একটা আধুনিক গল্প

অপ্রিয় এর ছবি
লিখেছেন অপ্রিয় [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০০৯ - ১:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[পরিবর্তনশীল এর “একটা অতি পুরাতন গল্প” এর ফলস্রুতিতে]

হঠাত্ বৃহষ্পতির চাঁদ ইউরোপা থেকে ছুটে এলো এক গুচ্ছ মনোলিথ
পড়ল ছড়িয়ে ছিটিয়ে কালকান্দি গ্রামের বাইরের আরও অনেক গ্রামে
ভোরে ফুল কুড়াতে গিয়ে যেসব চপল কিশোরী ছুঁলো ঐ মনোলিথ
আধুনিকা হলো তারা, জ্ঞানে গরিমায় ধনে মানে পুরুষকেও ছাপিয়ে
চৌদ্দ পেরিয়ে অঠাশ ছত্রিশ হলো কিন্তু নারী হওয়া হলোনা তাদের আর
কালকান্দি গ্রামের যে মেয়েরা চৌদ্দ বছর বয়েসে নারী হতো
শেফু নামের মেয়েটা-মুন্নি- অলকা- শাহেদারা যেমন খাঁটি মানুষ হতো
স্নিগ্ধ আদর ভালবাসায় যেমন স্নেহের মা হতো,
বন্ধ কুটিরে বন্দি থেকেও সুখ আনন্দের যে হাসি ছড়াতো
রুক্ষ বেতাল পুরুষ মাঝেও জীবনের যে কেন্দ্র হতো
মুক্ত স্বাধীন সফল মেয়েরা তা যেন হয়না আজ
চৌদ্দ পেরিয়ে অঠাশ হলে শুধু নিকষ কালো শুন্যতা


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

বাহ্ ! এটাও চমৎকার !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অপ্রিয় এর ছবি

...ধন্যবাদ

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভাল লাগল।

অপ্রিয় এর ছবি

...ধন্যবাদ

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

চৌদ্দ পেরিয়ে অঠাশ হলে শুধু নিকষ কালো শুন্যতা

দুর্দান্ত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অপ্রিয় এর ছবি

...ধন্যবাদ

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

স্বপ্নাহত এর ছবি

বেশ হয়েছে

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অপ্রিয় এর ছবি

...ধন্যবাদ

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

দময়ন্তী এর ছবি

মন্তব্য করব না, করব না করেও শেষ পর্যন্ত না করে থাকতে পারছি না ৷
"অপ্রিয়' যেহেতু লিখেই দিয়েছেন এটি "পরিবর্তনশীল' এর লেখাটির প্রতিক্রিয়ায় লেখা --- তাতেই আরো বেশী করে লেখাটিকে আমার আপত্তিকর মনে হচ্ছে ৷ এই লেখাটি ভীষণভাবে "মা' নামক আর্কিটাইপ তৈরী করার জন্য, স্ত্রীলিঙ্গ নির্মাণের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সেগুলোই বলেছে ৷ "আধুনিকা' হলে, "জ্ঞানে গরিমায় ধনে মানে পুরুষকেও (এখানে "পুরুষকেও' শব্দে "ও' এর ব্যবহার লক্ষ করবেন পাঠক) ছাপিয়ে' গেলে "নারী' হওয়া যায় না? "খাঁটি মানুষ' হওয়া যায় না?? মচত্কার!!!
"চৌদ্দ পেরিয়ে আঠাশ হলে শুধু নিকষ কালো শূন্যতা'??? কে বলেছে? কতজন শেফু, মুন্নি, অলকাকে তাদের চৌদ্দ বছর বয়সে "নারী' হতে না দিয়ে আঠাশ, ছত্রিশ বছর অবধি যেতে দিয়ে তাদের "শূন্যতা' জেনেছেন অপ্রিয়?

বলতে একটুও দ্বিধা নেই, লেখাটি অসম্ভব খারাপ লাগল ৷ -----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অপ্রিয় এর ছবি

একটু রয়ে, একটু সয়ে..

