মেহদী হাসানের মুক্তির দাবীতে সোচ্চার হোন

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: বুধ, ৩০/০১/২০০৮ - ১০:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্রেকিং নিউজ হলেও খবরটা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে অদৃশ্য কোন কারণে জায়গা করেনি। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে জানুয়ারীর ২৪ তারিখে মেহদী হাসানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রাখা হয়েছে। জনাব হাসান ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক ওয়ার্কাস রাইটস কনেসার্টিয়ামের একজন মাঠ পর্যায়ের গবেষক। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সমস্যা সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান শেষ করে ব্যাংককের পথে যাত্রা করলে তাকে নিরাপত্তা বাহিনী আটক করে। গত বছর মে মাসে সাংবাদিক তাসনিম খলিলকে গ্রেফতারের পর আন্তর্জাতিক নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাসনিমকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই মুহুর্ত্বে মেহদী হাসানের মুক্তির জন্য মানবাধিকার কর্মীদের এগিয়ে আসা উচিত। সামরিক সরকার জরুরী আইনের আওতায় নির্যাতন নিপীড়নের পথ দিয়ে মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অস্বীকার করে আসছে। এই অশুভ ও অমানবিক কর্মকান্ডের আশু অবসান হওয়ার প্রয়োজন। ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়ামের প্রেস রিলিজটি আপনাদের জন্য এখানে তুলে দেয়া হলো:

The arrest by the Bangladeshi government of an investigator for a leading America labor rights watchdog group has sparked a global campaign to secure his release.

Mehedi Hasan, field investigator for the Washington D.C.-based Worker Rights Consortium (WRC), was arrested by government security forces on January 24th and has since been held in detention, incommunicado. The WRC is a Washington, D.C.-based labor rights monitoring organization working on behalf of 178 universities and colleges.

Human rights groups and labor rights advocates around the globe have joined the WRC in demanding Mr. Hasan's release. The US government and major apparel brands and retailers that produce clothing in the country have also weighed in with the Bangladeshi government.

Mr. Hasan's arrest appears to be part of a broader campaign of repression by the government against labor rights advocates in the wake of recent demonstrations by apparel workers in Dhaka, the capital city. An employee of the AFL-CIO's office in Dhaka was arrested a week earlier than Mr. Hasan and there are reportedly arrest warrants out for a number of Bangladeshi worker rights advocates.

Bangladesh is run by a military-backed "caretaker" government and the country's human rights practices have come under increasing criticism. The security forces are operating under "emergency rules" decreed by the government, which suspend basic civil liberties. Mr. Hasan's family's repeated requests to see him have been denied. The authorities apparently plan to subject him to a range of bogus criminal charges.

Said WRC Executive Director, Scott Nova, "There is no legitimate reason for Mehedi Hasan's arrest and we call upon the government of Bangladesh to effect his immediate and unconditional release. We are deeply concerned for his safety." Nova cited fears that Mr. Hasan may have been subjected to physical mistreatment while in custody.

Mr. Hasan's job is to monitor compliance with labor rights codes of conduct that the WRC's member universities apply to the production of clothing bearing their names and logos. The organization also does labor rights monitoring for the cities of Los Angeles and San Francisco. The kind of monitoring work done by Mr. Hasan is commonplace in Bangladesh and in other apparel exporting countries and plays an important role in ensuring that goods imported into the US are not made under sweatshop conditions.

Mr. Hasan's detention appears to be retaliation for his efforts, on the WRC's behalf, to protect the rights of workers in apparel factories in Dhaka that sell to US brands. Said Nova, "The government's actions are an attack on the independent labor rights monitoring that is essential to ensuring that the clothing worn by US consumers is made under decent working conditions."

Another WRC employee, Bent Gehrt, a Danish national, was in Dhaka with Mr. Hasan during the week of January 20. Mr. Gehrt was detained at Zia International Airport in Dhaka while attempting to board a flight to Bangkok. Mr. Gehrt was subjected to an aggressive interrogation, during which his interrogators made it clear that he and Mr. Hasan had been under surveillance by the security forces for several days. Mr. Gehrt was ultimately allowed to board his flight and leave the country.

In addition to arresting Mehedi Hasan, the government has seized a WRC computer containing records of confidential worker interviews. The WRC stated that it is concerned not only for the safety of Mr. Hasan, but of the workers who provided confidential testimony to the WRC in course of labor rights investigations.

"The government of Bangladesh should recognize that harassment of factory monitors, labor rights advocates, and workers who participate in labor rights inquiries will do serious damage to the country's international reputation," said Nova. "Brands and retailers that buy clothing overseas do not want their products associated with this kind of behavior. If the government of Bangladesh wants to drive away business and undermine the viability of the country's main export sector, this is a good way to do it."


