নিষিদ্ধ সচলায়তন - মুক্তমনারা পাশেই আছে।

অভিজিৎ এর ছবি
লিখেছেন অভিজিৎ (তারিখ: শনি, ১৯/০৭/২০০৮ - ৬:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এমন নয় যে, সচলয়ায়তন আমাকে লেখক বানিয়েছে। সচলায়তনে লেখা শুরু করার আগেই আমার কিঞ্চিৎ লেখালিখির অভ্যাসের কারণে আর মুক্তমনার কল্যাণে পাঠকের একাংশের কাছে কিছুটা হলেও পরিচিত ছিলাম। সত্য বলতে কি সচলায়ন প্রথম দিকে কোন আলাদা আকর্ষণ দেয় নি। ব্লগ জিনিসটাকে আমার খুবই খেলো আর সাধারণ মনে হত আমার। কিন্তু এই নাকউঁচু স্বভাবের আমিও কয়েক দিন যেতে না যেতেই একটা সময় সচলায়তনের ‘প্রেমে’ পড়ে গেলাম, কোথায় যেন অনুভব করলাম ‘আত্মার’ নিবিড় বন্ধন। যে অলস পিফু-পিশু লোকটা লেখা লিখবার আগে দু দিন ধরে ভাবত কি ভাবে কি লেখা যায়, সেই লোকটাও ব্লগে লিখতে শুরু করলো হুরহুরিয়ে। একটা সময় আমি অনুভব করলাম যে মুক্তমনা আমি তিলে তিলে গড়ে তুলেছি - সেখানে আমার নতুন লেখা দেওয়ার আগেই প্রকাশ করে দিচ্ছি সচলায়তনে। দোষ আমার নয়, দোষ সচলায়তনের। ঝকঝকে তকতকে স্মার্ট একটা সাইট বলেই নয়, এত ধরণের ভিন্ন ঘরণার লেখকের সমাবেশ আমি এর আগে এমনি ভাবে কোথাও দেখিনি। জগৎ-জীবন নিয়ে বিশাল দার্শনিক আলোচনা থেকে শুরু করে নিখাদ নিটোল হাস্যরস কোনটারই ঘাটতি পাইনি সচলায়তনে। এখানে দিগন্ত, শিক্ষানবিসের মত বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাবিদেরা যেমন লিখছেন, তেমনি পাচ্ছি ফারুক ওয়াসিফ কিংবা সুমন চৌধুরীর মত বাম ঘরণার দৃষ্টিভঙ্গি, কখনো বা সুবিনয় মুস্তাকীর অর্থনীতির ব্যবচ্ছেদ, আর অন্যদিকে তো আছে কামরাঙ্গা আর শিঙ্গালো ছড়াকারেরা। ব্যাপারটা কি শুধু আমি একা অনুভব করেছি? তা নয়। আমার জীবন সাথী বন্যা – ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ নামে বিবর্তনের উপর সবে ধন নীলমনি বইখানা লিখে তারপর লেখাই ছেড়ে দিলো, সে পর্যন্ত সচলায়তনে পূর্ণ উদ্যমে বিবর্তনের উপর সিরিজ লেখা শুরু করে দিলো একটা সময়। আর সেই সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য তো আছেই । ওর অবশ্য একই জিনিস বেশিদিন সহ্য হয় না (ব্যাপারটা জীবনন্সঙ্গি হিসেবে আমার জন্য খুবই রিস্কি), সেজন্য এখন আবারো তার 'বিরতি পর্ব' চলছে। স্নিগ্ধার কথাও বলা যায় আলাদা ভাবে। যে স্নিগ্ধাকে আমি বলে কয়ে মুক্তমনায় নিয়মিতভাবে লেখাতে পারি নি, সেই স্নিগ্ধা প্রায়শই সচলয়ায়তনের 'আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু'। আমি যাহা পারি নাই, সচলায়তন তাহা করিয়া দেখাইয়াছে। স্নিগ্ধাকে দিয়া লেখাইয়া দেখাইয়াছে যে, স্নিগ্ধা আগে লিখে নাই। নুরুজ্জামান মানিক আর তানবীরা তো সচলায়তন পেয়ে মুক্তমনায় লেখাই ছেড়ে দিয়েছে।

