মধ্যরাতের বন্ধু-১।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: শনি, ২২/০৮/২০০৯ - ১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আর দশটা মানুষের মতো আমার একগাদা বন্ধু নেই। বাঙ্গালীদের বন্ধুভাগ্য দেখে পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষেরা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। এখানে যাকেই দেখিনা কেন, তারই চতুর্দিকে ইয়ার-দোস্তের ছড়াছড়ি।

হয়তো গ্রোসারী করতে গিয়ে দেখা হলো এক দেশী ভাইয়ের সাথে। নতুন আলু বাছতে বাছতে টুকটাক কথা বলছি তার সাথে। দশ মিনিটের মধ্যে পাঁচ বার তার সেলুলার ফোন চলতি হিন্দী গানের সুরে গাঁকগাঁক করে উঠবে। ভাইটি লজ্জিত মুখে আমার দিকে একটু তাকিয়ে বলবেন, ‘বন্ধুদের জ্বালায় আর পারা যায়না। এরপর আর ফোন সাথে নিয়ে বেরোব না।’
জুমার নামাজের সেজদায় গিয়ে টের পাই পাশের বাঙ্গালী ভাইয়ের পকেটে কুড়ুং কুড়ুং আওয়াজে জমা হচ্ছে টেক্সট মেসেজ। একসময় তিনি পাঞ্জাবীর পকেটে হাত ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেন ফোনটিকে।
মাঝে মাঝে শনিবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাঙ্গালীদের বাসায় আড্ডা জমে। সেখানকার আলোচনার প্রিয় বিষয় তিনটি। দেশের রাজনীতি, আমেরিকার রাজনীতি এবং কে কতটা ই-মেইল পাচ্ছেন প্রতিদিন। ‘আর বলবেন না ভাই, বন্ধুদের ই-মেইল এর জবাব দিতে দিতে হাত ব্যথা হয়ে গেল। কোন দরকারী জিনিস না, খালি ফালতু বাখোয়াস। ই-মেল আর ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং করতে করতে কাজকাম কিছুই হয়না।’

আর আমার সেলুলার ফোন কেবলই ‘নিশ্চল, নিশ্চুপ/ আপনার মনে পুড়িব একাকী, গন্ধ-বিধুর ধূপ’। আমার এক গিগা-বাইটের ই-মেইলবক্সে সাতদিনে ই-মেইল আসে সাকুল্যে একটা কি দুটো। মহা উৎসাহে খুলে দেখি সেগুলো সব জাঙ্ক মেইল। সেগুলোই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি বাধ্য হয়ে।

কিন্তু আমিও একসময় স্কুলে কলেজে পড়েছি। সেখানে আরো ছেলেপিলেরা ছিল। বিচিত্র প্রকারের চেহারা, স্বভাব এবং গুণের অধিকারী এক এক জন। আজিমের মাথা ভর্তি চুল এবং মোটা গোঁফ, সোহেলের তেমনি চকচকে টাক। আধুনিক কবিতা শুনে পীযুষের চোখ আবেশে যেমন মুদে আসতো, তেমনি রাগে গরগর করতে থাকতো বরকত। হীরু দেখতে লম্বা, সিরাজুল তেমনিই গাইঠ্‌ঠা। মোবারক প্রেম করতো তিনজনের সাথে, আর শামসুল বারংবার ছ্যাক খেয়েও নতুন প্রেমের আশায় বুক বাঁধতো। কিন্তু এদের একজনের সাথেও আমার বন্ধুত্ব হলোনা। এরা এখন কে কোথায় আছে তার কিছুই জানিনা।

একদিন, অবশেষে আমার বন্ধুভাগ্যের শিকা ছিঁড়লো।
সারাদিনের কাজ শেষে ঘুমুচ্ছি। গভীর রাতে বিকট আওয়াজে ফোন বেজে উঠলো। প্রতিটি প্রবাসী মানুষের মতো আমিও গভীর রাতের ফোনের শব্দকে ভয় পাই। দেশ থেকে কি কোন খারাপ খবর এলো? গত সপ্তাহে মায়ের গলাটা কেমন দুর্বল শোনাচ্ছিল না?
ফোনটা বাজতেই থাকে। আস্তে আস্তে রিসিভার তুলি।
‘হ্যালো।’
‘কি রে শালা, ফোন ধরতে এতক্ষণ লাগলো কেন? ঘুমাচ্ছিলি নাকি?’ ওপাশের গলাটা গমগম করে ওঠে।
‘কে বলছেন?’
‘চিনতে পারছিস না নাকি? আমি ইয়াদ আলী।’
হাজার চেষ্টা করেও ইয়াদ আলীকে ইয়াদ করতে পারিনা। আমার কপাল! লোকে পায় ডজন-ডজন ই-মেইল আর আমি পাই একখান জাংক মেইল। যাও একজনে এতদিন পর ফোন করলো, তাকেও আমি চিনিনা।
‘আরে- আমি নড়াইলের ইয়াদ আলী। তোর সাথে ফিলসফি সাব-সিডিয়ারী ক্লাশ নিয়েছিলাম।’
হতেও পারে। সাব-সিডিয়ারী ক্লাশে হাজার পাগলের আখড়া। ইয়াদ আলী তারই এক পাগল হবে।
‘আমি দু বছর হোল নিউইয়র্ক এসেছি। আজই তোর ফোন নাম্বার পেলাম, ভাবলাম তোকে একটা খোঁচা দিয়ে দেখি।’
আমার এতবড় উপকার কে করলো সে প্রসঙ্গে আর যাইনা। ইয়াদ আলীর খোঁচায় আমি ইতিমধ্যে বিহ্বল হয়ে পড়েছি।
‘তাই নাকি! সেতো খুব ভাল খবর। আমি আছি ক্যালিফোর্নিয়াতে। তোর ওখানে এখন বাজে কয়টা?’
‘কত আর হবে? সকাল পাঁচটার মতো হয়তো।’
‘আমার এখানে এখন তাহলে রাত দুটো হবে। তুই এতো সকালে কি করছিস?’
‘কাজে আছি। আমার খালতো ভাইয়ের একটা টোয়েন্টিফোর আওয়ার স্টোর আছে। সেখানে আমি নাইট-শিফটে কাজ করি। কাস্টমার নাই, তাই ভাবলাম তোকে একটা খোঁচা দেই। একটু পুরানো দিনের আলাপ করি।’
‘কাল সকালে কাজ আছে দোস্ত। তোর ফোন নাম্বারটা দে, আমি তোকে পরে ফোন করবো।’
‘ফোনের বিল নিয়ে চিন্তা করছিস নাকি? অসুবিধা নাই, দোকানের ফোন। তুই কথা বল।’

সেই শুরু।
এর পর থেকে মাঝে মাঝে গভীর রাতে বেজে ওঠে ফোন। আমি দাঁতে দাঁত চেপে ফোন ধরি।
‘হ্যালো।’ আমার গলার আওয়াজটা গোঙ্গানীর মতো শোনায়।
‘কিরে এত সকালে ঘুমিয়ে পড়লি নাকি?‘ ইয়াদ আলীর বকুনি খেয়ে জেগে উঠি। বুঝি ঘুমের বারোটা বেজে গেল। ইয়াদ আলী অবশ্য আমার ঘুম নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। সে অনর্গল কথা বলে চলে।

বিরক্ত লাগলেও আজকাল ইয়াদ আলীর ফোন ভালই লাগে। আমারও একজন বন্ধু আছে! যেনতেন বন্ধু না, নিউইয়র্কে থাকা বন্ধু।
বেশীর ভাগ আলাপই হয় পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করে। তবে সমস্যাটা হচ্ছে যে তার স্মৃতি আর আমার স্মৃতি এক নয়। ফলে সে গল্প করে যায় আর আমি চুপ করে শুনি।

বছর কয়েক আগে ইয়াদ আলীর ফোনকল নিয়ে এলো নতুন বার্তা। এ কাহিনীর সেখানেই সূত্রপাত।

ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো’।
‘কিরে আজকেও ঘুমুচ্ছিলি নাকি? তুইতো দেখি সব সময়ই ঘুমাস।’
‘কি বলবি তাড়াতাড়ি বল। কাল খুব সকালে কাজে যেতে হবে।’
‘তুই তো কাজ কাজ করেই মরলি। এদিকে যে বিশাল সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তা খবর রাখিস?’
‘কি ঘটনা ঘটলো আবার?’
‘ঘটনা আজকাল একটাই দোস্ত। গ্লোবালাইজেশন।’
‘গ্লোবালাইজেশন মানে?’
‘এই সহজ ব্যাপারটা বুঝলি না। আরে আমেরিকায় এখন দেশের টিভি দেখা যাচ্ছে।’
‘তার মানে?’
‘গরম খবর। আজই পেলাম। স্যাটেলাইট ডিশ দিয়ে এখন ঢাকার বেশ কয়েকটা টিভি চ্যানেল এখন ঘরে বসেই দেখতে পারবি। তোর ভাবীর মনটা এখন একটু ভাল হবে। বেচারী দেশ ছাড়া হবার পর সবসময় মন খারাপ করে থাকে।’
আমি টিভির পাগল কোনকালেই ছিলাম না। আমি দেশে থাকবার সময় কেবল বিটিভিই ছিল। তাতে দু একটা ইংরেজী সিরিজ ছাড়া আর কিছুই দেখতাম না। এখন শুনেছি বেশ কয়েকটা প্রাইভেট চ্যানেল হয়েছে।
‘কিরে চুপ করে আছিস কেন? তোকে কি ফোন নাম্বারটা দেব?’
‘কার ফোন নাম্বার?’
‘সাতকান্ড রামায়ণ পড়ে সীতা কার বাপ? আরে ডিশ কোম্পানীর ফোন নাম্বার। তাড়াতাড়ি ফোন করে অর্ডারটা দিয়ে দে। এখানে তো বাঙ্গালী মহলে হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। আমি আজকে ফোন করে অর্ডার দিলাম, কিন্তু ওরা এসে ডিশ লাগাবে তিন সপ্তাহ পরে। ব্যাক অর্ডার এর প্যাঁচে পড়েছি।’
‘হুঁ-দেখি।’
‘তোদের ক্যালিফোর্নিয়ার জঙ্গলে হয়তো অত ভিড়ভাট্টা নাই। তুই হয়তো তিন চার দিনের মধ্যে কানেকশান পেয়ে যেতে পারিস। নে কাগজ কলম নে, আমি নাম্বারটা দিচ্ছি। গ্লোবালাইজেশন ভাইকে ঘরের ভিতরে নিয়ে আয়।’

ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো।’
‘কিরে-কেমন লাগছে?’
‘কি কেমন লাগছে?’
‘বাংলা টিভির কথা বলছি। আমাদের তো শালা ঘুমের বারোটা বেজে গেছে। টিভি দেখতে দেখতে দিন শেষ। কাল রাতের সিরিয়ালটা দেখে তোর ভাবী কেঁদে আকুল। শালা- দেশী সিরিয়ালের উপরে আর কিছু নাই। তুই বিশ্বাস করবি না, দেশী টিভির বিজ্ঞাপনগুলো দেখতেও ভাল লাগে। আমার বাচ্চাগুলো তো এর মধ্যেই বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপনের গানও মুখস্ত করে ফেলেছে।’
‘ভালোই তো।’
‘এটাকে ভাল বলে না, এটাকে বলে সুপার। যেনতেন সুপার না, রীতিমত অ্যারাবিয়ান হর্স সুপার।’
‘অ্যারাবিয়ান হর্স সুপার মানে?’
ইয়াদ আলী আমার প্রশ্নে হাসে।
‘এটা একটা ঢেউ-টিনের বিজ্ঞাপনের লাইন। আবুল হায়াতের মুখের লাইন। নিউ ইয়র্কে সবাই এখন দেশি টিভির ডায়ালগ দিয়ে কথা বলে।’
‘আচ্ছা।’
‘তা তোর টিভি দেখা কেমন হচ্ছে?’
‘আমি এখনো কানেকশান নিইনি। টিভি দেখার সময় পাচ্ছিনে তেমন আজকাল।’
‘এসব জিনিসের সময় ভূতে জোগায়। তুইতো শুধু ঘুমিয়েই জীবনটা কাটিয়ে দিলি।’

ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো।’
‘কিরে-কি দেখছিস এখন? খবর না সিনেমার গান?’
‘কোনটাই না। একটু ঘুমাচ্ছিলাম।’
‘তোর ডাক্তার দেখানো উচিৎ। সারাদিন কেবল ঘুম। কানেকশান নিয়েছিস?’
‘নাহ- সময়ের বড় টানাটানি।’
‘তাড়তাড়ি নিয়ে নে। ভাল ভাল অনুষ্ঠান মিস করছিস। সামনেই ঈদ আসছে। ঈদের সময় একগাদা নাটক দেখাবে। তার আগেই কানেকশানটা নিয়ে নিস।’
‘দেখি।’
‘আজকে টিভিতে মোজাম্মেলকে দেখালো। সে যে তলে তলে এতটা উঠেছে জানতাম না। সেতো এখন বিরাট শিল্পপতি। দেশের উন্নতির জন্যে কত ভারী ভারী বাণী দিল সাক্ষাতকারে।’
‘আমাদের মোজাম্মেল?’
‘আরে হ্যাঁ, আমাদের মোজাম্মেল। ক্লাশে যে কথা বলতে গিয়ে ঘেমে যেত। তার এখন চেহারাটাও বেশ চেকনাই হয়েছে। অ্যারাবিয়ান হর্স সুপার।’
‘এটাতো ভাল খবর। অন্ততঃ আমাদের একজন বন্ধুতো নাম করেছে।’
‘আরে- দেশে থাকলে আমরাও ওরকম হ’তে পারতাম। জাল-টাল ভালই ফেলেছিলাম, কেবল ঠিকমতো তোলার আগেই এই শালার আমেরিকাতে চলে আসতে হলো।’

ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো।’
ওপাশ থেকে কোন কথা শোনা যায়না। শুধু ফোঁসফোঁস একটা আওয়াজ।
‘হ্যালো, হু ইজ দিস?’
এ কথায় ফোঁসফোঁস আওয়াজটা আরো এককাঠি বেড়ে যায়। ঘুমচোখে ঘড়ির দিকে তাকাই। রাত বারোটা তিপ্পান্ন। এই সময়ে শুধু একজনেরই ফোন আসে।
‘কে, ইয়াদ আলী নাকি?’
‘হুঁ।’
‘কিরে, কাঁদছিস নাকি?’
‘হুঁ।’
‘কেন? কি হয়েছে? কোন খারাপ খবর এসেছে নাকি দেশ থেকে?’
এ কথায় তার আহাজারীর মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ফোঁপানিতে ঢাকা পড়ে যায় কথা। আমি কিই আর বলবো? চুপ করে থাকি।
একসময়ে সে ধাতস্থ হয়। নাক ঝাড়ে প্রবল শব্দে।
‘আজকে দিশা মারা গেল। মনটা বড়ই খারাপ রে দোস্ত।’
হাজার মাথা খুঁড়েও দিশার তালাশ পাইনা। বেশী চিন্তা ভাবনা করলে আবার মধ্যরাতে অর্ধঘুমন্ত ব্রেইনে শর্টসার্কিট হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে।
‘দিশা কে? আমাদের সাথে পড়তো নাকি?’
‘ধুস্‌- তোর সাথে কথা বলে আরাম নাই। সবকিছু আঁটি ভেঙ্গে বলতে হয়। আরে, সিক্সটি নাইনের দিশা। যার ক্যান্সার ধরা পড়েছিল।’
আমি আবার সত্তুর হাত পানির নীচে। সিক্সটি নাইনের দিশা মানে কি? সিক্সটি-নাইনের ব্যাচ নাকি ফজলুল হক হলের রুমনাম্বার সিক্সটি-নাইন?
‘তোর কথা ঠিক বুঝলাম না। আর একটু খুলে বল।’
‘তোরাই হচ্ছিস দেশের আসল শত্রু।’ প্রবল জোরে ধমকে ওঠে ইয়াদ আলী।
‘আমেরিকায় এসেছিস বলে কি দেশের কোন খোঁজখবর রাখবি না? পুরা দেশ এখন দিশার জন্য মাতম করছে, আর তুমি শালা দিশার নামই শোন নাই। তোকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলী করে মারা উচিৎ। আরে- দিশা হচ্ছে সিক্সটিনাইন সিরিয়ালের একটা মেয়ে। আমরা সবাই ভাবছিলাম যে শেষপর্যন্ত মেয়েটা হয়তো বেঁচে যাবে। কিন্তু সিরিয়ালের রাইটার ব্যাটাতো একটা সীমার। ধপ করে মেরেই ফেললো মেয়েটাকে। হাতে ক্ষমতা থাকলে আমি ওই শালাকেও তোর সাথে একই ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলী করে মারতাম।’
ধমাস করে ফোন রেখে দেয় সে।

তারপর বেশ কিছুদিন ইয়াদ আলীর আর কোন ফোন আসেনি। বোধহয় তার রাগ পড়েনি এখনো।

ক্রিং-ক্রিং-ক্রিং!
‘হ্যালো।’ অনেকদিন পর মধ্যরাতের বন্ধুর ফোন এলো।
‘কিরে, এতো তাড়তাড়ি ফোন ধরলি? জেগে ছিলি নাকি?’
‘হ্যাঁ, একটু কাজ করছিলাম। কালকে প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তা তোর খবর-টবর কি?’
‘বেঁচে আছি এখনো, এইই খবর।’
‘কথা শুনে মনে হচ্ছে তোর মন খারাপ। আবার কোন সিরিয়ালের নায়িকা মরলো নাকি?’
‘সিরিয়াল সব বাদ দোস্ত। ডিশের কানেকশান কেটে দিয়েছি গত সপ্তাহে।’
‘সেকি কেন?’
‘ঝামেলা ভাল লাগে না।’
‘দেশী টিভি আবার কি ঝামেলা দিল?’
‘মহা ঝামেলা। টিভি দেখে বাচ্চারা গালি শিখে ফেলছে। ছোট মেয়েটা সেদিন দেখি মায়ের বকা খেয়ে বলছে, তুমি একটা হারামজাদী।’
‘বাচ্চারা গালিতো শিখবেই। দেশে থাকলে কাজের লোকের কাছে শিখতো।’
‘সেটা ঠিক। যাই হোক, বাচ্চাদের গালি শেখা নাহয় বকা ঝকা করে বন্ধ করলাম, কিন্তু আসল সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়।’
‘আসল সমস্যাটা আবার কি?’
‘কে আবার? তোর ভাবী। আমার বৌ।’
‘কেন-উনি কি বেশী বেশী টিভি দেখছেন নাকি?’
‘সেটা নাহয় বাদই দিলাম। টিভি দেখে সে যেটা করছে, তাতেই আমার কম্ম কাবার।’
‘কি রকম?’ আমারও একটু কৌতুহল জাগে। পরনিন্দা হচ্ছে পটেটো চিপসের মতো। একটা খেলে তারপর শুধু খেতেই হয়। থামার উপায় নেই।
‘আর বলিস না। বাংলা টিভিতে কোন মহিলার শাড়ী গয়না দেখেই সে সেটা কিনতে চায়।’
‘মহিলা মানুষ। একটু-আধটু শাড়ী-গয়নার প্রতি দুর্বলতা তো থাকবেই।’ আমি তাকে সান্ত্বনা দেই। ‘তোরতো সুবিধা আছে যে তুই দেশে নেই। দেশে থাকলে তো তোকে ধরে দোকানে নিয়ে যেতে পারতো। এখানে তো দেশের মতো শাড়ী-গয়নার অতো দোকান নেই। উনি যদি কিনতে চান তো তুই তাকে বলবি যে দেশে যখন যাবি তখন কিনে দিবি। তদ্দিনে উনি শাড়ী-গয়নার ডিজাইন ভুলে যাবেন।’
‘তোর সাথে কথা বলতে গেলেই এই কারণেই মেজাজ খারাপ হয় আমার।’ ওপাশ থেকে ইয়াদ আলী গর্জে ওঠে।
‘ওমা-আমি আবার কি দোষ করলাম? আমিতো তোকে ভাল বুদ্ধিই দিচ্ছি।’
‘তোর দোষ হচ্ছে যে তুই একটা গাধা। আর কোন কিছু না শুনে আগে কথা বলবি না।’
‘আচ্ছা-ঠিক আছে।’
‘এখনকার মহিলারা সব হাইটেক মানুষ। ধর-চ্যানেল আইতে একজন খবর পড়ছে। তার শাড়ীটি পছন্দ হোল বৌয়ের। তক্ষুণি সে ফোন তুলে ঢাকায় ফোন করবে। হয় মা নয় বোনকে। তাদেরকে না পেলে বান্ধবীকে। বলবে তাড়াতাড়ি যেন তারা টিভি খুলে চ্যানেল আই দেখে। ওই ডিজাইনের শাড়ীটি যেন ওইদিনেই কিনে ফেলা হয়। টাকা পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে দুই একদিনের মধ্যেই। গত ছয়মাসে এইভাবে তেইশটি শাড়ী কেনা হয়েছে, আর তিনটে ছোট গয়নার সেট। প্রতিমাসে বাংলা টিভি দেখার জন্যে পয়সা তো দিচ্ছিই, এর সাথে দিতে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ফোন বিল, আর শাড়ী-গয়নার দাম। আমার এখন গলায় দড়ি দেওয়া বাকী।’
‘ওরে বাবা- এতো দেখি সাংঘাতিক কায়দা।’
‘শালার গ্লোবালাইজেশন আমার সংসারের বারোটা বাজিয়ে দিল। তাই শেষমেশ টিভির কানেকশানই কেটে দিলাম। এখন গরুও নাই, গরুর গায়ের পোকাও নাই।’
‘হুমম-এটা ভালই করেছিস তাহলে। কিন্তু দোস্ত- প্রশ্ন আছে একটা। টিভির কানেকশান কাটার সময়ে ভাবী আপত্তি তোলেনি? সেটা ম্যানেজ করলি কিভাবে?’
ইয়াদ আলী এবারে হাসে। ‘কষ্ট হয়েছে, তবে চালাক মানুষের একটা উপায় আল্লাহ বের করে দেন।’
‘কি করলি বলনা?’
‘তিনসপ্তাহ ধরে বৌয়ের আড়ালে বাচ্চাদেরকে বাংলা গালি শেখাতে হয়েছে দোস্ত। বাংলা টিভি দেখে দেখে বাচ্চারা খারাপ হয়ে যাচ্ছে এই অজুহাতেই শেষ অবধি কাজ হোল। হাঃ-হাঃ হাঃ।’


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

জাহিদ ভাই ইজ ব্যাক!!!!!!!

