আনোয়ারা সৈয়দ হকের 'মোবাইল সমাচার'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: রবি, ২১/০৬/২০০৯ - ১:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনোয়ারা সৈয়দ হক সম্ভবতঃ পেশা পরিচয়ে ‘মনোবিজ্ঞানী’ লেখেন। তাঁর কিছু উপন্যাসকেও ‘মনোবিশ্লেষণধর্মী’ উপন্যাস বলা হয়। আমার কাছে আনোয়ারা সৈয়দ হক অন্য কারণে মনে রাখার মতো নাম। প্রথমতঃ ১৯৯৩/৯৪ সালে ‘শিশু’ পত্রিকায় তাঁর লেখা দূর্দান্ত একটি গল্প পড়ি। গল্পের নাম ঠিক মনে পড়ছে না, তবে কাহিনী এরকম – এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলের আত্মকথন। তার বাবার মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে আর ফিরেনি। সে যখন বড় হয় তখন এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতাপ। সামাজিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে হেনস্তা করা হয়। জায়গা জমি দখল করে দেয় রাজাকাররা। এরপরে মুক্তিযোদ্ধার কিশোর ছেলেটি ক্রমান্বয়ে পালটে যেতে থাকে। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নদীর ঘাঁটে রাখা নৌকায় শুয়ে মাসুদ রানা পড়ে সে। আই লাভ ইউ লেখা লাল গেঞ্জি পরে; এরকম। গল্পটির প্লট আমাকে আক্রান্ত করেছিলো, বিষণ্নতা জাগিয়েছিলো। তাই মনে পড়ে প্রায়ই।

দ্বিতীয়তঃ আনোয়ারা সৈয়দ হকের একটি বই, ‘তুমি এখন বড় হচ্ছো’ খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম। কিশোর বয়সের শরীর ও মন নিয়ে জেগে ওঠা রহস্যময়তার সরল বিশ্লেষণ ছিলো সে বই। গল্পে গল্পে জানলাম অনেক কিছু। এরপর থেকে আনোয়ারা সৈয়দ হক নাম দেখলেই আমার এ দুটো ব্যাপার মাথায় আসে। পত্র-পত্রিকায় বিক্ষিপ্তভাবে তাঁর কলাম পড়েছি। তিনি নারী প্রগতির কথা লেখেন, ধর্মীয় গোঁড়ামীর বিরুদ্ধে লেখেন, মানুষের মন ও মনের ভেতর নিয়ে লেখেন। তবে আজ চমকালাম ‘সাপ্তাহিক২০০০’ চলতি সংখ্যায় তাঁর কলাম ‘মোবাইল সমাচার’ পড়ে।

কলামের একেবারে প্রথম কথাগুলো – ‘মোবাইল ফোন আমাদের দেশে একটি অসভ্য সংস্কৃতির ধারা বহন করে ফিরছে বিগত এক দশক। দিনে দিনে এই অসভ্যতা বাড়ছে, বেড়েই চলেছে, এর যেন কোনও আর থামাথামি নেই। মোবাইল ফোন আমাদের দেশে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক আব্রম্ন নষ্ট করেছে। এবং করেই চলেছে।’

সাপ্তাহিক২০০০ এর ফন্টে সমস্যা আছে, তাই ‘আব্রম্ন’ কী বোঝলাম না। ধারণা করে নিচ্ছি – তিনি বলতে চেয়েছেন মোবাইল ফোন আমাদের দেশে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক শৃঙ্ক্ষলা/অবস্থান/ব্যালান্স/আবহ কিংবা এরকমই কিছু একটা নষ্ট করছে। এবং করেই চলেছে।