সেই সচলায়তনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমার কি আরো আগেই লিখতে বসা উচিৎ ছিলো না? ছিলো। কিন্তু ওই যে আলসেমী যার হাড়-মজ্জায় - তাকে দিয়ে কি কিছু হবে? তাও সাধের আলসেমীকে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে যখন সবে লিখবো লিখবো ভাব থেকে লিখছি লিখছি ভাবে উত্তোরিত হচ্ছি, ঠিক তখনই দেখলাম আমাদের মুক্তমনার মডারেটর ফরিদ আহমেদ এ নিয়ে একটি লেখা লিখে ফেলেছেন। লেখাটিতে আমি যা যা বলতে চেয়েছি তা সবই বলা হয়ে গেছে, ফলে আমার মত আইলস্যা লোকের বড্ড উপকার হলো। লেখাটি আমি সচলায়তনে পোস্ট করছি।

শুধু পোস্ট করার আগে লেখাটির লেখক ফরিদ আহমেদকে নিয়ে কিছু কথা বলে যাই, কারণ তার এ লেখাটিতে আমাদের সবার কথা আছে, নেই শুধু ফরিদের নিজের কথা। হ্যা, ফরিদও আমাদের মত সচলায়তনের একজন ব্লগার ছিলো। কিন্তু রেজু রাজাকার নিয়ে স্রোতের উল্টোদিকের একটি লেখা লিখে সচলায়তনের কিছু মুখ-চেনা ব্লগারদের বিরাগভাজন হওয়াত হয়ত অভিমানে সচলায়তনে লেখাই ছেড়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এবং সর্বোপরি মুক্তচিন্তা এবং মুক্তবুদ্ধির পক্ষের খুব কম লোককেই আমি ফরিদের মত এত সক্রিয়ভাবে ইন্টারনেটে পেয়েছি। যখনই দেশের কোন ঘটনা আমাকে পীড়িত করেছে মুষ্টিবদ্ধ হাতে ব্যর্থ ক্ষোভে দগ্ধ হচ্ছি, দেখেছি ফরিদ তার লেখা দিয়ে আমাদের আহত বিবেকের ব্যাথা অনেকটাই প্রশমিত করেছে। একবার দুবার নয় - বহুবার। অথচ সেই লোকটিকে সচলায়তন ছেড়ে যেতে হয়েছে 'রাজাকার তোষনের' তকমা মাথায় নিয়ে। অনেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন সময় সচলায়তন ছেড়েছেন, সেটা কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু আমার ভাল লেগেছে এই দেখে, যেখানে ঐ সব এক্স-সচুদের অনেকেই সুযোগ পেয়ে বিভিন্ন ব্লগে সচলায়তনের মুন্ডুপাত করছেন, সেখানে ফরিদ মুক্ত-মনাকে নিয়ে সচলায়তনের পাশে এসে দাঁডিয়েছেন। বিপদের সময়ই তো যথার্থ বন্ধুকে চেনা যায়, তাই না?