খুব ভালো লাগল জাহিদ ভাই---
পড়তে পড়তে ভাবছিলাম গল্পটা কোনদিকে মোড় নেয়---
নাহ, ধরাই গেল না----

খুব খুবই ভাল লাগল----

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনেকদিন আগে লেখাটি শুরু করেছিলাম (যখন ই-মেইল এ্যাকাউন্ট আনলিমিটেড সাইজ ছিলোনা)। তখন বাংলা টিভি সবে দেখা যাচ্ছে আমেরিকাতে। আজ ভাবলাম, নতুন লেখা যদি লেখা নাই হয়, আধখ্যাঁচড়া গুলোকে শেষ করে ফেলি না কেন।
এই জাতীয় লেখা খুব বেশী আসে না মাথায়। আপনার ভালো লেগেছে তা জেনে খুশী হলাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_প্রজাপতি এর ছবি

হা হা হা , গল্পের শেষটা দারুন মজ়ার হয়েছে।
কয়েকদিন আপনার লেখা পাচ্ছিলাম না দেখে ভাল লাগছিল না।
সুন্দর হয়েছে আপনার রম্যরচনাটা।

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

মৃত্তিকা এর ছবি

চরম মজা পেলাম! এক্কেবারে "অ্যারাবিয়ান হর্স সুপার"!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক হাসলাম ভাইয়া। 'ইয়াদ আলী' তো জটিল লোক। খুব ভালো লাগছে।

/
রেশনুভা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমার ধারনা, এরকম ইয়াদ আলী সবার জীবনেই একটা থাকে, আমার জীবনে এমন একাধিক লোক আছে, যারা ফোন করেন, তারপর আর ফোন রাখতে চান না, রাত নাই, দিন নাই, হয়ত অফিসে বস আছি, ফোন বেজে উঠল। একবার ধরলে আধাঘন্টা বকবক করতেই থাকবে।

লেখাটা এত মাত্রায় জটিল রকমের ফাটাফাটি হয়েছে যে, অফিসে বসে পড়ে ফেলতে হল, একবার শুরু করেই বিধিবাম। আজকে ঠিক করেছিলাম, সচলে ধুকব না, হঠাৎ আমার স্ত্রীর মেসেজ আসল, জাহিদ ভাই লেখা দিয়েছে। শুনে তো আর থাকতে পারলাম না, পেজ লোডাচ্ছি, এর মাঝে মৃত্তিকার মেসেজ, "ভাইয়া, জাহিদ ভাই লেখা দিয়েছে"। আপনার জনপ্রিয়তা দেখে হিংসা করা উচিৎ কিন্তু পারি না, যতবারই পড়ি, চোখ চকচক করতে থাকে, তারপর মাথায় হাত দিয়ে ভাবি কতক্ষন, তারপর আবার পড়ি। আর হা হা হা করে বিকট শব্দে হাসতে থাকি। আড়ালে আবডালে থেকে অসাধারণ সব লেখা দিয়ে যেভাবে সবার মন জয় করে রেখেছেন, ইচ্ছাসত্বেও হিংসা করতে পারি না। আশা করব, আবার কিছুদিন নিয়মিত লেখবেন।

লেখা কোট করলাম না, লাইনের পর লাইন অসাধারণ, যেন প্রতিটি শব্দ যেন এক একটি অলংকার। হাসির লেখা লেখাযে কত কঠিন লিখতে গিয়ে বুঝেছি, পারি নি এখনও। ভালো থাকুন, আবারো লিখুন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

সাইফ কী ইয়াদ আলী বলতে আমারে বুঝাইলা? ঘন ঘন ফোন দিয়ে বক বক করি তাই হাসি
জাহিদ ভাইয়ের লেখা পড়ে আমিও প্রবল হিংসিত। কবে যে বড় হব আর এভাবে লিখতে শিখব !

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হো হো হো না বস, আপনার কথা কমু কিল্লাই? মিয়া, আপনার কী মনে হয় যে আপনার ফোন পাইলে আমি কথাএড়াইয়া ফোন থুইয়া দেই, হা হা হা। আপনে আমার বস মানুষ। আর পাগলের কী অভাব আছে চোখ টিপি এইখানে বেড়াইতে আইবেন যখন, তখন একদিন কথা কওয়ায় দিমু নে ইয়াদ আলীর লগে চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তানভীর [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া,
খুব এ ভাল হইসে... ইয়াদ আলীর জন্য শুভ কামনা রইল...

জাহিদ হোসেন এর ছবি

থ্যাংক ইউ আপনাদেরকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উড়াধুরা একটা লেখা... আপনার লেখা আমি সযত্নে এড়িয়ে চলি। কোনোদিন সময় করে বসে একবারে সব পড়বো, তাই। এই লেখাটায় কী মনে করে ঢুকেছিলাম... হাসতে হাসতে শেষ। চ্রম...

ফাহিম এর ছবি

হাসতে হাসতে শেষ... চলুক

=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মূলত পাঠক এর ছবি

দারুণ মজা পেলাম। ক'দিন আপনার লেখা না দেখে খালি খালি লাগছিলো।

একটা কথা মনে হলো গল্পটা নিয়ে। গল্পের শুরুতে মনে হচ্ছিলো এটা বন্ধুত্ব নিয়ে লেখা, কিন্তু আসল ব্যাপার তো দেখি অন্য। ফোকাসের এই শিফ্টটা একটু কেমন যেন লাগলো। তবে শিরোনামে ১ দেখে মনে হচ্ছে এটা হয়তো সিরিজ হতে চলেছে ইয়াদ আলীকে নিয়ে, সেক্ষেত্রে অবশ্য আলাদা কথা।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই লেখাটি শুরু করেছিলাম অনেকদিন আগে। আজ ভাবলাম শেষ করে ফেলি। ফোকাসের সাম্প্রতিক কোন শিফটের ফল নয় এই লেখাটি। আগেই বলেছি যে রম্য ধরণের লেখা আমার জন্যে কষ্টকর।
আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির প্রশংসা না করে পারছি না। শিরোনামের এক কোণায় গুঁজে দেওয়া সংখ্যাটিকে আপনি ঠিকই খেয়াল করেছেন। এই মুহুর্তে দীর্ঘ কোন সিরিজের প্ল্যান নেই, কিন্তু ভাবলাম যদি কোন রম্য ধরণের লেখা ভবিষ্যতে লিখি তাহলে নাহয় ইয়াদ আলী চরিত্রটির ঘাড়ে বন্দুক রেখে লিখে ফেলা যাবে। সেই রাস্তা খোলা রাখার জন্যেই এই প্রচেষ্টা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পুতুল এর ছবি

চমৎকার গল্প।
একেবারে বাস্তবের প্রতিচ্ছবি।
ভেবে দেখতে হবে আমার বন্ধু আছে নাকি।
কিন্তু ঠিভিতো নেই!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

ইয়াল্লা, এতো ভুক্তভোগীর লেখা মনে হচ্ছে। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিশা মরে নাইতো জাহিদ ভাই। মরেছে দিঠি। তিন নাম্বার বোন। দিশা, বড় বোন, হারায়ে গেছিলো, স্বেচ্ছায়। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ও-তাই নাকি? কাকে মারতে কাকে মারলাম তাহলে?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গল্প পড়ে মজা পেয়েছি। তবে আমার ঘ্যান ঘ্যান করার অভ্যাস। তাই একটু ঘ্যান ঘ্যান করার লোভ সামলাতে পারলাম না। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি শুরুতেই।

আমেরিকাতে দুশ্রেনীর প্রবাসী আছে। একদল আসে বিদ্যার জোরে, আরেকদল ভাগ্যের জোরে। এই গল্পে এইরকম দুই শ্রেনীর দুই বন্ধুর সর্ম্পকে এই পার্থক্যটা প্রকট করে দেখানো হয়েছে। এটা খট করে চোখে লাগে।

গল্পের "আমি" চরিত্রটি ইয়াদ আলীকে সহ্যই করতে পারে না। ইয়াদ আলী যা বলে তাতেই তার চরম বিরক্তি। শুরু থেকেই ইয়াদ আলী একটা ইনসেনসিটিভ ভেতো বাঙ্গালী। তাই গল্পের শেষে ইয়াদ আলী যখন ছেলে মেয়েকে গালি শেখানোর মত কান্ড করে বলে ঘোষনা দেয় তখন পাঠক হিসেবে আমি অবাক হইনা। ইয়াদ আলীরা তো এরকমই!

বরং মজা হতো যদি দু'বন্ধুই একইরকম মন মানসিকতার হত। দুজনে একজন আরেকজনকে আইকন হিসেবে দেখত। গল্পটা কেমন হত বলতে পারছিনা, তবে তখন পাঠক হিসেবে আমি চমকটা বেশী পেতাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনি যে মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়েছেন এবং তারপর মন্তব্য করেছেন, তাতে খুব ভালো লাগছে। লেখাটির ব্যাপারে দু একটা কথা বলি।
আসলে এই লেখাটির মূল চরিত্র কিন্তু ইয়াদ আলী বা 'আমি' না। কাহিনীর নায়ক আমেরিকাতে আসা বাংলা টিভি। ই্য়াদ আলী বাংলা টিভি দেখতে পেয়ে খুবই উত্তেজিত এবং আনন্দিত। তার আবেগটিকেই সে শেয়ার করছে 'আমি' চরিত্রের সাথে যে কিনা বাংলা টিভি নিয়ে মোটেই ইন্টারেস্টেড না। এই দুজন বিপরীত চরিত্রের মানুষের কথোপকথনটিকে আমি মজাদার করে লিখতে চেয়েছি মাত্র। এখানে বিদ্যাবান বা বিদ্যাহীনের কোন পার্থক্যকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়নি। ইয়াদ আলী কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে আসা একজন মানুষ।
যদিও 'আমি' চরিত্রটি মাঝরাতের ফোনকল পছণ্দ করছে না, কিন্তু সে তাই বলে ইয়াদ আলীকে দূরে সরিয়ে রাখছেনা। মামুন হক নীচে ফোন সাইলেন্ট করে রাখার যে বুদ্ধি দিয়েছেন সে পথেও কিন্তু 'আমি' চরিত্রটি হাঁটছেনা। সে মাঝেমাঝে ই্য়াদ আলীকে মিসও করছে। কারণটিও বলে দেওয়া হয়েছে কাহিনীতে। "আমি" চরিত্রটির কোন বন্ধু নেই বলে সে ইয়াদ আলীর মধ্যরাতের উৎপাতকেও খুশী মনে মেনে নিচ্ছে।

আসলে এতসব কথা বলাটাও বোধহয় ঠিক হচ্ছে না। আমি একটি লোক হাসানো লেখা লিখতে চেয়েছিলাম মাত্র। তাতে যদি সফল হই, তাহলে খুশী।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রতিটা মন্তব্য দেখে বিরক্ত লাগছে। সচলায়তন দেখি তেল দেয়ার আঁখড়া হয়ে গ্যাছে! ইয়ে, মানে...