আধুনিক মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস মোটামুটি ১০,০০,০০০ বছরের। প্রথম মহা-মাতৃর (মাইটোকন্ড্রিয়াল মাদার) জন্ম ১,৭০,০০০ বছর আগে যার থেকে বর্তমান পৃথিবীর সব মানুষের জন্ম বলে ধরা হয়। পোশাকের ব্যবহার এবং শিকার নির্ভর সমাজব্যবস্থা শুরু হয় ৫০,০০০ বছর আগে ও তা প্রধাণত কৃষি নির্ভর হয় ১০,০০০ বছর আগে থেকে।

বিবর্তনের এই দীর্ঘ পথে নারী ও পুরুষের অবস্থান কখনই এক ছিল না। সেটাকে না বুঝে নারী স্বাধীনতার যে ক্লিশে ধারণা পশ্চিম থেকে উড়ে এসে শেফু, মুন্নি, অলকাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা কতটুকু সাচ্চা? এতো নারীকে পুরুষ মার্কা প্যাকেটে ভরে শ্রম বাজারে বাজারজাত করন। একদম টাট্কা টেট্রাপ্যাকে ভরা। এ স্বাধীনতা তো পশ্চিমা কর্পোরেট বেনিয়াদের ফর্মুলেশন সমাজে শ্রমিকের সংখ্যা দ্বিগুন করবার জন্য। ১০০ বছরও যার বয়স নয়। এখানে নারীর নারীত্বের সংস্কৃতি কোথায় রক্ষিত?

ভুয়া স্বাধীনতা সাচ্চা স্বাধীনতাকে আরও দুরে ঠেলে নিয়ে যায়। আসুন বিষয়টাকে অযথা রাজনীতিকরন না করে আরও ভাবি।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

একজন [অতিথি] এর ছবি

লেখার ধরনটি চমৎকার তবে মূল বক্তব্য ভাল লাগেনি।

অপ্রিয় এর ছবি

ধন্যবাদ, দময়ন্তীকে দেওয়া জবাবটা পড়লে আর একটু ভাল লাগতে পারে!

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

সবজান্তা এর ছবি

ভাষার উপর দখল চমৎকার, কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু একদমই ভালো লাগেনি - পুরো মাত্রায় পুরুষতান্ত্রিক মনে হয়েছে।


অলমিতি বিস্তারেণ

অপ্রিয় এর ছবি

ধন্যবাদ, দময়ন্তীকে দেওয়া জবাবটা পড়লে আর একটু ভাল লাগতে পারে!

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

সবজান্তা এর ছবি

দময়ন্তী-কে দেওয়া প্রশ্নের উত্তরটা পড়লাম।

রাখ ঢাক না করেই বলি, উত্তরটা খুব বোধগম্য হয় নি আমার। বিবর্তনের পথে নারী পুরুষের পথ এক ছিলো না - কিন্তু কতটুকু তফাৎ ছিলো ? আর আজকের সেই তফাৎ-এর পরিমান কতটুকু কিংবা কোন অংশে সেই তফাৎ, সে'টাও কি বিবেচ্য না ? কিংবা এভাবেও ভাবা যায়, আদিম যুগ থেকে চলে আসলেই যে সে'টা সঠিক কিংবা যুক্তিযুক্ত হয়ে যায় ?

আপনি বলতে চাচ্ছেন নারী-পুরুষের সমানিধাকার প্রকৃতপক্ষে পাশ্চাত্য তথা উন্নত বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া "কনসেপ্ট", যার মূলে রয়েছে শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য । আচ্ছা তাহলে একবার দেখা যাক, আপনি নারী অধিকারের ব্যাপারটা কীভাবে দেখছেন...

ভোরে ফুল কুড়াতে গিয়ে যেসব চপল কিশোরী ছুঁলো ঐ মনোলিথ
আধুনিকা হলো তারা, জ্ঞানে গরিমায় ধনে মানে পুরুষকেও ছাপিয়ে
চৌদ্দ পেরিয়ে অঠাশ ছত্রিশ হলো কিন্তু নারী হওয়া হলোনা তাদের আর

