কি করে উপন্যাস লিখতে হয়

লেখা জমে না, জল জমে, বুকে সর্দি কাশি। কফ-পিত্ত-অম্ল ও অক্ষরসমূহ এযাবত না লেখা শব্দ লিখছি এই উপন্যাসে।

পর্ব-১
টিউবয়েল না পাই, থান্ডার বোল্ট। বিয়ারে বালিকাময় বাজেট সমগ্র, অদভিন পাপাভ অলিচ জেলি, স্কুল বাস, নামতে নামতে স্রেফ পা দুটি ঘড়ির কাঁটার মত স্বীকারোক্তি।
পর্ব-২
নীলবালি একফালি পীচ হরিদ্রাভ রাস্তা, ব্রাত্যহীন, গাছগুলি বুধবারের মত দূরে দূরে। বাতাসে পায়েস পায়েস হিউমিডিটিতে ঋজক্ষাভুক্ত তিরিতিরি দায়িত্ববোধ ওড়নাখানি সাইকেলের কোন এক বাড়তিপ্রদেশে আটকে যায়।
পর্ব-৩
শ্রাবণ শাড়িটি যেমন সরে গেছে সাগর, ঝাউবনে শিয়ালেরা ঠিক ভোর ফুটে ওঠার আগে সূর্য নিয়ে খেলতে খেলতে ভুলে গেছে চন্দ্রের ব্যবহার। এই সব সাবঅলটার্ন গাঁজাখুরি উপগ্রহ ও স্তনে আগ্রহ বিধেয় দিচ্ছে প্রেমপর্বের ড্রপসিন।
পর্ব-৪
বিয়ে ও প্রেম এক মৃত্যু উপত্যকায় পাশাপাশি শুয়ে ছিল, আজন্ম মন্থন। মরাপ্রেম নিয়ে বেহুলা দ্রাক্ষাবিন্দু সেজে ডুবে গেল পানির তলায়, প্রপাতেন অস্মাতি কায়া। সুতরাং ইন্টারভ্যালের পর আরো একটি প্রেমপর্ব।
পর্ব-৫
চারপাশ ঢালু, স্রেফ ঢিচ্যাও। বালতি ভরে রঙ গোলায় হয় রোজ সকালে, মায়াবন এখানে বিদ্যাপতি পুষ্ট, টর্চ লাইট ঘুরছে, বন বন বন, দু-এক স্লাইস পদ্যে হরিপদিয়ে উঠছে সেক্সি সেনটেন্স। পা কাটলে রক্তে ভেসে যায় বুকের ভেতর।
পর্ব-৬
ঝুরঝুরে বরফ উড়ছে, এখন সেই হিরো। গাছগুলি নিহত গ্যামাক্সিনের মত দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সারান্ডায়, আকাশ সুজির মত জমাট, রিং টোনে দেহাতি গান, ফুলটু ক্লাইম্যাক্স। কম মনে হলে বৌটিকে টেনে আনতে দেওরের কেসে।
পর্ব-৭
হেব্বি ফাইট। টুম। সব কটা হসপিটাল ফুল। কাশ্মীরে ধর্মঘট চলছে, মমদি চ্যাঁচাচ্ছে স্টক ফুটেজে, বেহুলা দৌড়াচ্ছে সাবলেস্কু সাবিত্রি ইমেজ।
পর্ব-৮
স্মৃতিলোপ। টোবস্কু লাইফ, ফ্রায়েডস্মুথ ইজি স্মির্নঅফ। স্যাক্রিফাইস। রিকভার্ড। নোবেল শান্তি পুরস্কার হ্যাপি এন্ডিং।
পর্ব-৯
ডিরেক্টরস কাট। ল্যালঝেলে বাল্ব সেক্সি নায়িকা আর প্রফেটস চয়েস ইন ফেস বুক। জোরে জোরে নামতা পড়ছে ছেলে, বৌ কলসেন্টারে, খুচরো মশা মিরান্ডাচ্ছে জি-টকে।
পর্ব-১০
দুবার পিছলানোর পর দাড়ায় সামনে প্রোডিউসার, চেন বাঁধা কুকুর, টপল্কাস সেক্রু কুরকুরি। ইস্কিরিপটের পাতা ছিড়ে ছিড়ে দুজনে আগুনে দেয় সুনচু সুখ, সেক্রু জাস্ট ২৩। বরফ গলছে, নায়ক নায়িকা দুজনে দুই পাহাড়ের মাথায় দুহাত তুলে প্রেম জানাতে জানাতে ক্যাটারাক্ট ফ্রিজ।