিন্তু তার পরেও প্রথমালো টাইপ অপটিমিস্টিক একটা বক্তব্য দিলাম, তার-ও কারণ ওই কনক্লুসনে আসার জন্যই। হামলার ঘটনায় আপনি রাষ্ট্রের যে চিরাচরিত চরিত্র বলতেছেন, এই চরিত্রটাই আমি নেই নাই। কারণ ৭ নম্বরে আমি চিপা দিয়া রাষ্ট্র-রে অন্য একটা চরিত্র দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমার মনে হয়, শূন্যস্থান পূরণের ব্যাপারটা আপনি ধরতে পারছেন।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

সুমন চৌধুরী এর ছবি
হিমু এর ছবি

তৌফিক এলাহী চৌধুরী এখন জ্বালানি উপদেষ্টা, নাকি?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দুর্দান্ত এর ছবি

যি। রাতা মোরগ এখন মগডালে।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ভাইরে! দেশ নিয়ে কম ভাবুন! মাথা ঠিক রাখা কষ্টকর, তাই এইসব ভাবনা কম ভাবার চেষ্টা করছি।

হাসিনা বা খালেদা নিয়ে আলোচনার শক্তি বা রুচি এখনও অবশিষ্ট থাকে কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের। ওরা হচ্ছে কুত্তার জাত, চেটেপুটে খাওয়ার দল। ওদের কাজ ওদের করতে দিন। ওরা বংশপরম্পরায় এই চেটে খাওয়ার পেশায় নিয়োজিত। এরপরে ওদের বাচ্চারাও আবার খাবে। একদিন দেশটা ডুবে, শেষ হয়ে এই চাটাচাটির যবনিকাপাত হবে।

আনু মুহম্মদেরা আরোও কিছুদিন এইভাবে দেশের জন্য মার খাবে, তারপরে আশা করি তারাও বুঝবেন, দেশপ্রেম এই সময়ের সবচেয়ে দূর্বল মানবীয় গুণ। সুতরাং ঐসব ছাইভস্ম নিয়ে ভেবে লাভ নাই।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দেশপ্রেম এই সময়ের সবচেয়ে দূর্বল মানবীয় গুণ

চলুক



অজ্ঞাতবাস

গৌতম এর ছবি

হাসিনা বা খালেদা নিয়ে আলোচনার শক্তি বা রুচি এখনও অবশিষ্ট থাকে কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের। ওরা হচ্ছে কুত্তার জাত, চেটেপুটে খাওয়ার দল। ওদের কাজ ওদের করতে দিন। ওরা বংশপরম্পরায় এই চেটে খাওয়ার পেশায় নিয়োজিত। এরপরে ওদের বাচ্চারাও আবার খাবে। একদিন দেশটা ডুবে, শেষ হয়ে এই চাটাচাটির যবনিকাপাত হবে।

- আপনি কথাটা ক্ষোভ থেকে বলছেন নাকি হতাশা থেকে জানি না, তবে হতাশ হলে মাঝে মাঝে আমারও এরকমটা মনে হয়।

ক্ষোভটা হয় তখন যখন দেখি সাড়ম্বরে লুটেরাদের খাওয়ার সুযোগটা আমরাই-এই ালের জনগণই তৈরি করে দিচ্ছি। অবশ্য জনগণেরই বা দোষ কী! বিপ্লব করার, সমাজতন্ত্রের পতাকা উড়ানোর এজেন্সি নিয়ে বায়তুল মোকাররমের সামনে বসে লাল চা খাওয়ার মধ্যেই যাদের সাফল্য নিহিত, সেখানে জনগণকে দোষারোপ করাটাও অভদ্রতা।

কিন্তু কারে দোষ দিমু? নিজেরে স্বান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কাউরে না কাউরে তো দোষী বানাইতে হইবোই!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