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মামুন হক এর ছবি

মোর্শেদ ভাই এইটা একটা হাল্কা টোনের লেখা, ট্যাগই দেয়া আছে রম্য রচনা। তাই আমরা এইটার সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থ-সামাজিক -বৈষয়িক বিশ্লেষনে যাই নাই। ইয়াদ আলীর কাজ কামে আমিও বিরক্ত হইছি, বিশেষ করে মাঝ রাতে পর ফোন করা দেখে, আমি হইলে ফোন সাইলেন্ট করে রাখতাম। কিন্তু তাতে গল্প পড়ে আনন্দ পেতে সমস্যা হয়নি।
মাঝে মাঝে না প্যাঁচাইয়া হাসা ভালো হাসি
সচলায়তন তেলের আখড়া হয়নি, হবেও না, আপনি থাকতে আমাদের আর কোন চিন্তা আছে কন? দেঁতো হাসি আপনারে হাজার তেলেও কেউ গলাইতে পারব না, তেল দেওয়ার বা খাওয়ার পাব্লিক আপ্নে না বস।

অনিকেত এর ছবি

প্রতিটা মন্তব্য দেখে বিরক্ত লাগছে।

তোমার এই মন্তব্যটাও আমার খুব বিরক্তিকর মনে হল।

সচলায়তন দেখি তেল দেয়ার আঁখড়া হয়ে গ্যাছে!

এই কথাগুলোর ব্যাখ্যা চাইছি তোমার কাছে।
জাহিদ ভাইয়ের লেখা আমার ভাল লাগে। কেবল আমার নয়, এখানে অনেকেরই ভাল লাগে। সেইটা নিয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব প্রকাশভঙ্গী থাকতেই পারে। অন্যের কথায় না গিয়ে আমার নিজের কথাটা বলি। তোমার মন্তব্য পড়ার পর আমি আমার মন্তব্য আবার পড়লাম।আমি সাধারণতঃ এই ধরনের মন্তব্যের উত্তরে কিছু বলতে যাই না। তোমার মন্তব্যে তুমি ঢালাও ভাবে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করেছ।কাজেই আমার মন্তব্যের ঠিক কোন অংশে জাহিদ ভাইকে 'তেল দেয়া' হয়েছে একটু ব্যাখ্যা করবে কি?

তোমাকে আমি যতটুকু দেখেছি, তুমি বেশ ঠান্ডা মাথার লোক। তোমার এই আজকের মন্তব্যটা তোমার একটা 'বাজে দিন কাটা'-র বহিঃপ্রকাশ বলেই ধরে নিচ্ছি। আমি খুশি হব আমার এই ধারণা ভুল প্রমানিত না হলেই।

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কদিন আগে জাহিদ ভাইয়েরই একটা গল্প ভালো লাগেনি, সেটা জানাতে আমার কোনো অসুবিধা যেমন হয়নি, তেমনি যেটা ভালো লাগে সেটা জানাতেও কোনো অসুবিধা হয়না কখনো...

এইতো সেদিন সিরাতের একটা লেখাতেই প্রচুর সমালোচনা হলো... এরকম প্রায়ই হয়...

এমনকি আপনার এই মন্তব্যেরও কিন্তু সমালোচনা হচ্ছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই প্রসংগটি নিয়ে আমি আর কিইবা বলবো? তবে সাধারণতঃ পাঠকেরা যখন কোন লেখা পড়ে ভালো লাগে তখনই তারা লেখাটিতে মন্তব্য করেন। ফল হিসেবে বেশীর ভাগই মন্তব্যই তাই ভালো কথাই বলে। এ ব্যাপারে কিছুদিন আগে মূলত পাঠক এবং আমি লিখেছিলাম যে আমরা যেন আমাদের ভালো না লাগার কথাটিও লিখি।
আমি খুবই ভাগ্যবান যে এইরকম একটা ভালো প্ল্যাটফর্মে আমি লিখতে পারছি এবং আপনাদের অনেকেই আমাকে তাদের ভালো লাগার বা না লাগার কথাটি নিঃসংকোচে জানিয়েছেন। এটুকু পাই বলেই হয়তোবা কাজের ফাঁকে একটু সময় চুরি করে দুকলম লিখি। আমি চিরকালই লেখার খাতা সুটকেশে পুরে রাখা ধরণের লোক।আপনাদের দেওয়া সাহস পেয়েই না লেখাগুলোকে পোস্ট করি।
যাকগে-সচলা্য়তনে যে কোন কিছু নিয়েই মুক্ত আলোচনার পক্ষপাতী আমি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যতোটুকু বুঝি, মুর্শেদের বক্তব্য আক্ষরিকভাবে নেয়ার দরকার নেই। একদা এক মরমী সূফি বলেছিলেন, সচলায়তনে নাকি আমরা একে অপরের পিঠ চুলকিয়ে দেই। সেটা একটা প্রবাদ হয়ে ঢুকে গেছে আমাদের মাঝে। এই যেমন, আমি আর হিমু ব্যক্তিগত কথা বলার সময়েও এক পর্যায়ে বলে বসি, "চল দোস্ত, একটু পিঠ চুলকাইয়া আসি।"

ব্যাপারটা মানে এই না যে, আমি হিমুকে দেখেই নিজের পিঠটা পেতে দিবো আর ও ভালো মানুষের মতো সেটা চুলকে দেবে। ঘটনাটা হলো, "চল এইবার একটু ব্লগায়া আসি।" মানে ফ্রেণ্ডলী ব্লগিং আরকি!

আমার ধারণা, মুর্শেদ ঐ রকমই কিছু একটা বুঝাতে চেয়েছে। নেগেটিভ কোনো অর্থে নয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

- যতোটুকু বুঝি, মুর্শেদের বক্তব্য আক্ষরিকভাবে নেয়ার দরকার নেই।

আমার ধারণা, মুর্শেদ ঐ রকমই কিছু একটা বুঝাতে চেয়েছে। নেগেটিভ কোনো অর্থে নয়।

ধু গো, এইগুলো তো তোমার ধারণা, তাই না?

মুর্শেদ নিজে থেকে ব্যাপারটা পরিষ্কার করলে ভাল হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পরিষ্কার করছি নীচে পৃথক মন্তব্যে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিকেত এর ছবি

জাহিদ ভাই,

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার এই লেখায় নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক ভাবে একটা স্থুল বিতর্ক টেনে নিয়ে আসার জন্য।

আমি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থী।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বির্তক আপনি টানেননি আমি টেনেছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনুরাধা বসু এর ছবি

আমি বাইরের মানুষ। পাশ থেকে দেখা পর্যবেক্ষনের কথা বলি।

কিছুদিন আগে সচলায়তনের মন্তব্যে পারস্পরিক পিঠ চাপড়ানি বিষয়ে একটা মন্তব্য করেছিলাম। কারণে-অকারণে আহা-উহু, কুর্নিশ করার ইমো, বস-গুরু বলা, লক্ষ-কোটি তারা বিতরণ সত্যিই চোখে লাগে (বিরক্তও লাগে বৈকি)। কেউ ভাল লিখলে পিঠ চাপড়ে দেওয়া অবশ্যই উচিত। কিন্তু সচলে সেটা মাত্রা অতিক্রম করে গেছে। কিছুদিন আগেও এতটা ছিল না। এই ধারাটি বদলান প্রয়োজন লেখকদের স্বার্থেই। আমার কথায় আহত বোধ করার আগে একটু ভেবে দেখবেন কি?

মাহবুব মুর্শেদ তেল দেওয়া বলতে সেটাই মিন করেছেন কি না, জানি না।

মামুন হক এর ছবি

অনুরাধা দাদা, আপ্নে ধর্মেও আছেন জিরাফেউ আছেন। আঁতেল জগতের বিস্ময় আপনি, কেউ আপনার পীঠ চুল্কায় না বলে মনের দুঃখে ছদ্মবেশে চলে গেছেন।
আপনি ছদ্মবেশ ছেড়ে নিজে নামে কিছু লেখেন, পীঠ চুল্কায়ে দেব, তবে অবশ্যই হাতে গ্লাভস পড়ে।

অনুরাধা বসু এর ছবি

সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে উদ্ভট মনগড়া কথা বলে আমার বক্তব্যকেই আরো পোক্ত করে দিলেন, মামুন ভাই (মামুন আপাও বলা যায়, অনুরাধা যদি ভাই হতে পারে)। ব্যাক্তিগত অক্রমণ করে আপনি যেই কথাগুলি বললেন, সেই গুলি যে ভিত্তিহীন না, তা দয়া করে প্রমান করবেন?
'আপ্নে ধর্মেও আছেন জিরাফেউ আছেন' - এর মানেই বুঝলাম না।
'আঁতেল জগতের বিস্ময় আপনি' - ২-৩ টা মন্তব্য লিখেই?
'কেউ আপনার পীঠ চুল্কায় না বলে মনের দুঃখে ছদ্মবেশে চলে গেছেন' - আমি কি সচলায়তনে লিখি যে পিঠ চুলকানির আশা করব? আমি ছদ্ম বেশে কোথায় গেছি? তার আগে কোথায় ছিলাম? আপনার এই কথা কি অনুমাণনির্ভর নাকি প্রমান আছে? প্রমান থাকলে তা প্রকাশ করার অনুরোধ জানাই। না হলে এই কথাকে প্রলাপ ভাবা যাবে না কেন, তা কি জানাবেন?
'আপনি ছদ্মবেশ ছেড়ে নিজে নামে কিছু লেখেন, পীঠ চুল্কায়ে দেব, তবে অবশ্যই হাতে গ্লাভস পড়ে' – সচলায়তনে কখনো পোষ্ট লিখলে আমি আমার আসল নাম অনুরাধা বসু ব্যাবহার করে লিখব। তখন গ্লাভস ছাড়াই আমার পিঠ চুলকাতে পারবেন। কারন আমি পিঠে ছোয়াচে রোগ প্রতিষেধক মেখে নেব।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই ধরনের আপত্তিকর আচরন গ্রহনযোগ্য নয় মামুন ভাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিকেত এর ছবি

অনুরাধা,

আপনাকে বাইরের মানুষ হয়ে বসে থাকতে তো কেউ বলছে না।
নির্দ্বিধায় ভেতরে চলে আসুন।লিখুন।আলোচনা করুন।
সেটা না করে আপনাকে বিভিন্ন জনের লেখায় মন্তব্য করতে দেখি যে গুলো আপনার মতে 'গঠনমূলক' সমালোচনা।খুব ভাল কথা। সমালোচনা অবশ্যই করবেন। একই সাথে নিজে কোন লেখা না দিয়ে নিজেকে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচিয়ে রেখে ঘোরাফেরা করার যৌক্তিকতা কতটুকু---সেইটা আপনাকে ভেবে দেখতে বললাম।মন্তব্য করার মত সাহস যখন সঞ্চয় করেছেন, লেখার সাহস ও সঞ্চয় করে ফেলুন।

কেউ ভাল লিখলে পিঠ চাপড়ে দেওয়া অবশ্যই উচিত। কিন্তু সচলে সেটা মাত্রা অতিক্রম করে গেছে। কিছুদিন আগেও এতটা ছিল না।

দুইটা প্রশ্ন--- আপনার মতে 'পিঠ চাপড়ে' দেবার সঠিক মাত্রাটা ঠিক কোথায়? এবং কী কী ইমোটিকন ও কত লক্ষ তারা 'কম' দিলে সেটা মাত্রার মধ্যে পড়বে বলে আপনার মনে হয়? দয়া করে ব্যাখ্যা করুন।

মাহবুব মুর্শেদ তেল দেওয়া বলতে সেটাই মিন করেছেন কি না, জানি না।

সেইটা আমিও জানিনা, এবং আমি তার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি।

আপনাকে শুভেচ্ছা।

অনুরাধা বসু এর ছবি

সমালোচনা করলে সচলায়তনে সবাই এমন তেড়ে-ফুড়ে আসে কেন? প্রতি-মন্তব্য এত আক্রমনাত্মক বা ব্যাঙ্গাত্মক হয় কেন? এর পরে বলা হচ্ছে ‘নির্দ্বিধায় ভেতরে চলে আসুন’। সহজ ভাষায় বিতর্ক করার পথ বন্ধ করে দিয়ে ‘আমন্ত্রন’ জানানো! বাহ্!