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম প্রথম কতই না ভাল মনে হয়েছিল। কিন্তু সামরিক জান্তারাই দেখি আড়ালে দেশ চালাচ্ছে। অবিলম্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা উচিত। মেহদী হাসানের মুক্তির দাবী সেক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে নিশ্চয়।

মুহাম্মদ২০১৭

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কোন কুকুরের কামড়ে যে এমন পাগলপারা অবস্থা সরকারের!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঠ্যালার নাম বাবাজি। ঠ্যালা খাইলে সোজা হইয়া যাইবো ব্যাপার না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

টুটুল এর ছবি

সাংবাদিক তাসনিম খলিল এর জন্য যেভাবে একত্রিত হয়েছিলাম
আসুন সব্বাই আবার সেইভাবে একত্রিত হই।
সারবদ্ধ প্রতিবাদ..

___________________________
"LOVE ME... IF YOU CAN"

সুজন চৌধুরী এর ছবি

মহা বিরক্তিকর ব্যাপার হইলো তো!!!
আর কয়দিন চালাবে এইভাবে?
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

শালারা পাইছেটা কী!!!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পোস্টের সাথে একমত নই । এই সব তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীদের ব্যাপারে সিরিয়াস ভাবে একশন নেয়ার সময় এসেছে ।

গত কয়েকদিন আগে যে গার্মেন্টসে গন্ডগোল হয়েছে সেটি আমাদের একটি খুব পরিচিত ফ্যাক্টরী । আইনে নেই অথচ সেখানে যে যে সুবিধা দেয়া হয় , সেগুলোর একটা ছোট্ট তালিকার মাঝে আছে দুপুরে ফ্রি খাবার , সন্ধ্যার সময় এক গ্লাস দুধ ; নায্যমূল্যের ভর্তুকির দোকান , ফ্যামিলি বীমা ইত্যাদি ।

সেই ফ্যাক্টরীতে গন্ডগোল হওয়ার পেছনে কী কারন থাকতে পারে ?

এই সব তথাকথিত শ্রমিক নেতা এবং মানবাধিকার কর্মীরা কেন যে গার্মেন্ট ফ্যক্টরীতে তিনমাস বেতন হয় না , সেই গার্মেন্টস এ না গিয়ে যেখানে ৭ তারিখের মাঝে বেতন হয় সেই সব বড় বড় ফ্যাক্টরীতেই শুধু শ্রমিক অসন্তোষ তৈরী করেন ?

একটা তথ্য আমি বহু চেষ্টা করেও ভুলতে পারি না, আদমজীকে পঙ্গু করে ধ্বংস করার পর , বাংলাদেশের সীমান্ত জুড়ে ভারত ৫৬টি নতুন পাটকল বসিয়েছে এবং পাটকলের জন্য তাদের ব্যাংকলোনকে সহজ করার নানা তরিকা বের করেছে ।

আড্ডাবাজ এর ছবি

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। চলুক আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদ।

আরিফ,
পোস্টের সাথে দ্বিমত পোষণ করার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীদের পরিচয়টা স্পস্ট করলে ভাল হতো। না হলে ব্যক্তিগত বক্তব্য সরকারী তথ্যবিবরণীর সাথে গুলিয়ে যাবে। দু:খজনক হলেও সত্য যে গার্মেন্টস সেক্টর দিয়ে সকলের আয় উপার্জন হলেও খেটে খাওয়া মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সরকাররের আর মালিক পক্ষের আশ্বাসের পরও গত তিন মাসে আমরা দেখেছি এদের অনেকেই সময়মতো মজুরী নিয়েও বাড়ী যেতে পারেনি। শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান কোন অপরাধ নয়। আর এই কারণে সরকার কাওকে আটক করে রাখতে পারে না।

সমস্যা হচ্ছে আমরা সব সময়ই নির্যাতন নিপীড়নের পথকে হালাল করে দেওয়ার জন্য দ্রুত যুক্তি তত্ব আবিস্কার করে ফেলি। ৩৩ বছর আগে শুরু হওয়া সামরিক আইনের জাঁতাকল দেশের উতপাদনশীর সকল সেক্টরকে রাজনীতির ফাঁদে ফেলে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করেছে, সেই বাস্তবতাকে আমরা অস্বীকার করব কিভাবে? আইনের বাইরে যে কোন আটক, নিপীড়ন ও নির্যাতনকে বৈধতার জন্য ষড়যন্ত্র তত্ব আবিস্কারের খুব বেশী প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন সকল অবৈধ আটকাদেশ ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করা ও সম্ভব হলে প্রতিহত করা। প্রয়োজন স্বচ্ছ, সুষম ও জবাবদিহি সমাজ বিনির্মাণের। ধন্যবাদ।

___________
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১. তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীদের পরিচয় নিয়ে যদি লিখতে হয় , তাহলে একটা দীর্ঘ লেখা লিখতে হবে । এই মুহুর্তে সেই সময়টুকু আমার নেই , তবে অচিরেই এই বিষয়ে লিখব বলে আশা রাখছি ।

