নজমুল আলবাব এর ব্লগ

ফোন বিল

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ০৮/০৪/২০১২ - ৪:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফোন বিল এলো, একাশি টাকার
গতমাসে এসেছিলো, তার আগের
মাসে, তারও আগের মাসে, প্রতিমাসে
একটা করে, প্রতিবারই একাশি টাকা...

মূলত, একা মানুষের ফোন থাকতে পারে
হয়তো, কথা বলার কেউ থাকে না


না কবিতা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শনি, ১০/০৩/২০১২ - ১১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি কবি হতে চেয়েছি সবসময়। কবিতায় যাপন করতে চেয়েছি জীবন। বাউল হতে চেয়েছি। নগ্ন পায়ে হেটে যেতে চেয়েছি খোলা প্রান্তরে, রাত আর চাঁদকে নিয়ে পাড়ি দিতে চেয়েছি আমার সারাটা জীবন। সেসব কিছুই হয় নি। কারন নিজের ভেতরের আমিকে আমার বাইরের আমি কখনই ছাড় দেয়নি। সংসার ভালো লাগে না আমার তবু গৃহেই বসবাস। এই বৈপরিত্ত অথবা ভণ্ডামী নিয়েই আমার নিত্যদিন।


রেনুকা

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৩/২০১২ - ৭:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শান্ত, স্নিগ্ধ, স্রোতময় জলধারা তুমি
নীলাকাশ যেনো মিশেছে নতজানু হয়ে
তোমার পায়। আমি মুগ্ধ কিশোরের মতো
তোমারে দেখি, আমি তোমার কোমলে ভাসাই নিজেরে...
আর বড় অসহায় লাগে, যখন দেখি তোমার ষোল আনার
দখল নিয়েছে পাইক-পেয়াদাতে, আমি এক বোকালবাব, জলকাতর,
ভালোবাসারও যার নাই অধিকার। তবু তুমি জেনে রাখো রেনুকা,
তোমারে ভালোবাসবে না আর কেউ আমার মতো, আমি ছাড়া আর
নাই কোন যোগ্য প্রেমিক তোমার...


সন্তাপ ০২

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০২/২০১২ - ২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০৯.০৭.১২

প্রথম ঘন্টায় হিসেবে মিলেছে গত ঘন্টার কণ্ঠস্বর
দ্বিতীয় দিনে বলেছি গতকাল, এভাবে প্রতিদিন
পূর্ববর্তি দিনকে টেনে এনেছি …
অষ্টম দিবসে এসে আর 'গত' বলতে পারি না
বলতে হয় গত বৃহস্পতির আগের বৃহস্পতিবার!
হায়, এত দ্রুত তুমি দুরে সরে যাও
হায়, এত দ্রুত তুমি স্মৃতি হও!

শূন্যতা

কল লিস্ট থেকে তোমর নামটা উধাও
শেষবার দেখেছি ১৩৪ টা মিস্ড কল


ইজা...

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ০১/০১/২০১২ - ১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবার শরীরে একটা ঘ্রাণ ছিলো। ঘাম জমে জমে সম্ভবত ঘ্রাণটা তৈরি হতো। মায়া মায়া একটা ঘ্রাণ। বাবার কাপড় চোপড়ে সেই ঘ্রাণ। বাবার বিছানায় সেই ঘ্রাণ... আর কেউ সেই ঘ্রাণ পেতো কী না জানি না। আমি পেতাম। বাবার গামছায় লেগে থাকা ঘ্রাণ নিতে রোজ সকালে আমি মুখ ধুয়ে তার রুমে ঢুকতাম। বাবা সম্ভবত সেটা জানতেন। ভোরে ওঠা ছিলো বাবার অভ্যাস। ওজু পড়ে গামছায় হাত মুখ মুছে আলনার একটা পাশে সেটা মেলে দিতেন। আমি সেই গামছায় মুখ মুছতে মুছতে বাবার সাথে কথা বলতাম। গুরুত্বহীন আলাপ সেসব। আমি আলাপের আড়ালে ঘ্রাণ গিলতাম। বাবার ঘ্রাণ...