যূথচারী এর ছবি

দুইজনের একজনের সাথেও আমি একমত না, যদিও বুচ্ছি- ক্ষোভ অথবা হতাশা থেকে বলতেছেন। বায়তুল মোকাররমের সামনে যারা চা-বিড়ি খাইতেছে, তারা তো ভাই আপনের মতোই কিছু না কিছু করে। সাধারণ জীবন যাপন করে, চাকরি করে, সংসার করে, বাজার সদাই করে, আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখে- এই সব করার পরে বাইতুল মোকারমের সামনে গিয়া চা খায়, আজিজ মার্কেটে যায়, কিছু বইপত্র পড়ে, মাঝে মাঝে তেল-গ্যাসের জন্য মিছিল-মিটিং করে। ফুল টাইম পার্টিজান কয়জন আর? ম্যাক্মিমাম-ই আমার আপনের মতোই জীবন যাপন করে। অতিরিক্ত দেশের জন্য মাঝে মাঝে পুলিশের বাড়ি খায়, আমি আর আপনে যেটা করি না। মধ্যবিত্তীয় একটা জীবন যাপন করি এবং ঝামেলা দেখলে সটকে পড়ি।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

গৌতম এর ছবি

আমি তো এই কথাটাই কইলাম! নিজেরে বাঁচানোর জন্য কাউরে না কাউরে তো দোষী করার লাগে!

তবে লাল চাখানেওয়ালাদের সাথে দীর্ঘ সময় থেকেছি তো, উপলব্ধিটা আসেই- মাঝে মাঝে পুলিশের বাড়ি খাওয়াটাও বিপ্লবী-মধ্যবিত্তদের ফ্যাশন কিংবা লাল পতাকার দখলে রাখার শ্রমঅধিকারসংক্রান্ত কৌশল।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

যূথচারী এর ছবি

আমার তো মনে হয়, লাল চায়ের বিরোধিতা করাই এক ধরনের ফ্যাশন, আমরা বরং দুই পাতা ফুকো ট্রটস্কি সাঈদ প্রমুখ পড়ে লাল বিরোধিতা করাটাকেই একটা গা বাঁচানো বা আত্মতৃপ্তির উপাদান বা ফ্যাশন হিসেবে বেছে নিছি।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

গৌতম এর ছবি

তাইলে আর কী বলা! এর উপরে তো আর কোনো কথা চলে না! ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

চলছে চলবে মন খারাপ

বালক এর ছবি

চলুক

_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

মোস্তফা [অতিথি] এর ছবি

মাঝে মাঝে মনে হয় কি করি আমি কি করি?? বাংলার আকাশ মনে হয় অনেক উপরে তাই এই দেশে জনগনের পিঠ ঠেকেনা, মাইর দিলে আমরা মাইর খাই, দূরে আইসা গালা গালি করি, আশলে কি বা করার আছে... ভাল মানুশের দাম কি ? তারে পাত্তা দেয়ডা কিডা ?সব হালায় চুর...কেউ ভালা না , আমি বুয়েট এ রাজনিতি করার সমে কিছু পোলা পাইন আমারে মাইরা গেল, রাজনইতিক গন্ডগল না ব্যাচের গন্ডগোল কিছুই বুঝলাম না, একবার শিবিরের এক পলার বিরুদ্ধে লাগতে গিয়ে উলটা আমার ই মাফ চাইতে হল>>?? তাইলে হালা এখন আবার ছিল্লা ছিল্লি কেন?? গতরে বারি পরলে মনে হয় অই বেডা খারাপ তাই না> ? বুয়েটের মত জায়গায় বিরানী না খাওয়াইলে কেউ ভোট দেইনা তাইলে?? বিরানি আমি কোত্থেকে খাওয়ামু, বাপের পাছার চাম নাই আমার তুমি আমারে বল বিরানী না খাওয়াইলে ভোট দিমুনা তাইলে ত আমার কেন্টিনে চাঁদাবাজি করুম ই আর তমারে ক্যন্টিন আলারা খাওয়াব পঁচা শিঙ্গারা...মুখ বেকা কইরা গালি দিবা মিছিল করবা আর মাইর খাইবা...তখন তমার মনে হইব না বিরানীর ফল এইসব??

