২/৭/১১
জীবন ছড়িয়ে আছে তোমার
এখানে সেখানে
জন্মমাত্রই পিতৃহীন, তারপর
জননীও দিয়েছেন পাড়ি অন্যভূবণে
মামা, চাচা, ভাই, কোথায়
না আশ্রয় খুঁজেছ তুমি! তোমার
স্মৃতিগুলো মুড়কির মতো
ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। আর
আজ সকল দুঃখবোধ জড়ো
হলো এই একাকী বাড়িতে…
পিতা আমার, চিরকালিন শিশু আমার
এইবার তবে বিদায়, অথবা চীর বসবাস
আমার বুকে, নিভৃতে…
২.
তেষট্টি বছরের পিতৃশোক!
কতটা ভার বুকে নিয়ে তুমি
মা শৈশবে খুব দুরন্ত ছিল। তার দুরন্তপনার নানান গল্প ছড়িয়ে আছে গ্রামে। নানিজীর মুখে সেসব শুনেছি আমরা। গ্রামের বড়রা গল্প করতো, মা নিজেও বলে। অন্যদের মুখে শোনার চেয়ে মায়ের নিজের বলাটা শুনতে বেশি ভালো লাগে। তার গল্প বলার এমন চমৎকার ভঙ্গি, এমন জমিয়ে গল্প করে, আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার শৈশব গিলতে থাকি। দম ফাটানো হাসি, রুমাঞ্চ কিংবা কান্নার গল্পগুলো। মা খুব বুদ্ধিমান, কোন গল্পটা শুনলে আমাদের মন খারাপ হয়,
কবিতা ও কবিতা বিষয়ক গদ্য নিয়ে একটি ই-বুক করার ইচ্ছা অনেক দিনের। ২০০৯ এর মে মাসে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পরে সেটা ড্রাফট করে ফেলি। এর পর থেকে করছি করবো করেও আর করা হলো না। মাঝখানে হাসান মোরশেদ ও সুমন চৌধুরী ই-বুক করতে চেয়েছিলেন, সেটাও হলো না। তাই নতুন করে আবার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে হলো।
অতঃপর নেমে আসে চাঁদ কেওয়াছড়ার মাঠে। সেখানে কুয়াশা জমে বিন্দু বিন্দু, আলোতে চিকিমিকি করে সবুজ চাদর। ছায়াবৃক্ষ পরস্পরে প্রেম বিলায় আর বাতাসে ডানা ঝাপটায় একাকী পেঁচা। আরেকটা নাম না জানা পাখি উড়ে যায় মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিরিষ ছেড়ে, সুভাষ সচেতন হয়, একটা বাজলো। কাঠালের নিচু ডালে বাঁধা প্রাচীন ঘণ্টায় আলতো ছোঁয়ায় হাতুড়ি, ঢঙ... রাত একটা বাজলো।
সুমনা আস্তে আস্তে নিজেরে ছাড়িয়ে নেয়, শ ...
পানি বাড়ছে রোজ। সকালে একবার করে নদীর পারে যাই। পানি দেখি, হু হু করে বাড়ছে। রোজ বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ছাড়া কোন ২৪ ঘন্টা পাচ্ছি না। কোন কারণে দিনে রোদ দিতে হবেই এমনটা হলে, সকালটা ভিজিয়ে যাচ্ছে! আর সারাদিনের রোদ এর শোধ তুলে রাতে। আমার সবচে প্রিয় বাহন মোটর সাইকেল। ১৬ বছর ধরে টানা চালাচ্ছি। তবু শখ মেটে না। বৃষ্টির কারণে এটা চালাতে পারছি না। দারা-পুত্র নিয়ে চলতে হয়, আমার ভেজার শখ তাদের উপ...
আমার ভেতরে বড়ো বেশি উচাটন। অকারণে পেছনের কথা ও সময়কে আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকি।
যেদিন সবুজ বাতিটা জ্বলা বন্ধ হলো, যেদিন জানলাম আপনি অসুস্থ, সেদিন থেকে রোজ একটু পর পর দেখতে থাকি বাতিটা জ্বলে কী না। না, জ্বলেনি। আর জ্বলবে না। তবু আমি রোজ রোজ একবার করে কন্টাক্ট এর লিংক ধরে সেই নামটা দেখি... না, জ্বলে না।
গতমাসে একদিন সকালে উঠে সোজা বসলাম পিসিতে। জিমেইলে ঢুকে প্রথমেই দেখি সেই বাতিটা ধুসর হয়...
আমাকে তিনি গল্প বলেন। ছবি দেখান। সম্ভবত সেটা এক বছর বয়েসের ছবি। সাদাকালো ছবি। একই বয়েসের দুজনের দুটি ছবি। কিন্তু পোষাক একি। একজনের সাত বছর পর আরেকজনের ছবি তোলা হয়েছে। প্রথম ছবিটা তুলে যত্ন করে তুলে রাখা হয়েছিলো পোষাকটা। ছবির নিচে লেখা আছে এপ্রিলের ৯ তারিখ... এটা ভুলও হতে পারে আমার।
আরেকটা ছবি রঙিন। বিখ্যাত আলোকচিত্রি আমানুল হক এর তোলা। প্রাণখোলা হাসিমাখা সেই ছবিটা। ছবির বর্ণ...
সূর্যটা কমলা রং এর হতে না হতেই তুমি প্রস্তুত।
একবার বাবাকে, একবার মা'কে আরেকবার দাদাকে
তারপর দাদু। সবার কাছে একটাই প্রশ্ন, দেরি হলো?
তোমার কোমল শরীরটা দাঁড়াতে চায় না। তোমার পিচুটি
জড়ানো চোখে জলের ঝাপটা দিতে দিতে, ফোকলা দাঁতে
ব্রাশ ঘষতে ঘষতে, তুমি জিজ্ঞেস করো, আজও কি লেইট?
তুমি চলতি পথে বার বার প্রশ্ন করো, আজও কি শুনতে হবে
লেইট মর্নিং? নাকি আজ গুড মর্নিং এখনও রয়েছে? লাল দালানে
ঢোক...
রোদ ম্রিয়মান হলে এ শহর নিজেরে ঢেকে দেয় কুয়াশার কাফনে
ফুটপাত ধরে হেঁটে যাই, কনকনে বাতাস, মিহি থেকে তীব্র হয়
আমাদের চেনা এ পথে এখন সকলই অচেনা মুখ, অচেনা সুর
সড়ক দ্বীপে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশই শুধু চেনা জানা
কেননা সেই পুরনো পোষাকেই দাড়িয়ে থাকে সে, তোমার
আমার মতো বারবার পাল্টায়না খোলস।
নীল পোষাক, সাদা পোষাক, খয়েরি পোষাক তোমার...
স্লাইড শোর মতো একটার পর একটা ছবি দ্রুত মিলিয়ে যায়
...
ছোট শহরে থাকলে অনেক কিছুতেই সরাসরি অংশ গ্রহনের সুযোগ মিলে বা অনেক কিছুতেই জড়িয়ে পড়তে হয়। বুঝতে শেখার পর থেকে শহীদ মিনারে যাই। একটু বড়ো হয়ে রাতের প্রথম প্রহরে যেতে শুরু করেছি। তারপর কোন ফাঁকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সহায়তাকারী হয়ে গেলাম। হিসাব করলে দেখি সেও ১২ বছরের অধিক। গ্রুপের কাজ থাকে। সেসব নিয়ে বিস্তর দৌঁড়ঝাপ দিতে হয়। তাই কয়েকদিন ধরে সেভাবে নেটেই বসা হয় না। রাতে কিছু...