বাফর ঠিক্নাই

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ২১/০৯/২০১৪ - ৪:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার শিশু বয়েস থেকেই আব্বারে তার ঢং সম্পর্কের লোকজন বুড়া বলে ডাকতো। আমারে বলতো বুড়ার পোলা! আমিতো চেইত্যা মেইত্যা শেষ... ক্যান আমার আব্বারে বুড়া বলবে, ক্যান আমারে বুড়ার পোলা বলবে। তারা বলতো, তোর বাপের ইয়া বড়ো দাড়ি আছে, মাথায় কিস্তি টুপি পরে!!! এইটা ঠিক, আব্বার ইয়া বড়ো দাড়ি, টুপি, সাথে সার্বক্ষণিক পাঞ্জাবি। বুড়া না বলে করবে কি লোকে? কিন্তু আমার উত্তর একটা ছিলো তখনও, বলতাম, আব্বার মাথার চুল গুলো হঠাৎ করে সরে গিয়ে মুখের দিকে চলে আসছে বলে দাড়ি হয়ে গেছে, আর মাথার চুল সরে যাওয়ায় সেটা ঢেকে রাখার জন্যই টুপি পরে! এইটা একটা বাস্তব সম্মত যুক্তি হিসাবেই আমি বলতাম। কিন্তু আমার পুংটা মামুরা সেইটা মানতো না। তারা বিতিকিচ্ছরি কাণ্ড করতো, অন্তত যতক্ষণ না আমি নানাবাড়ির উঠানের ঠিক মাঝখানে হাত পা ছড়িয়ে কানতে শুরু করতাম, কিংবা চ্যালা কাঠ নিয়ে ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে নানাবাড়ির ১০ তলা সমান টিলা থেকে নিচে নামিয়ে না দিতাম, ততক্ষণ চলতে থাকতো। বেশিরভাগ সময় নানীর কঠোর হস্তক্ষেপে আমি উদ্বার পেতাম। তখন রাগ হতো আব্বার উপর, কি দরকার ছিলো এতো তাড়াতাড়ি দাড়ি রেখে ফেলার! কই আবুল হায়াততো দাড়ি রাখে নাই!

তো সময় যত যেতে লাগলো আব্বার চেহারা আরো বুড়ো হতে থাকলো। সুপারসনিক গতিতে তার দাড়ি পেকে গেলো। অবস্থা এমন দাড়ালো যে, আব্বা তার ক্লাসমেটদের পাশে দাড়ালে মনে হতো চাচা-ভাতিজা দাঁড়িয়ে আছেন একসাথে! সবচেয়ে বড় কথা আব্বার চেহারার মাঝে কেমন একটা জামাত গন্ধ ফুটতে থাকলো! হ্যা, একদম সত্য বলছি। সুজন্দা একবার আব্বার একটা ক্যারিকেচার করলেন, সেইটা দেখে এমনকি আব্বা নিজেও বল্লেন, এইটাতো গোলাম আজমের মতো লাগেরে!!!

আমরা বড় হয়েছি এক বিচিত্রকালে। তৎকালে প্রেমকে লাইন বলা হইতো। ছাদে, পানির ট্যাংক এর আড়ালে আবডালে থেকে লাইন মারলে সেইটারে টাঙ্কি মারা আর ছোট বড় মাঠ বা ফিল্ড এর আশেপাশে থেকে যদি লাইন মারা হতো, তাহলে বলা হতো ফিল্ডিং মারা। লোকজন আলু পটলের সাথে কিংবা পুস্তকের ভেতরে উল্টা অক্ষরে লাইনের চিঠি লিখে দিতো, যেটা আয়নার সামনে ধরে পড়তে হতো। সেই বই গুলোতে আবার উল্টো ইতিহাস লেখা থাকতো। যেমন সেখানে লেখা থাকতো হানাদার বাহিনী পঁচিশে মার্চের কালো রাতে আক্রমন চালাইলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালিন মেজর (পরে বাংলাদেশের মহান রাষ্ট্রপতি) জিয়াউর রহমান স্বাধিনতার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে, আর নয়মাসের যুদ্ধে দেশ হানাদারমুক্ত হয়। হু, যারা হানা দেয় তারাতো হানাদারই, কিন্তু তারা কই থিকা আইসা হানা দিছিলো, সেই কথা আর বলা নাই কোথাও। আর হঠাৎ করেই কেন এই হানা সেইটাও স্পষ্ট ছিলো না। তারপর তখণ স্লোগানও শোনা যেতো, হাসিনাগো হাসিনা, তোর জ্বালায় নাচিনা, তোর বাপের কথায় নাচিয়া দেশ দিছিলাম বেচিয়া...