ছাত্রদলের কন্সার্ট হইলে পলা পাইন কয় কি ভাই আপানারা ত পোতায় গেলেন...চঁদাবাজি করব না ছাত্রলীগ ত বাপের বাড়ি বেইছা আইনা কন্সার্ট দিবো??দেশে খাইয়া পলিথিন যেখানে সেখানে ফেলছেন সব ড্রেন বন্ধ করছেন নিজের আক্কেলের দোষে , বুড়িগঙ্গার তলে ১৪ ফুট পলিথিন সরকারের এম্পিরা ফেলছে না আমি আপনি ফেলছি?? আপানার আক্কেলের দোষে এখন ঢাকায় বন্যা হইলে সরকার রে গালাগালি কইরা লাভ আছে?? সরকার কইত্থেকে দিব?? ইঙ্কাম টেক্সের অফিসাররে ঘুশ দিয়ে টেক্স কম দিছেন, নিজের অপ্রাধ কম কইত্থেকে??

নিজে ভাল না, অন্যের দোষ দেওয়াতে আমরা ওস্তাদ কম না কেউ! এই বারের সরকারে ত বাম পন্থি ও কম নাই কোন হালায় দেখি কোন কথা কয়না!! এখন যারা বাহিরে মাইর খাইতেছে তারা গেলে কইব এমন কন কথা আছে?? কোন গ্যারান্টি আছে!
আজ আওয়ামীলীগ রে গালা গালি করতেছি?? ভোট কোন কোন মানুষ দিছে?? নাকি সব চুরি করা ভোট?? এত গুলা ভোট চুরি করলো কিভাবে??

মাত্র ৫০০ মানুষ কেন আজকের মিছিলে মাইর খাইছে!! দেশে ত ১৪ কোটি মানুশ ...নাকি ৫০০ টা বাদ দিয়ে বাকি সব গরু?? নাকি এই ৫০০ জনের এ তেল গ্যাস দরকার?? আপ্নি ঘরের চিপায় কেন?? মাঠে নামেন না মিয়া দেখি কত বর কইলজা?? একটানে ফালায় দেন না আজকের এই দিন বদলের সরকার?? পাটা আছে বুকের?? না থাকলে ফাল পারেন কেন?? বিএনপি আওয়ামীলীগ যেমন ক্ষমতার জন্য মানুশরে পিডায়া রাস্তায় মাইরা ফালায় পারবেন এমন করতে?? দেশের জনগনের পক্ষথেকে নামেন না লাঠি নিয়ে!
কিছুই পারবেন না আমি জানি কইয়া লাভ নাই আপনি আছেন আপনার বউ পলা পাইন নিয়ে?? আপনার বাপে জা করছে আপনি ও তাই করবেন>?? বউ পোলাপাইন...এই আপনার গন্ডি...ঘুম জান মিয়া...

যূথচারী এর ছবি

দেঁতো হাসি


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

atithi arup  এর ছবি

"৪.
আনু মুহাম্মদ-এর ওপর হামলাকে আমি রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলেই মনে করি। প্রথমত, খুবই সাধারণভাবে বলি- আনু মুহাম্মদের ছাত্রজীবন, শিক্ষকতা, লেখালেখি এবং রাজনীতি বরাবর বাংলাদেশের মানুষের পক্ষেই থেকেছে। তিনি আমার কাছে তাই রাষ্ট্রের প্রতীক। ফলে তার প্রতি হামলাকে আমি বাংলাদেশের প্রতি হামলা হিসেবে মনে করি। স্বাভাবিকভাবেই আমি মনে করি, আনু মুহাম্মদের ওপর হামলা একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ এবং যে পুলিশ ও তাদের নির্দেশদাতা আমলা-রাজনৈতিক এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।"

আনু মুহম্মদ = বাংলাদেশ = রাষ্ট্র ??