এরকম অভিযোগ নতুন নয়। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং নানান দিক নিয়ে সুতর্ক-কুতর্ক পুরনো, যার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বরং নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবার ব্যাখ্যা আছে। তবে, আনোয়ারা সৈয়দ হক মনোবিজ্ঞানী বলেই তাঁর কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হয়। সাড়ে সাতশ’ শব্দের এ কলামে তার মূল কথা এরকম –
১) মানুষ এখন সময়ে অসময়ে ফোন করে। সময়জ্ঞান কমে যাচ্ছে।
২) ‘মোবাইল ফোন পুরো বাঙালি জাতিকে ইমপাল্‌সিভ একটি জাতিতে পরিণত করেছে। শুধু ইমপাল্‌সিভ নয়, প্যারানয়েডও।‘
৩) সিনিয়র-জুনিয়রের সম্পর্ক নষ্ট করছে মোবাইল ফোন। ‘একজন চ্যাংড়া মোবাইলধারী এখন বৃদ্ধ একজনকে রাত বারোটায় ঘুম থেকে জাগিয়ে সামান্য একটি সংবাদ জানায়, অর্থাৎ দিন হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করতে পারে না।‘
৪) কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য জায়গা অহেতূক ব্যক্তিগত মোবাইল আলাপে ভরে যাচ্ছে।
৫) কিশোর কিশোরীরা ঋণাত্বকভাবে মোবাইল ফোনে বন্ধু-পরিবার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ব্যক্তিগত সময় কিংবা স্বাধীনতা আর থাকছে না।

মোটের ওপর এই হলো আনোয়ারা সৈয়দ হকের অভিযোগের কিংবা সমাচারের সারমর্ম।

অবাক হলাম, মোবাইল ফোন ব্যবহারের এইসব বিপ্রতীপ বিষয়গুলো সমাধান বা নিয়ন্ত্রণের উপায়ে না গিয়ে তিনি দোষটা মোবাইল ফোনের উপরেই চাপিয়েছেন। সেইসব পুরনো অভিযোগ মনে পড়ে যায়, যখন বলা হতো – কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে, ১০ জনের কাজ একজন করে ফেলবে, দেশে বেকার সমস্যা দেখা দেবে। কিংবা ইন্টারনেট এলে দেশের সব তথ্য বাইরে পাচার হয়ে যাবে। এসব যুক্তি হাস্যকর হতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি, আনোয়ারা সৈয়দ হক এগুলো জানেন বলেই অনুমান করছি। অন্ততঃ নিজেকে যতোটা বিজ্ঞানমনষ্ক এবং প্রগতিশীল বলে লেখায় ছাপ ফেলতে চান, তাতে করে তাঁর এসব জানার কথা। এজন্যই বেশি চমকাই, যখন দেখি লেখার উপসংহারে তিনি বলেন -

তবে শেষ কথা হচ্ছে এখন মোবাইলের যুগ। প্রতিটি মানুষের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়াই এখন বিশ্ব বাজারের লক্ষ্য। তবে এই যুগ থাকবে না। মানুষ অচিরেই এই মোবাইল সংস্কৃতি পরিত্যাগ করবে। মানুষের মন ও আত্মাকে কোনওদিন কোনও মেশিন সন্তুষ্ট রাখতে পারবে না দীর্ঘদিন। এটা আমার বিশ্বাস।

আনোয়ারা সৈয়দ হকের বিশ্বাস কতোটুকু সত্যি হবে, মানুষ মোবাইল সংস্কৃতি পরিত্যাগ করবে নাকি এ সংস্কৃতির ধারা বিবর্তিত হবে; সেসব সময়ই বলে দেবে। তবে আনোয়ারা সৈয়দ হকের কাছে পাঠক হিসেবে আমার একটি অন্যরকম চাওয়া আছে। তাঁর অবস্থান, বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য এবং যোগ্যতা বলেই তিনি কাজটি করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বুদবুদ যুগে একদল বিভ্রান্ত কিশোর-তরুণদল নষ্ট এক খেলায় মেতে উঠেছে। প্রেমিকা-বান্ধবী অথবা অন্যকারো ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্ত মোবাইলে রেকর্ড করে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা মাধ্যমে। আমাদের সামাজিক কাঠামোতে এর প্রধান ভিক্টিম হচ্ছে কিশোরী কিংবা তরুণীটি। ক্ষেত্র বিশেষে পুরুষটিও। আনোয়ারা সৈয়দ হক কি এই প্রবণতা কিংবা চর্চাটি নিয়ে লিখবেন? এসব ঘটনায় আক্রান্ত কিংবা সম্ভাব্য আক্রান্তদের মানসিক বিপর্যয়ের ব্যাপারটি নিয়ে তিনি কি কলাম কিংবা গল্প অথবা উপন্যাস লিখবেন, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবেন?