আমার কোনো মন্তব্যকে আমি ‘গঠনমূলক’ নাম দিই নি। অতএব ইনভার্টেড কমা ব্যবহার করে লেখা ‘গঠনমূলক’ শব্দটা আপনার মনের মাধুরি মেশানো।

সবাই লেখক হতে পারে না। ব্যর্থ লেখক নাকি সমালোচক হয়। ধরে নিন আমিও সেই রকম একজন। যদিও আমি নিজেকে সাধারণ মন্তব্যকারি হিসাবে ভাবতেই ভালবাসি। মজার কথা এই যে কখনো শুনিনি লেখক সমালোচককে বলছে, তুমিও লিখে দেখাও না হে!

‘আপনার মতে 'পিঠ চাপড়ে' দেবার সঠিক মাত্রাটা ঠিক কোথায়? এবং কী কী ইমোটিকন ও কত লক্ষ তারা 'কম' দিলে সেটা মাত্রার মধ্যে পড়বে বলে আপনার মনে হয়?’ – প্রশ্ন দুইটা খুবই খেলো এবং শিশুতোষ, তা আপনিও জানেন। তাই উত্তর দেওয়ার দরকার বোধ করছি না।

অবশেষে অনেকের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, সচলায়তন নীরবে পড়ে যাব। আপনাদের আর আমার ঠোঁটকাটা অপ্রিয় কথা শুনতে হবে না। ভাল থাকবেন সবাই।

অনিকেত এর ছবি

সমালোচনা করলে সচলায়তনে সবাই এমন তেড়ে-ফুড়ে আসে কেন? প্রতি-মন্তব্য এত আক্রমনাত্মক বা ব্যাঙ্গাত্মক হয় কেন?

হা হা হা , হাসালেন শ্রীমতি বসু!

আপনি নিজে সমালোচনা করবেন---কিন্তু আপনার সমালোচনা করা যাবে না??

সেটা করলেই বুঝি 'আক্রমনাত্মক' বা 'ব্যাঙ্গাত্মক' হয়ে যায়??

সহজ ভাষায় বিতর্ক করার পথ বন্ধ করে দিয়ে ‘আমন্ত্রন’ জানানো! বাহ্!

আপনাকে তো বিতর্ক করার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়নি। কোন কিছু নিয়ে আপনার বলার থাকলে অবশ্যই বলবেন। কিন্তু মন্তব্য করলে প্রতি-মন্তব্য পাবেন--এইটা আশা করেই তো পথে নামা উচিত। এবং যে সুরে আপনি কথা বলবেন--অপর পাশ থেকে তারই কাছাকাছি সুরে প্রত্যুত্তর আসবে---সেইটাই কি স্বাভাবিক না??

সবাই লেখক হতে পারে না। ব্যর্থ লেখক নাকি সমালোচক হয়। ধরে নিন আমিও সেই রকম একজন।

--না না না --এইভাবে ধরে নিতে আমার বাঁধছে!! আপনি লিখুন। তারপর আমরা পড়ে রায় দেব আপনি ব্যর্থ কি ব্যর্থ না, ঠিক কোন জিনিসটা আরেকটু উন্নতি করলে ভাল হয় ইত্যাদি হাসি ---ঠিক যেমনটি আপনি অন্য সবার লেখায় গিয়ে করে থাকেন। অবশ্য আপনি কাউকে ব্যর্থ লেখক বলে ঘোষনা দেননি বলেই জানি।

অবশেষে অনেকের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, সচলায়তন নীরবে পড়ে যাব। আপনাদের আর আমার ঠোঁটকাটা অপ্রিয় কথা শুনতে হবে না।

হা হা হা ---দয়া করে আবার এই কথাগুলো পড়ে দেখুন তো আপনার কাছে 'খেলো এবং শিশুতোষ' ঠেকে কি না? এইটা অনেকটা বাচ্চাদের মত ঝগড়া হয়েছে বলে ঠোঁট ফুলিয়ে 'আর খেলব না' বলা!!

যত হাস্যকরই হোক, আমি ধরে নিচ্ছি আপনার এই কথা সিরিয়াস ভাবেই বলেছেন। এবং আমার বা আমাদের মত কারো মন্তব্যের ভয়ে (!) সচলায়তন ছেড়ে চলে গেলে সত্যি দুঃখ পাব।

আমি যদি আপনার মনঃকষ্টের কারণ হয়ে থাকি--তার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এইবেলা একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি। কেউ যদি এই তর্কাতর্কির কারণে সচলায়তন ছেড়ে চলে যান, তাহলে জনাব ইয়াদ আলী গভীর রাতে ফোনে তাকে যারপরনাই হেনস্তা করবে। তখন কেঁদে কুল পাবেন না কিন্তু হ্যাঁ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

s-s এর ছবি

আপনার গল্পটা পড়ে যতটা না হাসলাম তার থেকেও বেশি জোরে হাসলাম এই মন্তব্যে:)

সমুদ্র [অতিথি] এর ছবি

শুরুটা সেইরকম, মাঝেরটুকু একটু দীর্ঘ মনে হইছে, শেষে এসে ভালোই লাগলো। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার কাছে খুবই মজা লাগল লেখাটা। হো হো হো
অনেক বড়ো হলেও একটানে শেষ করে ফেললাম। দারুণ লেখা।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখা পড়তে পড়তে এইমাত্র ঝাড়ি খেলাম আমি বাসায়।
কারনঃ

‘ধুস্‌- তোর সাথে কথা বলে আরাম নাই। সবকিছু আঁটি ভেঙ্গে বলতে হয়। আরে, সিক্সটি নাইনের দিশা। যার ক্যান্সার ধরা পড়েছিল।’

এটা পড়ে ঘর কাপিয়ে হাসলাম তাই।

তাই আপনার এই লেখাটা ভাল্লাগলোনা। ভবিষ্যতে এমন লিখবেননা। আপনি সিরিয়াস ভঙ্গিতে সিরিয়াস লেখা দিবেন, তাইলে আমারো আর ঝামেলায় পড়তে হবে না।

(এই 'পিঠ না চুলকানী'মূলক মন্তব্য পড়ে অনুরাধা আপা'র হাসিমুখ কল্পনা করে আমার দিলডা গার্ডেন গার্ডেন হয়ে যাচ্ছে)

জাহিদ হোসেন এর ছবি

খুবই দুঃখিত যে আমার কারণে আপনি ঝাড়ি খেলেন। তবে গুডনিউজ আছে একটা। আমি সাধারণতঃ রম্য ধরণের লেখা খুব একটা লিখতে পারিনা। অতএব খুব শিগগীর আর ভয়ের কোন কারণ নেই।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

...অসমাপ্ত [অতিথি] এর ছবি

এই লেখাটা পড়েছি আরো ৫ ঘন্টা আগে। এরপর সচলে আপনার পুরানো লেখাগুলোর কয়েকটা আর সেখান থেকে পাওয়া লিংক হয়ে সামহোয়ারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিরিজের পুরোটা পড়ে এলাম। ছুটির দিনে আরো অনেক কাজ করার ছিল কিন্তু সব কিছুকেই অপেক্ষায় রেখে এতক্ষণ মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

বেশ কিছুদিনের মধ্যে এতখানি মুগ্ধতা নিয়ে কিছু পড়েছি-কিনা মনে পড়ছে না।

পাঠকের মুগ্ধতা জানবেন। আর অনেক ভাল থাকুন।

...এতদিন কেমন করে যে এমন চমৎকার লেখাগুলো থেকে আড়ালে ছিলাম, আফসোস। খুব শিগগীরিই আপনার অন্য লেখাগুলোও পড়ে ফেলব।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

দারুণ... হাসি

কোথায় যেন মন্তব্য দেখলাম, আপনি শীতনিদ্রায় যাচ্ছেন।
না গেলে হয় না ! সেটা এমন কোন ভাল জায়গা না !! হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

প্ল্যান তো অনেককিছুই করি, শেষপর্যন্ত অন্যরকম হয়ে যায় সবকিছু। দেখা যাক কি হয়।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

হাসিব এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সমালোচনার মাত্রা নিয়ে এই থ্রেডগুলো একটু অপ্রাসঙ্গিক পথে চালিত হচ্ছে বলে মনে হয়। মূল লেখার উপরেই আলোচ্য সীমিত থাকা উচিত। বিশেষ করে জাহিদ ভাই নিজে যখন সমালোচনার প্রতি খুবই উদার এবং উন্মুক্ত, তখন এই ভুল বোঝাবুঝি না হওয়াই ভালো।

*

মুর্শেদ ভাইয়ের পর্যবেক্ষণ আরও কেউ কেউ প্রকাশ করেছেন এর আগে। হয়তো এই লেখাটা তাঁর ভালো লাগেনি, অন্যদের লেগেছে, এবং সে-কারণেই তিনি এই পোস্টে এই "ট্রেন্ড" নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আমি যতটুকু বুঝলাম, অনুরাধা দি'ও সেই "ট্রেন্ড"-এর ব্যাপারেই বলেছেন, এবং খুব নমনীয় ভাবেই বলেছেন। তাঁর মন্তব্যের জবাবগুলো তাই আরেকটু কম ধারালো হতে পারতো।

আমার ভালো লেগেছে লেখাটা এক টানে পড়ে যেতে পেরেছি তাই। ক্লান্ত অবস্থায় হালকা চালের একটা লেখা খুঁজছিলাম, পেয়ে ও পড়ে ভালো লেগেছে তাই ভালো বলেছি। নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যাওয়ায় লেখাটার কিছু জায়গায় আমি প্রাণ খুলে হেসেছি। এই হলো আমার ভালো লাগার ব্যাখ্যা।

*

মন্তব্য মূলত প্রশংসামূলক হওয়ার সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যাটা সম্ভবত অনিকেত দা দিয়েছিলেন। মন্দ লাগলে সব সময় প্রকাশ করা হয় না দেখে ভালোটাই চোখে পড়ে বেশি।

তবে, আমি এই কথার সাথে একমত নই যে সমালোচনা করতে হলে নিজেকেও লিখতে হবে। এভাবে বললে আমার তো অধিকার নেই কোনো কবিতায় "ভালো লাগলো না" বলার।

*

সার্বিক বিবেচনায়, ভালো মন্তব্য বেশি দেখা যাওয়ার ব্যাপারে মুর্শেদ ভাই ও অনুরাধা দি'র মন্তব্যের পর আমি আরেকটু সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া আশা করছিলাম। একটা লেখা (বা কোনো ট্রেন্ড) কারও ভালো না লাগতেই পারে। সেটার প্রকাশ ঘটলে তা একটু সহনশীলতার সাথে দেখা উচিত।