পুরুষকেও ছাড়িয়ে গেল - কথাটার অর্থ কী ? পুরুষ কী কোন দূর আকাশের নক্ষত্র যে উচ্চতায় তাকেও ছাড়ানোর কথা নারীর ছিলো না ? চৌদ্দ-আঠাশ পেরিয়ে ছত্রিশে যেয়েও নারী হওয়া হল না - কেন হল না ? সে বিদ্যা বুদ্ধি অর্জন করে চিন্তাশীল হয়েছে, তাই হল না ? আজ একশ বছরের কম বয়সের যেই তথাকথিত "বেনিয়াদের সুবিধাবাদীদের থিয়োরী"তে আক্রান্ত হয়ে মেয়েরা সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে লড়ছে, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিচ্ছে, তার ফলে তারা নারী হতে পারছে না ? কোথায় লেখা আছে যে নারীদের অত্যন্ত কুসুম কোমল হতে হবে, সর্বংসহা হতে হবে ? শরৎচন্দ্রকে টেনে আনলে অবশ্য আমি নিরুত্তর।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আপনার এই লেখার পরতে পরতে পুরুষত্বের অহংকার লুকিয়ে আছে, সেই সাথে নারীদের সম্পর্কে নীচু ধারণা- যেটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার একদমই ভালো লাগেনি।


অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক সবজান্তা।

অপ্রিয় এর ছবি

সে বিদ্যা বুদ্ধি অর্জন করে চিন্তাশীল হয়েছে, তাই হল না ? আজ একশ বছরের কম বয়সের যেই তথাকথিত "বেনিয়াদের সুবিধাবাদীদের থিয়োরী"তে আক্রান্ত হয়ে মেয়েরা সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে লড়ছে, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিচ্ছে, তার ফলে তারা নারী হতে পারছে না ?

এই বিদ্যা বুদ্ধি ও চিন্তাশীলতার মাপকাঠী কার তৈরী - আমাদের পুরুষদের নয় কি? মেয়েরা সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে লড়ছে - এই লড়াইয়ের নিয়ম কানুন কে তৈরী করেছে? আমরা পুরুষরা নয় কি?

আপনি ভূলে যাচ্ছেন যে আধুনিকতার পুরুষতান্ত্রিক মাপকাঠী প্রয়োগের ফলে নারীর যে শ্বাশ্বত সংস্কৃতি, তাকে আমরা অবহেলা করছি। আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলে "আপনি সবসময় যা করেন আপনি তাই"। নারীকে দিনের বেশিরভাগ সময় পুরুষের সাথে যুদ্ধ করতে হলে তার ব্যাক্তিত্ব একজন যোদ্ধার মত হবে মায়ের মত নয়।

আপনি কি নিশ্চিত করে বলতে পারেন একজন পুরুষ যেভাবে একজন নারীর প্রেমে পড়ে একজন নারীর কাছে প্রেম একই অনুভুতি নিয়ে আসে? নিজের শিশুর জন্য একজন মা যা অনুভব করে, একজন পিতার অনুভূতিও একই? একটা প্রমোশন পেলে, একটা নতুন গাড়ি কিনলে আপনার যে পরিমান সুখী হন, একটা মেয়ে তো তা নাও হতে পারে। তাহলে একই চ্যালেন্জ কতটুকু যুক্তিসংগত?

পুরুষ সবসময়ই ছন্নছাড়া, এলিয়েনেটেড। সমাজকে, জীবনকে ধারণ করে নারী, চালিত করে নারী। এই নারী তার নারীত্বের সংস্কৃতি হারালে জীবন থেমে যাবে, সভ্যতা ধ্বংশ হবে।
আধুনিক মনোবিজ্ঞান মতে মায়ের সাথে সঠিক এটাচমেন্টই কেবল একজন শিশুর সুস্থ মানসিক গঠন নিশ্চিত করতে পারে।

আমি সবজান্তা নই, সব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। অনেক প্রশ্নের তো উত্তরই নেই। কিন্তু তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন যারা আমাদের অনেক আগেই পুরুষতান্ত্রিক মাপকাঠীর নারী আধুনিকতা প্রয়োগ করেছে। খুজে দেখুন কেমন আছে পশ্চিমের নারীরা।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

সবজান্তা এর ছবি

নারীর শ্বাশত সংস্কৃতি বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন জানতে পারলে ভালো হত। আমি আবারো বলছি, আপনার এই কথাগুলিতে শরৎচন্দ্রের এক'শ বছর আগের লেখার উপাদান আছে, কিন্তু তা'তে যুক্তি কিংবা বিজ্ঞানের বিশেষ কিছু অন্তত আমি দেখছি না।