খ্যাতনামা মনোবিশ্লেষক আনোয়ারা সৈয়দ হকের কাছে এ চাওয়াটি খুব বেশি হবে কি!


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখাটাতে ওনার নির্ভেজাল বক্তব্যের প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। অনেকেই পুরনোটাকে আঁকড়ে ধরে চলতে চায়; নতুনের সব নতুনত্ব হয়তো ভালো লাগেনা। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।

আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আক্রমনকারির মনোবৈকল্যের প্রতিকার কিভাবে সাধন হবে সেটাও জরুরী। সেটা অবশ্যই মোবাইল বন্ধ করে নয়, অন্য কোনভাবে।

মোবাইল নিয়েও এক ধরনের হুজুগ কাজ করে বলেই আমার ধারণা। জাতিগতভাবেই আমরা এটা পেয়েছি। নাহলে একটা মানুষের কাছে ৪টা মোবাইলের সীম থাকার কোন মানে আমি পাইনা। জরুরি দরকারে তাকে কোন নাম্বারে খুঁজবো তার জন্য লটারী করতে হবে।

মূলত পাঠক এর ছবি

শব্দটা সম্ভবতঃ 'আব্রু' হবে।

মোবাইল নিয়ে লেখাটায় কিছু সত্যতা থাকলেও সরলীকরণ খুব বেশি। বহির্বিশ্বে প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে মানুষের পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ কমে যাচ্ছে, লেখক এ কথা বলেই খালাস। কেউ কেন মেনে নেবে তা বোঝানোর কোনো দায় নেই।

আর মোবাইলে অসময়ে কল এলে না তুললেই হয়। ওঁর সেই বহির্বিশ্বে লোকে তাই করে। অচেনা নম্বরের কল অনেকে তোলেনও না। পরে ভয়েসমেল শুনে কল ব্যাক করেন। হাসপাতালে মুমূর্ষু কেউ না থাকলে সুইচ অফ করেও রাখা যায়। আর ট্রিভিয়াল কারণে কাজের সময় কেউ ফোন করলে দুকথা শোনানো যাবে না এই রকম কোনো প্রথা আছে নাকি?

ভোগান্তি তাদেরই বেশি যারা সর্বজনপ্রিয় হতে চান। তথাকথিত মোবাইল-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক এরাও কিছু কম নন।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লেখার সারমর্ম পড়ে মনে হচ্ছে, বিষয়বস্তুর অতি সরলীকরণ করেছেন তিনি। মাথাব্যথার কারণে মাথাটিই কেটে ফেলতে চেয়েছেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

উনি মোবাইল নিয়ে বিরক্ত ও বিব্রত বোঝা যায়। আর সবকিছুর মত মোবাইলের এবিউজ আছে, থাকবে। কিন্তু মোবাইল এর ব্যবহার কমবে না যেমনটা উনি বলেছেন। জেনারেশন গ্যাপ বলে একটা বিষয় আছে। আমার মনে হয় আনোয়ারা সৈয়দ হক সেই সমস্যাক্রান্ত।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জেনারেশন গ্যাপ। একমত।

অনিকেত এর ছবি

আমি নিজে মা-মু'র বক্তব্যের সাথে একমত। একজন মনোবিজ্ঞানী হয়ে তিনি এই বিষয়টি ধরতে পারছেন না---এইটে আমার কাছে বেশ অদ্ভূত মনে হল। আমি তাঁর লেখাটি এখনো পড়িনি--তবে শিমুলের এই পোষ্ট দেখে যতটুকু মনে হল---তিনি বেশ ঝোঁকের মাথায় এই লেখাটি লিখে ফেলেছেন! তাঁর আচরণে মনে হচ্ছে--যে কেউ মনে হয় তাকে রাত আড়াইটের সময় ঘুম ভাঙ্গিয়েছিল---আর তিনি ক্ষেপে গিয়ে সেই নিয়ে লেখা লিখতে বসে গেছেন---হা হা হা ---

