বক্স সাহেবরা কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন ?

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শুক্র, ১৪/১১/২০০৮ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ষষ্ঠ পান্ডবের লেখা পড়ে মনে হল , তাই তো ! আমাদের শিশু কিশোর পত্রিকাগুলো কোথায় হাওয়া হয়ে যাচ্ছে ।

এই অবসরে মনে পড়ল বক্স সাহেবের কথা । সিলেট শহরে একটা ছোট্ট প্রেসের কম্পোজিটর ছিলেন বক্স সাহেব । এতোই ছোট প্রেস যেটার কোন নামধাম ছিল না, থাকলেও সাইনবোর্ডের অভাবে সেই নাম আমাদের জানা ছিল না , প্রান্তিকের উল্টোদিকে ব্রীজের কোনায় একটা ঝুপড়িতে সেই প্রেস , আর সেই প্রেসের কম্পোজিটর হিসেবে হতদরিদ্র বক্স সাহেব । এলেবেলে টাইপের লোক , আলাদা করে নজরে পড়ার কিছু নেই ।

তবু সেই বক্স সাহেব বছরের কয়েকটা দিন খুবই জাঁদরেল হয়ে যেতেন । তিনি ছিলেন মুকুলফৌজের সিলেট শাখার সভাপতি । জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতা যখন হতো , তখন তিনি ধোপদুরস্ত পাঞ্জাবী পড়ে একগাদা বস্তির ছেলেমেয়েকে এনে সেই প্রতিযোগিতায় মুকুলফৌজের নামে অংশগ্রহন করাতেন ।
গানে কিংবা কবিতায় সেই ছেলেমেয়েরা এটে উঠতে পারত না , কিন্তু খেলাধুলার কয়েকটা বিষয়ে আর হাতের কাজে পুরষ্কারগুলো বক্স সাহেবের ছেলেমেয়েদের বাঁধা ছিল ।
আর ষোলই ডিসেম্বর কিংবা ছাব্বিশে মার্চে স্টেডিয়ামের কুচকাওয়াজে বক্স সাহেবের ছেলেমেয়েরা দলবেধে অংশ নিত , মাঝে মাঝে পুরষ্কার পেয়েও যেত , তখন মওলা সাহেবের আনন্দ দেখে কে !

আরেক ভদ্রলোক ছিলেন , কোন এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক , তিনিও একটা বাচ্চাদের গ্রুপ চালাতেন । দূ:খের বিষয় আজ প্রায় দুই যুগ শেষে সেই গ্রুপটির নাম মনে নেই , তবে তার নাম মনে আছে । মধুমিয়া নামের সেই টিংটিঙে ভদ্রলোকের চেহারা আমার চোখে ভাসে ।

মধ্যবিত্ত পিচ্চিদের জন্য সিলেটে শক্তিশালী গ্রুপ ছিল সন্ধানী আর লিটল থিয়েটার । সন্ধানী চালাতেন যাদন দা , মুক্তাদি এরা । আর লিটল থিয়েটার চালাতেন মানু দা , জেবা আপা , মুকুল ভাই , অনুপ দা ,আমিন ভাই সহ কয়েকজন তরুন মিলে । কী ছুটোছুটি এই সংগঠকদের ।

প্রতিবছর জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় যে উত্তেজনা কাজ করত , সেটি আওয়ামী লীগ বিএনপির নির্বাচনের চাইতেও বেশি ছিল । হয়তো সন্ধানী আবৃত্তি গ গ্রুপে দুইটি পুরষ্কার জিতেছে , লিটিল থিয়েটার সেক্ষেত্রে খ গ্রুপ দুইটি জিতে নিয়ে হাততালিতে অডিটোরিয়াম সরগরম করে তুলছে ।
লিটিল থিয়েটারের মানু'দার নামে একটা মজার মিথ প্রচলিত ছিল । মানু'দা নাকি প্রতিদিন ভোর ঘুম থেকে উঠেই মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল আর মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ওয়ার্ডে ছুটতেন । যতো বাচ্চার জন্ম হতো আগের রাতে , সবাইকে লিটল থিয়েটারের সদস্য করে ফেলতেন !!