আপনি কী দাবি করতে চান, আজকের কর্মজীবি মায়েরা সন্তানদের কম ভালোবাসেন অন্যান্য "গৃহবধূ" মায়ের তুলনায় ? যদি তাই মনে করে থাকেন, তাহলে বোধহয় আপনার সাথে আমার আর তর্ক করার দরকার নেই।

পুরুষ সবসময়ই ছন্নছাড়া, এলিয়েনেটেড। সমাজকে, জীবনকে ধারণ করে নারী, চালিত করে নারী। এই নারী তার নারীত্বের সংস্কৃতি হারালে জীবন থেমে যাবে, সভ্যতা ধ্বংশ হবে।
আধুনিক মনোবিজ্ঞান মতে মায়ের সাথে সঠিক এটাচমেন্টই কেবল একজন শিশুর সুস্থ মানসিক গঠন নিশ্চিত করতে পারে।

এই কথার যুক্তি দাবি করছি। প্রথাগত কথা শুধু বললেই হবে না। নারীকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে, নিজেদের এলিয়েনেটেড দাবী করার মধ্যে এক ধরণের মেল শভিনিস্ট ছায়া আমি দেখতে পাই, কিন্তু কোন যুক্তি নেই। আজ আমি রাত দশ'টা-এগারোটা-বারোটা পর্যন্ত বাইরে আড্ডা মারতে পারছি কারণ আমি ছেলে, সমাজ আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে, কিন্তু এই সমাজ একটা মেয়ের রাত বারোটা পর্যন্ত বাইরে থাকাকে সমর্থন করে না-তাই আমারই সমবয়সী একটা মেয়েকে হয়তো রাত সাতটার মধ্যেই বাসায় ফিরতে হচ্ছে, যদি তার গল্প করার ইচ্ছা থাকে তবুও। কাজেই পুরুষ ছন্নছাড়া আর নারীকেই সভ্যতার দায়ভার নিতে হবে এমন মাথার দিব্বি কোন গ্রন্থে কে দিয়েছেন না জানালে কথাটা মানতে পারছি না।

একই কথা খাটে শেষের লাইনের ক্ষেত্রেও। শুধু মা কেন, বাবার সাথে সু সম্পর্কও অত্যন্ত জরুরী। আমি বরং ব্যক্তিগত জীবনে দেখেছি আমার বহু বন্ধু কিংবা ভাই বোন-যাদের মা চাকরি করতেন, তারা আমার চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট, স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বড় হয়েছেন।

আপনি কি নিশ্চিত করে বলতে পারেন একজন পুরুষ যেভাবে একজন নারীর প্রেমে পড়ে একজন নারীর কাছে প্রেম একই অনুভুতি নিয়ে আসে? নিজের শিশুর জন্য একজন মা যা অনুভব করে, একজন পিতার অনুভূতিও একই? একটা প্রমোশন পেলে, একটা নতুন গাড়ি কিনলে আপনার যে পরিমান সুখী হন, একটা মেয়ে তো তা নাও হতে পারে। তাহলে একই চ্যালেন্জ কতটুকু যুক্তিসংগত?

মন্তব্যের এই অংশটাকে কোনমতেই আমি আলোচনার সাথে মিলাতে পারলাম না। এই কথার অর্থ কী ? অনুভূতি এক হবে সবার ক্ষেত্রে, তা কি কোথাও আমি বলেছি ? আশা করি আবার একটু চিন্তা করে দেখবেন।

আমি সবজান্তা নই, সব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। অনেক প্রশ্নের তো উত্তরই নেই। কিন্তু তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন যারা আমাদের অনেক আগেই পুরুষতান্ত্রিক মাপকাঠীর নারী আধুনিকতা প্রয়োগ করেছে। খুজে দেখুন কেমন আছে পশ্চিমের নারীরা।

উত্তর জানা থাকাটা জরুরী না, জরুরী হচ্ছে উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা এবং সেই উত্তর না জানার আগেই মন্তব্য বা সিদ্ধান্তে না করাটাও সমান জরুরী।