অভিজিৎ
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০০৮


অচলায়তনের আঘাতে নিষিদ্ধ (!) সচলায়তন

ফরিদ আহমেদ

খুব সম্ভবত জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ, অনলাইন রাইটার্স ফোরাম সচলায়তনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোন অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মুখ থেকে। শুধুমাত্র বিডিনিউজ ডট কম এবং প্রথম আলোয় আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে যে, সচলায়তনকে হয়তো বাংলাদেশে ব্যান করা হয়েছে। যদিও সঠিক তথ্য তারাও দিতে পারছে না, দায়িত্বশীল কোন মহল এ বিষয়ে মুখ না খোলার কারনে। কিন্তু ঘটনা পরম্পরায় খুব সহজেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে, আশংকা নয়, সত্যি সত্যি বাংলাদেশে সচলায়তন নিষিদ্ধই হয়েছে। যদি না হয়ে থাকে তবে সেটা হবে খুবই আনন্দের সংবাদ। সচলায়তনের উদ্যোক্তরা তাদের দিক থেকে কোন কারিগরি ত্রুটি খুঁজে না পেলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে গত তিনদিন ধরে স্বাভাবিকভাবে (বিটিটিবি-র লাইন দিয়ে) সচলায়তনে প্রবেশ করা যাচ্ছে না কিছুতেই। তবে প্রক্সি সাইট ব্যবহার করে চোরাপথে ঠিকই ঢোকা যাচ্ছে সচলায়তনে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি হবো যদি জানতে পারি যে, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। অন্য কোন কারণে নয়।

সচলায়তনের জন্ম খুব বেশিদিন আগে নয়। মাত্র বছর খানেক হলো এর আগমণ ঘটেছে আন্তর্জালে। কিন্তু এর মধ্যেই দেশে বিদেশে বাংলাভাষী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে এটি। প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতণায় শাণিতভাবে বিশ্বাসী একদল প্রবাসী তরুণ তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রগাঢ় ভালবাসা দিয়ে গড়ে তুলেছে দারুণ আকর্ষণীয় পরিপাটি ঝকঝকে এই অনলাইন রাইটার্স ফোরামটি। জন্মের পর থেকেই প্রগতিশীলতা আর মুক্ত চিন্তার ধারকবাহক হয়ে উঠেছে সচলায়তন। মৌলবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের বিপক্ষে সবসময় উচ্চকণ্ঠ থেকেছে সচলায়তন। জলপাই প্রেষণেও কোন ঘাটতি রাখেনি তারা। আর সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতণায় গভীরভাবে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক এবং মুক্ত চিন্তার লোকজনের সমাগম হয়েছে এখানে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। দেশের প্রতি গভীর ভালবাসা থেকে মুক্ত হস্তে লিখে গেছেন তারা দেশের জন্য ক্ষতিকর সমস্ত অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে। সকল ধরনের অচলায়তনের বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল সচলায়তনের সদস্যরা। আর সে কারণেই হয়তো জল্লাদের খড়গ নেমে এসেছে এত দ্রুত তাদের উপর। বাংলাদেশে যে চিরস্থায়ী অচলায়তনের রাজত্ব গড়ে তুলেছে অশুভ প্রেতাত্মারা। রাজত্ব চিরস্থায়ী হলেও অন্ধকারের শক্তি যে সামান্যতেই ভয় পায়। নিজের ছায়া দেখলেই ভয়ে কুঁকড়ে যায় সে। আর এতো সত্যি সত্যি বিপদ। তারুণ্যের শক্তি যে কত অমিতধর সেটা যে তারা হাড়ে হাড়েই জানে। কাজেই, এই সব মুক্তকণ্ঠ তেজি তরুণদের কন্ঠ রোধ না করা পর্যন্ত তার মনে যে শান্তি নেই।

মুক্তমনার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই সচলায়তনের সদস্য। অভিজিৎ, তানবীরা এবং স্নিগ্ধা নিয়মিত সেখানে লেখালেখি করে থাকে। বন্যাও একসময় নিয়মিত লিখেছে সচলায়তনে। ব্যস্ততার কারণেই হয়তো এখন মুক্তমনার মতই অনিয়মিত সেখানেও। আমিও একসময় স্বল্প সময়ের জন্য টুকটাক লিখেছি সচলায়তনে। এ ছাড়াও মুক্তমনার নিয়মিত লেখকদের মধ্যে নুরুজ্জামান মানিক, রণদীপম বসু এবং নন্দিনী হোসেনেরও সরব উপস্থিতি রয়েছে সচলায়তনে। কাজেই সচলায়তনের এই দুর্দিনে আমরাও সমানভাবে ব্যথিত তাদের দূর্দশায়। যে কোন প্রয়োজনে সমমনা এবং কাছাকাছি আদর্শের সচলায়তনের পাশেই থাকবে মুক্তমনা।

এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, মুক্তমনাও তার যাত্রার শুরুর দিকে নিষিদ্ধ হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করলে সেটা দেখতে পাবেন।

http://www.mukto-mona.com/Articles/avijit/mm_banned_uae.htm

http://www.mukto-mona.com/Articles/mehul/mm_banned_uae.htm

এখনো সেখানকার লোকজনেরা মুক্তমনা ওয়েবসাইটে যেতে পারেন না। কিন্তু সেই আঘাতে মুক্তমনা দমে যায়নি বিন্দুমাত্র। আমরা আমাদের কাজ করে গিয়েছি নিঃশঙ্ক চিত্তে। তার ফলাফলও পেয়েছি খুব ভালভাবেই। এর প্রমান হচ্ছে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক পাওয়া থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে মুক্তমনার অসংখ্য অর্জন। কুপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এরকম আঘাত আসবেই। কিছু যে করতে পারছি সেটাই হচ্ছে এর প্রমাণ। যত বেশি আঘাত আসবে তত বেশি বোঝা যাবে যে আমরা আমাদের ঠিক লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।

অগণতান্ত্রিক এবং অবৈধ যে কোন সরকারই সবচেয়ে বেশি ভয় পায় গণমাধ্যমকে। কারণ গণমাধ্যমেরই শক্তি আছে প্রকৃত সত্যকে সকলের সামনে তুলে ধরার। এই জলপাই সরকারও তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নিদারুণ ব্যর্থতায় ছলে বলে যে ক্ষমতা তারা দখল করেছে তাকে পাকাপোক্ত করার জন্য যা যা করা দরকার তার সবগুলোই করে চলেছে তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মিডিয়ার কণ্ঠ রোধ করা। তবে আগেকার স্বৈরশাসকদের মত ঘোষণা দিয়ে মিডিয়ার হত্যা দৃশ্য রচনা করছে না তারা। যা করার করছে নীরবে নিভৃতে। অনেকটা পেশাদার মাস্তানদের মত ভূমিকা তাদের। বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোকে টেলিফোনের হুমকির মাধ্যমে স্বেচ্ছা সেন্সরে বাধ্য করেছে তারা। জলপাইয়ের হুমকিতে বাংলাদেশের মিডিয়া এখন ঢোঁড়া সাপ। যেহেতু সরকারী কোন ঘোষণা নেই সে কারণেই কোন কিছু প্রমাণ করা সম্ভব নয় তাদের বিরুদ্ধে। সচলায়তনের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় সবাই জানে নিষিদ্ধ হয়েছে, কিন্তু সরকারীভাবে সেটা প্রমাণ করা যাচ্ছে না কোন অফিসিয়াল ঘোষণা না থাকার কারণে। হুমকিতে যেখানে কাজ হয় সেখানে প্রমাণ রাখার দরকারটাই বা কি? বহুত সেয়ানা এবারের এই জলপাই সরকার। সিন্দাবাদের দৈত্যের মত যেভাবে কাধের উপর আয়েস করে জেঁকে বসেছে, তাতে অনেক অনেক সময় এবং তেল কাঠ পোড়াতে হবে এদেরকে সরাতে সেটা বেশ ভাল করেই বোঝা যাচ্ছে।

প্রিন্ট মিডিয়া ঢোঁড়া সাপ হওয়ার পরেও ভরসার জায়গা ছিল আন্তর্জালের ব্লগ এবং ওয়েবসাইটগুলো। ভাবা হয়েছিল যে এগুলো মুক্ত এবং স্বাধীন। কিন্তু সচলায়তনের উপর এই চোরাগোপ্তা হামলার পর আর কারো পক্ষেই নিরাপদ ভাবা সম্ভব নয়। আজ সচলায়তন নিষিদ্ধ হয়েছে, কাল অন্য কোন ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ হবে। তারপর দিন হয়তো অন্য কেউ। এভাবে ক্রমাগত শক্তি হ্রাস করার চেষ্টা করা হবে শুভ শক্তির।

