জনৈক বিহারীর গল্প।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৫/২০০৯ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এই লেখাটি এক বছর আগে অন্য একটি ব্লগসাইটে অন্য নামে প্রকাশিত হয়েছিল।)

আমার বন্ধুভাগ্য যে ভাল, সেটা আমি আগেই বেশ কয়েকটি পর্বে ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছি। জানিনা কোন গ্রহের কোন রাশিতে অবস্থানের ফলে আমার বন্ধুরা সবসময়েই আমার মঙ্গল কামনা করে এসেছে। জানিনা আমার বা আমার উর্দ্ধতন চৌদ্দ পুরুষের কোন সুকর্মের ফল এটি।

আমার ঢাকার উন্মূল জীবনে সমস্যা ছিল অনেকগুলো। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং তার থেকে জন্ম নেয়া একাকীত্ব, লেখাপড়ার প্রবল চাপ, টাকাপয়সার টানাটানি, ইত্যাদি। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে দুঃসহ এই জীবনটি ছেড়ে চলে যাই খুলনার পরিচিত মায়াঘেরা পরিবেশে। সেই আগেকার মতো মায়ের আঁচল ধরে এঘর-ওঘর করি। ঢাকা শহর অসংখ্য ইট-কাঠের বাড়ীগুলোর মতো সেখানকার মানুষদেরকেও যান্ত্রিক মনে হয়েছে বহুবার।

শুধু আমার বন্ধুরাই ছিল এই দুঃসহবাসের অংশীদার। তারাই আমার যন্ত্রণার ক্ষতে পরম মমতায় উপশমের শীতল প্রলেপ লাগিয়ে দিয়েছে। ঢাকাতে তাদের মধ্যেই আমি দেখেছি মানুষের কত বিচিত্র রকমের রূপ।

মনে আছে একবার বাড়ী থেকে টাকা আসতে কয়েকদিন দেরী হয়েছিল। পকেটের অবস্থা কেরাসিন। চায়ের দোকানে মুখ গোমড়া করে বসে আছি দেখে একজন শুধালো কারণটি। শোনার পর সে অবলীলায় তার পকেটে যা ছিল সবটাকাই তুলে দিল আমার হাতে। বিস্মিত হয়ে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে সে তাহলে মাস চালাবে কি করে। মধুর একটা হাসি হেসে সে আমাকে বলেছিল,"আরে-আমাকে নিয়ে চিন্তা করিস না। এই ঢাকার শহরে বিনা পয়সায় সাতদিন টিকে থাকার মত এলেম আমার আছে। সমস্যা হচ্ছে তোর মতো গাধাকে নিয়ে।"

কিভাবে বিনা পয়সায় ঢাকা শহরে সাতদিন টিকে থাকা যায়, এই গুপ্তবিদ্যাটি অবশ্য সে আমাকে কোনদিন শেখায় নি (শালা বেইমান!), কিন্তু সেদিন আমি টাকা হাতে করে অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলা অনেকক্ষন। একি মানুষ, নাকি ছদ্মবেশে অন্য কিছু?

আমার বন্ধুদের মধ্যে হীরা ছিল "ওয়ান অফ আ কাইন্ড"। তার মতো মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি এই জীবনে।
এমনিতেই সে দেখতে-শুনতে ভাল ছিল, তার উপর ছিল তার সর্বদা হাসিমুখ। সবার সাথে তার ব্যবহারটি ছিল প্রচন্ড অমায়িক। এবং সেই সাথে হীরা যেন সব সময় এক পায়ে খাড়া থাকতো সবার উপকার করার জন্য। আমাদের ছোট্ট ডিপার্টমেন্টে তাই হীরা ছিল সবার (বিশেষতঃ মেয়েদের) চোখের মণি। এ কথা আজ আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে হীরা যদি চাইতো, তাহলে সে যে কোন মেয়ের সাথেই প্রেম করতে পারতো। কিন্তু হীরা অবশ্য প্রেম করার ধারকাছ দিয়েও যায়নি কখনো।

এত গুনের সমাহার যার মধ্যে, তাকে দেখে আমাদের ঈর্ষা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতি আশ্চর্য্যের ব্যাপার যে আমরা সবাইই হীরাকে প্রবল ভাবে ভালবাসতাম। বন্ধু এবং মানুষ হিসেবে সে ছিল হীরকখন্ডের মতোই দ্যুতিময়।