অনিকেত এর ছবি

আমি এই কথার সাথে একমত নই যে সমালোচনা করতে হলে নিজেকেও লিখতে হবে।

এটা ঠিক বলেছ।

আমি দুঃখিত এই রকম একটা মন্তব্য করে ফেলার জন্যে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্যাপার্না। কত ভুল্ভাল ডেইলি বলি... পার্ট অফ লাইফ... দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জাহিদ ভাইয়ের এই লেখা যথেষ্ট ভাল হয়েছে। আমি নিজে এতে পাঁচ দিয়েছি। কিন্তু প্রত্যেক লেখা দেখার দৃষ্টিকোন থাকে। সেই দৃষ্টিকোন থেকে পজেটিভ মন্তব্য কিন্তু লেখককে সাহায্য করে আরো ভাল কিছু লিখতে। সচলায়তনে সবাই এত ভাল লিখেন যে, "খুব ভালো হইছে" টাইপ মন্তব্য রিডানডেন্ট।

সচলায়তন নিয়ে একটা বড় অভিযোগ হল এখানে সমালোচনা হয়না। প্রতিটা পোস্টে আহা উহু মার্কা মন্তব্য দেখে আমারও তাই মনে হচ্ছে। সম্প্রতি সচলায়তনের মডারেটরদের মধ্যে থেকে সমালোচনা উৎসাহিত করার কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা আলোচনা হয়। কিন্তু সেটাও তেমন লাভজনক হবে না যদি পাঠকেরা সমালোচনা না করেন।

এই ট্রেন্ডটা ভাঙ্গা দরকার। আমি আগ বাড়িয়ে আপনাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে আপনাদের চক্ষুশূল হতে রাজি আছি যদি আপনাদের এই মুগ্ধতা কাটে। যত ভালই লাগুক সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে দেখুন। এতে আমাদের সবার লাভ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিকেত এর ছবি

তুমি তোমার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছ দেখে খুশি হলাম।

যত ভালই লাগুক সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে দেখুন।

তার মানে কি এই দাঁড়াচ্ছে যে সমালোচকদের কাজ হল দোষ খুঁজে বের করা? ভাল কিছু বলাটা সমালোচনার মধ্যে পড়ে না?? হয়ত তুমি বুঝাতে চেয়েছ নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার কথা---তাই কি?

সম্প্রতি সচলায়তনের মডারেটরদের মধ্যে থেকে সমালোচনা উৎসাহিত করার কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা আলোচনা হয়।

আমার ধারণা ছিল এইসব কথা জানানোর দায়িত্ব তোমার না---আমাদের সাত রঙ্গা মডুদের। যতদূর মনে পড়ছে---এই নিয়ে আগেও প্রচুর বাহাস হয়েছিল এবং তখন তুমি তোমার একাউন্টের নীচে লিখে রাখতে যে এইটা কোন মডু'র একাউন্ট না। তাই যদি হয়---তাহলে মডূদের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তোমার মন্তব্য করা ঠিক হল? তুমি তাহলে আবার মডু? বুঝলাম না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রথমতঃ আমাকে তুমি ডাকছেন কিসের ভিত্তিতে সেটা পরিষ্কার হল না।

অনিকেত লিখেছেন:
তার মানে কি এই দাঁড়াচ্ছে যে সমালোচকদের কাজ হল দোষ খুঁজে বের করা? ভাল কিছু বলাটা সমালোচনার মধ্যে পড়ে না?? হয়ত তুমি বুঝাতে চেয়েছ নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার কথা---তাই কি?

সমালোচকের কাজ হচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী লেখকের কাছে তুলে ধরা। নতুন এক্সপেরিমেন্টে সন্ধান দেয়া। কিংবা লেখকের নতুন এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল জানানো। ভুল হলে শুধরে দেবার কথা জানানো। সমালোচকের দায়িত্ব আরো অনেক কিছুই হতে পারে। তবে এটুকু বলতে পারি সমালোচকের কাজ তেল মারা না।

অনিকেত লিখেছেন:
আমার ধারণা ছিল এইসব কথা জানানোর দায়িত্ব তোমার না---আমাদের সাত রঙ্গা মডুদের। যতদূর মনে পড়ছে---এই নিয়ে আগেও প্রচুর বাহাস হয়েছিল এবং তখন তুমি তোমার একাউন্টের নীচে লিখে রাখতে যে এইটা কোন মডু'র একাউন্ট না। তাই যদি হয়---তাহলে মডূদের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তোমার মন্তব্য করা ঠিক হল? তুমি তাহলে আবার মডু? বুঝলাম না।

প্রথমতঃ আমি মডারেটর সেটা জাহির করার জন্য কথাটা বলিনি। বিষয়টা যে বিরক্তির একটা কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা সচলায়তনের বাইরে সবাই বলছে এবং ভিতরেও এটা নিয়ে কথা চলছে সেটাই জানাতে চাচ্ছিলাম। তাছাড়া এই ব্যাপারটা মডারেটর ছাড়াও আরও কয়েকজন সচলকে জানানো হয়েছিল। তাই শুধু মাত্র মডারেটরদের মধ্যে বিষয়টা সীমাবদ্ধ নয়। এখানে যখন আপনার সাথে কথা হচ্ছে তখন আমি আমিই - মডারেটর নই।

আমি মডারেটর নই। এই অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে আপনাকে লক্ষ্য করে দেখতে বলি এই পোস্টে আপনার অতি-প্রতিক্রিয়শীলতার ব্যাপারটি। ইস্যুটি সহজ - "গঠনমূলক সমালোচনা সচলায়তনের জন্য খুব জরুরী।" আপনি কী এটার সাথে একমত? একমত হলে গঠনমূলক মন্তব্য শুরু করুন। আর রাজি না হলে যেরকম মন্তব্য করছেন সে রকম মন্তব্য চালু রাখুন। এতো ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন কেন বুঝতে পারছি না!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কুল ডাউন, ব্রাদার্স। দুই জনেই ইস্টার্ন টাইম জোনে আছেন। আর দু'ঘন্টা সংযম সাধন করুন কষ্ট করে। এত দ্রুত রোজায় ধরলে চলে? চোখ টিপি

আমি একটা অহেতুক ভুল বোঝাবুঝির আভাস দেখতে পাচ্ছি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি রোজা রাখি না। চোখ টিপি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিকেত এর ছবি

প্রথমতঃ আমাকে তুমি ডাকছেন কিসের ভিত্তিতে সেটা পরিষ্কার হল না।

এইটা আমার ভুল হয়েছে। আমি যতটুকু শুনেছি আপনি,হিমু, ধু গো এরা সবাই ব্যাচমেট। এবং যতটুকু আন্দাজ করেছি, আপনার সবাই আমার বয়েসে ছোট।আমি হিমু ধুগো এদের সবাইকে তুমি করে ডাকি--বয়েসে বড় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উদ্দিষ্ট ব্যক্তিরা অনুজপ্রতীম বলে। আমার মনে আছে, বেশ আগের একটা পোষ্টে আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলাম এই কথা যে, আপনি আমার বয়েসে ছোট তাই আপনাকে 'আপনি' বলে ডাকছি না আর। এখন মনে পড়ছে, আপনি সেইটার উত্তরে কিছু বলেন নি। আমার বোঝা উচিত ছিল তখনই।

সেটা ভুল হয়েছে। না চাইতেই অনেক অধিকার নিয়ে কথা বলে ফেলছি, সে জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

আপনার 'গঠনমূলক সমালোচনা' বিষয়ক বক্তব্য পড়লাম। এই নিয়ে আপনার সাথে আর বিতর্ক করার সাধ বা সাধ্য আমার অবশিষ্ট নেই।আর আমার রুচিও হয় না----কেন? সেটার জন্যে আপনাকে আপনার বক্তব্যের শেষ লাইনের দিকে একটু নজর দিতে বললাম।

আমি এই বিষয় নিয়ে আর কিছুই বলব না বলে মনস্থ করেছি। আপনার যদি মন চায়--- বলতে পারেন।

সবশেষে জাহিদ ভাইয়ের কাছে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই অনাকাংখিত পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যে।

ভাল থাকবেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

"তুমি" বলা নিয়ে কথাটা খুব বাজে হয়ে গেছে। ক্ষমা চাচ্ছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একজন মন্তব্য কেন দেয়? পড়ে ভালো লাগলে দেয়, কিংবা লেখককে উৎসাহ দেয়ার জন্য দেয়।

আমার অবজারভেশন হলো গড়পড়তা মন্তব্যগুলো লেখাটার বহিরাবরণ দেখে ভালো লাগা বা মন্দ লাগার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। মাহবুবের আগের একটা মন্তব্যেও আমি দেখেছি এই গড়পড়তা ধরনের মন্তব্যের বিপরীতে গল্পের গূঢ় ভাব নিয়ে মন্তব্য করতে। সত্যিকার অর্থে নিজে অধিকাংশ সময়ই গড়পড়তা ধরনের মন্তব্যে করে গেলেও মাহবুবের মন্তব্যেকে সমর্থন দিয়ে উপরে তুলে ধরছি। সবাই ব্যাপারটা নিয়ে পজিটিভলি ভাবুন।

সচলায়তনের সবাই এখন খুব কাছের বন্ধুর মতো। তাই এরকম মন্তব্য দিলাম। জাহিদ ভাইয়ের গল্প পড়তে ভালো লেগেছে। টিভির বিষয়টাই আমার কাছেও মুখ্য মনে হয়েছে। তবে শেষের প্যারাটা আমি বুঝতে পারিনি। (আমি অনেককিছুই একটু দেরীতে বুঝি)

হিমু এর ছবি

আসেন সবাই ঠাণ্ডা হই। রমজানের এই পবিত্র বাতাবরণে একটি পর্দানশীন প্রেমের মিঠে গান শুনি। ঝগড়া-ফ্যাসাদ মাস দুয়েক পরে আবার করবোনি। এখন শুধু পেম-পীতি-ভালুবাসা।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

রোজা-রমজানের দিনে হিন্দী সিনেমার গান? হে পরওয়ার-দেগার, এও আমাকে দেখতে হোল?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

আসমানী-মডু এর ছবি

অতিথি হলেন সচলায়তনের সম্মানিত পাঠক বর্গ। তারা কষ্ট করে আপনাদের লেখা পড়েন এবং মূল্যবান মতামত জানান। এদের মতামত আপনার বিপক্ষে গেলেই রূঢ় আচরন করতে হবে সেটা একদমই কাম্য নয়। সংবেদেনশীলতা পরিহার করে সম্মানের সাথে আপনার অতিথিদের মতামত গ্রহন/বর্জন করবেন এটাই কাম্য। এ বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এব্যাপারে আরও সর্তক থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

