জোছনা করেছে আড়ি...

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: বুধ, ২৭/০২/২০০৮ - ৬:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কবি শহীদ কাদরীর প্রথম প্রেমিকা, প্রথম স্ত্রী পিয়ারী বছর ছয়েক আগে এসেছিলেন ঢাকায়। বার্লিন প্রবাসী প্রায় ৬০ বছর বয়সী পিয়ারী এখনো দারুন সুন্দর, উজ্জল। ঢাকা ক্লাবের এক পার্টিতে কোনো এক সাংবাদিক বন্ধু পরিচয় করিয়ে দেন তার সঙ্গে।

পানপ্রীতি, সাংবাদিকতা, নাকি অন্য কোনো কারণে জানি না, কেনো যেনো দ্রুত বন্ধুত্ব হয় তার সঙ্গে। পিয়ারী নিমন্ত্রণ করেন একসন্ধ্যায় তাকে সময় দেবার।

ভূতের গলিতে তার এক ভাইয়ের ছোট্ট দোতলার ঘরের সোফায় আয়েশ করে বসি দুজনে। আমি পছন্দের রক্ত গোলাপ কলিরগুচ্ছ খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে শেষে পিয়ারীর জন্য একতোড়া সাদা গ্লডিওলাস নিয়ে গিয়েছি। ফুলগুলো পেয়ে খুশীতে জ্বলে ওঠে তার কালো চোখ। আগুন রঙা লাল চুল, সাদা টপস্ আর আকাশী রঙের লং স্কার্টে তাকে বেশ ফুরফুরে মেজাজের মনে হয়।

একটা পিরিচে কাজু বাদাম, ওল্ড স্মাগলার আর পানির বোতল, টুকরো বরফ ও দুটি গ্লাস দিয়ে পিয়ারী টেবিল সাজান। ছোট্ট একটা জেড স্টোনের অ্যাসট্রে আমাকে উপহার দেন। আমি সিগারেট ধরিয়ে অ্যাসট্রেটি তখনই উদ্বোধন করি। পিয়ারীও আমার দেখাদেখি সিগারেট ধরান। হুইস্কির গ্লাস হাতে শুরু হয় কথোপকথন। ...আমি জানতে চাই কবি শহীদ কাদরীর সঙ্গে তার প্রেম-অপ্রেমের কথা।

একটু থমকে গিয়ে পরে পিয়ারী অকপটে সব কথা বলা শুরু করেন।...তারই বয়ানে শোনা যাক সেই সব কথা:

*

১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বিয়ে করি কাদরীকে। কবিতার কারণেই তার সঙ্গে আমার প্রেম - বিয়ে হয়। যুদ্ধের পরে দুজন ভাগ্য অন্বেষণে পাড়ি জমাই জার্মানীতে। তখনো আমি জার্মানীর বাংলা বেতার বিভাগে যোগ দেই নি। বয়স ছিলো কম; আর দেখতেও নেহাৎখারাপ ছিলাম না। আমার আগ্রহ ছিলো শোবিজে। কিন্তু কাদরী এ সব একদম পছন্দ করতো না।

ওর আপত্তি সত্বেও আমি মডেলিং এ নামি। এই মডেলিংটাই কাল হলো, দুজনের সম্পর্কে চির ধরে। এক সময় আমার মনে হলো বিয়েটা একটা প্রধান বাধা। কাদরীকে না ছাড়লে আমি মডেলিং এ শাইন করতে পারবো না। আমি কাদরীকে বলি, ডিভের্সের কথা। সে সব মেনে নেয়। ডিভোর্সের পর কাদরী পাড়ি দেয় স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। আমার ছোট্ট ছেলেটি ডরমেটরিতে থেকে পড়াশুনা করতে থাকে।

মডেলিং এর নেশা তখন আমাকে পেয়ে বসেছে। জগত বিখ্যাত সব ফটোগ্রাফাররা তখন আমার ছবি তুলছেন। বার্লিন এর নাম করা ফ্যাশন পত্রিকায ছাপা হচ্ছে আমার ছবি। বাঙালি মডেল কন্যাকে পেয়ে ইউরোপ দিশেহারা হয়ে পড়ে। বার্লিনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে আমার খ্যাতি। একের পর এক শোবিজে অংশ নিতে থাকি।....