আগেই বলেছি যে আমার ছাত্রজীবনের প্রথম দিকটা কেটেছিল বেশ একাকী ভাবে। আমাকে কেউ বিশেষ পাত্তা দেয়নি, আর আমিও পাত্তা পাওয়ার চেষ্টা করিনি। তাছাড়া ভয়াবহ রকমের কঠিন পড়াশুনার চাপে আমি তখন দিশেহারা।

হীরার সাথে আমার ভালভাবে প্রথম আলাপ হোল সেকেন্ড ইয়ারের একটি দিনে।

ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রির ক্লাশ চলছে। এই ক্লাশটির সময় আমার মন ক্লাশে থাকেনা, জানালা দিয়ে উধাও হয়। ব্ল্যাকবোর্ডের হিজিবিজি ইকুয়েশন আমাকে যেন না দেখতে হয়। তখন ঘাড়ে ভর করে কবিতার ভূত। খাতায় শব্দদেরকে বন্দী করার চেষ্টা করি প্রাণপণে।
সেদিনও তাই হচ্ছিল। একটা লাইন লিখে বসে আছি। পরের লাইনটি কিছুতেই মাথায় আসছেনা। আমি হতাশ হয়ে খাতায় আঁকিবুকি করছি। এমনি সময় কানের পাশে কে যেন বললো,"তুমি এটা কি লিখেছো খাতায়?"
মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায় কিঞ্চিত বিরক্ত হই। আমার গলার স্বরে তা ফুটে ওঠে। "কেন তুমি পড়ে বুঝতে পারছনা আমি কি লিখেছি?"
স্বরটি একটু কুণ্ঠিত ভাবে বলে,"আমিতো বাংলা পড়তে পারিনা।"
এ রকম কথা আমার বাপের জন্মেও কেউ শোনেনি। এবার আমি ফিরে তাকাই। পাশে বসে আছে হীরা।
ফিসফিস করে তাকে জিজ্ঞাসা করি,"বাংলা পড়তে পারোনা মানে?"
"পড়তে পারিনা মানে পড়তে পারিনা।"

এ আবার কোন দেশী কথা হোল? বাংলাদেশের ছেলে, বাংলাতে কথা বলছে, কিন্তু বাংলা পড়তে জানেনা। এর একটা তদন্ত হওয়া দরকার। কিন্তু ততক্ষনে খেয়াল করলাম যে পড়ানো বাদ দিয়ে ক্লাশটির শিক্ষক আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। অত এব কথা বন্ধ করতে হোল।

ক্লাশের পর হীরাকে ধরে চায়ের দোকানে নিয়ে গেলাম। "বলতো তোমার কেইসটা কি? তুমি বাংলা পড়তে পারোনা কেন?"
হীরা তখন সব খুলে বললো। হীরার বাবা আর্মিতে চাকরি করেন, এবং বেশীরভাগ সময়েই তাঁর পোস্টিং ছিল তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়েও তারা ওখানে আটকা পড়ে ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তারপর তারা এখানে চলে আসে। যেহেতু হীরার বেশীরভাগ স্কুল জীবনই কেটেছিল পাকিস্তানে, সে কোনদিন বাংলা পড়তে শেখেনি। বাড়িতে কথাবার্তা হোত বাংলায় বা সিলেটীতে। সে জন্য হীরা বাংলায় কথাবার্তা বলতে পারে চমত্কার, কিন্তু সে বাংলা লিখতে বা পড়তে পারেনা।
সেই দিন থেকে আমাদের ক্লাশের সবার কাছে হীরার ডাকনাম হয়ে গেল "বিহারী"।

এখনো তাকে আমি বা আমাদের অন্য বন্ধুরা আদর করে বিহারী বলেই ডাকি। তাতে সে কিছু মনে করেনা অবশ্য।