বাহ কি চম্তকার গণতান্ত্রিক ধারনা!!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার গদি খুবই গরম জায়গা। এখানে কোনো মহামানব বসলেও সে রাবণের ভূমিকা নেবে। গদি হারালে ফের চামচিকা।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তানবীরা এর ছবি

তেলগ্যাস বিক্রির টাকা গণমুখী উন্নয়ণে ব্যবহৃত হবে এটা যে বিশ্বাস করে সে ছাগু।

তবে ছাগু শব্দট সুইট।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জয় বাংলার লাঠি।
জয় লাঠির বাড়ি।

সুধীর  এর ছবি

শেখ মুজিবকে কেন হত্যা করা হয়েছিল তা আমার কাছে খুব স্পষ্ট হয় নি এখনো। রাজ্জাক, তোফায়েল এবং অন্য সব রুশ-ভারত পন্থীদের পরামর্শে আজীবন একদলীয় শাসন এবং নিজের প্রেসিডেন্ট পদ আপাত দৃষ্টিতে নিরাপদ করে তিনি আসলে সব ক্ষমতা এই তরুণদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর পরে তাঁকে নাকি বেশীর ভাগ সময় দেখা যেত বাড়ির সামনে লেকের পাশে চুপ চাপ বসে থাকতে। কিসিঞ্জার সাহেব হয়তো ঠিক মৃত্যু পরোয়ানা দেন নি তাঁর পরিকল্পনায়, এটা হয়তো ক্ষুব্ধ ফারুক ডালিমদের নিজেদের ব্যক্তিগত সংযোজন যা আমেরিকাকে হজম করে নিতে হয়েছিল।

যখন এবার হাসিনা ক্ষমতায় এলেন, এবং সবাইকে প্রতিশ্রুতি দেয়া তাক লাগানো কেবিনেট তৈরী করলেন, অনেকে বাহবা দিলেন - তাই তো এত বামপন্থী এক সাথে ক্ষমতায় কখনো আসে নি।

তার পরে দেখা গেল তৌফিক-ই-ইলাহীও আছেন। তাহলে ব্যাপারটা কি ? পরে জানা গেল হাসিনা জেলে থাকার সময় অতীতের শত্রু মতিয়া যে রাস্তায় তাঁর সমর্থনে গড়াগড়ি দিয়েছেন, তার পুরস্কার হিসেবে মতিয়া রাস্তার মত হাসিনার কাছেও চিল্লাচিল্লি করে এই কেবিনেট পোস্টগুলি আদায় করেছেন। কিন্তু হাসিনা অনেক চালাক, তাই মন্ত্রীরও ওপরে উপদেষ্টা নিয়োগ করে, এবং সবার ওপরে নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা বজায় রেখে মনে মনে হাসছেন। মনে রাখবেন, হাসিনা পিতৃমাতৃভ্রাতাহন্তা কিসিঞ্জারের কাছ থেকে পুরস্কার নিয়ে এসেছেন। তাঁকে বোঝানো হয়েছে নিশ্চয়ই যে এর জন্যে আসলে আমেরিকা দায়ী না। অথবা বোঝানোর দরকারই বা কি। হাসিনা খুবই বাস্তববাদী। অতীত হচ্ছে মিডিয়ার কাছে বক্তৃতার বিষয়। মানুষের আসল চিন্তা-ভাবনা হলো ভবিষ্যৎ নিয়ে, নিজের ও পরিবারের।

আসাদুজ্জামান নূরের মত শান্তিপ্রিয় মানুষকে বিগত সরকার পুলিশ দিয়ে পিটিয়েছে। আনু মোহাম্মদ না হয় কিছুদিন হাসপাতালে থাকলেন। বাংলাদেশের ডেস্টিনি কারো হাত-পা ভাঙ্গার ওপর নির্ভর করবে না।

নৈষাদ এর ছবি

গতকাল দুপুর ২টার মধ্যেই তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উপর পুলিশী হামলার খবর পেয়ে গিয়েছিলাম। স্তব্ধ হয়েছিলাম পুলিশের লাঠিচার্জে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের আহত হওয়ার খবর শোনে। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের মত সর্ব-গ্রহনযোগ্য একজন অধ্যাপকের উপরে পুলিশী হামলার ইম্পলিকেশন আছে অবশ্যই, সরকারকে এর জন্য মূল্য নিশ্চই দিতে হবে। সব পক্ষ থেকেই এই ব্যাপারে ক্ষোভ জানানো হচ্ছে, হবে। এ ব্যাপারে আর কী বলব?