আনোয়ারা সৈয়দ হকের একটা বইয়ের আমি খুব ভক্ত---'ছানার নানাবাড়ি'---
আমার শৈশবের বিশাল একটা অংশ জুড়ে এই লেখাটি ছিল---

তানবীরা এর ছবি

আমারো তাই মনে হয়েছে ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রণদীপম বসু এর ছবি

আনোয়ারা সৈযদ হকের লেখাটি ব্যতিক্রমই বলা যায়। কেননা এরকম লেখা বোধ করি তিনি আর লিখেন নি বা আমার নজরে আসেনি।

তবে 'জেনারেশান গ্যাপ' বলে যে মন্তব্যটা এসেছে, এটা উল্লেখযোগ্য !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

উনার বিশ্লেষনধর্মী লেখা আমারো ভালো লাগে।
তবে এই লেখা বোধহয় উনার মোবাইল-বিষয়ক কোনো বাজে অভিজ্ঞতার তাৎক্ষণিক প্রতিফলন।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে এরকম লেখা আসবে আমি ভাবতেও পারিনি, কিছু কুফলের বিনিময়ে কেউ যদি হাজারটা সুফল বাদ দিতে চান, সেটা কি খুবই হাস্যকর শোনায় না? মুলোদার সাথে এক ব্যাপারে একমত, ইদানিং ছেলেপেলের হাতে ৩-৪ টা সিম কেন থাকে, কে জানে, ৪ টি প্রেমিকার জন্যই হয়তো, আর মোবাইলের দোকানে 'মাস্টার সিম' নামে একটি জিনিষ পাওয়া যায়, জেটা দিয়ে আপনি একসাথে অনেকগুলো সিমের ডাটা একসাথে রাখতে পারেন, ফলে সিম না বদলে আপনে লাইন পরিবর্তন করতে পারেন, কি সব আজব বুদ্ধি!!! (কস্কি)

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নীল ভ্রমর [অতিথি] এর ছবি

আসল লিখাটা পরলাম। আমার কাছে কিন্তু মনে হয়েছে উনি সত্য কথা লিখেছেন। যত সোজা মনে হয় ততো সোজা না কাউকে জবাব দেয়া যে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করে নাই তাই ফোন ধরি নাই।

আমার মতে সমস্যা হল আমাদের technology কে ভুল প্রয়োগ করা। এক সময় yahoo messenger এ sign out করলেও অনেকে বলতো, "তোমাকে online দেখে hi বললাম কোন জবাব দাওনি কেন?" নেটওয়ার্ক সমস্যায় লাইন কেটে গেলে অনেকে বিশ্বাস করতে চায়না।

এই লিখাটায় য-ফলার বদলে "য" দেখে নবীন কেউ (যে কোনদিন এক লাইনও লিখেনি) ভাবতেই পারে আমি বানান জানিনা।

লেখিকা পেশাগত কারনে অনেক লোকের সাথে কথা বলেন। আমাদের চেয়ে উনার কাছে মোবাইলের অপকারটা অনেক বেশী প্রকট।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মোবাইল ফোনের (অপ)ব্যবহার নিয়ে তর্ক চলতে পারে, কিন্তু আমার আপত্তি ছিলো - অতিসরলীকরণ, যেটা কমেন্টেই বলেছেন কেউ কেউ। চলতি পথে, ঘরোয়া আড্ডায় এসব তো অনেকেই বলেন। পোস্ট দেয়ার কারণ, কথাগুলো বলেছেন- আনোয়ারা সৈয়দ হক নামের হেভিওয়েটের একজন...।

ধন্যবাদ।

তানবীরা এর ছবি

শিমুল, পন্যের সহজলভ্যটা কিন্তু অপপ্রয়োগে মানুষকে অনেক সময়ই উৎসাহিত করে
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনেক আগে পত্রিকায় তাঁর লেখা কিছু পড়ছিলাম মনে পড়ে।

মন্তব্যে তো সবাই সব বলেই দিলো। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে (বেশিরভাগ সময়) মোবাইল ফোনটারে একটা আপদ বলে মনে হয় খাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।