কি করে যেন হীরার সাথে আমার বন্ধুত্বটি ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠতে থাকে। বই পড়ার প্রতি আমার প্রবল ঝোঁক দেখে সে একদিন জিজ্ঞেস করলো, আমি কি ধরনের বই পড়ি।
"ধরণ আবার কি? যখন যা পাই, তাইই পড়ি। মাসুদ রানা, হুমায়ূন আহমেদ, সুনীল, শীর্ষেন্দু। বই পড়ার ক্ষেত্রে আমি সর্বভুক।"
"কিন্তু এগুলো তো সব বাংলা বই। তুমি ইংরেজী বই পড়ো না?"
"ইংরেজী বই? ইংরেজী বই পাবো কোথায় যে পড়বো? আর তাছাড়া ইংরেজীটা অত ভাল বুঝিওনা। শেষে দেখা যাবে একপাতা শেষ করতে একমাস লেগে যাচ্ছে।"
"প্রথম প্রথম ইংরেজী বুঝতে সবারই অমন সমস্যা হয়। পড়তে পড়তে এক সময় আর অসুবিধা হয়না।"
"তুমি কি ইংরেজী বই পড়ো নাকি?"
"এই অল্প অল্প। আমার প্রিয় লেখক হচ্ছেন ফ্রেডেরিক ফরসাইদ। তার বই পড়লে তুমি দুই দিন ঝিম মেরে বসে থাকবে।"
"আচ্ছা-তাই নাকি?"
"তুমি যদি পড়তে চাও, তাহলে আমি তোমাকে কিছু ইংরেজী বই পড়তে দিতে পারি। ইংরেজী বই নিয়ে এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তুমি কি আমাদের ক্লাশের জন্য ইংরেজী বই পড়ছো না?"
"আরে ভাই-ক্লাশের পড়া আর গল্পের বই পড়া কি এক জিনিস হোল? ক্লাশের পড়া তো করি পেটের দায়ে। এক লাইন না বুঝলে আরো দশবার নাহয় কষ্ট করে পড়লাম। কিন্তু গল্পের বইয়ের বেলায় এত কষ্ট কে করে? খামাখা আমাকে ইংরেজী বই-টই দেবার দরকার নেই। ও আমি পড়বো না।"
"ঠিক আছে। পড়তে চাইলে জোরাজুরির কিছু নেই।"
আমি স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলি। পাগলকে শেষ পর্যন্ত থামানো গেল তাহলে।

সপ্তাহ খানেক পরে হীরা একটা পাতলা বই আমার হাতে ধরিয়ে দিল।
"এটা কি জিনিস?"
"তোমার জন্য নিয়ে এলাম। পড়ে দেখো। ভাল লাগবে।"
আড়চোখে তাকিয়ে দেখি বইটার নাম "লাভ স্টোরী"। লেখক এরিখ সেগাল।
"এতো দেখি ইংরেজী বই।"
"তোমার সাথে সেই পুরনো তর্কে আর যাবোনা আমি। একবার পড়ার চেষ্টা করে দেখোনা বাবা। খারাপ লাগলে ফিরিয়ে দিও।"

সেদিন সন্ধ্যায় ক্লাশের পড়ার বদলে "লাভ স্টোরী" নিয়েই বসলাম। হীরা যখন এতো করে বললো, তখন একবার চেষ্টা করেই দেখা যাক না কেন?
প্রথম পৃষ্ঠাটি বেশ সহজে শেষ করা গেল। তারপর পরের পাতা, তারপর পরের পাতা। বাহ্‌-বেশ ভালই লাগছে পড়তে। আমি পড়ে চলি। অলিভার আর জেন এর হূদয় নিংড়ানো প্রেমের কাহিনী। আমার কোনদিকে খেয়াল থাকেনা।

একসময় শেষ হোল বইটি। চোখে জল নিয়ে আমি চুপ করে বসে থাকি। কি ভাবে এটা সম্ভব হোল? আমি এক নিঃশ্বাসে একটা ইংরেজী বই পড়ে ফেললাম। নিজেরই বিশ্বাস হয়না।

পরদিন ক্লাশে গিয়ে বইটি হীরাকে ফেরত দিলাম। সে একটু মর্মাহত হয়ে বললো,"আর ক'দিন চেষ্টা করলে পারতিস। এত জলদী হাল ছেড়ে দিলি কেন? বইটা কিন্তু খুবই ভাল।"
আমি বললাম, "বইটা আমি কালরাতেই পড়ে শেষ করেছি। খুব ভাল লেগেছে। বইটা আমাকে পড়তে দেবার জন্য তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।"
হীরার খুশী তখন দেখে কে? "দেখেছিস- তোকে বলেছিলাম না যে ইংরেজীতে কত ভাল ভাল বই আছে। তুইই তো গাধার মতো এতদিন খামাখা না-না করে এসেছিস।"
আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। আমি ইংরেজী বই পড়লে বা না পড়লে তার কি যায় আসে?
"কাল তোর জন্য ফ্রেডেরিক ফরসাইদ নিয়ে আসবো।"