অপার্থিব জানালার খোঁজে

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ০৭/১০/২০১১ - ৬:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তখন আমাদের কেরানির জীবন। বাবা পোস্টমাস্টার। কিন্তু আদতে সেটা কেরানিরই চাকরী। ভাই ঢাকায় একটা হাউজিং কোম্পানিতে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। আজকাল সব অফিসে সবাই এক্সিকিউটিভ হয়। গালভরা নাম সব। আদতে সবাই কেরানি। আমি নতুন চাকরীতে। পত্রিকার ডেস্কে বসি, তাও এক ধরনের কেরানিরই কাজ। বাপ ছেলে তিনজন যখন কেরানিরই চাকরী করি তখন সেটারে কেরনির জীবন বলাটাই উচিত।


গল্প সংক্রান্ত অভিমান

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ১৮/০৯/২০১১ - ৫:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবা অসম্ভব মজা করে কথা বলে। যে শুনে সেই হাসে। হাসতে হাসতে পেট ফুলে যায়। আমাদের বাড়িতে যেই আসে সেই বলে, বাবার মতো মজার মানুষ কোনদিন সে দেখেনি। বাবা এতো চমৎকার সব কৌতুক জানে, মুখ এমন ভেংচি কাটতে পারে, না দেখলে না শুনলে কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না কিংবা বুঝতে পারবে না।


শূন্যতার ঈদ যাপন

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ০২/০৯/২০১১ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাঁদের খবর নিতে হয় না। চাঁদ এসে নিজেই ঢুকে পড়ে মোবাইলে, ফেসবুকে, ই-মেইলে। ঈদ আসছে টের পাই তাই চাঁদ ওঠার অনেক আগে। তখনও রাস্তায়। আকাশটা যথেষ্ট ফরসা, তবু আজান শোনা যায়। ফোনে মেসেজ টোন শুনি, রিং টোন নেই। এই যে ইফতার হলো, রাস্তায় পড়ে আছি, তবু ফোনটা বাজে না। বাজবে না। আর বাজবে না। কখনই বাজবে না। সে তুমি রাত তিনটাতেই বাড়ি আসো, ইফতার পেরিয়ে যাক, তবু ফোন বাজবে না সেই পুরনো নাম্বার থেকে। এই হলো নিয়ম, এভাব


সন্তাপ ০১

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ২২/০৮/২০১১ - ৪:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল সকালেই আসে রোজ, ঠিকমতো
ঘড়িটা ঘুরছে পুরনো নিয়মে, এই মেঘ
এই রোদ, এই ঝরে বৃষ্টি, সকলই নিয়মবদ্ধ
এই ভুলে যাওয়া, এই দৈনন্দিনতা সেও
নিয়ম, ব্যত্যয় ঘটে না কখনো, সবাই
মানিয়ে নেয়, মেনে নিতে হয়...

আমি বুঝিনা, আমি আসলেই বুঝি না
শুধু রোজনামচার খাতা হাতড়ালে দেখি
বিস্তর সাদা পাতা, বিরাট শূন্যতা


পুলিশ কি করলো? তারে বরখাস্ত করে কেনো?

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৮/২০১১ - ২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে একটা কিশোর অথবা তরুণকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, চিৎকার করে বল্ল এরে মেরে পিটাও, এ হলো ডাকাত। বীর বাংগালের সকল বীরত্ব জেগে উঠলো, সে পিটাতে শুরু করলো, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো, পেটাতে পেটাতে যখন বুঝলো কাজ শেষ, তখন ক্ষান্ত দিলো। পুলিশ সেই লাশ উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো। কি অসাধারণ দৃশ্য। টিভিতে এটি দেখানো হয়েছে, পত্রিকার অনলাই এডিশনে ভিডিও ক্লিপটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। এবং এজন্য দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক দারোগা আর দুই সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাশাল্লাহ।