২. সরকাররের আর মালিক পক্ষের আশ্বাসের পরও গত তিন মাসে আমরা দেখেছি এদের অনেকেই সময়মতো মজুরী নিয়েও বাড়ী যেতে পারেনি।
....... আপনার সাথে একমত । কিন্তু একই সাথে আমি এ-ও দেখছি যে , যেসব ফ্যাক্টরীতে সময়মতো মজুরী নিয়ে যেতে পারে নি , তাদের একটিতেও গত একবছরে কোন আন্দোলন হয় নি । আন্দোলন হয়েছে যতোগুলো ফ্যাক্টরীতে তার সবগুলোতেই কিন্তু বেতন ভাতা বা শ্রমিকের সুবিধাদি নিয়ে কোন অভিযোগ নেই । গত কয়েকমাসের সবগুলো শ্রমিক অসন্তোষ ছড়ানো হচ্ছে শ্রমিক মেরে গুম করা হয়েছে ..এই গুজব ছড়িয়ে । এর মানে আপনি আগের অংশটুকু দেখার সাথে হয়তো এ জিনিষটি দেখছেন না যে শুধুমাত্র কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরী , যেগুলো বড় বড় এবং দামী দামী বায়াররা কাজ করে , শুধু সেগুলোকে অকার্যকর দেখানোর একটা ধারা তৈরী হচ্ছে । এর পেছনে অন্য কোন কারন থাকতে পারে বলে আমার বিশ্বাস ।

৩.

শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান কোন অপরাধ নয়।

.... একমত । তবে একই সাথে এটাও দেখা দরকার , শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের নামে সংগৃহিত তথ্যগুলোকে আসলে কারা কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে । এবং আমি মনে করি সরকার সেই উদ্দেশ্যে দেশের রাষ্ট্রসীমার মাঝে যে কাউকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে । তবে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অহেতুক হয়রানি এবং নির্যাতন করার যে কোন চেষ্টাকে কঠোর ভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার সংগ্রামে আমি সুস্পষ্টভাবেই আছি এবং থাকব ।

৪ .

দু:খজনক হলেও সত্য যে গার্মেন্টস সেক্টর দিয়ে সকলের আয় উপার্জন হলেও খেটে খাওয়া মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।

এটা যদি সত্যি সত্যিই আপনি বিশ্বাস করেন , তাহলে আপনার সাথে আলোচনা চালানোটা বোধহয় সম্ভব হবে না । শুধু বলি সম্ভব হলে খুব সকালে একদিন ঢাকার ফুটপাতে দাড়িয়ে দেখুন আধাঘন্টা । হয়তো জবাব পেতেও পারেন ।

আপনাকে ধন্যবাদ ।

আসিফ দিপঙ্কর এর ছবি

আরিফ
আপনাকে তো এতটা প্রতিক্রিয়াশীল ভাবি নাই। এত সহজে আপনার রায় দিয়ে দিলেন? আপনার জন্য আর লজ্জার কারন আপনি একজন সাংবাদিক। তথ্য যাচাই না করে ঢালাও মন্তব্য আপনার জন্য শোভা পায় না।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

প্রিয় আসিফ সাহেব আমারতো মনে হয় আরিফ যৌক্তিকভাবেই এই তথাকথিত শ্রমিক আন্দোলনের সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে ধরেছেন। আপনি যেভাবে তাকে প্রতিক্রিয়াশীল বললেন তাতে তো ভাই আপনার মন্তব্যটাই প্রতিক্রিয়াশীল মনে হয়! আমার তো মনে হয় এখন সময় এসেছে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, আমাদের শিল্পায়নের সমস্যা নিয়ে আরো তথ্যবহুল আলোচনার। পাঠকল, চিনিকলসহ দেশের নানাধরনের প্রতিষ্ঠিত শিল্পের ধংসের কারন হিসেবে যেমন আমরা বিদেশী চক্রান্তকে মোটাদাগে দায়ী করি তেমনি আজকে সময় এসেছে এসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পেছনে যেসব ট্রেড য়ুনিউন লীডাররা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবদান রেখে রাতারাতি কোটিপতি বনেছেন বেনামে, তাদের মুখোশও খুলে দেয়ার! শ্রমিক সমাজের প্রতি অতি দরদ দেখিয়ে কারা কতো কামাচ্ছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছ থেকে তাও সবার জানা দরকার।

আসিফ দিপঙ্কর এর ছবি
medwestern এর ছবি

I think the E-Bangladesh story is a worth reading regarding M Hasan arrest.

আড্ডাবাজ এর ছবি

সুখবর সুখবর!! মেহদী হাসান গতকাল মুক্তি পেয়েছেন। আপনারা যারা তার মুক্তির জন্য সোচ্চার ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আরও জানতে চাইলে দেশীভয়েসের এই শিরোনামটিতে ক্লিক করুন।

অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জাঝা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।