এই স্লোগানের কথায় আরেকটা স্লোগানের কথা মনে আসলো, ‘স্বৈরাচারের দালালাররা, হুশিয়ার সাবধান’ স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’ এই দুইটা স্লোগান তখন খুব কমন। রোজই শুনি। এমনকি মাঝে মাঝে আমরাও সেই স্লোগান দিতে দিতে স্কুলের সামনে থেকে মিছিলে ঢুকে আবার বাড়ির সামনে এলে টুপ করে মিছিল থেকে বেরিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়তাম। কিংবা না ঢুকলে মিছিল থেকেই নেতাগোছের কেউ এসে মুরগি তাড়ানোর মতো করে আমাদেরকে মিছিল থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বলতো, এই যা যা, বাড়ি যা, বড় হলে মিছিলে আসিস। তো এরকম এক মিছিল থেকে একবার বাজারের একটা দোকানে দিলো আগুন জ্বালিয়ে। তখন বুঝলাম সেইটাই হইলো স্বৈরাচারের গদি, কিন্তু ওই দোকানটাতো আমাদের স্কুলের একটা ছেলের বাবার বলে জানতাম। সে প্রায়ই স্কুল থেকে বাড়িতে না গিয়ে আমাদের সাথে আসতো, বলতো বাজারে যাবে, তার আব্বার গদিতে। তাইলে তার আব্বাই স্বৈরাচার, আর তার গদিতেই আগুন দিতে এতো মিছিল,স্লোগান!! এই টাইপ একটা সিদ্ধান্তে যখন প্রায়ই পৌছে যাবো করছিলাম, তখনই আব্বার অফিসের আরজু ভাই দিলো ভেজাল লাগিয়ে। সে অফিসের হুশিয়ার আলী ভাইকে ক্যাক করে ধরে বল্লো, এই মিয়া বাজারে আগুন দিলা কেনো? হুশিয়ার আলী ভাই হুঙ্কার দিয়ে বল্ল, কিতা আবোল তাবোল মাতছ, আমি খেনে আগুন দিতাম? আরজু ভাই বল্ল, মিছিল দিতে দিতে বলে গেলো হুশিয়ার হুশিয়ার, তারপর আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো, আর একটু পরেই বাজারে আগুন লাগলো, তোমার নাম বল্লো, আগুনও লাগলো, এরপরেও বলবা যে তুমি আগুন লাগাও নাই! হুশিয়ার আলী ভাই চরম উত্তেজিত হয়ে কি কি যেনো বলতে শুরু করলো, রেগে গেলে সে বহু উল্টা পাল্টা কাজ করে ফেলে, এখন প্রায় লাফাতে লাগলো, সে যত লাফায় আরজু ভাই তত তারে আগুন লাগাইছে বলে অপবাদ দেয়। বলে, তোমার ফাড়ে (লুংগির কোমরের ভাজ) সবসময় ম্যাচ থাকে। তুমিই আগুন দিছো, তারপর বিড়ি খাওয়া নিয়ে দিলো ঝাড়ি। হুশিয়ার ভাই চরম পাগল হয়ে গেলো তখন, সে আমার মতো বয়েসেরে হলে নির্ঘাৎ হাত পা ছড়িয়ে আমাদের পুকুর পাড়ে কাঁদতে শুরু করতো, নয়তো রান্নাঘরের পাশে জমানো চ্যালা কাঠ নিয়ে আরজু ভাইকে দৌড়ানো শুরু করতো, কিন্তু তারতো সে বয়েস নেই। তাই সে টান মেরে লুংগির গিট খুলে লাফাতে লাফাতে বলতে থাকলো, খই মেছ, মেছ খই, দেখা মেছ, তার চিৎকার চেচামেচিতে আব্বাসহ অফিসের অন্যরা দৌড়ে বের হয়ে আসায় আমার আর হুশিয়ার ভাইয়ের লাল আন্ডু সেদিন দেখিনাই। নয়তো পরের স্টেজে হুশিয়ার ভাই লুংগি ছেড়ে দিতো। ধুর কি বলতে কি বলা শুরু করলাম। আমি হানাদারে ফিরে যাই।

