অণুগল্প-১৫। পাথর।

জাহিদ হোসেন এর ছবি
লিখেছেন জাহিদ হোসেন (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৭/২০০৯ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আই উইল গিভ ইউ দ্য বেস্ট রক, বেইবী। আই প্রমিস।’

কতকাল আগের কথা।
দু বছর আগে তাদের বিয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব হয়েছিল। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি আর অন্য আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে অনেক লোকের মেলা বসেছিল বাড়ীতে। সেদিন কিন্তু এই কথাটি মনে পড়েনি ইসাবেলার। কিন্তু আজ মনে পড়লো।

তার মানে বায়ান্ন বছর আগে কথাগুলো বলেছিল জ্যাক। ভালো নাম হ্যারিসন স্মিট, বন্ধুরা আদর করে ডাকতো জ্যাক। সেদিন সন্ধ্যেবেলা জ্যাক ইসাবেলাকে প্রপোজ করেছিল।
তখন জ্যাক সবেমাত্র গ্রাজুয়েট স্কুলে ঢুকেছে। হার্ভার্ডে জিওলজি পড়তে। ছাত্র মানুষ। পকেটে পয়সা ছিলনা তেমন। তাই খুব সরু একটা আংটির বেশী কিছু সে কিনতে পারেনি। হীরে-টিরে তো দূরের কথা, একটা কিউবিক জারকোনিয়াও ছিলনা আংটিতে।
ইসাবেলার একটু মন খারাপ হয়েছিল সেদিন। সেটা জ্যাকের নজর এড়ায়নি। দুহাতে ইসাবেলার হাত ধরে সে বলেছিল ‘জাস্ট ওয়েট, বেইবী। আই উইল গিভ ইউ দ্য বেস্ট রক।’

জ্যাক কি তখন জানতো যে সে মহাশূন্য প্রোগ্রামে নাম লেখাবে? তখন কি জ্যাক জানতো যে সে এ্যাপোলো স্পেসশিপে করে চাঁদে যাবে?

পাশের চেয়ারটি এতক্ষণ ফাঁকা ছিল। এবারে কে যেন এসে বসলো সেখানে। ইসাবেলা ঘাড় ঘোরালো। রাজ্যের গভর্ণর স্বয়ং এসেছেন। তার পাশের চেয়ারগুলোও ভরে উঠেছে নানা হোমরা-চোমরা লোকেদের দিয়ে। সিনেটর জুডি অ্যান্ডারসন, কংগ্রেসম্যান স্কট ক্রোগান, স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল মাইক ইম্যানুয়েল। অন্য কোণায় জ্যাকের ন্যাসার সহকর্মী কয়েকজনকেও দেখা যাচ্ছে।

অনেকেই ইসাবেলার দিকে হাত নাড়লো।

গীর্জাটি এখন মোটামুটি ভর্তি। এই শহরের একজন বিশিষ্ট নাগরিকের ফিউনারেল। অনেকেই এসেছে তাই। মৌমাছির গুঞ্জনের মতো নীচু স্বরে কথা বলছে সবাই।

ফাদার ম্যালকম উঠে দাঁড়ালেন মাইক্রোফোনের সামনে। গুঞ্জনটি আস্তে আস্তে থিতিয়ে গেল।
‘বন্ধুগণ-আজকে এই চমৎকার রোদেলা দিনে আমরা সবাই সমবেত হয়েছি আমাদের এক অতি প্রিয় বন্ধুকে শেষ বিদায় জানাবার জন্যে। সে মানুষটি হচ্ছেন অ্যালাবামার বীর সন্তান মহাশূণ্যচারী হ্যারিসন স্মিট, আমাদের প্রিয় জ্যাক। জ্যাক ছিলেন অ্যাপোলো-১৭ মিশনের একজন নভোচারী যিনি চাঁদের বুকে হেঁটে বেড়িয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে জ্যাক ছিলেন----।’

ইসাবেলার কানে আর কিছুই ঢুকছে না। তার মনে পড়ছে জ্যাকের চাঁদ থেকে ফিরে আসার দিনটির কথা। তখন প্রতিটি চান্দ্রমিশনই ছিল ভয়াবহ রকমের ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপদে পৃথিবীতে না ফেরা পর্যন্ত পরিবারের সবাই ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতো।

সবার সামনে ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল জ্যাক। ‘হাউ ইজ মাই স্কেয়ার্ড লিটল বার্বিডল?’

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে জ্যাক তাকে একটি ছোট্ট খাম দিয়েছিল। ‘তোমার জন্যে।’
‘কি আছে এর মধ্যে?’
‘মাই প্রমিস। দ্য মোস্ট এক্সপেনসিভ রক।’
‘তার মানে?’