*

কথায় বিরোতি দিয়ে পিয়ারী উঠে যান পাশের ঘরে। একটা খাম থেকে বের করেন তার প্রথম যৌবনের মডেলিং এর কিছু সাদাকালো ছবি।

আমি চমকাই, এতো সুন্দর! এতো সুন্দর!...

এ ফোর সাইজের প্রতিটা ছবির নীচে তারিখ দিয়ে ফটোগ্রাফারেরর নাম, ক্যামেরার নাম, কোন কোন লেন্সে, কত শাটার স্পিডে, কতো অ্যাপেরচারে তোলা হয়েছে-- ইত্যাদি সব বিস্তারিত লেখা।

গ্লাস ভরে পিয়ারী শুরু করেন আবার।

সেই সময় আমার প্রেমিকের অভাব হয়নি। জার্মান যুব সমাজে আমার বেশ কদর ছিলো। সুমন চট্টোপধ্যায় বার্লিনে ছিলেন কিছুদিন। আমি তখন মডেলিং এর ওপর খানিকটা বিরক্ত হয়ে শুরু করেছি সাংবাদিকতা। যোগ দিয়েছি, জার্মান বেতার ডয়েচ ভেলের বাংলা বিভাগে।

সুমনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের দিকে গড়ায়। সুমন যখন বার্লিন ছাড়ে, তখন একটু ভেঙে পড়ি আমি। আমার এতোদিন পরে মনে পড়ে কাদরীর কথা।

*

পিয়ারী বলে চলেন, এখনকার মতো যোগাযোগের এতো সহজ উপায় না থাকলেও প্রবাসী বাঙালি মহলে কাদরীর খবর পাওয়া খুব কঠিন ছিলো না। কবিতার কারণে, তুমুল আড্ডাবাজীর কারণে বরাবরই কাদরী অতি জনপ্রিয়।

তো খবর পাই কাদরী হুট করে বিয়ে করেছে, এক মার্কিন মেয়েকে। খুব অসুখি জীবন কাটাচ্ছে। সাদা চামড়াটার কবিতা--টবিতার ওপর কোনো শ্রদ্ধাই নেই। বাসায় কাদরীর পরিচিত কেউ বেড়াতে এলে নাকি মুখের ওপর নাক সিঁটকে বলে, তুমি কি বিখ্যাত কবির সঙ্গে দেখা করতে এসেছো?...এ সব শুনে আমি অস্থির হই; কিন্তু আমার কিছুই করার থাকে না।

আরো পরে খবর পাই অসন্মান থেকে বাঁচতে কাদরী শেষে ওই শয়তনটার সঙ্গে রিলেশন ব্রেক করে, ওকে ডিভোর্স দেয়।

তারপর কাদরী এখন এই শেষ বয়সে এক পুঁচকে বাঙালি মেয়েকে নাকি বিয়ে করেছে। আমার আর কাদরীর হয়তো ওই বয়সী একটা মেয়ে থাকতে পারতো, তাই না!

তো মেয়েটা নাকি কাদরীর কবিতার খুব ফ্যান। আর এখন তো কাদরী প্রায়ই অসুস্থ থাকে। নানান অসুখে একেবারে শয্যাশায়ী। মেয়েটাই নাকি ওর খুব সেবা করে।

আর আমি? আমি একের পর এক সম্পর্কের ভাঙন দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ডুবে থাকি রেডিও নিয়ে। ...মাত্র তো অবসর নিলাম কাজ থেকে। ভাবছি, সাংবাদিকতারই কোনো একটা কাজে আবার ঢুকে পড়বো।

*
আমি জানতে চাই, আপনার কাদরীকে দেখতে ইচ্ছে করে না? কেমন আছেন, আপনার প্রথম প্রেম?...

পিয়ারীর মুখ থেকে কথা সরে না। ভ্রমর কালো চোখ ছলছল করে ওঠে। উনি সিগারেটে টান দিতে ভুলে যান। সিগারেট পুড়ে পুড়ে আঙুলের ফাঁকে ছোট হয়ে আসে। কার্পেটে ঝরে পড়ে ছাই। আর সিডি প্লেয়ারে বেগম আখতার নীচু গলায় গেযে চলেন অহেতুক:

জোছনা করেছে আড়ি,
আসেনা আমার বাড়ি...