আমি মনে করি সচলায়তনের এই দুঃসময়ে অন্যদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে সকল দ্বিধা দ্বন্দ্ব ঝেড়ে মুছে। আন্তর্জালিক যুদ্ধের প্রাথমিক আঘাত এসেছে আমাদের উপর। এ ধরনের আঘাত আরো আসবে। কাজেই তাকে মোকাবেলা করার জন্য দরকার সম্মিলিত শক্তির। সবাই একসাথে কাধে কাধ পেতে দেয়াল তৈরি করলে কোন দানবীয় শক্তিরই সামর্থ নেই সেই দূর্গ ভাঙ্গার। এর প্রমাণতো দেড় যুগ আগেই আমরা একবার পেয়েছি।

কাজেই আসুন সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ি রাজাকার তোষণে ব্যস্ত মৌলবাদী জলপাই দানবের বিরুদ্ধে। আরো একবার প্রমাণ করি মানুষের মানবীয় শক্তির তেজ দানবের দানবীয় শক্তির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। অচলায়তনের কুৎসিত কালো দূর্গম দূর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তুলি আলো ঝলমল হাজারো সচলায়তন।

মায়ামি, ফ্লোরিডা


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সচল পরিবারের একজন হিসেবে মুক্তমনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।
ফরিদ ভাইকে অনুরোধ জানাবো আবারো লিখার জন্য ।

বণ্যা-অভিজিৎ দের আলসেমী ও ঘুচুক
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার লেখা। সচল পরিবারে অতি ক্ষুদ্র এক সদস্য হিসাবে মুক্তমনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দ্রোহী সচলায়তনের অতি ক্ষুদ্র এক সদস্য হলে আমি ধুসর গোধূলি কিছুই না। তারপরেও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মুক্তমনার। পাশপাশি আহ্বান করবো ফরিদ ভাই যেনো আবার নিয়মিত হোন সচলায়তনে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

মুক্তমনাকে অশেষ ধন্যবাদ এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সচলায়তনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
ফরিদ ভাইয়ের লেখা আমি এই প্রথম পড়লাম এবং একটি লেখাই আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দিল। ফরিদ ভাইকে সচলায়তনে পুনরায় নিয়মিত লেখালেখি করার অনুরোধ রইল।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্নিগ্ধা এর ছবি

ফরিদ আহমেদের লেখাটা আগেই পড়েছিলাম মুক্তমনায়। কিন্তু 'আলিস্যি'বশত ধন্যবাদ জানানো হয় নি, এখন জানাচ্ছি - মুক্তমনা'র মুক্তমনাদের অশেষ ধন্যবাদ!

তবে মুক্তমনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতা মূলতঃ ব্যক্তিগত। অন্তর্জালে লেখালেখির ব্যাপারে আমার হাতেখড়ি মুক্তমনার মাধ্যমে এবং বন্যা আর অভির কারণে। সচলায়তনের খোঁজও আসলে অভিই আমাকে দেয় হাসি

কিন্তু অভি - 'আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু'টা কেমন যেন কটাক্ষমূলক, নেতিবাচক, প্রতিহিংসাপরায়ণ শোনাচ্ছে!