খামের মধ্যে কড়ে আঙুলের নখের মতো ছোট্ট একটি পাথর। ধূসর রঙা, শুধু মাঝে একটু নীলাভ ফুটকি।

‘এটা কি, জ্যাক?’
‘চাঁদের পাথর। মুন রক। তোমার জন্যে নিয়ে এসেছি ইসাবেল।’
‘কিন্তু-।’
‘আমি জানি ইসাবেল যে কাজটি বেআইনি। চাঁদ থেকে আনা সব কিছুই ন্যাসাতে জমা দিতে হয়। আমি তা দিয়েছিও। শুধু এই ছোট্ট পাথরটা জমা দিইনি। তোমার জন্যে লুকিয়ে নিয়ে এসেছি।’

হাতের ছোট্ট পার্সে করে আজ ইসাবেলা সেই খামটি নিয়ে এসেছে। যে মানুষটি দিয়েছিল, সেইই আজকে নেই। এই পাথরের আর দাম কি রইলো তাহলে?
জ্যাক অনেকবারই তাকে বলেছিল পাথরটিকে একটা লকেট বানিয়ে গলায় পরতে। ইসাবেলা রাজী হয়নি।

‘কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তাহলে কি বলবো? থাক এটা এই খামের মধ্যেই থাক।’
‘জানো ইসাবেল, তুমি একদম আমাদের এই পৃথিবীর মতো, বিউটিফুল এ্যান্ড ইউনিক। স্পেসশিপে পৃথিবীর নীলচে-সবুজ রূপের দিকে তাকিয়ে মনে হোত, কেবল কি এখানেই প্রাণ আছে? অন্য গ্রহেও কি প্রাণ ছিল একসময়, যা এখন আর নেই।’
‘কে জানে? হয়তো অন্য গ্রহেও প্রাণ আছে কিন্তু সেটা হয়তো আমাদের মতো নয়।’

কফিনে শুয়ে থাকা জ্যাকের মুখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। মর্টিশিয়ান আর এমবামাররা খুব সুন্দর করে জ্যাককে তৈরী করেছে। জ্যাকের ইচ্ছেমতই তাকে পরানো হয়েছে ন্যাসার মনোগ্রামওয়ালা জ্যাকেট।

শেষবারের মত জ্যাকের মুখটিতে হাত রাখলো ইসাবেলা। ভারী ঠান্ডা, কিন্তু তারপরেও ইসাবেলার ভয় লাগলো না। কফিনের উপর নীচু হয়ে জ্যাকের কপালে চুমু খেলো ইসাবেলা। ফিসফিস করে বললো,‘গুড বাই, জ্যাক। কিপ দ্য সিট ওয়ার্ম ফর মি।’

কেউই খেয়াল করলো না যে ইসাবেলা সবার অলক্ষ্যে একট ছোট্ট খাম জ্যাকের কোটের পকেটে ঢুকিয়ে দিলো।

তিন সপ্তাহ পর প্রবল বৃষ্টি নামলো শহরে। অ্যালাবামার মনসুন এবার যেন একটু দেরী করে এলো। লোকজনেরা একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললো। প্রবল খরাতে লনের ঘাসগুলো প্রায় মরতে বসেছিল।

বৃষ্টি চললো এক নাগাড়ে ত্রিশ ঘন্টা। শহরের কিছু কিছু নীচু এলাকা ডুবে গেল পানিতে। তার মধ্যে একটি ছিল শহরের প্রধান সেমেটারীটি। পানিতে ডুবে গেল সবকিছু। মাটির নীচের কফিনগুলোতে ঢুকে পড়লো জল।

কত বিলিয়ন বছর পর কড়ে আঙুলের মতো ছোট্ট পাথরটি এই প্রথম পানির স্পর্শ পেলো। কত আলোকবর্ষ দূরে শুরু হয়েছিল তার যাত্রা?

জলের ছোঁয়ায় আস্তে আস্তে গলে গেল রুবিডিয়াম আর একটি নাম না জানা এলিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা নীলাভ ফুটকির মতো দেখতে ছোট্ট কৃস্ট্যালটি। মহাজাগতিক রশ্মি থেকে প্রতিরক্ষার আর কোন দরকার নেই এখন। আদি পিতারা জানতেন যে জলের অভ্যন্তরে থাকা মানে নিরাপদ।

কৃস্ট্যালের গহীনে ঘুমিয়ে থাকা ভাইরাস গুলোর এখন জেগে ওঠার সময় হোল। শুরু হোল পৃথিবী নামের গ্রহটিকে দখল করার যুদ্ধটি।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

শেষের দু লাইনের সাইফাই নিয়ে ভাবছিলাম এর কোনো দরকার ছিলো কিনা। তারপর মনে হলো এ সবে কী এসে যায়। এমন অসাধারণ গল্প আপনি যখন লিখেছেন তখন এর সমাপ্তি যা দিয়ে করুন, পাঠক হিসাবে সব ছাড় দিলাম। ভীষণ ভালো লাগলো। কারুকৌশলের ব্যাপার নয়, একেবারে ভেতরে ছুঁয়ে যাওয়া গল্প।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