আমাদের বেড়ে ওঠায় সেই সংগঠন আর সংগঠকদের অনেক অনেক ভুমিকা আছে । একটা ছোট্ট শহরের একঝাঁক শিশু কিশোরের পেছনে তাদের অনেক অনেক অবদান ।

কিন্তু আজ সিলেটে সেরকম উৎসব মূখর কোন শিশু কিশোর সংগঠনের নাম আমি জানি না । রয়েছে শুধু বাচ্চা রাজাকারদের সংগঠন ফুলকুড়ি আসর। আর কেউ কোথাও নেই ।

দরিদ্র কম্পোজিটর বক্স সাহেব , গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মধু মিয়া , অথবা যাদন দা , মুক্তা দি , জেবা আপা , মুকুল ভাই , মানুদা ....এই লোকগুলো আর কোথাও কেন যেন জন্মায় না ।
কেন যেন খেলাঘর , কচিকাচার মেলা , মুকুল ফৌজ এর মতো সংগঠনগুলো আর পতাকা হাতে কুচকাওয়াজ করতে আসে না ষোলই ডিসেম্বর ভোরে ।
সিলেটের স্টেডিয়ামে শুধু ফুলকুড়ির আসর মার্চপাস্ট করে যায় স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসে ...


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ব্যথা পাইলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

আরিফ জেবতিক এর ছবি

উনার নাম ছিল আকছার বক্স ।( সূত্র : টুটুল ভাই )

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বস... বুঝতে হবে... দুনিয়া পাল্টাইছে... এখন আর এইসব সংগঠনের ভাত নাই। এখন পোলাপানে আপনের চাইতে দ্বিগুন বিজি। আপনেরে ডাকলে আড্ডাতে পাওয়া যাবে, কিন্তু পোলাপানরে বলেন... তাদের সকালে স্কুল, দুপুরে সুইমিং, বিকালে আর্ট স্কুল কিংবা বাস্কেটবল কোচিং, সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটর এইসব দিয়া সিডিউল বুকড... কোনো কাজে এখন বড়দের আগে বাচ্চাদের সিডিউল নিতে হয় আগে। এর ফাঁকে যত্টুক সময় তার জন্য আছে গেমবয় টাইপ কি কি জানি। সংগঠন করার টাইম কই?

আমরা মেট্রিকের পরের তিনমাস কি করুম সেইটা ভাইব্যা পাইতাম না... কত কত প্ল্যান করতাম। আর এখন পোলাপাইনে পরীক্ষার আগেই কিঞ্চিত্ ফ্রি থাকে... পরীক্ষার পরদিন থেকা শুরু হয় ভর্তি কোচিং।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এসব সংগঠনের ভাত আগেও কিন্তু ছিল না । কিন্তু নিবেদিত প্রান সংগঠক ছিল এদেশের আনাচে কানাচে । আজ সেই সংগঠকরা নেই ।
অথচ প্রথম আলো'র গোল্লাছুট এর মতো পাতাগুলো আছে , সেগুলো সংগঠনের অভাবে কেমন যেন নিষ্প্রান মনে হয় ।

এটা ঠিক যে , বাচ্চাদের শিডিউল নেই । বাচ্চারা আজকে সবচাইতে বিজি মানুষ । হাসি

যূথচারী এর ছবি

খুবই ভালো লেগেছে। পাঁচ তারকা।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

তারেক এর ছবি

জটিল পোস্ট। আমি কেমন জানি মুখচোরাই রয়ে গেলাম পিচ্চিকাল থেকেই। স্কুলে খেলাঘরের ভাইয়ারা আসতো, ফুলকুঁড়ির এরা তো ক্লাস নাইন পর্যন্ত পিছু ধাওয়া করেছে। আমি জড়তা কাটাতে পারি নাই।

একসময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটা দেখে অনেক লোভ হল। পাঠচক্রে কখনোই অংশ নেবো না - নিজের সাথে এই প্রতিজ্ঞা করে মেম্বার ও হয়ে গেলাম। কপাল, প্রথম তোলা বইটাই হারিয়ে বসলাম। আর ও মুখো হইনি ভয়ে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আসলেই ভাবনার বিষয়।