আমি যূথচারীর ৬নং পয়েন্টাতে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই। এই প্রস্তাবিত পিএসসির ব্যাপারে আসলে সরকারের কী করার আছে এই মুহূর্তে? বাতিল করা উচিত? বাংলাদেশ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে জ্বালানী অনুসন্ধান এবং উত্তোলন শুরু না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত এধরনের চুক্তিই করতে হবে। বাস্তবতা এটাই।

আমার এই কথাটা এই মুহূর্তে অদ্ভুত শোনাবে এবং দালাল-শ্রেণীর সমতুল্য করে তুলবে। যদি আমাদের পিএসসির মাধ্যমেই জ্বালানী অনুসন্ধানে যেতে হয়, তবে এই আন-কন্ডিশনাল রপ্তানীর সুযোগ ছাড়া, আগের পিএসসিগুলোর তুলনায় বর্তমানেরটাকে ভালই বলব। এই পিএসসিতে আগের পিএসসি গুলো থেকে দেশের স্বার্থ কিছুটা বেশীই দেখা হয়েছে। (আগের পিএসসিগুলোতে অবশ্য আন-কন্ডিশনাল রপ্তানীর সুযোগ ছিল।)। যেমন সর্বোচ্চ কস্ট রিকোভারীর % বলা হচ্ছে ৫৫, যেখানে আগে ছিল ৬০। এবার কর্পোরেট ট্যাক্সের কথা বলা হয়েছে, যা আগে ছিলনা (যদিও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে)। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করিনা আন্দোলনের মাধ্যমই প্রতিবাদ করার সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য মাধ্যম। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সরকারের সাথে আলোচনায় যেতে পারত, এবং একটা সমাধানের পথও হয়ত খোঁজে পাওয়া যেত।

আন-কন্ডিশনাল রপ্তানীর সুযোগ ছাড়া আর কি সমস্যা আছে তা সরকারকে পরিস্কার করে বলা উচিত। ২০ ভাগ, ৮০ ভাগের ব্যাপারটা হয়ত ঠিক ভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না।

যূথচারী, অন্যান্য দেশের পিএসসি গুলো এরকমই হয়, হয়ত % এ কিছুটা হের-ফের হয়। আপনি বলেছেন এমন অসম চুক্তি পৃথিবীর ইতিহাসে নাই, অন্তত গুগলে সার্চ দিয়ে আমি খুঁজে পাইনি। গুগলে পিএসসি পাবার আশা করে লাভ নেই। আপনি নিশ্চই জানেন এমনকি বাংলাদেশের আগের পিএসসি গুলোতে সাধারনের প্রবেশাধিকার নাই।

বাপেক্সের ব্যাপারেও ষড়যন্ত্র থিয়োরী দেয়া হচ্ছে (বাপেক্সেকে ইচ্ছা করে অথর্ব করে রাখা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি)। আমার কাছে মনে হয় ষড়যন্ত্র থিয়োরী আসলে ব্যার্থতা ঢাকবার একটা এক্সকিউজ। কেয়ার্ন এনার্জ়ীতো মাত্র ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে ছোট্ট একটা কোম্পানী হিসাবে, এখনতো বিশাল একটা কোম্পানী, কই কোন ষড়যন্ত্রতো একে আটকাতে পারনি?