আহমেদুর রশীদ [অতিথি] এর ছবি

মডারেটরদের এই ধরনের বক্তব্যকে কংগ্রেটস॥

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এতক্ষণ বাইরে ছিলাম। এসে দেখি জল গড়িয়েছে অনেকটাই। তবে স্বস্থির কথা এই যে তাপমাত্রা এখন কমতির দিকে।
আমার কাছে একটু খারাপ লাগছে যে তর্ক-বিতর্কটি আমার আঙিনাতে হোল। তা যাক- তবে আশাকরি আমরা সবাই আবার আগের মতোই হয়ে যাবো।
যদিও আরো অনেকে বলেছেন একই কথা, মূল বিষয়টা কিন্তু হচ্ছে যে কোন একটি লেখা পড়ে পাঠকের মন্তব্য করা নিয়ে। এটা খুবই সত্য যে বেশীরভাগ পাঠকই যে লেখাটি পড়ে আনন্দ পান, সেখানেই মন্তব্য করেন। যে লেখাটি তার কাছে ভালো লাগেনা, সেখানে কোন মন্তব্যই করেন না (অনেক সময় হয়তো পুরো লেখাটিও পড়ে শেষ করেন না)। ফলে বেশীরভাগ মন্তব্যই হয় প্রশংসাসূচক, মাঝেসাঝে হয়তো কিছু পরামর্শ থাকে।
এটা কি ভালো? কোন কিছুই এ্যাবসল্যুটলি ভালো না।
তাহলে কি করা যেতে পারে? পাঠকেরা কোন লেখা পড়ে মন্তব্য করবেন বা করবেন না, আর মন্তব্য করলে সেটি কতখানি প্রশংসাসূচক হবে, সেটা কি আগে থেকে নির্ধারণ করা যায়? আমার মনে হয় যায় না।
আর সবাই কি ভালো সমালোচক? তাও মনে হয়না আমার।

তাহলে উপায় কি? উপায় বোধকরি আমাদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো। একটি লেখা পড়ে যদি ভালো লাগে, তবে তা আমাদের অবশ্যই জানানো উচিৎ। বিশেষতঃ যারা নতুন লেখক, তাদের জন্যে। নিজের ব্যাপারেই আমি জানি, এখানকার এবং সামহোয়্যারইনের অসংখ্য পাঠকের উৎসাহ না পেলে আমি এক লাইনও লিখতাম না (তাতে অবশ্য ক্ষতিবৃদ্ধি হয়তো হোত না তেমন)। গঠনমূলক সমালোচনা পাওয়া একজন লেখকের জন্যে রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার। তবে এ ব্যাপারে আমার মনে হয় যারা বেশ কিছুদিন ধরে লিখছেন তাদেরকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। আমি সবসময়ে করতে পারিনে এ কাজটি তবে আমি চেষ্টা করি কোন প্রশ্ন থাকলে সেটি তুলে ধরার। কালকেইতো পুতুলের একটি লেখা পড়ে মনে জন্মানো প্রশ্নটি করেছি তাকে। সেও তার উত্তর দিয়েছে। এমনভাবেই তো আমরা একে অন্যের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যাবো

যদি কোন লেখা পড়ে আমার কাছে ভালো লাগে আমি সে কথাটি লেখককে নির্দ্বিধায় জানাবো। সাথে যদি কোন উপদেশ/সমালোচনা থাকে, সেটিও।যে লেখা পড়ে আমার কাছে ভালো লাগে না, সেখানে আমি কোন ধরণের মন্তব্য বর্তমানে করিনা। হয়তো ভবিষ্যতে করবো।

আমাদের একটা কথা সব চেয়ে আগে মনে রাখা দরকার। যে শিশুটি টলমল করে তার প্রথম পদক্ষেপটি রাখে, তার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন উৎসাহ। সে পদচিহ্নে পারফেকশান খুঁজতে গিয়ে আমরা যেন তাকে চিরতরে হারিয়ে না ফেলি।

শেষে একটা কথা আরো বলি। ইয়াদ আলী তো দেখছি রীতিমতো কামেল লোক। প্রথম আবির্ভাবেই মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিল। দেখি এখন ঐ ব্যাটাকে দিয়ে ইলেকশন করানো যায় কিনা।

ভালো থাকুন সবাই।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

স্বাধীন এর ছবি

আমি সেইসব ভাগ্যবান মানুষের দলে নেই যাঁরা চাইলেই যে কোন ঘটনাকেই সুন্দর করে উপস্থাপন করে গল্পের আকাঁড়ে ফুঁটিয়ে তুলতে পারেন। তাই চার/পাঁচটা বই থেকে চোঁথা মেরে কিছু একটা দাঁড় করিয়ে দিই, সেটাও আবার কিছু মানুষ পড়ে থাকেন। তাঁদের প্রতি বড়ই কৃতজ্ঞ আমি। আমি মূলত পাঠক সেটা আমার প্রথম লেখায় উল্লেখ করেছি। বেশি আগ্রহ দেশ নিয়ে, তারপরেও পড়ার চেষ্টা করি সবই। সাহিত্যে মন্তব্য করার মতো যোগ্য হয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হয় না- তাই মাঝে মাঝে শুধু দেশ চিন্তা নিয়ে লেখাগুলোতে মন্তব্য করি।

সচলেই শুধু আসি, কারণ এখানাকার পরিবেশ। সচলদের মাঝে একধরণের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখেছি। অনেক লেখা বিতর্কিত হয়েছে, প্রচুর আলোচনা হয়েছে, কিন্তু ব্যক্তিবিদ্বেষ হয়নি কখনো। কিন্তু আজ একজন পাঠকের (অনুরাধা দি') মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মামুন ভাই এবং অনিকেত দা'র মন্তব্য আমার কাছে একজন সচলের মানে হয়নি বলে মনে হয়েছে। অন্তত আমি সচলের প্রতিটি মানুষকে আরো বেশি ধৈর্যশীল বলেই মনে করি। ঠিক সেরকম মাহবুব ভাইয়ের দ্বিতীয় মন্তব্যটিও ভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করা যেত বলেই মনে করি।

সচলের সকলকে একটি পরবারের মতই মনে করি। সবাইকে চেনা হয়নি, কিন্তু চেনা হয়ে যাবে ধীরে ধীরে লেখা এবং মন্তব্যের মাঝ দিয়ে। সচল পরিবার আরো বড় হোক এই কামনাই করি। ভাল থাকুন, সচল থাকুন।

হরেকৃষ্ন এর ছবি

প্রিয় জাহিদ সাহেব,
এ পর্যন্ত আপনার যত গুলো লেখা পড়েছি প্রায় সব গুলোই খুব ভাল লেগেছে, কোনটির গল্পের বিষয়বস্তু, কোনটির ঘটণার বর্ণনা। কম্পুটার জ্ঞ্যান সীমিত বলে এতদিন মন্তব্য দিতে পারি নাই, তবে আপনার ‘আয়ে না বালাম’ এ বেশ ক’দিন বুঁদ হয়েছিলাম। আপনার মনে না থাকলেও বহুদিন পর ইয়াদ আলি আপনাকে ইয়াদ করে তার নামের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। শুধু তাই নয় বার বার মধ্যরাতে আপনার লেখার বা ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটালে তো আমরা লেখাতে এই মজার চরিত্রটার সন্ধান পেতাম না। তবে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে ঘায়েল করতে সে যে ছলনার আশ্রয় নিয়েছে সেটা বেশ খারাপ লেগেছে; আপনি সেরকম চেয়ে থাকলে এতে সার্থক হয়েছেন। পরবর্তিতে আপনার পোটেটো চিপসের স্বাদ পাবার আশায় বসে রইলাম।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

'আয়ে না বালাম' লেখটি ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম। গানটি আমারও খুব প্রিয়। ইয়াদ আলীর গল্পের শেষটা নিয়ে আমি নিজেও বেশ ঝামেলায় ছিলাম বলেই লেখাটি বহুবছর ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। শেষে বাচ্চাকে গালি শিখিয়ে কোনমতে গোঁজামিল দিলাম আরকি। রম্য জাতীয় লেখাতে আমার বেশী আগ্রহ না থাকায় আবার কবে যে ইয়াদ আলীর আবির্ভাব হবে তা বলতে পারছিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মামুন হক এর ছবি

স্বাধীন ভাই, এইখানেই আমরা সবাই ধোকা খাইছি। ইদানীং সচলে কিছু ছদ্মবেশী লোকজনের আবির্ভাব হইছে যারা বিভিন্ন পোস্টে গিয়া নাম লুকাইয়া সমালোচনা করে। এরা নিজেদের নিকে লেখেনা, আর যেহেতু অতিথি স্ট্যাটাস আর নাই তাই বানোয়াট নাম দিয়া অন্যের পোস্টে গিয়া বমি করে দিয়ে আসে। এদের কমেন্ট পড়লেই বোঝা যায় যে এরা সচলের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে পরিচিত। সমালোচনায় আমার কোন আপত্তি নাই, আর সচলায়তনে চাটুকারিতা প্রতিরোধে আমি বরাবরই সক্রিয় ছিলাম। আমার আপত্তি হলো যদি নিজের নাম ধাম প্রকাশের ন্যুনতম সৎ সাহস না থাকে তাহলে নাম ভাড়িয়ে সমালোচনা কেন? এই লোকই আবার দেখা যাবে অন্য পোস্টে গিয়া ভাইরে সোনারে মামুরে মরহাবা মরহাবা ইত্যাদি বলে মাক্ষনের মতো গলে পড়ছে। আমি এই আত্ম প্রতারণা আর ছদ্মবেশে পীঠে ছুরি মারার ঘোর বিরোধী।

এই যে আদ্ধেক কল্পনা আর আদ্ধেক ধাঁধাঁ মিলিয়ে যে বানালো চতুর অনুরাধা , সে হয়তো ভাবছে আমরা সবাই গাধা, আর আমাদের হাত-পা-চোখ সবই বাধা, আর এই সুযোগে চলে তার বেসুরো গলা সাধা।

ঠিক কোন ধরনের রুচিবোধ থাকলে কেউ এক জনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পোস্টে এসে বলে এই সব পীঠ চুলকা চুলকি বিরক্তিকর? তারে এই প্রশংসা পুলিশির লাইসেন্স কে দিল? মডুরা দিয়ে থাকলে সেইটা একটা মারাত্মক বোকামী হইছে, আর সে নিজগুনে মোহিত হয়ে নিজ দায়িত্ব পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে উদ্যোগী হলে সে ভিন্ন কথা।

আমি কাউরে অযথা ব্যক্তিগত আক্রমণ করছি এর কোন নজির নাই, কোন সহ ব্লগারের উপ্রে অন্যায় হামলা হইলে তার জবাব দেই, অনেক সময় হয়তো বেশ কড়া ভাবে , এইটা একটা বদ অভ্যাস, কিন্তু দোষে গুনেই তো মানুষ।

হিমু এর ছবি

মামুন ভাই, আপনার বক্তব্যের আশঙ্কাটা বুঝতে পারছি, কিন্তু এক্সপ্রেশনটা যৌক্তিক মনে হয়নি। যেমন অভিযুক্ত "অনুরাধা বসু" আপনার উল্লেখিত প্যাটার্নের মধ্যে পড়েন কি না, সেটা বোঝা যায় না। তিনি এক পোস্টে সমালোচনা করলে আরেক পোস্টে প্রশংসা করতে পারবেন না, এমনও তো বাধা নেই।

নামধাম লুকানোর ব্যাপারটাও ঐচ্ছিক। সবাই তো নাম প্রকাশ করে লেখেন না। কারো কোনো বক্তব্যে আপত্তিকর কিছু পেলে প্রতিবাদ করুন বরং।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আবারো বলছি সচলায়তনে সমালোচনা করা হয় না সেটা আমি বিশ্বাস করি না। এর পক্ষে প্রচুর প্রমাণ সচলায়তনের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে।

মুর্শেদ লিখেছেন সচলায়তন নিয়ে একটা বড় অভিযোগ হল এখানে সমালোচনা হয়না। এই অভিযোগ কারা করছে? কোথায় করছে? জানতে পারলে ভালো লাগতো।

পাঠকের মন্তব্য কেমন হবে বা হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে?