তো আমরা যখন হানাদারের গল্প শুনতেছি, আর স্বৈরাচারের মিছিল শুনতেছি তখন আয়না হয়ে আসলেন আব্বা। ওইযে উল্টা ইতিহাস লেখা বইয়ের ভেতর উল্টা করে লেখা প্রেমপত্র পড়ার জন্য যেভাবে আয়নার সামনে ধরতে হতো, সেরকম। আব্বা হলেন আয়না। আব্বা বল্লেন, হানাদার মানে পাকিস্তান, হানাদার মানে রাজাকার, আলবদর, আল শামস, জামাত, মুসলিম লীগ, হানাদার মানে গোলাম আযম, আব্বাস আলী খান, হানাদার মানে জগন্নাথপুর বাজারের সরবতের দোকানদার আহমদ আলী।
আমাদের আয়নায় বইয়ে লেখা উল্টো ইতিহাস ঠিক হয়ে যেতে থাকলো। হঠাৎ করে মার্চের কালো রাত আসেনি, তার আগে আরও ইতিহাস আছে সেটা আব্বা বলে যান। ৪৮, ৫২, ৬৫, ৬৯, ৭০, ৭ ই মার্চ, ২৭ মার্চ, ১৭ এপ্রিল সব গল্প একে একে জেনে যাই আমরা। আব্বা বাজারের কালা বাচ্চুকে দেখিয়ে বলেন, এ এখন খারাপ হয়ে গেলেও বিরাট মুক্তিযোদ্ধা। দাস পার্টির কমান্ডার ছিলো। দাস পার্টি মানে দাদার বাড়ির পাশের গ্রামের জগৎজ্যোতির করা মুক্তির দল। গল্পের ছলে আব্বা আমাদের এইসব বলতে থাকেন। জুম্মার নামাজে গিয়ে আহমদ আলীকে দেখিয়ে একদম চোখে চোখ রেখে বলেন, এইযে দেখছো আহমদ আলী, এই উনি হইলেন রাজাকার কমান্ডার। ভ্যাবাচেকা খাওয়া আহমদ আলীরে আবার শান্তনাও দেন, আরে বাচ্চাদেরকেতো চেনাতে হবেরে ভাই, ব্যারিস্টার সাহেবরে দেখাইলাম মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে, এখন আপনারে দেখাইয়া রাজাকার চিনাইলাম!

তো, যখন যা জানার সেটা আমরা জেনে গেছি। আব্বা সেই ব্যবস্থাটা করে দিছেন। জোর করে গিলিয়ে দেবার বিষয় ছিলো না সেটা। যেনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ভাত খাও, পানি খাও, নাটক দেখো, খালি পায়ে শহীদ মিনারে যাও, যাতে ভুল করে শহীদ মিনারে জুতা নিয়ে উঠে না পড়ি, তাই ২১ এর সকালে বাড়িতেই জুতা রেখে যাওয়ার নিয়মটা এম্নি এম্নিই আমাদের ভেতর গড়ে উঠেছিলো।

হানাদার হানাদর বলে গলা ফাটিয়েও পাকিস্তান চেনানো থেকে আমাদের ফেরানো যায়নি। মহান জেনারেল আর তার প্রিয়দর্শীনীর গলাবাজিও স্বাধিনতার ঘোষক জিয়া লও লও লও সালামে বিশ্বাস স্থাপন করাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু একটা ১৪ নম্বরি লোক, তাই দেশপ্রেমিক সেনাবাহীনি তারে মেরে ফেলছে এই পাশবিক মিথ্যাচার আমাদেরকে কেউ গেলাতে পারেনি। খোনকার, মুনকার যেই হোক, নতুন নতুন তত্ব আনুক, ওইসব জিয়ে পাকিস্তান/ জয় পাকিস্তান/ জিন্দাবাদ পাকিস্তান, আমরা বিশ্বাস করি না। কমব্যাট পরা, সুশীল লেবাসে মিথ্যাচার করে যাওয়াদের জন্য জবাব মাথার ভেতর পুতে দিয়ে একেবারে শক্তপোক্ত করে দিয়ে গেছেন, পাজামা-পাঞ্জাবী, টুপি পরা, দাড়িওয়ালা মুসল্লি আব্বা। হু আব্বা।