রাত্রি দীর্ঘ হয়। আমি বাসার দিকে পা বাড়াই।...

(পুনর্লিখিত। ছবি: ভ্যানগখ)


মন্তব্য

ধ্রুব হাসান এর ছবি

অসাধারন লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। আহারে কদ্দিন ওল্ড স্মাগলার পান করিনা, এই উইস্কি একসময় আমার অসম্ভব প্রিয় ছিলো। যাক শহীদ কাদরীর প্রথম প্রেমের মুখে তার কথা শুনে আবারো কাদরীর প্রেমে পড়লাম। আমি যেন ফিল করছি কি ভীষন অভিমানী এই কবি! আর ম্যাডাম পিয়ারীর জন্য দুঃখ্যই হয়, ঐ অনন্য সুন্দর যৌবনটাই তাকে একা করে দিলো সবকিছু থেকে ধীরে ধীরে! হয়তো এইটাই আমাদের সবার নিয়তি! আমরা হয়তো অভিমানে কেবল আপন মানুষকেই দূরে ঠেলি, আর পরকে আপন ভেবে আকঁড়ে ধরি প্রাণপন! যাইহোক আবারো ধন্যবাদ আপনাকে (বিশেষ করে এই জন্য যে এখনো ওল্ডস্মাগলার বাজারে আছে জেনে...হা হা হা)

রাবাব এর ছবি

দারুণ!! এরকম আরও লেখা চাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অসাধারণ! ঘটনার বিন্যস্ত বর্ণনায় খুব চমৎকারভাবে আবেগটাকে তুলে ধরতে পেরেছেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৌরভ এর ছবি

পিয়ারীর মুখ থেকে কথা সরে না। ভ্রমর কালো চোখ ছলছল করে ওঠে।

কিছু বলবার নেই।
কান্না পেলো বিপ্লব রহমানের সূত্রে হঠা‍ৎ নিজের খুব কাছের মনে হতে থাকা পিয়ারি কে।

আপনার এইসব অভিজ্ঞতা নিয়ে আরো লিখুন।
এ এখন গণদাবি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল।

-----------------------------------
মুহাম্মদ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কোন কিছু না পাওয়াটা কষ্টের।
আর পেয়েও যে হারিয়ে ফেলে...
আমরা সবকিছু এত দেরীতে বুঝি....
লেখাটা খুব ভালো লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিন্দিতা এর ছবি

আমরা হয়তো অভিমানে কেবল আপন মানুষকেই দূরে ঠেলি, আর পরকে আপন ভেবে আকঁড়ে ধরি প্রাণপন!

ভালবাসা নাকি হারায় না , তাহলে কেন এমন হয়?

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আপনি কি আমার পূর্ব পরিচিত কেউ?

অমিত এর ছবি

(বিপ্লব)

ধূপছায়া এর ছবি

লেখা পড়ে বেশ ভাল্লাগলো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পেয়ে হারানোর বেদনায় পড়ে সব ক্যারিয়ারিস্টিকরাই। এটা প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম যেনো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নিঘাত তিথি এর ছবি

অসাধারণ বর্ণনা।
অনেক অভিজ্ঞতা জমে গেছে বোধহয় আপনার ঝুলিতে। সবগুলো লিখতে থাকুন এরকম করে। কি চমৎকার যে লাগে পড়তে!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমি একের পর এক সম্পর্কের ভাঙন দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ... ভাবছি, সাংবাদিকতারই কোনো একটা কাজে আবার ঢুকে পড়বো।

ম্যাডাম পিয়ারীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায়?