এত আতিথেয়তার এই কি প্রতিদান? নাকি প্রতিশোধ? মন খারাপ

থার্ড আই এর ছবি

ব্লগারদের বাক স্বাধীনতার উপর আঘাতে মুক্তমনার অবস্থান বগ্নান্দোলনকে আরো সাহসী করে তুলবে।
পাশাপাশি লেখক ( অভিজিৎ) নিজের লেখায় সচলায়তন সম্পর্কে যে ব্যখ্যা আর বিশ্লেষণ করলেন তার পুরোটাই একমত। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আশা করছি অভিমানীদের মান ভাঙ্গবে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে, আমরা একা না এটা ১টা শক্তিশালী অনুভূতি।
ধন্যবাদ মুক্তমনাকে।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ফরিদ ভাইয়ের আগে কোন লেখা পড়েছি কিনা মনে পড়ছে না। ফেরত আসুন, ব্রাদার। দুঃসময়ে বন্ধু চিনিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ অভিজিৎ দা'কে।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

সৌরভ এর ছবি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ফরিদ ভাই আমাকে বলেছিলেন তার আলসেমীর জন্য তিনি সচলে অচল কিন্তু এর নেপথ্য কারণ যে আলসেমী নয় বরং তার অভিমান তা’ জানা ছিল না ।

ফরিদ ভাইয়ের ঐ লেখাটি প্রকাশকালীন আমি সচলে ছিলাম না , ভিসিটর হিসেবেও নয় , তাই মুক্তমনা আর সাতরং এ তার মতামতের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে আমি নিজেও ‘রাজাকারের খাতা’য় নাম লেখাতে পারলেও এই সচল হাটে সে সুযোগ পাইনি ।

২। সত্যি বিপদেই বন্ধুর পরিচয়
সচল কি ব্যান -এই সংশয় আমার মধ্যে প্রথম জাগে আর তা’ শেয়ার করি ফারুক আর মাহবুব লীলেনের সাথে এর এখন তো সবাই অবগত ।
তো এই দুর্দিনে অভিমানী ফরিদ কে তার কলম নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য -কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

নুরুজ্জামান মানিক
**********************************A life unexamined is not worthliving.-Socrates

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ফারুক হাসান এর ছবি

দারুণ একটি লেখার জন্য ফরিদ ভাই এবং সেটা শেয়ার করার জন্য অভিজিত্ দা কে অসংখ্য ধন্যবাদ। ফরিদ ভাইকে অনুরোধ, সক্রিয় সচল হয়ে যান আবার।

হিমু এর ছবি

অথচ সেই লোকটিকে সচলায়তন ছেড়ে যেতে হয়েছে 'রাজাকার তোষনের' তকমা মাথায় নিয়ে।

এই বাক্যটি সংশয়ের জন্ম দিতে পারে। ফরিদ ভাই নিজেই সম্ভবত অভিমানে সচলায়তনে লেখা স্থগিত করেছেন। কিন্তু এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত সচলায়তন সংকলনে কিন্তু তাঁর লেখা নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর অনুমতিসহই।

ফরিদ আহমেদের বক্তব্যে সমর্থন দিয়ে ভর্ৎসনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, এমন আরো ব্লগার কিন্তু সচলায়তনে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। পাঠকদের প্রতিক্রিয়া ছিলো ফরিদ আহমেদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে, লেখক ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে নয়। আশা করি তিনি এটি উপলব্ধি করবেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

স্বপ্নাহত এর ছবি

হ্যাটস অফ টু ফরিদ ভাই।

তার লেখা পড়িনি কখনো। অনুরোধ করি আবার সচলে লিখুন।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍মুক্তমনা এই সময়ে সচলায়তনের পাশে থাকবে - এ নিয়ে আমার কোনও সংশয়ই ছিলো না।

মুক্তমনাকে অভিবাদন আর ধন্যবাদ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

Naimul Haque Joarder ( Titu) এর ছবি

How to access "Sachalayatan.com" from Bangladesh.

1. Go... http://www.proxyboxonline.com/
2. Enter the address www.sachalayatan.com and click Go button.

Enjoy Sachalayatan..!!

Please fw this to others..
T2

Naimul Haque Joarder ( Titu) এর ছবি

How to access "Sachalayatan.com" from Bangladesh.

1. Go... http://www.proxyboxonline.com/
2. Enter the address www.sachalayatan.com and click Go button.

Enjoy Sachalayatan..!!

Please fw this to others..
T2

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।