তো, আব্বার মুখটা আলগা ছিলো। চটাস চটাস কথা বলতেন। এবং সেটা সত্য কথা। তার একটা গাইল টাইপ বুলি ছিলো, ‘বাফর ঠিক্নাই’ (বাপের ঠিক নাই)। নানা বিষয়ে, নানা সময়ে উল্টা পাল্টা আচরণ করা লোকদের জন্য এই বাক্যবন্ধ বরাদ্দ ছিলো। তার মতে সব দোষ বাপের। বাপ আদব শেখায়নাই, তাই বেয়াদব হইছে পোলা, সুতরাং বাপের ঠিক্নাই। পোলা মিথ্যা বলে, কারণ বাপ সত্য বলা শিখায় নাই, সুতরাং বাপের ঠিক্নাই। পথে ঘাটে চুতিয়ামি করে, মারামারি করে, ইতর, সুতরাং বাপের ঠিক্নাই... খুব অনায়াসে এইটা বলতেন। আব্বার সব গুনতো পাইনাই। কিছু কিছু পাইছি। এরমাঝে একটা হইলো এইটা। তাই বলি, এইযে ইতিহাস নিয়া বেঘোরে থাকা। নতুন গজানো যে কোন গল্প পাইলেই, সেইটারে কোলে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়া গেদা শিশুদের মতো গুয়ে লেপ্টে যাওয়া, এসবের পেছনে আর কিছুনা, বাপের সমস্যা বিদ্যমান। বাপ ইতিহাস ঠিকমতো শেখায় নাই। হানাদার পড়ে পড়ে বড় হইছে, সেইটাই দিলের ভিত্রে মোহর মেরে বসে আছে। বাপ যদি ঠিক থাকতো তাইলে এমন হইতো না। একেবারেই না।

ফুটনোটে আক্ষেপ
আব্বার লেখার হাত ভালো ছিলো। কিন্তু আরামপ্রিয় ছিলেন। পুরাটা শিশুকাল কষ্টের ভেতর, শ্রমের ভেতর পার করেছেন, তারপর মেশিনের মতো দীর্ঘ বছর সংসারের ঘানি টানা। তাই সুজোগ পেলেই শুয়ে বসে কাটাতে চাইতেন। হয়তো অধিক পরিশ্রম, টানা মনোবেদনা এইসবই তার শারীরিক শক্তি শুষে নিয়েছিলো, আর তাই বয়েসেরে আগে মুরব্বি হওয়া, লাইনের একদম সামনে চলে গিয়ে ঝপাৎ করে ঘুমিয়ে পড়া...

গল্প করতে ভালোবাসতেন, কিন্তু লেখার মতো শ্রমসাদ্ধ কাজ কারবারে নাই। তবুও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারি আব্বাকে লিখতে বলতাম। রাজি হতেন না। তারপরও ২০০৯ এর শেষদিকে, সম্ভবত ডিসেম্বরেই বল্লেন, ২০১০ আর ১৯৭১ এর ক্যালেন্ডার একই। একটা ডায়রি নিয়ে তারিখ ধরে ধরে পুরনো কথাগুলো লিখে রাখা যায়... কেনযে সেই কথাটা গুরুত্ব দিয়ে শুনলাম না, কেনযে সেই কথাটা আমলে নিলাম না। যদি নিতাম, হয়তো ছোটখাটো একটা আয়না পেতাম ছড়িয়ে দেবার জন্য।