ছোটবেলা কেটেছে মফস্বলে। সেখানে কয়েকটা সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিলো, নিয়মিত গানবাজনা হতো, অভিনয়-আবৃত্তি, সবই হতো। আমি আমার বড়ো বোনের সাথে যেতাম। টুকটাক দেখেই যা শেখা। আবৃত্তি শিখেছিলাম অল্প-স্বল্প। হারমোনিয়াম বাজানো শিখেছি শুধুমাত্র দেখে দেখেই। এখনো মনে আছে, কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলেই, সেখানে গান-অভিনয়-আবৃত্তির জন্য রিহার্সেল হতো নিয়মিত। দিনগুলো আসলেই অনেক ভালো ছিলো। সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি সমমনাদের (যেসব ভাইয়া-আপু শেখাতেন) আড্ডাও ছিলো অনেক শিক্ষণীয়। এখন তো ছোটদের জন্য এইরকম কিছুই চোখে পড়ে না তেমন। সবকিছু যান্ত্রিক আর ব্যবসায়িক হয়ে যাচ্ছে কেমন যেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এখন সবাই শতভাগ প্রফেশনাল। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর ইচ্ছানাই কারো। কিংবা ইচ্ছা থাকলেও মনের তাকৎ নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার সাহিত্য চর্চা বোধহয় শুরু হয় 'শিশু'র হাত ধরে। যতদূর মনে পড়ে (বা অন্যান্যদের কাছে শুনে ধারনা হয়েছে) আমার হাতে প্রথম শিশু তুলে দেন আমার এক কাকা। তারপর প্রতিমাসে শিশু না পেলে আমার পেটের ভাত হজম হত না। এখনকার বাচ্চাদের জন্য ভালো পত্রিকা না থাকাটা যে কতটা ক্ষতি করছে আমাদের সে বলাই বাহুল্য।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রণদীপম বসু এর ছবি

মাওলা বক্স করিম বক্স-এর মাওলা বক্স আর আপনার বক্স সাহেব কি একই ব্যক্তি ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

না ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঘটনা হলো, কোনকিছুই কোন কিছুকে ছাড়ে না ।
'৮০র দশক পর্যন্ত বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি একটা ইস্যু ছিল । তার অনেকগুলো ফ্রন্ট ছিল । শিশু সংগঠন,সাংস্ৃতিক সংগঠন, নাট্য সংগঠন- এদের শেকড় একেবারে মফস্বল পর্যন্ত ছড়ানো ছিলো । মফস্বলে শৈশব কাটানোর সুবাদে দেখেছি- বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি যেখানে, জেলা শহর থেকে পত্রিকা পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যে হয় এমন জায়গায় ও খেলাঘর ছিলো, শুক্রবার সকাল বেলা সাদাশার্ট প্যান্ট কোমরে লাল বেল্ট ছেলেমেয়েরা খেলাঘরে যাচ্ছে-'আমরা করবো জয়' গাইছে, এসব আমাদের স্মৃতিরই অংশ ।

তোর মনে আছে কিনা, আমাদের খুব ছোটবেলায় মীরাবাজার মডেল হাইস্কুলের মাঠে উদীচির আয়োজনে বৈশাখীমেলা হতো । সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে নববর্ষের বিশাল র‌্যালী-এই তো সেদিনের ঘটনা । '৯২ এ সিলেটে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ এর জাতীয় সম্মেলন হলো- কি জমজমাট ।

তারপর?
তারপর গত আঠারো বছরে সবকিছুই ফুরালো, অনেক আগাছা জন্মালো, আগাছারা মহীরুহকে ঢেকে দিলো ।

বাংলাদেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিনত করা ও বিপরীত টার্গেট । এই টার্গেট যাদের তারা ও তাদের সকল শক্তি নিয়ে কাজ করছে । শিশু সংগঠন থেকে সিরাতুন্নবী মাহফিল হয়ে হুমায়ূন আজাদকে কোপানো ।

কিন্তু আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অংগীকার ক্ষয়ে গেছে তাই তার সব অংগপ্রত্যংগ ও মৃতপ্রায় ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ভালো বলেছিস ।
ঘটনাটা আসলেই ঐ জায়গায় । সামগ্রিক রাজনৈতিক পতনের ছাপ আমাদের সারা শরীরে লেপ্টে গেছে ।
জয় বাবা ফুলকুড়ির আসর । তোমরাই শিশু মনন গঠন করো বাবা ।