.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

বিপ্লব রহমান এর ছবি

পিয়ারীর সঙ্গে অল্প কিছুদিন ইমেল যোগাযোগ ছিলো; অজানা কারণে সেই যোগাযোগটিও হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ... তার কোনো আপডেট তথ্য জানাতে পারছি না বলে দু:খিত। ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ... উনার সম্পর্কে জানা ছিলো না, খুব ভালো লাগলো। আর লেখার স্টাইলটা সত্যি অসাধারণ, ছুঁয়ে যায় খুব। লেখার মায়াটা সাংঘাতিক ভালো লাগলো। আপনাকে বিপ্লব।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দিতা এর ছবি

@ ধ্রুব কি আমাকে বলছেন? আপনার একটা মন্তব্যে (মুক্তির গান প্রসঙ্গে)চট্টগ্রাম ভার্সিটির কথা বলেছিলেন। একই ক্যাম্পাসের হওয়ায় কি পরিচিত মনে হচ্ছে? আমি অবশ্য সে সময়ের কিছু আগেই বেরিয়ে গেছি।

এহেছান লেনিন এর ছবি

দারুণ বর্ণনা, দারুণ সৃষ্টিশীলতা।

ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ব্যাপক লেখা!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

রেজওয়ান এর ছবি

নাজমুন্নেসা পেয়ারী আন্টি এখন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। ওনার কথা অনুযায়ী ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের চাকুরি পেয়েই ৭০ এর দশকের শেষের দিকে তার জার্মানীতে আসা (তখন কোলনে)। ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগ (এখন বনে অবস্থিত) ছেড়ে বার্লিনে ডয়েচে ভেলে টিভিতে পি আর ডিপার্টমেন্টে ছিলেন বেশ কিছুদিন।

এখন রিটায়ার করে বার্লিনেই থাকেন একা। আমেরিকার বাংলা পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত তার কলাম ছাপা হয়। বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, আইটিবি, হানোভার মেসে বা ফ্রান্কফুর্ট বইমেলা এগুলোতে তার উপস্থিতি অনিবার্য। কলকাতায় প্রায় প্রতিবছরই যান, ওখানকার লেখক কুলের সাথে বেশ খাতির। বছরে বেশ কয়েক মাস ছেলের কাছে আমেরিকায় থাকেন। দেশে তার কয়েকটি বই বের হয়েছে..গুটিকয়েক অনুবাদ। জার্মানীতে তার পার্সোনাল কন্টাক্টস খুব ভাল, অনেক উচ্চপদস্থ এমনকি মন্ত্রী তার পরিচিত।

বার্লিনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে এই একজন মানুষ যাকে সবাই শ্রদ্ধা করে। কারন সবাইকে সাহায্য করেন। সবার জন্যে তদবীর করেন। মানুষ হিসেবে চমৎকার।
------------------------------------------------------------------------
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

হিমু এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা। বিপ্লব রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করি, শান্তি কামনা করি পৃথিবীর দুই প্রান্তে বাস করা শহীদ কাদরী আর পিয়ারীর।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একটু দেরীতে বলছি। ...

আবারো সবাইকে ধন্যবাদ। পিয়ারী সম্পের্কে আপডেট তথ্য দেওয়ার জন্য রেজওয়ানকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অতিথি লেখক এর ছবি

জীবনটাকে নিয়ে কখন ভাবা যায় বলতে পারেন???
ক্লান্ত এক সৈনিকের কথা পড়তে ভালই লাগল....
গুরু****
সর্ম্পকের এত ভাঙ্গন না দেখলে পিয়ারীর হয়ত বুঝতেই পারতো না যে এই সর্ম্পককে যাইলে .....
স্বযত্নে গড়া যায় !!!
শুধু পিয়ারী নয় চারপাশে এমন অনেকে আছে যাদের এই উপলব্ধি আসে এমনই দেরীতে,
তারা কি হতভাগা না ভাগ্যবান???

বিপ্লব রহমান এর ছবি

প্রিয় অতিথি,
আপনার নাম জানা হলো না। ...কিন্তু প্রেম আর সম্পর্কের ভাঙণ--এই সব বোধহয় অনিবার্য বিষয়। কোনো সূত্রেই কী শেষ পর্যন্ত জীবনকে বাধা যায়?

অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তারানা_শব্দ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।

জোছনা করেছে আড়ি,
আসেনা আমার বাড়ি...

এই গানটা শুনতে চাই। পেতে পারি? মন খারাপ

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

নাশতারান এর ছবি

লেখাটা ছুঁয়ে গেল। নেট ঘেঁটে এই ভিডিওটা পেলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

চমৎকার একটা লেখা!
চলুক চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।