পাশ্চাত্যের নারী ? কেমন আছে আপনিই বলুন তো ? প্রাচ্যের নারী কি এর চেয়ে ভালো আছে ? দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আপনার বক্তব্যের এই অংশটি অত্যন্ত জাকির নায়েকীয় শোনাচ্ছে। আবেগের চেয়ে বরং কিছু তুলনামূলক আলোচনা তুলে আনলে স্বস্তি বোধ করবো।


অলমিতি বিস্তারেণ

অপ্রিয় এর ছবি

বিতর্ক আমি একদম পছন্দ করি না তাই আপনার প্রশ্নের জবাব আম আর দিতে যাব না।

কিন্তু মনে হয় আপনি আমার সম্পর্ক একটি প্রি-কনসেপশন নিয়ে বসে আছেন। নারীর আধুনিকতার বিপক্ষে কথা বলছে, এ নিশ্চই শরৎচন্দ্র বা জাকির নায়েকের প্রেতাত্মা।

১. আমি কখনও নারীর আধুনিকতার বিপক্ষে বলিনি, বলেছি আধুনিকতার পশ্চিমা কনসেপ্টের বিরুদ্ধে। রিডিফাইন করার কথা বলেছি নারীর আধুনিকতার।

২. আমি কখনও শরৎচন্দ্র পড়িনি। আর শরৎবাবুও বিবর্তনবাদ বা আধুনিক মনোবিজ্ঞান পড়েছিলেন বলে আমার মনে হয় না।

৩. ট্যাগলাইনেই দেখছেন ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই আমার, তাই জাকির নায়েকের কথা আনবেন না, ওটা একটা ইডিয়েট।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

সবজান্তা এর ছবি

আমি যতদূর জানি, আপনাকে আমি ব্যক্তিগত জীবনে চিনি না এবং এর আগে আপনার কোন লেখাও সম্ভবত পড়া হয় নি। তাহলে প্রি-কনসেপশনের প্রশ্ন আসলো কোথা থেকে ? আমি যা বলেছি তা আপনারই লেখা আর মন্তব্য থেকে "ডিরাইভড"।

নারীত্বের কনসেপ্ট রিডিফাইন করতে চাচ্ছেন বেশ তো - কিন্তু সে ব্যাপারে আপনি কী বলছেন ? আপনার লেখার মধ্যে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, আজ নারী মেধা মননে "পুরুষকেও" ছাড়িয়ে গিয়েছে কিন্তু তাদের নারী হয়ে উঠা হয় নি। এই নারী হয়ে উঠা বলতে কি বোঝাচ্ছেন ? নারীকে হতে হবে তথাকথিত পুতুপুতু "শাশ্বত" বাঙালি নারী, তাকে সবকিছু সহ্য করতে হবে, নিজের স্বামী এবং নিজে অফিস থেকে রাতের বেলা একসাথে ফিরলেও, তার স্বামী যখন আয়েশ করে শুয়ে বসে টিভি দেখবে তখন সে রাতের খাওয়া তৈরি করবে - তাই না ?

জাকির নায়েকের কথা আনার ইচ্ছা ছিলো না, কিন্তু "পাশ্চাত্যের নারী" নামক একটা শব্দ এনে আপনিই সে রাস্তা প্রশস্ত করেছেন। যদি তার বক্তব্য দেখে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই দেখেছেন কথায় কথায় পাশ্চাত্যের সাথে অকারণ এবং অযৌক্তিক তুলনা করা তার বক্তব্যের স্টাইল। আপনার সেই বক্তব্যেও কোন স্পষ্ট যুক্তি আমার চোখে পড়েনি। ইন ফ্যাক্ট, আপনার পুরো লেখা আর মন্তব্যেই আবেগের ঢল নেমেছে কিন্তু যেই যুক্তির সন্ধানে আমি ছিলাম, তার দেখা মেলে নি।

পরিশেষে, বিতর্ক ভালো লাগা না লাগা ব্যক্তিগত ব্যাপার। এমন কী বিতর্ক শুরু করে মাঝপথে বিতর্ক ভালো লাগে না বলে থেমে যাওয়াটাও যত দৃষ্টিকটু এবং অস্বাভাবিক হোক, সে'টাও আসলে ব্যক্তিগত ব্যাপারই - এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। ভালো থাকবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