মন্তব্য

শান্ত এর ছবি

একখান লেখাউ লেখছো।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

নজমুল আলবাব এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

কমব্যাট পরা, সুশীল লেবাসে মিথ্যাচার করে যাওয়াদের জন্য জবাব মাথার ভেতর পুতে দিয়ে একেবারে শক্তপোক্ত করে দিয়ে গেছেন

গুরু গুরু

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

এক লহমা এর ছবি

অন্ধের মত উল্টোমুখে যাত্রা করা (অ)সভ্যতার বিপরীতে ধরা এ আয়নার কাহিনী মনের ভিতর সাহস যোগায় প্রকৃত গন্তব্যকে চিনতে পারার। ভরসা হয়, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়া থেকে বাঁচান যাবে মহত্তম এক স্বপ্নকে। লেখার কথা, কথার ধরতাই সব কিছুর জন্য অফুরান ভালবাসা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

মন মাঝি এর ছবি

বাফে বেটা - গাছে গোটা,
মায়ে ঝি - গাইয়ে ঘি।
আগর হাল যেবায় যায়,
পরর হালও অবায় যায়।
উঠতে বেকা চান, জনম বেকা গাঙ,
তেতই বেকা ফুলো, মানু বেকা মুলো।।

****************************************

নজমুল আলবাব এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তো, যখন যা জানার সেটা আমরা জেনে গেছি। আব্বা সেই ব্যবস্থাটা করে দিছেন। জোর করে গিলিয়ে দেবার বিষয় ছিলো না সেটা। যেনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

এইরাম আব্বাগুলারে স্যালুট (চামে দিয়া নিজের বাপেরেও কোনদিন না দেয়া স্যালুটটা দিয়া দিলাম)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

স্যালুট

মন মাঝি এর ছবি

নতুন গজানো যে কোন গল্প পাইলেই, সেইটারে কোলে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়া গেদা শিশুদের মতো গুয়ে লেপ্টে যাওয়া

ইতারে ধরিয়া আসিবর মাইর দেওয়ার কাম!

****************************************

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওয় ওয়। আসিবর মাইর ছাড়া উপায় নাই। আন্দুদুন্দু মাইর

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লেগেছে বাউল

...........................
Every Picture Tells a Story

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাইজান

মেঘলা মানুষ এর ছবি

শ্রদ্ধা!
আর কিছু বলার নেই।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ম্মার নামাজে গিয়ে আহমদ আলীকে দেখিয়ে একদম চোখে চোখ রেখে বলেন, এইযে দেখছো আহমদ আলী, এই উনি হইলেন রাজাকার কমান্ডার। ভ্যাবাচেকা খাওয়া আহমদ আলীরে আবার শান্তনাও দেন, আরে বাচ্চাদেরকেতো চেনাতে হবেরে ভাই, ব্যারিস্টার সাহেবরে দেখাইলাম মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে, এখন আপনারে দেখাইয়া রাজাকার চিনাইলাম!

উত্তম জাঝা!

এই কাজ করার সাহস বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক পায়নাই। পাইলে অন্যরকম একটা দেশ দেখতাম আমরা

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

নজমুল আলবাব এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একখান লেখাউ লেখছো হাসি

আপনেরে হাতের কাছে পায়া লই। ছাতার গ্রামের মাঠের মধ্যে ফালায়া কঞ্চি দিয়া পিডাইমু। ২০১০ সালে আঙ্কেলরে একটা ডায়রি কিইন্যা দিলেন না কেনে?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি

এইটা মনে হলে আমি নিজেরেই নিজে পিটাই। কিন্তু তখন তিনি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তার নিজের অসুখ, চাচার অসুখ মিলিয়ে মনটা চুপসে গেছে। তার উপর দেশের বাইরে কাটালেন কয়েক মাস, সেখান থেকে ফিরেই শুরু হলো হাসপাতালবাস...

তাসনীম এর ছবি

খুব ভালো লাগলো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই

নাশতারান এর ছবি

গুরু গুরু

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

গুরু গুরু


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর একটা লেখা ...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটা বড় ভালো লাগলো অপু ভাই।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আপনার আব্বার জন্য স্যালুট।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

একখান লেখাউ লেখছো অর মায়রেবাপ!
চাচারে গুরু গুরু

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।