শেষের অংশটুকু দোনোমোনো করে লেখা। পরে ভাবলাম, দেই ভাইরাসটাকেও ঢুকিয়ে দেই। ভাইরাস বলে কি আর ও মানুষ না? তাছাড়া লোকে বলে গল্পের শেষে ট্যুইস্ট থাকাটা নাকি ভালো। কল্পনার নৌকোকে পাহাড় পার করাটা এমন কঠিন কিছু জিনিস নয়।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনিসহ সবার কাছে প্রশ্ন, গল্পের শেষে ট্যুইস্ট থাকা কোন হিসাবে ভাল? এতে কি লেখকের ওপর অহেতুক একটা চাপ তৈরি হয় না? একইভাবে পাঠকও কি গল্প পড়তে পড়তে মূল অংশে মনোযোগ না দিয়ে ট্যুইস্ট নিয়ে ভাবতে থাকে না?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

খুবই যথাযথ প্রশ্ন।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই বিষয়ে আমার কোন প্রেফারেন্স নেই। আমার কাছে যে কোন একটি গল্পের প্রধান জিনিসটি হোল কাহিনী, তারপর হোল কিভাবে সেই কাহিনীটিকে বয়ান করা হয়েছে, এবং সবচেয়ে শেষে লেখাটির ভাষার গাঁথুনি কেমন। সবগল্পে কি ট্যুইস্ট থাকা উচিৎ? মোটেও না। অতএব পাঠক যদি প্রথম থেকেই গল্পে ট্যুইস্ট খোঁজার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তো মুশকিল। আর গল্পটি কেমন ভাবে লেখা হবে সেট‌াতো নির্ভর করে লেখকের উপরে। আর পাঠক? হয় সে গল্পটিকে ভালবাসবে, নতুবা আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেবে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রণদীপম বসু এর ছবি

ফিকশন ! মারভেলাস !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

স্নিগ্ধা এর ছবি

আচ্ছা 'চারণ কবি'র মতো গল্পকারদের ক্ষেত্রে ওরকম কী টার্ম ব্যবহার করা যায়? যারা আপনার মতো যে কোন একটা বিষয় নিয়ে অনেকটা তাৎক্ষণিকভাবেই হয়তো আস্ত, নিটোল একটা 'গল্প' দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারেন?! চন্দ্রাভিযান নিয়ে পোস্ট বা মন্তব্য পড়তে পড়তেই আপনার মাথায় এই গল্পের আইডিয়াটা আসলো নাকি?

আর, শেষ লাইনদুটোর সাই ফাই মোড় নিয়েও আমি মুগ্ধ! আপনি যে এতো ছোট পরিসরের মধ্যেই 'প্রেমের গল্প' বা 'সাইন্সফিকশন' বা অন্য যাই-ই হোক - এই বিভক্তিগুলোকে একাকার করে দিতে পারেন - এটাও ভীষণ পছন্দ হলো হাসি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার অনুমান সঠিক। সাম্প্রতিক চাঁদ বা বাউল বিষয়ক পোস্ট নিয়ে ভাবতে ভাবতেই মাথায় এসে গেল প্লটদুটো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ভুতুম এর ছবি

আপনি পারেনও! অসাধারণ!!!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

শেষ ২প্যারাতে টাশকি খেয়ে গেলাম!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই কারণেই তো ন্যাসা চাঁদের পাথরগুলোকে যখের ধনের মতো আগলে রাখে। কে জানে ওর ভিতরে কি জিনিস লুকিয়ে আছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

দময়ন্তী এর ছবি

বা:!
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বইখাতা এর ছবি

এই গল্পটাও চমৎকার লেগেছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

উপরের তিনজনকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আবারও একটি অসাধারণ লেখা পড়লাম, পারেনও আপনে। আমার কাছে সাই-ফাই লাগেনি ঠিক, তবে টুইস্ট ছিল মারাত্মক। আমার কাছে, দাঁত খটমটে শব্দ আর নাম না জানা যন্ত্রপাতি ছাড়া সাই-ফাই এর ভাবটা আসে না। তবে গল্পটা দুর্দান্ত হয়েছে? এটার কি দ্বিতীয় পর্ব আসবে জাহিদ ভাই?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জাহিদ হোসেন এর ছবি

এই লেখাটিকে আমি ঠিক সাই-ফাই বলতে চাইনা, কেননা এখানে সাই-এর কোন চিহ্ন নেই, গোটাটাই ফাই। দ্বিতীয় পর্ব? নারে-ভাই, এইটুকু লিখতেই কান দিয়ে ধোঁয়া বেরুচ্ছে।
প্রতিটি গল্পেই নাকি ট্যুইস্ট বেশী হয়ে যাচ্ছে। দেখি এবারে ওটাকে ছাড়া কিছু একটা লেখা যায় কিনা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো।

নৈশী

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

চমৎকার। সাই ফাই লাগেনি। আই লাইক্স!

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তিথীডোর এর ছবি

উত্তম জাঝা!
আপনার সবগুলো অণুগল্প আজই পড়ে ফেলবো...

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।