পরদিন হাতে পেলাম "দ্য ডে অফ দ্য জ্যাকাল"। দুর্দান্ত থ্রিলার। (এই বইটির ছায়া অবলম্বনে পরে কাজী আনোয়ার হোসেন মাসুদ রানা সিরিজের "সেই উ-সেন" বইটি লেখেন।)। তার পর এলো "ডগ্‌স অফ ওয়ার", "ওডেসা ফাইল", "ডেভিল্‌স অল্টারনেটিভ"। হীরার মতো আমিও জনাব ফরসাইদের ভক্ত বনে গেলাম। বইয়ের নেশা আগে থেকেই ছিল, এবার তার পরিধিটা বাড়লো বহুগুণে।

শুরু হোল ইংরেজী বইয়ের খোঁজে ব্রিটিশ কাউন্সিলে আনাগোনা। আমার বন্ধুরা খোঁজে ক্লাশের পড়ার বই, আর আমি সোজা দৌড়াই অন্যদিকে যেখানে গল্পের বই সাজানো রয়েছে থরেথরে।

আগেই বলেছি হীরার বাবা আর্মিতে ছিলেন। একদিন হীরা এসে চোখ চকচক করে বললো,"খনির খোঁজ পাওয়া গেছে।"
তার মুখে শুনলাম যে আর্মির নাকি একটা লাইব্রেরী আছে যেখানে অনেক ইংরেজী বইয়ের ভালো কালেকশান আছে। সেখান থেকে বই আসা শুরু হোল। পড়ে ফেলি "দাই নেইবারস ওয়াইফ" নামের বইটি যেখানে হিউ হেফনার আর প্লেবয় পত্রিকার ইতিহাস বর্ণিত আছে। একদিন হাতে এলো হাজার কয়েক ব্যাড জোক্‌স্‌ (মানে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আরকি) সম্বলিত এক বিশাল বই। সেগুলো পড়ি আর নিজের মনে হাসি।

কিন্তু মনে দাগ কাটলো একটি বই। এক সময়ের কুখ্যাত আমেরিকান মাফিয়া বস্‌ "স্কারফেস" অ্যাল কাপোন এর জীবনী, তার উত্থান-পতনের বিস্তারিত বয়ান। বন্ধুদের আড্ডায় এই বইটির কথা এতো বেশী বলা শুরু করলাম যে হীরা আমাকে এক সময় "অ্যাল কাপোন" বলে ডাকা শুরু করলো।

হীরা নিজে এই বইগুলো কতটা পড়েছিল, তা ঠিক জানিনা, তবে আমার খোরাকের জন্য সে নিয়মিত বই সাপ্লাই করে গিয়েছিল। বোধকরি তার জন্যেই আমি ইংরেজী বইয়ের জগতটিতে বসবাস করি আজও। আজও যখন নতুন কোন বইয়ের পাতায় চোখ রাখি, তখন মাথার ভিতর বিদ্যুৎ চমকের মতো কে যেন ডাকে,"অ্যাল কাপোন"।

ইতিমধ্যে অনার্স পাশ করে ফেলেছি। মাস্টার্সের ক্লাশ শুরু হচ্ছে। এমনি এক সময়ে একদিন হীরা এসে আমাকে জিগেস করলো,"তুই নিজেকে কতখানি বুদ্ধিমান বলে মনে করিস?"
"আমি? বুদ্ধিমান? আমার মনে হয় আমি মাঝারী আকারের বুদ্ধিমান।"
"তুই কি আমার চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান?"
"তাতো জানিনা।"
"এইবার পরীক্ষা হবে। দেখি কে বেশী বুদ্ধিমান।"
"পরীক্ষা? কিসের পরীক্ষা? কোথায় হবে সেটা? কবে হবে?"
"সামনের বছর একটা পরীক্ষা দিতে হবে তোকে। সেটাতে প্রমাণ হবে তুই আমার মতো বুদ্ধিমান কিনা।"

পরের অংশটুকু এখানে পাবেন


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হোল - হলো

আমার ১ পয়েন্ট

মূলত পাঠক এর ছবি

আগেও পড়েছিলাম কিন্তু এমন জিনিস বার বার পড়া যায়। অসাধারণ লিখেছেন!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়বার জন্যে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমার বন্ধুভাগ্যও অনেক ভালো।
আপনার বন্ধু হীরাকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।