অপ্রিয় এর ছবি

আলাদা কোন পোষ্টে আরও পরিষ্কার করার চেষ্টা করব। খেয়াল করে দেখুন মূল পোষ্টটি একটি নিছক কবিতা মাত্র, হাইপোথিসিস নয়।

একটি নিছক কবিতায় আপনাদের কয়েকজনের রিয়্যাকশনটা আমাকে খুব অবাক করেছে।

আমি যেমন মনে করি পশ্চিমা আধুনিকতা যেমন আমাদের অনেক কিছু দিচ্ছে তেমন অনেক কিছু নিয়েও নিচ্ছে। নারী হারাচ্ছে তার নারীত্ব (Femininity)। নারীত্ব মানে শুধু পুরূষের সেবা করা বা তার অধীনে থাকা নয়। নারী তার নারীত্ব বিসর্জন না দিয়েও সম্পুর্ণ স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অনেক উদাহরণ আমাদের দেশেই আছে কিন্তু তা অন্ধভাবে পশ্চিমকে অনুসরণ করেই হয় নি।

আর শুধু নারী কেন? আমরা পুরুষরা কি আমাদের শ্বাশ্বত পুরুষত্ব হারাচ্ছি না? যতই শিক্ষিত হচ্ছি, যতই আমরা ভীরু, দুর্বল ও নপুংশকে পরিনত হচ্ছি না? রাস্তায় একটা আহত লোককে দেখলে না দেখার ভান করে চলে যাওয়া লোকের সংখ্যা কি দিন দিন বাড়ছে না? আমার তো সন্দেহ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ যদি ১৯৭১ এ না হয়ে ২০১১ হতো, আমরা আদৌ জিততাম কি না। আমরা আমাদের সাহস, সততা ও বীর্য হারিয়ে আরও চতুর ও লোভি হচ্ছি দিন দিন। এটা পশ্চিমা আধুনিকতা চর্চার এক নিশ্চিত ফল। কাম্যুর 'আউটসাইডাররা' আজ ঢাকা শহরে গ্রামাঞ্চলের চাইতে অনেক বেশী। ভাল মানুষের সংখ্যাও গ্রাম্য'অশিক্ষিতদের' মধ্যে অনেক বেশি, বিয়ে তাদের যে বয়সেই হোক না কেন।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

অমিত আহমেদ এর ছবি

ভাষার উপর দখল চমৎকার, কিন্তু লেখার বিষয়বস্তু একদমই ভালো লাগেনি - পুরো মাত্রায় পুরুষতান্ত্রিক মনে হয়েছে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অপ্রিয় এর ছবি

ধন্যবাদ, দময়ন্তীকে দেওয়া জবাবটা পড়লে আর একটু ভাল লাগতে পারে!

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

খেকশিয়াল এর ছবি

দুঃখিত, লেখাটা আর দময়ন্তীকে লেখা জবাব সবি পড়লাম, আপনার জবাব, লেখা সবই টাইপড আর পুরুষতান্ত্রিক, তাই জোর গলায় বিরোধীতা করলাম।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অপ্রিয় এর ছবি

তসলিমা নাসরিনের সমালোচনা করলে অনেকে বলে পুরুষতান্ত্রিক, এটা নতুন কিছু নয়। বিরোধীতা করার অধিকার সবার আছে। ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

রানা মেহের এর ছবি

দময়ন্তীকে দেয়া জবাব এবং লেখকের লেখা পড়লাম।

এরকম বাজে লেখা - মতবাদ অনেকদিন পড়িনি।
সবজান্তাকে ধন্যবাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পুরো মাত্রায় পুরুষতান্ত্রিক

সে-কারণেই ভালো লাগাটা এলো না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্রিয় অপ্রিয়,