রণদীপম বসু এর ছবি

হাসান মোরশেদ ভালো কথাই মনে করলেন।
মীরাবাজারের লম্বা মার্কেটটার দোতলায় উদীচির অফিস ছিলো। আমরা তখন এমসির ছাত্র এবং উদীচির সদস্য। ৮৫-৮৬র সময়টাতে তখনকার উদীচির ওস্তাদ ভবতোষ দা'র নেতৃত্বে ক'দিন ধরে প্র্যাকটিসে প্র্যাকটিসে মার্কেট ফাটাইয়া অবশেষে পহেলা বৈশাখে মডেল স্কুলের মাঠের মঞ্চে কতক্ষণ হৈহৈ রৈরৈ ! ছাত্র ইউনিযনের অফিসটাও তো তখন মীরাবাজারে।
আসলে তখনকার চেতনাটাই অন্য রকম ছিলো। তখনো মধুবন মার্কেট উঠেনি। স্কুলের ছাত্রাবাস ছিলো। ওটাকে হঠিয়ে মার্কেটের কাজ শুরু হলে আমাদের কাজ ছিলো মিছিল করে ওখানে গিয়ে কতক্ষণ ঢিল ছুড়ে প্রতিবাদ জানানো। সম্ভবত ৮৪ সালে এরশাদ প্রথম সিলেটে জনসভা করতে চাইলে রেজিস্ট্রি মাঠের মিটিংটা পণ্ড করার জন্য কত গোপন বৈঠক পরিকল্পনা কত কিছু। ঠিকই সেদিন মিটিং পণ্ড করে দিয়েছিলাম। ওই মিটিংএ সিলেট শহরেরর কোন শ্রোতা ছিলো না। বাস দিয়ে শহরের বাইরের লোক এনে মিটিং সাজিয়েছিল। সে আরও কতকিছু ! তাপস আহত হলো, ইখতিয়ারের দাঁত উড়ে গেলো দুঁটো।

অনেক অনেক স্মৃতি। এখন কি সেই চেতনাটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

তাপস আহত হলো, ইখতিয়ারের দাঁত উড়ে গেলো দুঁটো।

সারছে । রণ'দা দেখি আমাদের ঘরের লোক । থাক, আর কথা না বাড়াই হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হ , ভবদা'কে চিনেন , আবার "ইখতিয়ার" এর দাতের হিসেবও দেখি জানেন !!!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ঐ মিটিংয়ে লোক আনা হয়েছিল বেশিরভাগই জৈন্তা এলাকা থেকে । কানাইঘাট
আর জকিগঞ্জ থেকেও লোক আনা হয় প্রচুর ।
হক বলে একটা মন্ত্রী ছিল বোধহয় এরশাদের , তার এলাকা ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় জেবতিক, আপনার লেখা পড়ে আমি একটা মানসিক অবলিগেশন অনুভব করছি ছোটদের সংগঠণ আর ছোটদের আয়োজিত বাৎসরিক অনুষ্ঠানগুলো নিয়ে লেখার জন্য। ধন্যবাদ নয়, অসীম কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি এই ভুলে যাওয়া দরকারী ইস্যুটা সামনে আনার জন্য। আমার লেখাটা কবে লিখতে পারবো জানি না, তবে আপনি যেহেতু অনায়াসে জটিল বিষয়গুলো সরল করে লিখতে পারেন তাই অনুরোধ, প্লিজ, এনিয়ে আরো বিস্তারিত লিখুন, শুধু সিলেটের পটভূমিকায় নয়, সারা দেশের পটভূমিকায়। ভালো থাকবেন।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ভদ্রলোকের নাম সম্ভবত ছিলো আকছার বক্স।প্রেসের নাম ছিল ছাপাঘর।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধন্যবাদ টুটুল ভাই । আপনি বলায় উনার পুরো নামটি মনে পড়ল । অসংখ্য ধন্যবাদ ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সবকিছুই ফুরালো, অনেক আগাছা জন্মালো, আগাছারা মহীরুহকে ঢেকে দিলো মোরশেদের এই বাক্যের পর,আর কী বলবো বল্‌ ? তোর লেখাটা পড়ে ভাবছি , আসলেই এই মানুষগুলো ক্রমশই কেন সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে দিনকে দিন !?

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দুনিয়া পাল্টাইছে। দুঃখ কইরা লাভ নাই। শুধু বিষাদ বাড়ানো ছাড়া।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।