প্রতিটা মন্তব্য দেখে বিরক্ত লাগছে। সচলায়তন দেখি তেল দেয়ার আঁখড়া হয়ে গ্যাছে! এই মন্তব্যটা অপমানকর মনে হয়েছে আমার কাছে। সমালোচনা উৎসাহিত করার জন্য এই পদ্ধতিটা সম্ভবত কার্যকর না। ভিন্নভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করা যেতো বলে মনে করি।

আর অনুরাধা বসুর মন্তব্যের জবাবে মামুন হকের মন্তব্যও ভালো লাগলো না। ছদ্ম নিকে লিখলেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কেন? তিনি ছদ্ম নিকে লিখছেন এটা কিভাবে প্রমাণিত?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আকতার আহমেদ এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত।
ছদ্ম নিকে লেখা নিয়ে মামুন হকের অভিযোগ করাটা আমারও ভালো লাগেনি। কারণ সচলে যে কেউ যে কোন নামে মন্তব্য করতে পারে। তাই শুধু অনুমান নির্ভর হয়ে কিছু বলাটা মনে হয়না যৌক্তিক।

এস এম মাহবুব মুর্শেদের করা মন্তব্যটাও আপত্তিকর এবং অপমানজনক মনে হয়েছে । "প্রতিটা মন্তব্য দেখে বিরক্ত লাগছে। সচলায়তন দেখি তেল দেয়ার আঁখড়া হয়ে গ্যাছে!" এই মন্তব্যে আমি আমার আপত্তি জানালাম।

মামুন হক এর ছবি

আমি তোদের দুইজনের সাথে কিছুটা এক মত। তবে 'যাচাই করা হয়নি' জাতীয় মন্তব্য প্রকাশের বিরোধিতা করি। এই সুযোগে সামু ব্লগের মতো ভুয়া নিক সর্বস্ব বর্ণচোরা অনেকেই পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে।
আর আমি অনুমান নির্ভর কথা বলছি এইটাও তো অনুমান নির্ভর। সব হাটে সব হাড়ি ভেঙ্গে গান্ধা করার অর্থ হয়না। তোরা বললেও আমি সেটা করব না।
এ নিয়ে আর কোন আলোচনায় যাব না।

মৃত্তিকা এর ছবি

আমি ছোট মুখে বেশী বড় কথা বলবোনা। শুধু বলবো, এখানে যারা লেখেন, ভালো বা খারাপ, নূতন বা পুরাতন, তাদের সকলেরই একটা সম্মান প্রাপ্য। আমরা যারা নব্য অতিথি বা পূর্ণ সচল অথবা যারা মডারেটর লেখক, তাদের সকলেরই উচিত পারস্পরিক সম্মান রক্ষা করে সমালোচনা ও মন্তব্য করা। উপরের মন্তব্যগুলো পড়ে ব্যথিত হলাম বলেই এই মন্তব্য করলাম।
ভালো থাকুন সবাই।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ইমেইল অ্যাড্রেস আর ফোন নাম্বার টা এইখানে দেন.. দেখেন ইমেইল আর ফোন দিয়ে আপনার জীবনও কেমন ভরপুর হয়ে ওঠে। হাসি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

অবাঞ্ছিত, আপনার কথাটার অর্থ বুঝতে পারি নি। একটু পরিষ্কার করবেন কি?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখাটা 'খুব' ভালো লাগলো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও থামতে হয় নি, পড়ার আগ্রহটা বজায় থেকেছে। শব্দচয়ন ও বাক্যবিন্যাসের কারণে উপভোগ্য হয়েছে। আর বক্তব্যের প্রকাশেও কোথাও জটিলতা সৃষ্টি হয় নি। রম্য লেখা হিসেবে এমন লেখাই আমার পছন্দ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাইয়েরা, মালিশ... মালিশ...!

পাবলিক খালি চান্স পাইলেই কাইজ্যা করবার চায়। আসেন ভাইসব, কাইজ্যা ফেলায়া রাইখা রোযা রমজানের দিনের বেলা হিমুর দেয়া গানটা দেইখা দিল ঠাণ্ডা করি আর ইফতারির পর এই গানটা শুইনা কয়েকটা পাক নাচি।

আমি মোটামুটি ভলিউম বাড়ায়া একলা ঘরে ঢাক্কিতাকিন কইরা নাচতাছি এই গান শুইনা। গানের কথা আগামথা কিছু বুঝিনা তো কী হইছে, নাচতে তো আর অসুবিধা নাই। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

এইভাবে বাচ্চাদেরকে দিয়ে গালাগালি করান কিন্তু ঠিকনা । বড় হয়ে জেনুইন গালি দিবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

বিতর্ক আমার ভালো লাগে। ঝগড়া না।
কিন্তু বিতর্কের সাথে ঝগড়াকে আমরা গুলিয়ে ফেলি প্রায়ই।
যুক্তি দিয়ে পরিমিত ভাষায় তর্ক করলে সেটা কিন্তু কমজোরি হয় না, সেই ধারে লোহাও কেটে যায়।
কিন্তু সাময়িক উত্তেজনার বশে নিয়ন্ত্রণহীন কথাতে সেই ধার তো আসেই না, বরং সেটা ভাঙ্গা কাঁচের টুকরোর মতো যার হাতে ধরা তাকেও কাটে, অন্যজনকেও কাটে।
আমরা বরং বিতর্কই করি... ঝগড়া না, কী বলেন?
সচলে আমরা সবাই মোটামুটি লেখকী মানসিকতার মানুষ। ভাষা নিয়েই আমাদের কারবার। আমাদের পারস্পরিক পরিচয় কিন্তু আমাদের লেখালেখির মধ্য দিয়েই, কিছু বাক্য আর শব্দের মাধ্যমে, সামনাসামনি কিন্তু ততটা না।
সেই ভাষাটাকে একটু সম্মান দেখাই আমরা!
আর গল্পের বিষয়ে বলি, জাহিদ ভাই খুব ক্ষমতাবান লেখক। কিন্তু নিজের অসীম ক্ষমতার একটা বিদ্যুৎঝলকের এক ঝটকায় যে গল্পটা নেমে আসে, সেটাই ছেড়ে দেন তিনি আমাদের সামনে। এই গল্পটা যদিও অনেকদিন ধরে লিখেছেন তিনি, তারপরও তাঁকে একটু সময় নিতে অনুরোধ করি যেকোনো লেখার ক্ষেত্রেই। একটা লেখা শেষ হওয়ার পর বার বার পড়ে নির্দয়ের মতো কাটাকুটি করে একটা পরিণত লেখা তুলে দিলে সেটা আরো অনেক ভালো ব্যাপার হয়।
আরো সরল করে বলি, স্রেফ মনের আনন্দে না লিখে একজন সিরিয়াস লেখক হিসেবে তিনি যদি উদয় হন, তাহলে সচলায়তন বাংলাসাহিত্যের একজন দুর্দান্ত গল্প লেখককে জন্ম দেয়ার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করবে! আমি তাঁর কাছে সেই সিরিয়াসনেসই আশা করি, স্রেফ মনের আনন্দে লেখা না। তবে কীভাবে লিখতে চান, সেটা জাহিদ ভাইয়ের অভিরুচি।
এই গল্পতে ইয়াদ আলির কাছ থেকে জীবনের বেদনার একটা মর্মান্তিক মোচড়ের আশা করছিলাম, ভাবছিলাম, এত হাস্যকর সব বাক্য বিনিময়ের পর লেখক ইয়াদ আলিকে দিয়ে এমন কিছু বলাবেন বা দেখাবেন যে ব্যথায় বুক অবশ হয়ে যাবে। পরে দেখছি সেটা হাস্যরসের দিকেই গেল। হাসিতেই যদি থাকি, তাহলে গল্পটা টেনে এত লম্বা করলাম কেন? মানে বিশাল আলাপের মধ্য দিয়ে যে ক্লাইমেক্সের দিকে এগিয়ে গেলাম, পাঠক হিসেবে আমি তাতে হতাশ। ইয়াদ আলির তুচ্ছ একটা সমস্যার হাস্যকর সমাধানের জন্য এতক্ষণ ধরে আমি গল্পটা কষ্ট করে পড়ি নি। আমার তৃষ্ণা কিন্তু মেটে নি। আমি চেয়েছিলাম আরো কিছু।
যদি নিছকই হাসির গল্প হয়, তাহলে আরো বেশ খানিক আগেই এই গল্প শেষ হয়ে যেতে পারত, এত সাধারণ একটা ক্লাইমেক্সের জন্য এত আয়োজন?
জাহিদ ভাই, একদম সরল রেখাতেই আপনার গল্পের সমালোচনা করছি, মনে যেন আবার কষ্ট নেবেন না ভাই। এটা দরকার। কারো ভেতর বাংলা ভাষার স্ফুলিঙ্গ দেখলে সেটা দিয়ে আগুন জ্বালাতে ইচ্ছে করে। নিজে ব্যর্থ লেখক, তাই অন্যকে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে মন চায়। আপনার গল্প পড়ি, প্রায় গল্পেই এক ধরনের অপরিণত ব্যাপার থাকে, প্রায় গল্পই একটি অসাধারণ গল্প হতে গিয়েও সাধারণ সাধারণ সমস্যার কারণে পা ফসকে পড়ে যায়।
আমার ধারণা, আপনি সেটা জানেন। আমার বুক অবশ করে দেবে, আপনার কাছ থেকে এমন গল্পের প্রত্যাশায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

জাহিদ হোসেন এর ছবি

মৃদুল ভাই-আপনার মন্তব্যে আমি কাত। এতখানি সময় এবং মনোযোগ দিয়ে আপনি আমার লেখা সম্পর্কে লিখেছেন, এতে আমি আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ। ইয়াদ আলী জাতীয় লেখা লিখতে আমি ভালো পারিনে বলেই এই জাতীয় লেখার ধারেকাছে ঘেঁষিনা সাধারণতঃ। আর লেখাটির শেষটি কি ভাবে করা যায় তা নিয়ে নিজের মনেই সন্দেহ ছিল অনেক। সে কারণেই কয়েক বছর ধরে পড়ে ছিল লেখাটি। খানিকটা ত্যাক্তবিরক্ত হয়েই কোনমতে গোঁজামিল দিয়ে শেষ করেছি তাই।
আমার অন্য লেখাগুলোর ভিতরে আপনি অসম্পূর্ণতার কথা উল্লেখ করেছেন। আমার ইদানিং কালের লেখাগুলো অণুগল্প ফরম্যাটে লিখতে গিয়ে প্রায়শঃই ছোটখাটো আকারে হয়ে গিয়েছে। এর কয়েকটাকে হয়তো আরো বড় করা যেতো। আপনার একটা কথা কিন্তু দারুণ সত্যি। একবার লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি আর সেই লেখাটিকে নিয়ে বসিনা কখনোই। হয়তো বসা উচিৎ। যদি সময় পান তাহলে আমার যে কোন একটি লেখার ব্যবচ্ছেদ করলে খুবই খুশী হবো।
আপনি আমার ভিতরে স্ফুলিংগ দেখতে পেয়েছেন। বড় ভালো লাগছে সে কথা জেনে। কখনো আগুন হতে পারবো কিনা জানিনে, তবে আলেয়ার মতোই দপ করে এক দু বার যদি জ্বলে উঠতে পারি তাতেই আমি সন্তুষ্ট।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যে। সপরিবারে ভালো থাকুন।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।