আরেকটা পয়েন্ট, আসলে আইওসি গুলো কিন্তু শুধু আউট-সোর্সিং করেই সবকিছু করে। গুরুত্বপূর্ণ এখানে ম্যানেজারিয়েল এবং পরিকল্পনার (ঐ ম্যানেজারিয়েলই) ব্যাপার-গুলো। তাহলে বাপেক্সে কেন পারবে না? আমারওত সেই কথা। কিন্তু তার জন্য দরকার পরিকল্পনার - ষড়যন্ত্র থিয়োরী দিয়ে ব্যার্থতা ঢাকবার চেষ্টা করলে সারা জীবন আইওসির উপরই নির্ভর করতে হবে।

(এখানে স্ব-বিরোধী ব্যাপারও আছে, বাপেক্সে যদি ৩৮ বছর ষড়যন্ত্রএর থেকে বাঁচতে না পারে, তবে কী আশা করব আমি বাপেক্সে এর কাছে। কাল আমাকে একজন প্রাজ্ঞ ভদ্রলোক বললেন, আরে এগুলো সব আগেই ঠিক হয়ে আছে, কে আসবে সরকারে, কে গ্যাস পাবে। আবার ষড়যন্ত্র থিয়োরী। এভাবে যে আমাদের বিশাল আম জনতাকে আন্ডারমাইন করা হচ্ছে সে ব্যাপারে মাঝে মাঝে লোকজন চিন্তাও করেনা।)

বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ব্যাপারেও কিছু মতামত আছে আমার। এই পিএসসিটা কিন্তু আগের তত্ত্বা-সরকারের আমলেই হয়েছিল। এই সরকার এসে, আমার জানা মতে এটা আবার বিশেষজ্ঞ দিয়ে যাচাই-বাছাই করেছে। তার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইচ্ছা ছিল আরও কয়েকটা পয়েন্ট লেখার – সময়ের অভাবে এই মুহূর্তে পারছি না।

মেফিসটোফিলিস এর ছবি

সহমত। তেল গ্যাস নিয়ে কাজ করছি ১৫ বছর। এমন একটি ইনসাইটফুল লেখার জন্য অনেকদিন তাকিয়ে ছিলাম।

সুধীর  এর ছবি

যদি ২০% - ৮০% বাটোয়ারা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাক্টিস হয়, অর্থাৎ সতিকার সার্বভৌম, কিন্তু নিজের প্রযুক্তি প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ, দেশগুলিতে প্রচলিত থাকে, এবং মুক্ত টেন্ডারে এটাই সর্বোত্তম প্রস্তাব হয়, তাহলে সীমিত সময়ের জন্য তা গ্রহণ করা যেতে পারে, আমাদের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করার আগে পর্যন্ত।

ভেনেজুয়েলা কি করে ?

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

'আনু মুহাম্মদের ওপর হামলাকারী পুলিশ এবং নির্দেশদাতা আমলা ও রাজনীতিকেদর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।'

এক মত।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ধিক্কার জানাচ্ছি।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ডাক দিয়ে যাই

আজ বৃহস্পতিবার মুক্তাঙ্গনে তেলগ্যাস-বন্দর-কয়লা-বিদ্যুত রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রতিবাদ সভা বিকাল সাড়ে তিনটায়। পরশু শুক্রবার জনসংস্কৃতি মঞ্চের ব্যানারে লেখক-শিল্পী-কর্মীদের প্রতিবাদ সভা টিএসসি স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্তরে বিকাল সাড়ে তিনটায়।

দুটোর দাবিই গ্যাসক্ষেত্র ইজারা ও রপ্তানির পদক্ষেপ বাতিল এবং আনু মুহাম্মদসহ সকল নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার।

সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

অধ্যাপক আনু মুহম্মদ স্যারের হাসপাতালে সাক্ষাৎকারঃ

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সিরাত এর ছবি

ইন্টারেস্টিং আলোচনা। ধন্যবাদ সবাইকে।

মাহবুবুল হক এর ছবি

নিজে ভাল না, অন্যের দোষ দেওয়াতে আমরা ওস্তাদ কম না কেউ!

মোস্তফার হুল ফোটানো কথাগুলো অসাধারণ। স্যালুট। আসলে পুরো ব্যাপারটাতেই আমজনতার সাথে লুকোচুরির একটা ব্যপার আছে বলেই মনে হয়। প্রকৃত সত্যের চেয়ে আমরা অনেক দূরে। সুমনের লেখাটিও দারুন হয়েছে এ নিয়ে তার কাছে আরো লেখা আশা করি।

..................................................................................................
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা
[i]

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।