অনেকখানি রয়ে এবং বেশ খানিকটা সয়ে কয়েকটা প্রশ্ন করতে চাই। প্রথমেই বলে নিচ্ছি আপনার লেখার একটা ট্যাঞ্জেন্সিয়াল বক্তব্য বা পয়েন্ট আমার ভালো লেগেছে, সেটা হলো পশ্চিমা ধ্যান ধারণাকে বিনা প্রশ্নে মেনে না নেয়া। ভালো কথা, আমিও এটা মানি। কিন্তু, কোন কিছু পশ্চিম থেকে উদ্ভূত বা আগত হলেই তাকে নাকচ করে দিতে হবে, সেটা মানি না। ধরে নিচ্ছি, আপনি আপনার মতামত/আদর্শ/যুক্তি ইত্যাদি অনুসারে নারী সম্পর্কিত এই ধারণায় পৌছেছেন, এটা পশ্চিমীয় বলেই যে এটাকে খারিজ করছেন তা নয়। খুবই ভালো কথা। এবার আমার প্রশ্নগুলো -

১। আপনি পশ্চিমা কর্পোরেট বেনিয়াদের মুনাফালোভী, পশ্চিমী নারী 'স্বাধীনতা' বা 'সমানাধিকার' এর ধারণাকে কে রিজেক্ট করছেন - এই পরিপ্রেক্ষিতে 'আপনার' নারী অধিকার বা সমাজে নারীর অবস্থান কি বা কিরকম হওয়া উচিত?

২। যে 'নারী সংস্কৃতির' কথা আপনি বলছেন সেটার সংজ্ঞা বা সেটা নির্ধারন করার ক্রাইটেরিয়া গুলো কি কি? অর্থাৎ কোন নারী ওই 'সংস্কৃতি'র ধারক ও বাহক হয়ে আছেন বা নেই, সেটা কিভাবে বোঝা যাবে?

৩। সেই নির্ধারকগুলো কারা ঠিক করবে? নারী? পুরুষ? নারী পুরুষ উভয়েই?

৪। "বন্ধ কুটিরে বন্দি থেকেও সুখ আনন্দের যে হাসি ছড়াতো" আপনি এই সিদ্ধান্তে পৌছুলেন কি করে? যদি ধরেও নেই আপনার কাছে উপাত্ত আছে এরকম কয়েকজন নারীর যারা বন্দী অবস্থাতেও হাসি ছড়াতেন, তাতে কি করে প্রমাণিত হলো যে সওওওব নারীরাই তাই ছিলেন, বা থাকতে চান?

৫। আমি পশ্চিমে থাকি এবং আমার বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ পশ্চিমা ছেলেবন্ধু আছে। তাদের কয়েকজন বাচ্চাদের জন্য যা করে সেটা আমি বাংলাদেশে অনেক মা কেও করতে দেখি নি। অর্থাৎ, অপত্যস্নেহে পুরুষ অবধারিতভাবে পিছিয়ে আছে/থাকে - এটা ঠিক নয়। তাহলে, কেন নারীকেই 'স্নিগ্ধ আদর ভালোবাসায় স্নেহের মা' হতে হবে? পুরুষ কেন স্নিগ্ধ আদর ভালোবাসায় স্নেহের বাবা হতে পারবে না?

৬। যদি বলেন, পুরুষরাও হোক - কে তাদের মানা করেছে, তাহলে এবার আসি সেক্সুয়াল ডিভিশন অফ লেবারের কথায়। মেয়েরাই গৃহলক্ষ্মী হয়ে বিরাজ না করে বরং বাইরের পৃথিবীতে 'যুদ্ধ' করুক? ছেলেরা না হয় গৃহশিব হয়ে সংসার এবং সন্তান সামলাক? সন্তানধারনের ব্যাপারটা কোন বাধাই এক্ষেত্রে হবে না, কারণ বহু কর্মজীবি নারীই শুধু জন্মদানের আগে পরে মিলিয়ে খুব অল্পদিন বিশ্রাম নেন, তারপর আবার কাজে যান।

৭। সারাদিন বাইরে যুদ্ধ করলে যদি নারীর স্বভাবে '্যোদ্ধা' ভাব আসে তাতে তার নারীত্বের সঙ্গে বিরোধীতা হয় কি করে? নারীকে বা মা কে কোমল স্বভাবা হতে হবে এই ধারণা কি প্রাচ্যের? আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে নারীর পরূষ, অকমণীয়, দৃঢ় হবার উদাহরণ নেই?

