পাকিস্তানের জন্যে আজো
'ফিল' করে বেশ টান তারা
হন্যে হয়ে লাল-সবুজে
খুঁইজা বেড়ায় চাঁন-তারা!
ব্যস্ত থাকে দাড়ির আগায়
লেপ্টে থাকা গুড় ধুঁতে ;
'আমার সোনার বাংলা' বলে
স্বপ্ন দেখে উর্দুতে!
ঘুমের ভেতর মরুর খেজুর-
রুটির 'ঘেরাণ' পায় নাকে;
রাজাকারের বাচ্চারা তয়
পাকিস্তানে যায় না ক্যা'?
পুত্রকে নিয়ে বইমেলা' গিয়ে ভীষণ হতাশ বাকী দা'
বিদাতের তোড়ে, যায় বুঝি উড়ে এবার ঈমান আকিদা
রেগেমেগে তাই ছেলেকে শাসায়- 'এই ছিল তোর ভেতরে?
তাগুতি মেলায় আসার জন্য বুদ্ধি দিয়েছে কে তোরে?'
হতবাক ছেলে, বুকলিস্ট ফেলে মেলা থেকে আসে বেরিয়ে
দেখে নেয় তা-ও বেরুতে বেরুতে পিতার দৃষ্টি এড়িয়ে
'ব্যর্থ' পিতার হা-হুতাশ চলে ছেলের এমন পতনে
'আমলে নাজাত' কিনে শেষে বলে- 'পড়ে রেখে দিও যতনে!'
দিন কয় পর কী ভেব...
[নো ছাড়োন্তিস্, ঝুলান্তিস্, গোলান্তিস্... এর সুজন্দাকে]
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
অত:পর যদি চাও
কিছু 'নেকি' কামাতে
ধরো আর ঠাপাঠাপ
মেরে দাও জামাতে!
ছড়াটি লিখেছিলাম '৯৬ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের কিছুদিন পর। আজ বিডিনিউজ২৪ এ “বগুড়ায় সাবেক আ'লীগ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা” শীর্ষক খবরটা পড়ে প্রায় এক যুগ আগে লেখা ছড়াটির কথা মনে পড়ল। অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে সে দায় একান্তই ছড়াকারের...
কিনতে হবে কাপড় আবার
ডাকতে হবে দর্জি
ভিড়তে হবে ওদের দলে
বুঝে মেজাজ মর্জি
একাত্তরে উল্টা ...
উপড়ে গেলে লালন
আপনি করেন এক মিনিটের নীরবতা পালন !
আজ বলাকায় আবার
আঘাত এলে, কষ্ট পেয়ে খাননি রাতের খাবার !
আপনি কাতর, শোকে পাথর হঠাত্ এমন ধ্বসে
ভাবছি, আবার আপনাকে না মুর্তি ভেবে বসে !
আমি অণু প্রাণীতো, অণু ছড়া পড়ে তাই হই অনুপ্রাণিত ! "ছড়মাণু" "নিমকি"-র আকারে ও ধরণে..লেখা এই ছড়াগুলো, প্রিয় দুই ছড়াকার সন্ন্যাসী -মৃদুলের দুই জোড়া চরণে। সিরিজের নামটাও দি'ছে সন্ন্যাসীদা', বিনয়ের অবতার "থ্যাঙ্কস" ল'ন না সিধা !
১১.
বুড়ো বলে তাকে তুমি ভেবেছ কি রতিহীন ?
এখনো রাত্রে কাজ করে সে বিরতিহীন
১২.
“একেকটা ক্যাব যেন চলমান বিছানা”
ব্যাপারটা মিছা না !
১৩.
"রিস্ক নাই যদি থাকে কনডম ...
আমি অণু প্রাণীতো, অণু ছড়া পড়ে তাই হই অনুপ্রাণিত ! "ছড়মাণু" "নিমকি"-র আকারে ও ধরণে..লেখা এই ছড়াগুলো, প্রিয় দুই ছড়াকার সন্ন্যাসী -মৃদুলের দুই জোড়া চরণে। সিরিজের নামটাও দি'ছে সন্ন্যাসীদা', বিনয়ের অবতার "থ্যাঙ্কস" ল'ন না সিধা !
০১.
“ভাবীর খাতির দেবর সনে”
ফাঁস হয়ে যায় এ্যাবরশনে !
০২.
ব্যাপারটা পুরুষালী
পটিয়েছে নুরু, শালী
০৩.
প্রথম দেখায় "কিস" তাড়িত
ক'দিন যেতেই বিস্তারিত !
০৪.
ওরা পটু ...
যে মেয়েটি সারাটি ক্ষণ
মিষ্টি করে হাসতে জানে
দু:খ ভুলে সুখের হাওয়ায়
ভাসাতে আর ভাসতে জানে
সবার ভাল চাইতে জানে
আড্ডাতে গান গাইতে জানে
যে মেয়েটির ভাবনাগুলো
এক্কেবারে অন্য..
এই ছড়া সেই "অন্যরকম"
ক্যামেলিয়ার জন্য !
[ প্রিয় সচল নজু ভাই আর নূপুর; নিধি'র বাবা - মা ]
বাবাটাকে নিয়ে ভীষণ ঝামেলা সারাদিন থাকে বিজি
ল্যাপটপে বসে লেখালেখি আর ফোনে শুধু হ্যালো.. জ্বী জ্বী
তাই এই হাবা বাবাকে ক্ষেপাতে আম্মুর সাথে মিলে
সবকিছু দেই এলোমেলো করে ,খুব বেশী বকা দিলে
কোলে উঠে যাই টুপ করে, আর ভয় পেয়ে বাবা কাবু
ভাবে এই বুঝি হিসু করে দিল, আমি কী ছোট্ট বাবু !
আমি তো এখন বড় হয়ে গেছি চিনি গাছ ,ফুল,পাখি
বাসার ঠিকানা? সেইটাও জ...
হাতেখড়ি তার বড় কাজিনের
নড়বড়ে ছোট গাড়িতে
সপ্তা' না যেতে শিক্ষা ব্যাহত
সকলের বাড়াবাড়িতে।
বাবা মা-র সদা সতর্ক চোখ
মাঝখানে তাই পালিয়ে
রেন্ট-এ-কারেই নিজেকে নিয়েছে
একা একা বেশ ঝালিয়ে ।
কলিগের ছিল নিশান-করোলা
কেনা যা নাইনটি নাইনে
সেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় গিয়ে
ফ্যাসাদে, ট্রাফিক আইনে...
এমন হাজারো কান্ড কীর্তি
করে এ'টা নয়, ছয় ও'টা
বিজয়ীর বেশে, কিনে...