৮। পশ্চিমা নারীরা কেমন আছে? আমার জানা মতে প্রাচ্যের মেয়েদের মতোনই আছে। অন্তত আপনার কথিত 'নারী সংস্কৃতি'র বাইরে আসার ফলে একটুও খারাপ নেই বলেই জানি। আমার নিজের জীবন যাত্রা খুব বেশী মাত্রায় পশ্চিমা। এবং আমি একজন সিংগল প্যারেন্ট। এবং আমি ভালো আছি।

আশা করছি, আপনার উত্তর পাবো।

অপ্রিয় এর ছবি

সেরেছে....এত প্রশ্ন? সবগুলোর উত্তর দিতে গেলে তো আস্ত এক বই লিখতে হবে! কিন্তু আপনার প্রশ্নগুলো আমার ভাল লেগেছে, অবশ্যই এসব বিষয়ে আমার ধারণাগুলো থেকে জবাব দেবার চেষ্টা করব।
বাংলা টাইপ আমার জন্য একটা অত্যাচার, ইংরেজীতে দিলে হবে?
আর হাতে একটু কাজ পড়ে গেছে একটু সময় দিতে হবে।

ধন্যবাদ....

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

স্নিগ্ধা এর ছবি

আস্ত বই তো দূরের কথা, এমনকি অর্ধেক প্রবন্ধও লিখতে হবে না। আপনি বিভিন্ন জনের মন্তব্যের উত্তরে আধুনিক মনোবিজ্ঞান, বিবর্তনের ইতিহাস, পশ্চিমা নারীবাদের ক্রিটিসিজম (যেটাকে Third World Feminism বলা হয়), নারী সংস্কৃতি (যেটা খুব সম্ভবত cultural essentialism এর মধ্যে পড়ে) ইত্যাদি অনেক বিষয় থেকেই আপনার মতের সপক্ষে যুক্তি দেখাতে চেষ্টা করেছেন। তো, সেভাবেই আমার প্রশ্নগুলোরও উত্তর দিন না?! নাহয় সংক্ষেপেই দিন?

আপনার মন্তব্যের দৈর্ঘ্য দেখে অবশ্য বুঝতে পারিনি যে বাংলা টাইপ আপনার জন্য একটা সমস্যা। ঠিকাছে, সচলায়তন কর্তৃপক্ষের আপত্তি না থাকলে ইংরেজীতেই উত্তর দেবেন। আমার জন্য বরং সেটাই বেশী সুবিধাজনক।

তবে, অনুগ্রহ করে উত্তর এই পোস্টেই দেবেন।

তানবীরা এর ছবি

হুমম

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

s-s এর ছবি

আমি একটা বলি শোনেন:এটা আপনার লেখা পড়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া :

পনের পেরিয়ে পয়তাল্লিশ হলো পঁচাশিও ছুঁই ছুঁই তবু
মানুষ হওয়া হলোনা পুরুষের -
কিছুতেই মানুষ হলোনা, পুরুষই রয়ে গ্যালো !
পুরনো দিনের আব্বু চাচুরা যারা মাঠে ঘাটে কাজ করতো পড়ালেখা বেশি জানতো না
তারাও আম্মু নানুদের সাথে ভালো ব্যব হার করতো স্নেহের পিতা পিতামহ হতো
বদ্ধ ঘরের সামনের দাওয়াতে বসেও হাওয়া খেতো আর মাছি মারতো
কিন্তু এখন, এখন তারা মানুষ থেকে আবার বিবর্তন বাদের উল্টো ঘড়িতে সওয়ার হলো
মানুষের পিছু হটতে লাগলো - পুরুষ হলো , নিয়ান্ডারথাল হলো এরপর কি হবে?
কি হবে?
এই আশংকাতেই তারা বদ্ধ ঘরের সামনে বসে আজকাল হাসি ছড়াতে পারেনা
তাই তারা বদ্ধঘরের কম্পিউটারের সামনে বসে নারীবিদ্বেষী ব্লগ লেখে
আর সুযোগ পেলেই পশ্চিমকে ঠ্যাঙায়
পয়তাল্লিশ পেরিয়ে পঁচাশি হলেও- শুধু নিকষ কালো শুন্যতা তাদের মনে!!

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।